মোঃ মিজান উর রশীদ মিজান

মোঃ মিজান উর রশীদ মিজান সম্পাদক দৈনিক আলোকিত উখিয়া

"আমি দৈনিক আলোকিত উখিয়া পত্রিকার সম্পাদক। সংবাদ বিশ্লেষণ ও সম্পাদকীয় লেখার মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও তথ্যভিত্তিক সাংবাদিকতার চর্চা করি। সময়োপযোগী বিষয় নিয়ে মতামত ও গবেষণাধর্মী বিশ্লেষণ প্রকাশ করি।"

সম্পাদকীয়: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন-সন্ত্রাস, ভয়াবহ বাস্তবতাউখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এখন খুন, অপহরণ, সন্ত্রাস আর অস্...
17/06/2025

সম্পাদকীয়: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন-সন্ত্রাস, ভয়াবহ বাস্তবতা

উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এখন খুন, অপহরণ, সন্ত্রাস আর অস্ত্র-মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। মার্চ থেকে মে—মাত্র তিন মাসে ১৫টি হত্যাকাণ্ড, ৩০টিরও বেশি অপহরণ এবং অসংখ্য সংঘর্ষে কাঁপছে ক্যাম্প ও আশপাশের জনপদ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ৩০৭টি মামলা, গ্রেপ্তার ৭২৫ জন। তবুও অপরাধ থামছে না। প্রশ্ন হচ্ছে—এই ভয়াবহতা কবে থামবে?

এখনই সময় কঠোর পদক্ষেপের। ক্যাম্পে নজরদারি বাড়ানো, সন্ত্রাসী গ্রুপ দমন এবং আন্তর্জাতিক সহায়তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি।

রোহিঙ্গা সংকট যেন আমাদের নিরাপত্তা সংকটে না রূপ নেয়—এটাই সময়ের দাবি।

– সম্পাদক
দৈনিক আলোকিত উখিয়া

সম্পাদকীয়সাংবাদিকতার মুখোশে অপসাংবাদিকতা: চট্টগ্রামের ঘটনায় নতুন শঙ্কাসাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। সত্যের অনুসন্ধান, সমাজে...
17/06/2025

সম্পাদকীয়
সাংবাদিকতার মুখোশে অপসাংবাদিকতা: চট্টগ্রামের ঘটনায় নতুন শঙ্কা

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। সত্যের অনুসন্ধান, সমাজের অসংগতি তুলে ধরা এবং জনস্বার্থে কাজ করাই একজন সাংবাদিকের মূল দায়িত্ব। কিন্তু যখন কেউ সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন, তখন সেই পেশা শুধু কলঙ্কিত হয় না, বরং জনমনে জন্ম নেয় সংশয় ও ভীতি।

চট্টগ্রামের একটি গেস্ট হাউসে হান্নান রহিম তালুকদার নামের এক ব্যক্তি "সাংবাদিক" পরিচয়ে ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে গেস্টদের রুমে রুমে তল্লাশি চালিয়ে নাম-পরিচয়, উদ্দেশ্য জানতে চাওয়ার মতো অনধিকার প্রবেশমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। ১৫ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের এই ভিডিও শনিবার তার নিজের ফেসবুক আইডিতে আপলোড হওয়ার পর তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে এবং শুরু হয় প্রবল সমালোচনা।

এই ঘটনা একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে:
১. সাংবাদিক কি ব্যক্তিগতভাবে, নিজ উদ্যোগে, কোনো অনুমতি ছাড়া গেস্ট হাউসে এভাবে অভিযান চালাতে পারেন?
২. ভিডিও করে জনসমক্ষে তা প্রকাশের অধিকার বা এখতিয়ার একজন "সাংবাদিক" হিসেবে কি তার রয়েছে?
৩. এমন কর্মকাণ্ড কি শুধুই সাংবাদিকতার সীমালঙ্ঘন, নাকি এটি আইনের চোখে অপরাধ?

প্রাথমিকভাবে পুলিশের বক্তব্য পরিষ্কার — একজন সাংবাদিকের এ ধরনের ‘অভিযান’ চালানোর কোনও আইনগত অধিকার নেই। বিষয়টি যখন অনুসন্ধানে যায়, তখন আরও ভয়াবহ তথ্য সামনে আসে: অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে বিভিন্ন মিডিয়া হাউস ও প্রেসক্লাবের সদস্য হিসেবে দাবি করলেও বাস্তবে এসবের সঙ্গে তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক নেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক পরিচয় ও উদ্দেশ্যপূর্ণ প্রচারের প্রশ্ন।

এ ধরনের ঘটনায় প্রকৃত সাংবাদিকরা যেমন বিব্রত, তেমনি জনগণের মধ্যেও একটি ভীতি ও অবিশ্বাস জন্ম নিচ্ছে সংবাদকর্মীদের নিয়ে। গেস্ট হাউসের অতিথিদের মত গোপনীয়তা, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সম্মান ভঙ্গের ঘটনাটি শুধু আইনের লঙ্ঘন নয়, মানবাধিকারেরও লঙ্ঘন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের কিছু দাবি থাকা প্রয়োজন—

সাংবাদিক পরিচয়ে অপসাংবাদিকতার প্রবণতা বন্ধ করতে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি প্রশাসনের আরও কঠোর তদারকি ও যাচাই দরকার।

সামাজিক মাধ্যমে সাংবাদিকতা চর্চার নামে কেউ যাতে ‘দখলদার’ না হয়ে ওঠে, সেজন্য ‘ডিজিটাল অথেনটিকেশন’ ব্যবস্থার আওতায় আনা দরকার।

আর সবচেয়ে জরুরি — সাংবাদিকদের তালিকা, পরিচয়, প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন এবং পেশাগত আচরণবিধি নিশ্চিত করতে তথ্য মন্ত্রণালয় ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে।

আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্বশীল অংশ হিসেবে সংবাদপত্র কখনোই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার পক্ষপাতী নয়। যারা এই মহান পেশাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে চায়, তারা সাংবাদিক নয় — তারা অপসাংবাদিকতা ও ভুয়া প্রচারের ভয়াবহ কারিগর। চট্টগ্রামের এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে অন্যদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন এখন সময়ের দাবি।

সম্পাদক
– দৈনিক আলোকিত উখিয়া

🖋️ সম্পাদকীয়কুতুপালং বাজারে ‘বিচারের বদলে বাণিজ্য’?ভিকটিম বানিয়ে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ে বাজার কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে বিস...
15/06/2025

🖋️ সম্পাদকীয়

কুতুপালং বাজারে ‘বিচারের বদলে বাণিজ্য’?

ভিকটিম বানিয়ে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়ে বাজার কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ!

আমরা কী এমন এক সমাজে বাস করছি, যেখানে বিচারকের আসনে বসে কেউ অপহরণকারী রূপে আবির্ভূত হয়?
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা যাঁর, সেই যদি নিরীহ মানুষের মুক্তিপণের ফাঁদ পাতে— তবে আমরা কার কাছে আশ্রয় চাইব?

সম্প্রতি কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং বাজারে যা ঘটেছে, তা শুধু ভয়াবহ নয়— তা পুরো সমাজব্যবস্থার ওপর চপেটাঘাত। অভিযোগ অনুযায়ী, একজন রোহিঙ্গা নারীকে ‘ভিকটিম’ হিসেবে ব্যবহার করে বাজার কমিটির সভাপতি জানে আলমের নেতৃত্বে আরেক রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করে বাজার অফিসে বেঁধে রাখা হয়। পরে তার মুক্তির জন্য দাবি করা হয় ৫ লক্ষ টাকা।

এটা কি নিছক টাকা কামানোর কৌশল? না কি পেছনে রয়েছে কোনো বৃহৎ প্রভাবশালী চক্র?

যে বাজার কমিটি ব্যবসায়ী-সাধারণ মানুষের ভরসার প্রতীক হওয়ার কথা, সেই কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে এ ধরনের গুরুতর অভিযোগ প্রমাণ করে— বাজার আজ ব্যবসায়ীর নয়, বেপরোয়া ক্ষমতার খেলোয়াড়দের হাতে।

আমরা মনে করি, এই ঘটনা শুধুই ‘একটি বিচ্ছিন্ন অভিযোগ’ হিসেবে ফেলে দেওয়ার সুযোগ নেই। এটি বিচারহীনতার ভয়াবহ এক প্রমাণ।
➡️ যদি সত্যি এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে শুধুমাত্র অপহরণ নয়—
বাজার কমিটিকে অপরাধচক্রে রূপান্তরের দায়ও সবার সামনে আসা উচিত।

তাই, আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি—

🔹 অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্ত হোক।
🔹 ভিকটিম এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।
🔹 কুতুপালং বাজারে গড়ে ওঠা প্রভাবশালীদের দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করা হোক।
🔹 স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে একটি স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল বাজার কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হোক।

একটি বাজার কেবল পণ্যের আদান-প্রদানের স্থান নয়, এটি একটি সমাজের প্রতিচ্ছবি। আর সেই সমাজ যদি অন্যায়ের আশ্রয়ে চলে— তবে সামষ্টিক ধ্বংস অনিবার্য।

আমরা চাই, কুতুপালং বাজার আবার হোক ন্যায়ের, নিরাপত্তার, এবং সম্মিলিত আস্থার প্রতীক। বিচারের জায়গায় বাণিজ্য নয়— হোক বিচারের জয়।

– সম্পাদক
দৈনিক আলোকিত উখিয়া

র‌্যাব সেজে অপহরণ, গহীন পাহাড়ে বন্দি — আমরা আর কতটুকু অসহায়?রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধের চিত্র নতুন কিছু নয়। কিন্তু যখন রাষ...
15/06/2025

র‌্যাব সেজে অপহরণ, গহীন পাহাড়ে বন্দি — আমরা আর কতটুকু অসহায়?

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধের চিত্র নতুন কিছু নয়। কিন্তু যখন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পরিচয় ব্যবহার করে কেউ কারও ঘরে ঢুকে, অস্ত্র দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়, মুক্তিপণ দাবি করে এবং তাকে গহীন অরণ্যে বন্দি রাখে— তখন প্রশ্ন জাগে: আমরা আসলে কতটা নিরাপদ? আমাদের নাগরিক সমাজ, আমাদের মানবতা, আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা— আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে?

গত ১১ জুন, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে মোঃ হাফিজ উল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করে গহীন রঙ্গিখালীর পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহরণকারীরা কেউ সাধারণ অপরাধী নয়— এদের নেতৃত্বে ছিলেন এক বরখাস্ত সেনাসদস্য, যিনি ‘র‌্যাব’ পরিচয়ে অপহরণ করে ভিকটিমের পরিবার থেকে দাবি করেন ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ। এমনকি, প্রশাসনের সহায়তা চাইলে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেন।

এটা নিছক একটি অপরাধ নয়— এটা রাষ্ট্রের নিরপত্তা কাঠামোকে উপহাস করার মতো একটি স্পষ্ট বার্তা। র‌্যাবের পোশাক পরে অপহরণ, অস্ত্র ও ওয়াকিটকি ব্যবহার— এই ঘটনাগুলো আমাদের গভীরভাবে নাড়া দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

অভিনন্দন জানাতেই হয় র‌্যাব ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে— যারা ২৫৬ সদস্যের যৌথ অভিযানে অপহৃত হাফিজ উল্লাহকে জীবিত উদ্ধার করেছে। এই সফলতা শুধু একজনকে বাঁচানো নয়— এটি অপরাধীদের জন্য একটি বার্তা, জনগণের জন্য একটি আশার আলো।

কিন্তু প্রশ্ন এখানেই শেষ নয়।
এই ‘সুমন মুন্সি’র বিরুদ্ধে রয়েছে ১১টি মামলা। তবু সে কেন এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে?
কীভাবে তার হাতে পৌঁছায় র‌্যাবের পোশাক ও ওয়াকিটকি?
রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে বারবার কেন গড়ে উঠছে অপরাধীদের ঘাঁটি?

আমরা মনে করি, কেবল উদ্ধার অভিযানে থেমে গেলে চলবে না।
🔹 এসব ঘটনার পেছনের মদদদাতাদের চিহ্নিত করতে হবে।
🔹 পাহাড় ও ক্যাম্প এলাকায় টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
🔹 র‌্যাব কিংবা পুলিশের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন আর এমন জঘন্য অপরাধ না করতে পারে, সেজন্য কঠোর নজরদারি এবং জবাবদিহিতা প্রয়োজন।

রোহিঙ্গা সংকট এখন কেবল মানবিক নয়— এটি পরিণত হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জে। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন সমন্বিত শক্ত অবস্থান।

আমরা চাই, ক্যাম্প-১৫ কিংবা রঙ্গিখালী নয়— সমগ্র উখিয়ায় যেন মানুষ জানে, এখানে আর অপরাধীরা নিরাপদ নয়।

– সম্পাদক
দৈনিক আলোকিত উখিয়া

✍️ সম্পাদকীয়: সংগঠনের নেতৃত্বে পেশাদারদের বিজয়সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়—এটি একটি দায়িত্ব, একটি অঙ্গীকার। জনস্বার্থে ত...
14/06/2025

✍️ সম্পাদকীয়: সংগঠনের নেতৃত্বে পেশাদারদের বিজয়

সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়—এটি একটি দায়িত্ব, একটি অঙ্গীকার। জনস্বার্থে তথ্য পৌঁছানো, ন্যায়-অন্যায়ের মাঝে স্পষ্ট সীমারেখা টেনে দেওয়া এবং সত্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়া একজন সাংবাদিকের নৈতিক দায়িত্ব। আর এই দায়িত্বশীল পেশাটির সুরক্ষা, মর্যাদা এবং অধিকার রক্ষায় সাংবাদিক সংগঠনগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।

এই প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার-জেইউসি’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন কেবল একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি ছিল সাংবাদিক সমাজের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা ও পেশাগত দায়িত্বশীলতার নিরীক্ষা। আমরা আনন্দিত যে, এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়েছে।

নির্বাচনে হেলালী-মাহবুব-জাফর প্যানেলের পূর্ণ বিজয় একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়—সদস্যরা পেশাদার, অভিজ্ঞ এবং মাঠপর্যায়ে কাজ করা নেতৃত্বকে বিশ্বাস করেন। সভাপতি নুরুল ইসলাম হেলালী থেকে শুরু করে পুরো কমিটি যে দায়িত্ব পেয়েছেন, তা শুধু একটি সংগঠনের নয়; এটি জেলার সাংবাদিক সমাজের মর্যাদা রক্ষা ও উন্নয়নের দায়িত্ব।

এ নির্বাচন আরও একটি ইতিবাচক দিক নির্দেশ করে—সাংবাদিক সমাজ বিভক্তি নয়, ঐক্য চায়। যদিও প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল অংশ নিয়েছিল, ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট হয়েছে কোন দিকটিতে সদস্যদের আস্থা বেশি।

আমরা বিশ্বাস করি, নবনির্বাচিত নেতৃত্ব অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে, এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষতার পরিচয় দেবেন। শুধু সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা নয়—গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের নিরাপত্তা, এবং সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

একটি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সাংবাদিক সংগঠন কক্সবাজারের গণমাধ্যম জগতে পেশাগত উৎকর্ষতা নিশ্চিত করতে পারে—এমন প্রত্যাশা নিয়েই আমরা নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানাই এবং তাঁদের সফলতা কামনা করি।

—দৈনিক আলোকিত উখিয়া

সম্পাদকীয়: নির্বাচন, সংলাপ ও একটি সম্ভাবনার জানালাবাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগ করেছে লন্ডনে অ...
13/06/2025

সম্পাদকীয়:
নির্বাচন, সংলাপ ও একটি সম্ভাবনার জানালা

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগ করেছে লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ডরচেস্টার হোটেলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় উঠে এসেছে সময়োপযোগী একটি প্রস্তাব: ২০২৬ সালের রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা।

এই বৈঠক শেষে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে তারেক রহমানের নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাবকে প্রধান উপদেষ্টা স্বাগত জানান এবং বলেছেন—যদি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়, তাহলে রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন সম্ভব। তবে তিনি সতর্ক করেছেন—এই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন করতে হলে সংবিধান, প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও বিশ্বাসযোগ্য অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।

একটি ইতিবাচক বার্তা

গত কয়েক বছর ধরে দেশের রাজনৈতিক আকাশে যে অস্থিরতা ও আস্থাহীনতার ধোঁয়া জমে ছিল, আজকের এই সংলাপ তাতে আশার আলো ফেলেছে। অনেকদিন পর দেশের প্রধান দুটি পক্ষের এমন কৌশলগত আলোচনা, তাও সরাসরি বা পরোক্ষভাবে, রাজনৈতিক সমঝোতার পথে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে

তবে সব আশার মাঝেও চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। নির্বাচন আয়োজনের পূর্বশর্ত হিসেবে যে 'সংস্কার' ও 'বিচার' এর কথা বলা হয়েছে, তার বাস্তবায়ন কীভাবে হবে? কে করবে? সেই রূপরেখা এখনো স্পষ্ট নয়। এ ছাড়া নির্বাচনের সার্বিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাঠামো, ভোটগ্রহণ পদ্ধতি, সেনাবাহিনীর ভূমিকা—সবকিছুতেই জাতিগত ঐক্যমত প্রয়োজন।

জাতিকে প্রস্তুত করতে হবে

রমজানের আগে নির্বাচন মানে মাত্র আট থেকে নয় মাস হাতে সময়। এ সময়ে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার যদি প্রকৃত অর্থে নিরপেক্ষ ও কার্যকর রূপরেখা উপস্থাপন করতে পারে, তাহলে এই সময়টুকুই হতে পারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

তবে এর জন্য দরকার জাতীয় ঐক্য, আন্তরিক সংলাপ এবং আস্থাশীল রাজনৈতিক পরিবেশ। দলীয় আক্রমণ নয়, পরস্পরের বক্তব্য ও প্রস্তাবকে সহনশীলতার সঙ্গে মূল্যায়নের সংস্কৃতি প্রয়োজন।

শেষ কথা

এই মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে যে বাস্তবসম্মত আলোচনা শুরু হয়েছে, তা যেন গণতন্ত্র ও সুশাসনের পথে এক স্থায়ী সংলাপের ভিত্তি হয়ে ওঠে। প্রতিটি নাগরিকের কামনা, আমরা যেন আরেকটি 'প্রহসনের নির্বাচন' না দেখি, বরং একটি স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখে দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিতে পারি।

সম্পাদকীয়:রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২৫০ হোস্ট টিচারের ছাঁটাই: মানবিকতার মুখে লাথি!রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের ...
30/05/2025

সম্পাদকীয়:
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২৫০ হোস্ট টিচারের ছাঁটাই: মানবিকতার মুখে লাথি!

রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের মানবিক উদারতার ফলে কক্সবাজারে গড়ে ওঠে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির। এই শিবির ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হয় জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআর, আইএনজিও ও এনজিওসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা। প্রাথমিকভাবে, এসব সংস্থার কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণও অংশ নেয়—বিশেষ করে হোস্ট কমিউনিটির হাজারো তরুণ-তরুণী শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত হন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একযোগে ১,২৫০ জন হোস্ট টিচারকে ছাঁটাইয়ের ঘটনা কেবল অমানবিকই নয়, বরং এটি একটি নীতিহীন ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত।

এই ছাঁটাইয়ে শুধু চাকরি হারায়নি কিছু মানুষ—বরং আক্রান্ত হয়েছে একটি সমাজ, একটি গোষ্ঠী, একটি প্রজন্মের আস্থা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের উপরেই এমন বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের চরম লঙ্ঘন।

📌 কেন প্রশ্ন উঠছে?

এই শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পে শিক্ষাদান করে আসছিলেন, অনেকে ৫-৬ বছর ধরে যুক্ত ছিলেন।

তাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা, মুল্যায়ন—সব উপেক্ষা করে বাইরের লোক নিয়োগের পথ বেছে নেওয়া হয়েছে।

ছাঁটাইয়ের আগে কোনো সাবধানবাণী বা বিকল্প কর্মসংস্থানের কথাও বলা হয়নি।

🔍 কী লক্ষ্য করা যাচ্ছে?

এনজিওগুলোর একটি অংশ এখন স্পষ্টতই স্থানীয় জনগণের চেয়ে বাইরের জনবলকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই প্রবণতা শুধু স্থানীয় বেকারত্ব বাড়ায় না, বরং ক্ষুব্ধ করে একসময়কার সহানুভূতিশীল জনগণকেও। আর এ ধরনের বৈষম্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে স্থানীয়-শরণার্থী দ্বন্দ্বও উসকে দিতে পারে।

⚖️ এটা কি উন্নয়ন, নাকি উপনিবেশিক আচরণ?

এনজিওগুলো যখন স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ বাদ দিয়ে নিজেদের মতো করে নীতিনির্ধারণ করে—তখন তা “উন্নয়ন” নয়, বরং এক ধরনের আধিপত্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। এই একচেটিয়া নীতির বিরুদ্ধে জনগণ ও স্থানীয় সংগঠনগুলোর আন্দোলন তাই সময়োচিত এবং ন্যায্য।

✅ আমাদের দাবি:

1. ছাঁটাইকৃত ১,২৫০ জন হোস্ট টিচারকে অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে হবে।

2. স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া ক্যাম্পভিত্তিক কোনো কর্মসংস্থান কার্যক্রম গ্রহণযোগ্য নয়।

3. এনজিও কার্যক্রমের উপর পর্যাপ্ত নজরদারি এবং নীতিমালার কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

4. সরকারের উচিত—স্থানীয় স্বার্থরক্ষা ও সমন্বয়হীন এনজিওগুলোর কার্যক্রম পর্যালোচনা করা।

রোহিঙ্গা সংকট আন্তর্জাতিক, কিন্তু এর প্রধান বোঝা বহন করছে বাংলাদেশ এবং তার সীমান্তবর্তী হোস্ট কমিউনিটি। এই জনগণকে অবজ্ঞা করে কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব নয়। উন্নয়ন হবে অংশগ্রহণমূলক, ন্যায্য ও সম্মানজনক—এটাই হওয়া উচিত আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার মূলনীতি।

✍️ দৈনিক আলোকিত উখিয়া
তারিখ: ৩০ মে ২০২৫

09/04/2025
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়...
06/04/2025

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়...

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মোঃ মিজান উর রশীদ মিজান posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মোঃ মিজান উর রশীদ মিজান:

Share