নাগরিক প্রকাশন

নাগরিক প্রকাশন সত্য আর সুন্দরের প্রকাশই আমাদের লক্ষ?

02/08/2025

নাগরিক প্রকাশন

বাংলাদেশের প্রথম পরিসংখ্যানবিদ ও শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু, সাহিত্যিক ও গবেষক কাজী মোতাহার হোসেনের  #জন্মদিন আজ।কাজী মোতাহার হোসেন...
30/07/2025

বাংলাদেশের প্রথম পরিসংখ্যানবিদ ও শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু, সাহিত্যিক ও গবেষক কাজী মোতাহার হোসেনের #জন্মদিন আজ।

কাজী মোতাহার হোসেন একজন বাঙালি সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, গবেষক, বাংলাদেশের স্বীকৃত প্রথম পরিসংখ্যানবিদ, বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু ৷ তিনি ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে জুলাই কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামে মামাবাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ৷ তাঁর পৈতৃক নিবাস ফরিদপুর জেলার পাংশা উপজেলার বাগমারা গ্রামে ।

কাজী মোতাহার হোসেন ‘বাংলা একাডেমি’র একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য । তিনি বিজ্ঞান, সাহিত্য , সংস্কৃতির উপর অনেক বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন । শিক্ষার সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর দাবীতে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে পূর্ব বাংলায় যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল তিনি ছিলেন তার একজন দৃঢ় পৃষ্ঠপোষক এবং বাংলা বানান ও লিপি সংস্কার কমিটির সদস্য ছিলেন ।

ষাটের দশকে পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশের যে আন্দোলন সংঘটিত হয় তারও একজন বলিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন ৷ ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে মাওলানা ভাসানী আয়োজিত “কাগমারী সাংস্কৃতিক সম্মেলন” -এ সভাপতি ছিলেন । ব্যক্তিগত জীবনে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম’র অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন এবং তিনি মোতাহার নামকে আদর করে 'মোতিহার' ডাকতেন ।

১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিক্রিয়াশীল বুদ্ধিজীবীদের বিরোধিতার মুখে ঢাকায় “রবীন্দ্র-জন্মশত বার্ষিকী” পালনে সাহসী ভূমিকা পালন করেন তিনি । ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানের শা*সকগোষ্ঠী বাঙালি-সংস্কৃতি খর্ব করার জন্য রেডিও-টেলিভিশন থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার বন্ধের যে পদক্ষেপ নিয়েছিল তার বিরু*দ্ধেও প্র*তিবাদজ্ঞাপন করেন ।

কাজী মোতাহার হোসেন একজন বিজ্ঞানী ও গবেষক ছিলেন ৷ তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল 'Design Of Experiments' তাঁর ডক্টরাল থিসিসে তিনি 'Hussains Chain Rule' নামক একটি নতুন তত্ত্বের অবতারণা করেন । বস্তুত, তৎকালীন পূর্ববঙ্গে (বর্তমান বাংলাদেশ) তিনিই প্রথম স্বীকৃত পরিসংখ্যানবিদ ।
উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু হিসেবে ১৯২৯ থেকে ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলা ও পূর্ব পাকিস্তানে একক চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি । তিনি একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দাবা খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃত । বাংলাদেশে দাবা খেলার পথিকৃৎ হিসেবে তাকে সম্মানিত করা হয় । ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দের ৯ই অক্টোবর তিনি প্রয়াণবরণ করেন ৷

আজ এই মহান ব্যক্তিত্বের জন্মবার্ষিকীতে জানাই অশেষ শ্রদ্ধা ও সশ্রদ্ধ সম্মান ৷
©সংগ্রহীত

বই কেন পড়বেন?  বই পড়লে কী হয় আর না পড়লে কী হয়?বই পড়ার ১০টি কারণ যা বই সম্পর্কে আপনার ধারণা বদলে দিবে -১। মানসিক ব্যায়ামঃ...
20/07/2025

বই কেন পড়বেন? বই পড়লে কী হয় আর না পড়লে কী হয়?
বই পড়ার ১০টি কারণ যা বই সম্পর্কে আপনার ধারণা বদলে দিবে -

১। মানসিক ব্যায়ামঃ
শরীরকে সুস্থ রাখতে যেমন ব্যায়াম এর বিকল্প নেই তেমনি একইভাবে, আপনার মস্তিষ্ক সচল রাখতে মানসিক ব্যায়াম জরুরি। মানসিক ব্যায়াম না করার ফলে আমাদের চিন্তাশক্তি লোপ পায়।
ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের এই ক্ষমতা নষ্ট হতে থাকে। ব্যবহার না করলে এই ক্ষমতা হারিয়ে যাবে। বই পড়া মানসিক ব্যায়াম এর একটি বড় মাধ্যম। আপনার মস্তিষ্ক সচল রাখার জন্য নিয়মিত বই পড়া জরুরি।

২। মানসিক চাপ কমানোঃ
আপনি ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, একাডেমিক কিংবা চাকরিজীবনে যতই মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, এই সকল চাপকে আপনি পাশে সরিয়ে রাখতে পারেন যখন আপনি একটি ভালো বইয়ের মধ্যে নিজেকে ডুবিয়ে ফেলেন।
একটি ভালো বই আপনার দুশ্চিন্তা ও অবসাদ্গুলোকে পাশে সরিয়ে আপনাকে একটি অন্য দুনিয়ায় নিয়ে যেতে পারবে, যার মাধ্যমে আপনি মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে পারবেন।

৩। জ্ঞানঃ
বই পড়লে জ্ঞান বাড়বে - একথা বলাই বাহুল্য। নতুন নতুন তথ্য যা অব্যশই কোন না কোনো দিন আপনার দরকারে আসবে। আপনার জ্ঞানের ভান্ডার যত সমৃদ্ধ হবে, আপনার জীবনের বাধা বিপত্তি গুলো অতিক্রমে আপনি ততটাই শক্তিশালী হবেন।
একটি কথা আমরা সবাই জানি - আপনার চাকরি/ব্যবসায়, আপনার সম্পত্তি, আপনার অর্থবিত্ত, আপনার স্বাস্থ্য - সবই হারিয়ে যেতে পারে, কিন্তু আপনার অর্জিত জ্ঞান সবসময়ই আপনার সাথে থাকবে।

৪। শব্দভান্ডার বৃদ্ধিঃ
আপনি যত পড়বেন, তত নতুন নতুন শব্দ শিখবেন। আর এতেই আপনার শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হবে। পারস্পরিক কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ আমাদের শিক্ষাজীবন, ব্যক্তিজীবন বা কর্মজীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কর্মজীবনে তো সুন্দর ভাষা বা ভালো যোগাযোগ দক্ষতার জন্য অনেকে বেশ সমাদৃত হন।
এই দক্ষতা বৃদ্ধিতে আপনাকে সব থেকে সাহায্য করবে, 'বই পড়া'। নতুন শব্দ, এর অর্থ ও প্রয়োগ আপনাকে অনেকের মধ্যে আলাদা করে তুলতে পারে।

৫। স্মৃতিশক্তির উন্নতিঃ
তীক্ষ্ণ স্মৃতিশক্তি আমরা কে না চাই! প্রায়ই আমরা বলে থাকি, স্মৃতিশক্তি কমে যাচ্ছে, অনেক কিছু মনে থাকে না। আবার ভালো স্মৃতিশক্তির মানুষকে আমরা শ্রদ্ধার চোখে দেখি।
আপনি যখন একটি বই পড়েন, আপনাকে বইয়ের চরিত্র ও তাদের ভূমিকা, তাদের পটভূমি, তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, তাদের ইতিহাস, সূক্ষ্মতা স্মরণে রাখতে হয়।
আর মজার ব্যাপার হলো, আপনি যখনই আপনার মস্তিষ্কে নতুন একটি স্মৃতি দেন, তা একটি নতুন পথ তৈরি করে আপনার ব্রেইনে এবং আগের স্মৃতিগুলোকেও শক্তিশালী করে তোলে।

৬। চিন্তাশক্তি দক্ষতা শক্তিশালীঃ
দিন দিন একটি শব্দ অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, Critical Thinking বা জটিল চিন্তাশক্তি। কর্ম বা ব্যক্তিজীবনে এই দক্ষতার কদর বেড়েই চলেছে। আমরা বই পড়ার সময় প্রায়ই জটিল কিছু ঘটনার কথা পড়ি, যেগুলো নিয়ে আমরা সচেতন বা অবচেতনভাবে চিন্তা করি। ঘটনাগুলোকে ধাপে ধাপে সাঁজাতে চেষ্টা করি, সমাধান করার চেষ্টা করি।
অনেক পাঠক তো রীতিমত কাগজ কলম নিয়ে বসে যায় রহস্য গল্প সমাধান করার জন্য। এছাড়াও বই গুলো নিয়ে আমরা অনেকের সাথে আলাপ করি, আমাদের চিন্তা, লেখকের চিন্তা ব্যক্ত করার চেষ্টা করি।
এইসবই কিন্তু আমাদের চিন্তাশক্তিকে বৃদ্ধি করে। এই দক্ষতাকে শক্তিশালী করে তোলে।

৭। একাগ্রতা বৃদ্ধিঃ
আপনি কি খেয়াল করেছেন, ফেসবুকে একসময় আমরা দীর্ঘ বা বড় ভিডিও দেখতাম, কিন্তু সেখান থেকে আমরা ছোট্ট রিলসে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি? আমরা সারাদিন ফেসবুক ব্যবহার করি, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই দিন শেষে বলতে পারবে না, আজকে ফেসবুকে কি কি বিষয় আমরা দেখেছে? শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি, প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে।
আর আমাদের কাছ থেকে কেঁড়ে নিয়ে গেছে একাগ্রতার মত গুন। যেকোনো কাজে একাগ্রতা অত্যাবশক একটি ব্যাপার। একাগ্রতা দিয়ে অনেক বড় বড় কাজ অতীতে হয়েছে। যা দিন দিন আমাদের থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
যখন আমরা বই পড়ি, তখন আমরা অন্যসব কিছু থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারি, একাগ্রভাবে গল্পের বা বইয়ের মধ্যে ডুবে যেতে পারি। যা আমাদের একাগ্রতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ব্যাপকভাবে।

৮। ভালো লেখার দক্ষতাঃ
পড়া এবং লেখা একে অপরের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। পড়ার মাধ্যমে আমাদের ভাষা ও শব্দের জ্ঞান বাড়ে আর এই জ্ঞান আমাদের লেখনীশক্তিকে বৃদ্ধি করে। এই জন্যই বলে, লেখক হতে গেলে আগে অনেক অনেক পড়তে হবে, এরপর লিখতে হবে।

৯। প্রশান্তিঃ
বর্তমান সময়ে বই পড়ার সবথেকে বড় উপকার যদি চিন্তা করেন, বই পড়ার কারণে আমরা যে মানসিক প্রশান্তি পাই, সেটাই অনেক বড়। বই পড়ার সময়ে আমরা হয়তো ডিজিটাল ডিভাইসের পিছনে সময় নষ্ট করতাম, সেটা না করে আমরা যে ভালো কিছু পড়েছি, কিছু শিখেছি, এই চিন্তা এই প্রশান্তির কি অমূল্য নয়?

১০। বিনোদনঃ
বই পড়ে উপরের সবগুলো উপকার তো আমরা পাচ্ছিই, পাশাপাশি এটা আমাদের একটা বিনোদনের মাধ্যম। সবথেকে সস্তা কিন্তু কার্যকরী মাধ্যম। একটি ভাল গল্প, প্রবন্ধ বা উপন্যাস আমাদের মনকে বিনোদিত করে আর এটা বিনোদনের সর্বোত্তম পথ। নির্মল ও শান্তিময় বিনোদন হলো - বই পড়া।

বিঃদ্রঃ অনূদিত। (সংগৃহীত)

12/07/2025
ছোট্ট সোনামণিদের জন্য "শিশুদের আকার খেলা" বইটি আঁকা -আঁকি শেখার জন্য খুবই উপযোগী।খুব শীঘ্রই আসছে।
07/07/2025

ছোট্ট সোনামণিদের জন্য "শিশুদের আকার খেলা" বইটি আঁকা -আঁকি শেখার জন্য খুবই উপযোগী।
খুব শীঘ্রই আসছে।

02/07/2025

📚নিয়োগ 📚

নাগরিক প্রকাশন এর সরিষাবাড়ি কার্যালয়ে (বাউসি বাজার) ১ জন অফিস সহকারী প্রয়োজন :

- ছেলে/মেয়ে, এইচএসসি, বেতনাদি আলোচনা সাপেক্ষে
- সকাল ৯টা - সন্ধ্যা ৭টা, সপ্তাহে ৬ দিন
- শুদ্ধ কথা, কম্পিউটারে লেখালেখি, ইন্টারনেট
- অফিসের সকল কাজ, মাসে কয়েকদিন সরিষাবাড়ির বাইরে যেতে হতে পারে (খরচাদি অফিস বহন করবে)
- নিজস্ব বাইক/বাইসাইকেল (ড্রাইভিং লাইসেন্স-সহ) অগ্রাধিকার
- জুলাই থেকেই কাজ শুরু করতে হবে

জীবনবৃত্তান্ত, প্রত্যাশিত বেতন জানিয়ে যোগাযোগ করুন ১০ জুলাই ২০২৫ এর মধ্যে (সব তথ্য একসাথে দেবেন) :
- হাবিবুর রহমান হেলাল, প্রিন্সিপাল, প্রত্যয় কিন্ডারগার্টেন, বাউসি বাজার
- (বা) 01612424241 (হুয়াট্স অ্যাপ)

ইনিই হলেন ভারতবর্ষের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি ; যাকে হয়ত আপনি, আমি চিনি না-পয়সার গরম তো জীবনে অনেক দেখলেন । কিন্ত বিদ্যার...
02/07/2025

ইনিই হলেন ভারতবর্ষের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি ; যাকে হয়ত আপনি, আমি চিনি না-

পয়সার গরম তো জীবনে অনেক দেখলেন । কিন্ত বিদ্যার এমন গরম দেখেছেন না শুনেছেন কখনও ? সবটা শুনলে মাথা ঝিমঝিম করবে আপনার, হাত পাও অবশ হয়ে যেতে পারে বৈকি । এক জীবনে এত পড়াশোনা কোন রক্ত মাংসের মানুষ করতে পারেন ? না পড়লে বিশ্বাস হবে না ; তাও আবার সেই ভদ্রলোক যদি ভারতবর্ষ তথা এই উপমহাদেশের হন !

মারাঠি এই ভদ্রলোকের নাম শ্রীকান্ত জিচকার । তার পড়াশোনার জীবনটা একবার হাল্কা করে চোখ বুলিয়ে নিন শুধু । তাহলেই বুঝবেন, ভদ্রলোক কি কাণ্ডটাই না করেছেন !

(১) জীবন শুরু 'M.B.B.S.' ও 'M.D.'- এ' দিয়ে ।
(২) এরপর 'L.L.B.' করলেন । সাথে করলেন 'International Law'-এর উপর স্নাতকোত্তর ।
(৩) এরপর 'Business Management'-এর উপর 'Diploma' ; সাথে 'M.B.A.' ।
(৪) এরপর 'Journalism' নিয়ে স্নাতক ।

এতদূর পড়ার পর আপনার যখন মনে হচ্ছে, লোকটা পাগল নাকি ? তখন আপনাকে বলতেই হচ্ছে, এ তো সবে কলির সন্ধ্যে । এখনো গোটা রাত বাকি ।

এই ভদ্রলোকের শুধু স্নাতকোত্তর 'ডিগ্রী'ই আছে দশটা বিষয়ের উপর । স্নাতকোত্তরের বিষয়ের তালিকাটা একবার দেখুন-

(১) 'Public Administration'
(২) 'Sociology'
(৩) 'Economics'
(৪) 'Sanskrit' (ডি.লিট)
(৫) 'History'
(৬) 'English'
(৭) 'Philosophy'
(৮) 'Political Science'
(৯) 'Encient India History', 'Culture' and 'Arciolog'
(১০) 'Cytology'

উপরের যতগুলো বিষয় দেখছেন সব কটিতেই প্রথম শ্রেণীর সঙ্গে স্নাতকোত্তর এবং ২৮টি স্বর্ণপদক বিজয়ী তিনি । সব মিলিয়ে ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রতি গ্রীষ্মে ও প্রতি শীতেই উনি কোন না কোন স্নাতকোত্তরের বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে গেছেন ।

মাথা ঝিমঝিম করছে তো আপনার ? তা মাথার আর দোষ কি বলুন ? তবে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার আগে একবারটি শুধু শুনে যান- এতসব পড়তে পড়তে ওনার যখন একঘেঁয়েমি লাগছিল তখন ঠিক করলেন, এবার একটু স্বাদ বদলানো যাক ।
স্বাদ বদলাতে আমি-আপনি বেড়াতে যাই আর উনি 'I.P.S.' পরীক্ষায় বসলেন এবং পাশ করলেন । সেটা ১৯৭৮ সাথে । কিন্তু পোষাল না চাকরীটা । ফলে সেটা ছেড়ে দিয়ে বসলেন 'I.A.S.' পরীক্ষায় । ১৯৮০ সালে উনি 'I.A.S.' হলেন ।

নটে গাছটা তাহলে মুড়োল শেষ অবধি ? আজ্ঞে না, মুড়োয় নি এখনো । চারমাসের মধ্যে 'I.A.S.'- এর চাকরিটাও ছেড়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের বিধান সভা ভোটে লড়বেন বলে । ১৯৮০ সালে উনি যখন বিধায়ক নির্বাচিত হলেন তখন ওনার বয়স সবে ২৫ বছর । উনি হলেন ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী বিধায়ক ।

সবই হল যখন, তখন মন্ত্রী হওয়াটাই বা আর বাকী থাকে কেন ? সেটাও হলেন এবং একটা কিংবা দু'টো দপ্তরের নয়, একেবারে ১৪ টা দপ্তরের । ১৯৯২ সাল নাগাদ রাজ্যসভার সদস্যও নির্বাচিত হলেন ।

ওনার এই ‘সামান্য’ কয়েকটি গুণ ছাড়াও উনি-

■ অসাধারণ চিত্রশিল্পী ।
■ পেশাদার আলোকচিত্রকর ।
■ মঞ্চাভিনেতা ।
■ সখের বেতার চালক ।

এছাড়া উনি জ্যোতিষশাস্ত্রেও বিশেষ পারদর্শী ছিলেন । পরে উনি 'সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ' ও 'ইউনেস্কো'তে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ।

ব্যক্তিগত সংগ্রহে মাত্র ৫২,০০০ বই রয়েছে ওনার । ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস’ ওনাকে 'ভারতবর্ষের সবচেয়ে শিক্ষিত ব্যক্তি'র শিরোপা দিয়েছে । ১৯৮৩ সালে উনি ‘বিশ্বের অসামান্য দশজন তরুণ’ হিসেবে নির্বাচিত হন ।

২০০৪ সালে এক পথ দুর্ঘটনায় ওনার মৃত্যু হয় । তখন বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর । তার মর্মান্তিক মৃত্যুতে একটি জ্বলন্ত নক্ষত্র নিভে যায় । তিনি মৃত্যুর আগে এই শিক্ষা দিয়ে যান, 'যার যত জ্ঞান ; তার অহংকার তত কম' ।

সংগৃহীত পোস্ট।
Samir Bardhan

28/06/2025

অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ নাগরিক প্রকাশনের স্টলে বিক্রয় ছাড়াও মেলা পরবর্তীতে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক অর্ডার ছিলো ।
এর একটি হলো বই: শিশুদের আঁকার খেলা।
মোট ২৪ হাজার ২শত ৫০ টি বই।
অর্ডারের সেই বইগুলো প্রেসে কাজ শেষে বাঁধাই-প্যাকেটিং চলাকালীন সময়ে।

বেকার জীবন থেকে কর্মজীবনে পৌঁছাতেই  পরিবারের কাছে হঠাৎ গুরুত্ব বেড়ে যাওয়া, সমাজের কাছে নিজের একটা অবস্থান তৈরি হওয়া, ...
16/06/2025

বেকার জীবন থেকে কর্মজীবনে পৌঁছাতেই
পরিবারের কাছে হঠাৎ গুরুত্ব বেড়ে যাওয়া, সমাজের কাছে নিজের একটা অবস্থান তৈরি হওয়া, এক অদ্ভুত বাস্তব অনুভূতি। এই বাস্তব অনুভূতি উপস্থাপন করা হয়েছে বইটিতে।

এছাড়া নিজের দেশ ছেড়ে ভাগ্য বদলাতে সুদূর ইউরোপে পাড়ি জমানো এবং দেশ ছেড়ে বিদেশ যাত্রার যত সংগ্রাম বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করা তা বেশ কঠিন । বাংলাদেশি তরুণদের এই সংগ্রাম অকৃত্রিমভাবে বর্ণনা করেছেন প্রবাসী লেখক, উপস্থাপক বুলবুল তালুকদার।

প্রবাসে গিয়েই হয়তো ভাগ্য উন্নয়ন করে ফেলবে এমন স্বপ্নই আমরা দেখি । কিন্তু সুদূর প্রবাস জীবনযাত্রা এত সহজ নয় । পথে পদে পদে বাধা অতিক্রম করতে পারলে প্রবাস জীবন শুরু হয় তা না হলে সেখানেই শেষ হয়ে যায় ভাগ্য উন্নয়নের স্বপ্ন । যদিও পৌঁছাতে পারে স্বাভাবিকভাবে জীবন শুরু করতে পারে না। তাকে নানাভাবে প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে, নানা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রবাসী হয়ে উঠতে হয়। সেখানে অর্ধভূক্ত, অভূক্ত, নিদ্রাহীন থেকেও সময় পার করতে হয়। আবার অর্থ-সঙ্কট আর অপমান মেনে, লুকিয়ে, ভীতি নিয়ে কতভাবেই না জীবন কাটাতে হয়।
তারই মধ্য দিয়ে খুঁজে নিতে হয় নিজ লক্ষ্যের পথটাকে ।

বইটি ২টি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
২৫% ছাড়ে বইটির মূল্য প্রথম খন্ড মাত্র ১২০ টাকা
দ্বিতীয় খন্ড ১০০ টাকা ।

25/05/2025

অচেনা জোছনায় একা কাব্যগ্রন্থটি
যৌথ উদ্যোগে রচিত হয়েছে।

মোঃ সাফায়েত ইসলাম বাঁধন
জিহাদ আল মেহেদী
দুজন কবির সুন্দর প্রকাশ "অচেনা জোছনায় একা।"
মূল্য ২০০ টাকা।

10/05/2025

প্রেম, রাষ্ট্র, বিপ্লব নিয়ে লেখা নতুন কবিতার বই
"আত্মপতন" ।
এখানে নতুন কবি কতখানি কবি হয়ে উঠেছে তার বাহবা সে চায়নি । তবে ফ্যাসিবাদবিরোধী কবিতা লিখে শত তরুণের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছে এটাই তরুণ কবি MD Mofassel Tahari Rofi-র চাওয়া এবং পাওয়া।

Address

33 Toopkhana Road, Meherba Plaza, Segunbagica
Dhaka
1000

Telephone

+8801873656731

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নাগরিক প্রকাশন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to নাগরিক প্রকাশন:

Share

Category