25/07/2025
শুনলাম বিমান বিধ্বস্ত হবার পর আহতদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ভারত থেকে এর মাঝেই বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে এসেছে। চায়না থেকেও আজ আরেকটি বিশেষজ্ঞ দল এসেছে।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা হচ্ছে ১৮ কোটি। কে জানে, হয়ত আরও বেশি হবে! অথচ একটা, স্রেফ একটা জায়গার দুর্ঘটনায় চিকিৎসা দেয়ার জন্য আমাদের নিজস্ব জনবল নেই। না থাকলেও সমস্যা নেই। সমস্যাটা কোথায় জানেন?
সেই আমরাই যখন নিজেদের প্রায় সকল কিছুতে "সেরা" দাবি করি! স্কুল সেরা, কলেজ সেরা, বিশ্ববিদ্যালয় সেরা, মেডিকেল কলেজ সেরা! আমরা সবাই নিজেদের সেরা ভাবছি!
আপনি একবার চিন্তা করে দেখুন তো- ঢাকা শহরে কোন দিন একটা বড় ভূমিকম্প না হোক; মোটামুটি মাত্রার ভূমিকম্পও যদি হয়। তাহলে অবস্থাটা আসলে কেমন হবে? আপনি কি আদৌ কোন চিকিৎসা পাবেন? কেউ কি আপনাকে আদৌ উদ্ধার করতে আসবে? এই দেশে কেন কিছু হয় না জানেন?
কারন কোথাও কোন যোগ্য মানুষকে সঠিক জায়গায় কাজ করতে দেয়া হয় না। পৃথিবীর অষ্টম জনবহুল দেশ; অথচ একটা ঘটনাতেই আমাদের বিদেশের কাছে সাহায্য চাইতে হয়েছে। সরকার প্রাধান তো ভিক্ষা (পড়ুন ত্রান) চেয়ে বসেছেন! এইসব কেন হয় জানেন?
স্বয়ং আমাদের প্রধান উপদেষ্টা নিজে চাকরি পাবার পর বলেছিলেন - ছাত্ররা আমাকে কাজ দিয়েছে। সেই ছাত্রদের অন্যতম নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজেই বলেছে - অধ্যাপক ইউনূস স্বজনপ্রীতি করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ অন্যান্য অনেক নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিজেই বিদেশে যান চিকিৎসা নিতে নিয়মিত!
এরপরও এই দেশে কেউ পদত্যাগ করে না। কারন কোথাও কোন জবাদিহিতা নেই। আপনি তো চাকরি পাচ্ছেনই হয় মামা-চাচার জোরে, না হয় ঘুষ দিয়ে কিংবা রাজনৈতিক পরিচয়ে! এই দেশে কেউ যোগ্য হতে চাইবে কেন?
মাত্র সাড়ে তিন লাখ জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ডের মানুষকে কি বিদেশে যেতে হয় চিকিৎসার জন্য? কিংবা ধরুন ১৩ লাখ জনসংখ্যার দেশ এস্তোনিয়া?
না, আমাদের যেতে হয় না। কাউকে ডাকতেও হয় না। উল্টো আমাদের চিকিৎসা ফ্রি, শিক্ষা ফ্রি, সকল মৌলিক চাহিদা রাষ্ট্রই নিশ্চিত করে। গতকাল ঠিক যে মুহূর্তে আমার প্লেন এই দেশে ল্যান্ড করেছে। ঠিক তখনই আমার কী মনে হয়েছে জানেন?
আর কোন চিন্তা নেই। এখন রাষ্ট্রই আমার দেখভাল করবে। এবার ভেবে দেখুন তো - বাংলাদেশে আপনি এটা ভাবতে পারেন কিনা? নাকি ভাবেন - রাষ্ট্র দানব হয়ে উল্টো আপনার ক্ষতি করবে! একবার সরকারি অফিসের কথা চিন্তা করুন, থানা-পুলিশের কথা চিন্তা করুন, হাসপাতালগুলোর