05/08/2025
বছর ঘুরে আবার সেই ৫ই আগষ্ট। হাসিনার পতন অথবা মৃত্যু এমন প্রস্তুতিতে আল্লাহ আমার জন্য কোন বুলেট বরাদ্দ রাখেন নাই। আল্লাহর নিকট শুকরিয়া।
তবে, বেশিরভাগ জুলাই যোদ্ধার মতো উঠতে বসতে জুলাই জুলাই করতেও এখন বিরক্ত লাগে। কথায় আছে, আপনি তোফায়েল আহমেদের সাথে ৫মিনিট আলাপ করতে বসলে ৩মিনিটের মাথায় উনি ৭১'রে চলে যাবেন। আর বের হয়ে আসতে পারবেন না। এটা হইলো আওয়ামী সিনড্রোম।
এই আওয়ামী রোগ থেকে আমাদেরও সবাইকে বের হয়ে আসতে হবে।
তাই এক বছর পর দ্বিতীয় স্বাধীনতায় কিছু অনুরোধ থাকবে সবার কাছে-
১। জুলাই নিয়েও চেতনা ব্যবসা বন্ধ হোক। কথায় কথায় জুলাই নিয়া আসা আওয়ামী রোগে আক্রান্ত নেতারা আসলেই নতুন বন্দোবস্ত আগে নিজেরা উপলব্ধি করুক।
২। বাংলাদেশের বিশাল সং্খ্যক তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করুণ। তা না হলে হয় এই দেশে আবার লীগ ফিরে আসবে, আর না হয় অন্য কোন দলের ব্যানারে এরা গুন্ডামী, মাস্তানি করবে।
এই দেশে বিশাল সং্খ্যক তরুণ বড় হয়েই দেখছে আওয়ামী শাসন। আমি এমন অনেকেই চিনি- যদি লীগ সরকারের পতন না হতো তাহলে ওরা এখনো ওদের কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তাভাবনা করতো না।
এই জেনারেশনটাকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হচ্ছে ওদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করা। তা না হলে ঘুরেফিরে এদের আবার লীগ কিংবা অন্য কেউ ক্রেডিট করে নিবে।
বাংলাদেশে অন্য যে সব দলেও এখন চাঁদাবাজি কিংবা গুন্ডামী রাজনীতির চর্চা হচ্ছে তার পিছনেও আসল সমস্যা এই কর্মসংস্থানের অভাব।
বাংলাদেশের তরুণরা এখন রাজনীতি বাদে আর কিছুই চিন্তা করে না। চাকরি, ব্যবসা, পড়াশোনা এই সব কিছুর উর্ধ্বে এখন রাজনীতি। যারেই দেখি সেই নেতা হইতে চায়।
জুলাই পরবর্তী এই নব্য নেতা হওয়ার জোয়ার বন্ধ করার এক মাত্র রাস্তা হচ্ছে কর্মসংস্থান। এটা নিশ্চিত না করতে পারলে এই দেশ থেকে অসুস্থ রাজনৈতিক কালচার-চাঁদাবাজি, গুন্ডামী, দূর করা প্রায় অসম্ভব।
কারণ, যে ছেলে রাজনীতি বাদে অন্য কিছুই করে না, তার ইনকাম সোর্স ঘুরেফিরে রাজনীতি কেন্দ্রিক হয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক।
আর এমন কিছু হলে জুলাই যোদ্ধরাও ঘুরেফিরে আওয়ামী ডাকাতে পরিনত হবে। অন্তত এক বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের সেটাই বলে।