Azhari-s fan Raju

Azhari-s fan Raju মানবতাই মানু‌ষের শ্রেষ্ঠতম গুণ

15/08/2025

দানবাক্স মাজা‌রে নয় হাসপাতা‌লে রাখা উ‌চিৎ কেননা মৃত মানু‌ষের কোন টাকার প্রয়োজন নেই কিন্তুু জী‌বিত মানু‌ষের টাকার প্রয়োজন বে‌শি

15/08/2025

আমাকে আরো এক পেয়ালা মদ দাও

চার যুবক এক স্থানে কাজ করত। তারা সেখানে কয়েক বছর কাটিয়ে দিলো। তারা তাদের আয় জমা করে রাখত। তারা যখনই শুনতে পেত কোথাও আরাম-আয়েশ ও আনন্দ-ফুর্তির ব্যবস্থা আছে তারা সেখানেই চলে যেত। একদা তারা প্রতিদিনের মতো বসে গল্প গুজব করছিল। তারা এমন একটি শহর সম্পর্কে খবর পেল, যেখানে তারা কোনো দিন যায়নি। তারা পাক্কা নিয়ত করল, পয়সা জমিয়ে এবার সেই শহরে আনন্দ-ফুর্তি করতে যাবে।

এক সময় তারা উড়ো জাহাজে চড়ে নিজেদের গন্তব্যে রওয়ানা হয়ে গেল। সেখানে তারা এক সপ্তাহ অবস্থান করল। এর মধ্যে তারা ব্যভিচার আর মদের নেশায় মাতাল ছিল এবং এমনসব কাজ করল, যা আল্লাহ তায়ালার শাস্তির জন্য যথেষ্ট ছিল।

একদিন তারা মদ আর নারী নিয়ে ছিল ব্যস্ত। রাতের কিছু সময় মাত্র অতিবাহিত হয়েছে। আল্লাহর অবাধ্যতায় তারা বুদ হয়ে পড়েছিল।

এমন সময় তাদের মধ্য হতে একজন বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেলে বাকি তিন বন্ধু তার পাশে এগিয়ে এলো। তারা বুঝতে পারল সাথির অবস্থা নাজুক। একজন বলল, 'ভাই! কালেমা পড়।' সে বলল, 'ভাগো এখান থেকে; বরং আমাকে মদের আরেক পেয়ালা পান করিয়ে দাও।' সে বলতে লাগল, 'হে অমুক নর্তকী! আমার কাছে এসো।' এ অবস্থায়ই তার মৃত্যু ঘটে গেল। আল্লাহ আমাদের দয়া করুন।

অতঃপর তিন বন্ধু যখন তাদের সাথির এই করুণ অবস্থা দেখতে পেল, তখন তারা শাস্তির ভয়ে কাঁদতে লাগল। তারা তওবা করে সে পাপের আড্ডা থেকে বেরিয়ে এলো এবং মৃত সাথির লাশ কফিনে করে নিয়ে এলো। এয়ারপোর্ট আসার পর তারা কফিন খুলে সাথির চেহারা দেখল যে, তার চেহারা এতই কালো আর ভয়ঙ্কর হয়ে গেছে যে, তারা ভয়ে পালিয়ে গেল।

ভাই! সৎ কাজ করলে আল্লাহ পাক আমাদের চেহারাও আলোকিত করে দেবেন।

সুতরাং পরকালের সফলতার জন্য চেষ্টা করতে হবে। আসুন আমরাও সেসব লোকদের মতো হয়ে যাই, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন-

আর যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে, তারা আল্লাহর রহমতের মধ্যে থাকবে, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

"পক্ষান্তরে যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে, তারা থাকবে আল্লাহর রহমতের মধ্যে। তারা সেখানে অনন্তকাল অবস্থান করবে।" (সূরা আলে ইমরান-১০৭]

হযরত দ্বীনপুরী রহ. বলেন, "আমি কবর থেকে আগুন বের হতে দেখেছি, এর লেলিহান জিহ্বা দেখেছি, আমি কবরের সাপ দেখেছি। আল্লাহর শপথ, আমি কবর থেকে ধোঁয়া বের হতেও দেখেছি।"

কবরের আযাব বাস্তব সত্য। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আঙ্গুলের উপর অপর আঙ্গুল রেখে বলেছেন, "যেভাবে আমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আঙ্গুলের উপর আঙ্গুল রেখেছি, এভাবেই কবরের শান্তি একটার পর একটা দোযখীদের উপর আছড়ে পড়বে।"

হে ভাইয়েরা!

চিন্তার বিষয় হলো, আমরাও এই মাটির নিচে কবরস্থ হব। এই যে সম্পদ, যার জন্য আমরা হারাম পন্থা অবলম্বন করছি, এর জন্য কবরে আগুনে জ্বলতে হবে। মৃত্যুর পর সম্পদ কোনো কাজেই আসবে না। সে সম্পদ তো স্বজনরা ভাগ করে আরাম-আয়েশ করবে। আসল সম্পদ তো ওই জিনিস, যা আমরা মৃত্যুর পূর্বে প্রেরণ করে থাকি অর্থাৎ নেক আমল।

09/08/2025

কোন যু‌গে আসলাম ‌মে‌য়ে মানুষ গান গায় আবার কেউ ক‌মেন্টস ক‌রে মাশআল্লাহ

02/08/2025

অ‌ভিভাবক‌দের কে বল‌ছি
সন্তা‌নের মেধার মুল‌্যায়ন করুন
সকল সন্তান কিন্তু সকল বিষ‌য়ে দক্ষ হ‌বে না তাই ব‌লে ব‌সে থাক‌লে চল‌বে না
SPEACH
#সন্তা‌নের মেধার মুল‌্যায়ন

GUARDIAN

01/08/2025

নড়ে উঠল জানাযার সময়

আল্লামা হাফেজ সুয়ূতী রহ. হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে একটি ঘটনা বর্ণনা করেন- এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে গেলে তার বন্ধু-বান্ধব তাকে দেখতে যায়। এমতাবস্থায় সে বেহুঁশ হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। তাকে গোসল ও কাফন পরানোর পর জানাযার জন্য নেয়ার সময় হঠাৎ সে নড়ে উঠে। বাস্তবেই সে মারা গিয়েছিল। জীবিত হওয়ার পর সে বলল, আমাকে কিছু ফেরেশতা দোযখে নিয়ে যায়, আর আমার বদ আমলের কারণে আমাকে কঠিন শাস্তিতে
নিক্ষেপ করতে চায়। এমতাবস্থায় এক সুন্দর চেহারাবিশিষ্ট ব্যক্তি এসে আমার নেক আমল গণনা করতে শুরু করল। হঠাৎ এক বুযুর্গ ব্যক্তি এসে বলল, 'এ ব্যক্তির সময় এখনো শেষ হয়নি। সে সোমবার মৃত্যুবরণ করবে।' তারপর আমি জীবিত হয়ে গেলাম।

এ ঘটনা শুনে হযরত আবু হুরাইরা রা. বললেন, 'যদি এই ব্যক্তি সোমবার মৃত্যুবরণ করে তাহলে মনে করবে তার সবকথা সত্য। আর যদি সোমবার মৃত্যুবরণ না করে তাহলে মনে করবে তার কথা মিথ্যা।' পরে দেখা গেল সেই লোক সোমবারেই মৃত্যুবরণ করেছে।

31/07/2025

ইউসুফ কাযযাব-এর লাশ ফুলে যায়

গোস্তাখে রসূল মেজর ইউসুফ কাযযাব। এই ভণ্ড মিথ্যা নবুওয়াতের দাবি করেছিল। তার হত্যার খবর দৈনিক সংবাদপত্রে ১২ জুন ২০০২ ঈসায়ী সনে প্রকাশিত হলে সকল মুসলমান শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে। পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, ইউসুফ কাযযাব লাহোরের কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে সেলে শাস্তি ভোগ করছিল। মৃত্যুর কয়েকদিন পূর্বে জেল ইন্সপেক্টর তাকে দুই নম্বর সেলে বদলির হুকুম প্রদান করে। কিন্তু ভুলবশত তাকে এক নম্বর সেলে বদলি করা হয়। ঘটনাক্রমে ঐ সেলে পাকিস্তান সিপাহে সাহাবার ফেদায়ী কর্মী মুহাম্মাদ তারিক বিন ইয়াসিন বন্দি ছিল। সে উপস্থিত জেল পুলিশের কাছ থেকে রিভালবার কেড়ে নিয়ে ইউসুফ কাযযাবকে ফায়ার করলে সে সাথে সাথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এরপর সাথে সাথে তার লাশ ফুলতে শুরু করে এবং বিশ্রী দুর্গন্ধ বের হতে থাকে।

পাঞ্জাবের জেল সুপার এসে এ অবস্থা দেখে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে, কিছুক্ষণ পূর্বে তার মৃত্যু হয়েছে। তার চেহারা নিকষ কালো হয়ে গিয়েছিল। চোখদুটো বের হয়ে ঝুলে পড়েছিল। কয়কজন পোস্টমর্টেমকারী দুর্গন্ধের কারণে হার্টএ্যাটাক করল। পোস্টমর্টেম শেষে ঐ রাতেই তার লাশ তার ওয়ারিশদের বুঝিয়ে দেয়া হয়। তার লাশ গোসল ও জানাযা বিহীন পারিবারিক মুসলিম কবরস্থানে দাফন করা হলে মুসলিম জনতা কবর থেকে লাশ উঠিয়ে খ্রিস্টান গোরস্থানে গর্ত খনন করে মাটি চাপা দিয়ে দেয়। এরপর দীর্ঘ দিন পর্যন্ত মহল্লাবাসী ঐ কবরের দুর্গন্ধে কষ্ট পায়। ঝুটে কা আঞ্জাম, পৃষ্ঠা-৪৫২)

30/07/2025

জাহান্নামের পানাহার

আল্লাহ পাকের ইরশাদ- مِنْ وَرَابِهِ جَهَنَّمُ وَيُسْقَى مِنْ مَّاءٍ صَدِيدٍ يَتَجَزَعُهُ وَلَا يَكَادُ يُسِيغُهُ وَيَأْتِيهِ الْمَوْتُ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ وَمَا هُوَ بِمَيِّتٍ وَ مِنْ وَرَابِهِ عَذَابٌ غَلِيظً

"ওর পিছনে রয়েছে জাহান্নাম, আর ওকে পান করানো হবে পুঁজের (মতো) পানি- সে তা অতি কষ্টে ঢোক ঢোক করে পান করবে এবং সহজে গলা দিয়ে নামাতে পারবে না। আর সব দিক থেকে ওর কাছে উপস্থিত হবে মৃত্যু, কিন্তু সে

মরবে না। এবং ওর পিছনে রয়েছে কঠোর আযাব।" [সূরা ইবরাহীম: ১৬-১৭/

অর্থাৎ চতুর্দিকে রকমারি শান্তি দেখে সে মনে করবে যে, আমি মরে গেছি। কিন্তু সেখানে মৃত্যু আসবে না। কুরআনে পাকের আরেক আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে-

وَسُقُوا مَاءٌ حَبِيْبًا فَقَطَّعَ أَمْعَاءَهُمْ

"তাদেরকে পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত গরম পানি, যা তাদের নাড়ি ভুঁড়ি ছিন্ন ভিন্ন করে দেবে।" (সূরা মুহাম্মাদ-১৫।

ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا الضَّالُونَ المُكَذِّبُونَ لَاكِلُونَ مِنْ شَجَرٍ مِنْ زَقُومٍ اللَّهِ فَمَالِئُونَ مِنْهَا الْبُطُونَ اللَّهِ فَضْرِبُوْنَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَمِيمِ فَشْرِبُونَ شُرْبَ الْهِيْمِ هَذَا نُزُلُهُمْ يَوْمَ

الدين

"অতঃপর তোমরা, হে পথভ্রষ্ট অস্বীকারকারীরা! অবশ্যই 'যাক্কুম' বৃক্ষ থেকে খাবে, আর তা দিয়ে উদর পূর্ণ করবে, অতঃপর তার উপর পান করবে ফুটন্ত পানি, আর পানও করবে এমনভাবে, যেভাবে পান করে প্রচণ্ড তৃষ্ণার্ত উট। এ হবে বিচারের দিনে ওদের আপ্যায়ন।" (সূরা ওয়াকিয়া: ৫১-৫৬]

যাক্কুম শব্দের অনুবাদ করা হয়েছে এভাবে, যা তিক্ত কাঁটাদার বৃক্ষ হিসেবে প্রসিদ্ধ। কেননা তথাকার প্রত্যেকটি জিনিস এখানকার চেয়ে অধিকতর তিক্ত ও দুর্গন্ধময়। এই বৃক্ষ থেকে দোযখীরা ভক্ষণ করবে। এরপর ফুটন্ত গরম পানি পান করবে, তাও আবার তৃষ্ণার্ত উটের মতো প্রচুর পানি পান করবে। এতই পিপাসার্ত থাকবে যে, গরম পানির তাপে নাড়ি ভুঁড়ি গলে যাবে। তবুও পান করতে থাকবে।

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাক্কুম সম্পর্কে ইরশাদ ফরমান- "যদি যাক্কুমের এক বিন্দুও পৃথিবীতে পড়ত, তাহলে তা নিশ্চতভাবে সারা বিশ্বের খাদ্যদ্রব্য সব তিক্ত হয়ে যেত।" এবার ভাবুন, শুধু যাক্কুম খাদ্য হিসেবে কত তিক্ত হবে? (তিরমিযী।

আল্লাহ পাকের ইরশাদ-

إِنَّ لَدَيْنَا انْكَالًا وَ جَحِيمًا وَطَعَامًا ذَا غُصَّةٍ وَ عَذَابًا أَلِيمًا

"নিশ্চয় আমার নিকট আছে বেড়িসমূহ, লেলিহান আগুন, গলায় আটকে যায় এমন খাদ্য ও যাতনাদায়ক শাস্তি।" [সূরা মুজ্জাম্মিল: ১২-১৩।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা. বলেন- طعاما ذا غصة একটি কাঁটা জাতীয় ফলের নাম, যা এমনভাবে গলায় বিদ্ধ হবে যে, না তা বের হবে, না পেটের ভেতর যাবে।
প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান, জাহান্নামীদের প্রচণ্ড ক্ষুধা পাবে। তাই তারা আহার্যদ্রব্যের জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবে। সেই ফরিয়াদ অনুযায়ী তাদেরকে কাঁটা জাতীয় খাদ্য দেয়া হবে। কিন্তু এতে তাদের পুষ্টিও বাড়বে না, ক্ষুধা নিবারণও হবে না। তাই তারা পুনরায় খাদ্য চাইবে। এবার তাদের গলায় আটকে যাওয়া খাদ্য দেয়া। হবে। এ খাদ্য তাদের গলায় এমনভাবে আটকে যাবে যে, দোযখীরা এগুলো গলা থেকে বের করার পন্থা খুঁজবে। তখন তাদের স্মরণ হবে যে, দুনিয়াতে গলায় কিছু আটকে গেলে পানি পান করলে তা পেটের ভেতর চলে যেত। কাজেই তারা পানির আকাঙ্খা করবে। তারা পানি চাইলে তাদেরকে ফুটন্ত পানি দেয়া হবে, যা হবে প্রচণ্ড গরম। তারা যখন সে পানি পান করতে যাবে, তখন তাদের চেহারা পর্যন্ত গলে যাবে। আর যখন তা পাকস্থলিতে পৌছবে, তখন তা পেটের নাড়ি ভুঁড়িসহ সকল বস্তু গলে যাবে এবং পরিশেষে মলদ্বার দিয়ে তা বেরিয়ে আসবে। আল্লাহ পাকের ইরশাদ-

فَالَّذِينَ كَفَرُوا قُطِعَتْ لَهُمْ ثِيَابٌ مِنْ نَّارٍ يُصَبُّ مِنْ فَوْقِ رُءُوسِهِمُ الْحَمِيمُ يُصْهَرُ بِهِ مَا فِي بُطُوْنِهِمْ وَالْجُلُودُ

"তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে, যার ফলে তাদের চামড়া ও তাদের পেটে যা আছে তা গলে যাবে।" [সূরা হজ্জ: ১৯-২০]

হে ভাই বোনেরা!

আমি কীভাবে বুঝাব। আরে আপনি হারাম মাল কামাই করছেন, হারাম টাকায় বিশাল বিল্ডিং গড়ছেন, হারাম টাকায় সমাজ সেবা করছেন। আমি কোন্ পন্থায় আপনাদের বুঝাব। আমার ভাইয়েরা, আমার বন্ধুরা, আমার মা-বোনেরা কীভাবে বললে বুঝবেন যে, আমাদের সেই প্রবল পরাক্রমশালী আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। এত নাফরমানী করে আমরা কোন্ মুখ নিয়ে তাঁর সামনে দাঁড়াব? আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে কবর, হাশর ও জাহান্নামের কঠিন আযাব থেকে রক্ষা করুন।

ফ‌লোয়ার বাড়‌ছে না কেন?
26/07/2025

ফ‌লোয়ার বাড়‌ছে না কেন?

Stars intermediate challenge comleted
26/07/2025

Stars intermediate challenge comleted

Address

Bangladesh
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Azhari-s fan Raju posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share