06/04/2025
রা|ফা|হ আর নেই। পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে রা|ফা|হ।
অল্প সময়ের মধ্যে গা.জাও নিঃশব্দে মিলিয়ে যাচ্ছে দুনিয়ার মানচিত্র থেকে।
একটি একটি করে আলো নিভে যাচ্ছে, একটি একটি করে নিঃশ্বাস থেমে যাচ্ছে।
আমরা বাঁচার আর্তনাদ পাঠালেও — পৃথিবী কানে দেয়নি।
"আপনারা আমাদের কেবল জান্নাতে খুঁজে পাবেন।
বিদায়! হে ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর উম্মত..."
— গা.জা থেকে ফেসবুকে সালেহ আল জাফরীর শেষ চিঠি।
ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে— পাকিস্তান ছিল বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক শক্তিধর, তবু গাজার রক্ষার্থে একটি বোমাও উড়ে আসেনি।
মিশরের বুক চিরে নীলনদ বয়ে গিয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী, যা প্রাণ জুগিয়েছে আফ্রিকার মরুভূমিকে। অথচ, পাশেই গাজার শিশুরা তৃষ্ণায় কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল।
সৌদি আরব, আরব আমিরাত ছিল তেলের সাগরে ভেসে থাকা বিলাসী সাম্রাজ্য, কিন্তু, গাজার অ্যাম্বুলেন্স-গুলো পেট্রোল না পেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল নিঃশব্দে, নিরূপায়। নিরবতা যেনো তাদের একমাত্র আর্তনাদ।
সর্বোচ্চ আশা-প্রত্যাশার অসংখ্য চোখ তাকিয়ে ছিল তুরস্কের দিকে। নেতৃত্বের স্বপ্নে বিভোর, ‘উম্মাহ’র দাবি করা মুখপাত্র। তবু, গাজার জন্য তারা কিছুই করলো না। না রসদ-সামগ্রীর সাহায্য, সামরিক সহযোগিতা, না নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় কূটনৈতিক আগ্রাসন..
গোটা বিশ্বের মুসলমানদের ছিল ৫০ লাখ সৈন্য, ছিল ট্যাংক, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান, স্যাটেলাইট, গোয়েন্দা বাহিনী, ছিল আধুনিক প্রযুক্তি, এমনকি হাইড্রোজেন পরমাণু বোমা— কিন্তু, গাজার আকাশে একটাও ছায়া পড়েনি। গাজার দিকে কেউ হাঁটেনি।
সবকিছু থাকবে ইতিহাসে। গাজার মতোই– কাশ্মীর, উইঘুর, রোহিঙ্গা সহ বিভিন্ন প্রান্তে জুলুমাতের অন্ধকারে থাকা মুসলমানদের কথা। তবে, সবচেয়ে করুণভাবে লেখা থাকবে– 'তারা চুপ ছিল। সবাই নিরব ছিল। মৃত্যুর চেয়েও গভীর ছিল সে নীরবতা।'
সর্বশেষ পাওয়া আপডেট :
গা*জায় খাবারের প্রয়োজন নেই লাগবে অক্সিজেন। সারা বিশ্বের মিডিয়া কর্মীদের গা*জা প্রবেশে নিষেধ
আলজাজেরা,CNN ,NBC সব সংবাদকর্মীদের গা*জা ছাড়ার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছে IDF (isr*ael Defence force )
কয়েক ঘন্টার মধ্যে গা*জা হয়তো মুছে যাবে, নিঃশেষ হয়ে যাবে। আপনারা আমাদের কেবল জান্নাতে খুঁজে পাবেন। বিদায়! হে ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্টুর উম্মত...