14/09/2025
অবিবাহিত মেয়ের বিবাহিত পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার কারণ কি জানেন ?
প্রেমের মুখোশে চলছে এক ভয়ংকর লেনদেন! যখন কোনো অবিবাহিত মেয়ে জেনেশুনে একজন বিবাহিত পুরুষের বিছানায় যায়, তখন বুঝে নেবেন—ওখানে আবেগটা গৌণ, আসল উদ্দেশ্য হলো এটিএম কার্ডের পিন নম্বর। এটা কোনো প্রেমকাহিনি নয়, এটা একটা নিখুঁত শিকার ধরার ছক!
শুরুটা হয় টিকটক বা ইনস্টাগ্রামে শরীর দেখানো কিছু ভিডিও দিয়ে। স্বল্প পোশাক, আবেদনময়ী নাচ—সবই হলো বড়শিতে টোপ লাগানোর মতো। এই টোপ গিলে নেয় কিছু বিবাহিত পুরুষ, যারা নিজেদের সংসারে ‘বোর’ হয়ে বাইরে একটু ‘সহজ বিনোদন’ খোঁজে। পুরুষটা ভাবে, সামান্য কিছু টাকা আর উপহারের বিনিময়ে সে তার লালসা মেটাবে। আর মেয়েটা ভাবে, এই তো আমার ‘ইনভেস্টমেন্ট পিরিয়ড’। সে জানে, তার মতো মেয়ের জন্য ভালো সম্বন্ধ আসবে না, তাই শর্টকাটে ধনী হওয়ার এটাই সহজ রাস্তা। বাবা রিকশা চালায়, কিন্তু মেয়ের হাতে দেড় লাখি আইফোন! ভাবছেন কীভাবে? আরে, সবাই তো বোঝে, কিন্তু ভদ্রতার মুখোশে চুপ করে থাকে!
সম্পর্কটা যখন শারীরিক পর্যায়ে গড়ায়, তখন থেকেই শুরু হয় আসল খেলা। পুরুষটা দেহের লোভে অন্ধ, আর মেয়েটা তার পরবর্তী চালের জন্য প্রস্তুত। কিছু গোপন ছবি, কিছু íntimáte ভিডিও—এগুলোই তার ভবিষ্যৎ ব্ল্যাকমেইলের অস্ত্র। কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় নাটকীয়তা। “আমাকে বিয়ে করো, না হলে তোমার বউকে সব বলে দেবো!”, “তোমার সম্মান, তোমার চাকরি—সব আমি শেষ করে দেবো!”। পুরুষটা তখন নিজের সম্মান আর সংসার বাঁচাতে টাকা ঢালতে শুরু করে। এটা আর প্রেম থাকে না, হয়ে যায় এক মাসিক চাঁদার মতো সম্পর্ক।
কিছু মেয়ে আবার এর থেকেও এক ধাপ এগিয়ে। তারা জানে, সাধারণ ব্ল্যাকমেইলে কাজ না হলে তাদের হাতে আছে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র—গর্ভধারণ। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে অসুরক্ষিত সম্পর্কে লিপ্ত হয়। প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর শুরু হয় মানসিক অত্যাচার। “আমাকে বিয়ে না করলে আমি অ্যাবরশন করাবো না। এই সন্তান তোমার, সমাজের কাছে আমি তোমার নামই বলবো!”। তখন পুরুষটির পায়ের নিচের মাটি সরে যায়। একদিকে সামাজিক লজ্জা, অন্যদিকে স্ত্রীর কাছে মুখ দেখানোর ভয়। এই সুযোগে মেয়েটি মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে অথবা আজীবনের জন্য একটা সেটেলমেন্ট করে নেয়। শরীরী ক্যান্সার হলে চিকিৎসা আছে, কিন্তু সমাজের এই ক্যান্সারগুলোর চিকিৎসা কী?
সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হলো, এই মেয়েগুলোর পরিবারও অনেক সময় এই অনৈতিক কাজকে প্রশ্রয় দেয়। বাবা-মা দেখেও না দেখার ভান করে। তারা ভাবে, “মেয়ে যেভাবে হোক টাকা তো আনছে!” কিছু শিক্ষিত পরিবার তাদের সুন্দরী মেয়েকে রীতিমতো লেলিয়ে দেয় বড়লোকের বিবাহিত ছেলেদের পেছনে। তাদের একটাই লক্ষ্য—যেভাবেই হোক একটা বড় শিকার ধরে জীবন গুছিয়ে নেওয়া। আমাদের সমাজ এই মেয়েদের দামী জীবনযাপন দেখে, কিন্তু প্রশ্ন করে না—এই টাকার উৎস কী? আমরা সবাই জানি, কিন্তু ভণ্ড সেজে এড়িয়ে যাই।
একটা অবিবাহিত মেয়ে ধনী অবিবাহিত ছেলেকে বিয়ে করতে চাইতেই পারে, সেটা তার অধিকার। কিন্তু যখন সে জেনেশুনে একটা সংসার ভাঙতে আসে, তখন তার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।
এবার আমার কিছু সরাসরি প্রশ্ন, উত্তর দেওয়ার সাহস আছে?
১. আপনার কি মনে হয় না, এই মেয়েরা প্রেম নয়, পতিতাবৃত্তিকে একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে?
২. যে পুরুষ নিজের স্ত্রীর বিশ্বাস ভাঙে, সে কি শিকার নাকি অপরাধী? নাকি দুটোই?
৩. আপনি কি আপনার চারপাশে এমন ‘হঠাৎ বড়লোক’ হওয়া কোনো টিকটকার বা তরুণীকে চেনেন? তাদের আয়ের উৎস নিয়ে কখনো ভেবেছেন?
সবশেষে একটাই ভয়ংকর প্রশ্ন আপনার দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছি— আপনার অতি সাধের সাজানো সংসারটা ভাঙার জন্য পরবর্তী শিকার কি আপনার স্বামী নন তো? ভেবে দেখেছেন কি, আপনার ঘরের পুরুষটি বাইরে কার ‘বিজনেস প্রজেক্ট’ হয়ে উঠেছে?