02/06/2025
আত্ তাওফীক প্রকাশনের সকল বইয়ের তথ্য এবং সার-সংক্ষেপ.............
-------------------------------***------------------------------
বই-১: চার খলীফা ইসলামী শাসনামলের সোনালি যুগ
📔এক সময় ছিল, যখন ন্যায় ছিল শাসনের মানদণ্ড।
এক সময় ছিল, যখন নেতৃত্ব মানে ছিল আত্মত্যাগ আর দায়িত্বের মহিমা।
আবু বকর, উমর, উসমান ও আলী (রাযি.) — তাঁরা শুধু শাসক নন, তাঁরা হলেন একেকজন আদর্শের আলোকস্তম্ভ।
তাঁরা প্রমাণ করে গেছেন—বিশ্বাস আর সত্যের শক্তি দিয়ে কীভাবে গোটা পৃথিবীর মানচিত্র বদলে দেওয়া যায়।
এই বইতে আপনি পাবেন:
চার মহামানবের জীবনের অভূতপূর্ব গল্প।
সোনালি ইসলামী শাসনের গভীর ও অজানা অধ্যায়।
নেতৃত্ব, দায়িত্ব আর মানবতার অনন্ত শিক্ষা।
'চার খলীফা: ইসলামী শাসনের সোনালি যুগ' আপনাকে কেবল ইতিহাসের পাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে না,
বরং আপনাকে ছুঁয়ে যাবে —
আপনার বিশ্বাসকে শাণিত করবে,
আপনার হৃদয়ে জাগিয়ে তুলবে সত্য ও ন্যায়ের দীপ্তি।
আপনি কি প্রস্তুত সেই সোনালি সময়ের এক জীবন্ত সফরের জন্য?
চলুন, দেরি না করে ডুব দিন ইতিহাসের এক মহিমান্বিত অধ্যায়ে।
▪️বই: চার খলীফা ইসলামী শাসনামলের সোনালি যুগ
▪️লেখক: শাইখ মাহমুদ শাকির রহি.
▪️অনুবাদ: তানজীমুল ইসলাম
▪️সম্পাদনা: শাইখ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী
▪️সম্পাদনা: শাইখ হাফেয মাহদী হাসান মুহাম্মাদ মাদানী ।
▪️প্রকাশনায়: আত্ তাওফীক প্রকাশন
▪️পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩৬৮
▪️মুদ্রিত মূল্য:৫৩৬
-------------------------------***------------------------------
বই-২ সন্তান প্রতিপালনে ইসলামী ভাবনা।
যেখানে ভালোবাসা মিলে দ্বীনের দীপ্তিতে— এক পিতামাতার আদর্শ পথচিত্র।
শিশু যখন দুনিয়ায় আগমন করে, তখন সে হয়ে ওঠে এক পবিত্র আমানত— আল্লাহর পক্ষ থেকে অর্পিত এক দায়বদ্ধতা। এই বই, "সন্তান প্রতিপালনের ইসলামী ভাবনা", সেই পবিত্র আমানত পালনের পাথেয় হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। লেখক শাইখ আব্দুস সালাম বিন আব্দুল্লাহ আস-সুলাইমান যেন একজন অভিজ্ঞ মুরব্বির মতো প্রতিটি পৃষ্ঠায় পাঠককে দিচ্ছেন কুরআন ও হাদীসের আলোকে আলোকিত নির্দেশনা।
এটি কেবল একটি ধর্মীয় বই নয়, বরং একেকটি অধ্যায় যেন একেকটি দরদভরা কথামালা, যা পিতামাতার অন্তরকে নরম করে, দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে এবং সন্তানকে মানুষ করার পূর্ণ পরিকল্পনা উপস্থাপন করে।
গভীরভাবে নাড়া দেয় যে বিষয়গুলো:
সন্তানের আত্মিক উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া।
পারিবারিক পরিবেশে ইবাদত ও আখলাক গঠনের উপায়
খেলাধুলা, প্রযুক্তি ও সামাজিক বন্ধনের দিকেও রয়েছে দায়িত্বশীল দৃষ্টিভঙ্গি
বইটি পড়তে পড়তে বারবার মনে হবে— যদি প্রতিটি পরিবার এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সন্তান লালন-পালন করত, তাহলে আমাদের সমাজ অনেক আগেই পরিবর্তিত হয়ে যেত। এটি শুধু একটি বই নয়, বরং একেকটি পৃষ্ঠা যেন আত্মশুদ্ধির ডাক।
এই যুগে, যেখানে সন্তান হারাচ্ছে নৈতিকতা আর পরিবার হারাচ্ছে দিকনির্দেশনা, সেখানে "সন্তান প্রতিপালনের ইসলামী ভাবনা" একটি সময়োপযোগী আলোচিত্র। যারা আল্লাহভীতির সাথে সন্তান গড়ে তুলতে চান, তাদের জন্য এই বই একটি পথনির্দেশক চিরস্থায়ী বন্ধু হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।
▪️বই: সন্তান প্রতিপালনে ইসলামী ভাবনা।
▪️মুল: শাইখ আব্দুস সালাম বিন আব্দুল্লাহ আস-সুলাইমান
▪️সম্পাদনা: শাইখ ড.সালিহ বিন ফাওযান আল- ফাওযান
▪️অনুবাদ: আরাফাত আলী
▪️সম্পাদনা: শাইখ আব্দুল্লাহ মাহমুদ
▪️প্রকাশনায়: আত্ তাওফীক প্রকাশন
▪️পৃষ্টা সংখ্যা: ৬৪
▪️মুদ্রিত মূল্য: ৯০৳
-------------------------------***------------------------------
বই-৩ : গুনাহের কু-প্রভাব ও মুক্তির উপায়
মানুষ যখন অতিরিক্ত গুনাহ করে তখন তার অন্তরের উপর মোহর মেরে দেওয়া হয়, ফলে সে দ্বীনের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে যায়। তার অন্তরে দ্বীনের কোনো বিষয় আর প্রবেশ করে না। কারণ মানুষ যখন গুনাহ করে, তার অন্তরের উপর একটি দাগ পড়ে। অতঃপর তার গুনাহ যত বাড়তে থাকে দাগের পরিমাণও বাড়তে থাকে, এভাবে দাগ পড়তে পড়তে একসময় অন্তরে জং ও মরিচা ধরে যায়। আর জং ও মরিচার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে একসময় অন্তরের উপর মোটা আবরণ তৈরি হয়ে অন্তর একেবারে অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন
کَلَّا بَلۡ ٜ رَانَ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ مَّا کَانُوۡا یَکۡسِبُوۡنَ
কখনো নয়, বরং তারা যা অর্জন করত তা-ই তাদের অন্তরসমূহকে ঢেকে দিয়েছে। সূরা মুতাফফিফিন-১৪
▪️বই: গুনাহের কুপ্রভাব ও মুক্তির উপায়
▪️লেখক: শাইখ সাঈ'দ ইবনু আলি ইবনু ওয়াহাফ আল কাহতানী রহিমাহুল্লাহ
▪️অনুবাদ: তানজীমুল ইসলাম
▪️সম্পাদনা: শাইখ আব্দুল মুমিন বিন আব্দুল খালিক
▪️প্রকাশনায়: আত্ তাওফীক প্রকাশন
▪️পৃষ্ঠা:১১২
▪️মুদ্রিত মূল্য:১৫৯৳
-------------------------------******-----------------------------
বই-৪ বিষাক্ত প্রশ্ন
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকেই হক বাতিলের সংঘাত চলছে এবং মুসলিমদের প্রাণনাশকারী স্নিগ্ধ বায়ু প্রবাহিত হওয়া অবধি চলতে থাকবে। মুসলিমরা অন্য ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করে না, অন্যান্য ধর্মীয় গ্ৰন্থের অবমাননা করে না, তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে বাধা প্রদান করে না, তাদের ধর্মীয় গুরুদের গালি দেয় না। আপনি এমন কোনো নজির স্থাপন করতে পারবেন না, যে কোথাও স্কুল ছাত্রী সিঁদুর পরে ক্লাসে ঢুকার কারণে তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আপনি প্রায় শুনতে পাবেন অমুক জায়গায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে ব্যঙ্গ করা হয়েছে, কুরআন ফেলে দেয়া হয়েছে, ইসলামের কোনো বিধান অবমাননা করা হয়েছে, অমুক কলেজ ছাত্রীকে হিজাব বা বোরখা পরে ক্লাসে ঢুকার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
অমুসলিম ও নাস্তিকদের কাজই হলো ইসলাম কে প্রশ্নবিদ্ধ করা।
তাদের অসার, বস্তাপচা কিছু ঠুনকো প্রশ্নের উত্তরকে ঘিরে আমাদের আজকের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
প্রভাতের আলোকময় সূর্য উদ্ভাসিত হলে যেমন ভোরের নিকশ কালো অন্ধকার দূর হয়ে যায়। তেমনি হকের সমাগমে বাতিল তল্পিতল্পা নিয়ে পলায়।
আমরা আশা করি অন্ধকারাচ্ছান্ন বিষাক্ত প্রশ্ন আলোকিত হয়ে উঠবে দলীল ও যুক্তির জোছনা দ্বারা ইনশাআল্লাহ
▪️বই:বিষাক্ত প্রশ্ন
▪️লেখক: সাইদুর রহমান
▪️সম্পাদনা: শাইখ আব্দুল মুমিন বিন আব্দুল খালিক
▪️প্রকাশনায়: আত্ তাওফীক প্রকাশন
▪️পৃষ্ঠা: ৯৬
▪️মুদ্রিত মূল্য: ১৩২৳
------------------------------***------------------------------
বই-৫:রাসুল(ﷺ) এর একাধিক বিয়ে: বিভ্রান্তির জবাব।
সময়টা ছিল ১৯২৩ ইং সাল । তখন অখন্ড ভারতীয় উপমহাদেশে চলছে ইংরেজ বেনিয়াদের জুলুম নির্যাতনের শাসন । ইংরেজদের অত্যাচারে মুসলিমদের জীবন বিষাদময় হয়ে উঠে। মাঝে মধ্যেই হিন্দু মুসলিমদের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধতো। হিন্দু মুসলিম সংঘর্ষের অনলে কেরোসিন ঢেলে দিল নরাধম 'জয়পাল' ''রঙ্গিলা রাসূল'' নামে বই প্রকাশ করে। একে তো মুসলিমরা ইংরেজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এর মাঝে মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কটু মন্তব্য করে বই প্রকাশ করা হয়েছে। এটা মুসলমানদের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়ার মতো। এই বইয়ের মাঝে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একাধিক বিয়ে নিয়ে কুৎসা রটানো হয়েছে। ইতিহাসটা জানার পর থেকেই মনের মধ্যে একটা অস্থিরতা বিরাজ করছিল। এ বিষয়ে কিছু লেখার দরকার। মনে বপন করা সে আগ্রহ নিয়েই লেখা শুরু করি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একাধিক বিয়ে নিয়ে বিভ্রান্তির জবাব। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তাআলা শেষ করার তাওফীক দান করেছেন। আমি মনে করি বইটি প্রত্যেক মুসলমানের পড়া উচিত। কারণ ইসলামবিদ্বেষী ও অমুসলিমরা এ বিষয় নিয়ে বেশ ঠাট্টা তামাশার পসরা বসায়। পরিশেষে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তার এ ক্ষুদ্র বান্দার প্রচেষ্টাকে কবুল করেন ।আমীন
▪️বই:রাসুল(ﷺ) এর একাধিক বিয়ে: বিভ্রান্তির জবাব।
▪️লেখক:সাইদুর রহমান
▪️সম্পাদনায়: শাইখ সাজ্জাদুর রহমান রিয়াদী।
▪️প্রকাশনায়: আত্ তাওফীক প্রকাশন
▪️সাইজ: ৮.৫×৫.৫ ইঞ্চি
▪️পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৮০
▪️মুদ্রিত মূল্য: ১১৫৳
-----------------------------***-------------------------------
বই-৬ :জাদু ও বদনজর থেকে বাঁচার দশটি উপায়।
জাদু- টোনা ও বদনজরের মতো ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হলে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হবে এবং তার শরণাপন্ন হতে হবে ।কেননা সমস্ত সাহায্য তাওফীক ও সুস্থতা আল্লাহর পক্ষ থেকেই প্রার্থনা করে নিতে হবে। তাঁর হাতেই রয়েছে সমস্ত বিষয়ের ক্ষমতা ও আসমান জমিনের নিয়ন্ত্রণ ।
এরপর (জাদু-টোনা ও বদনজরে) আক্রান্ত ব্যক্তি যাবতীয় বিপদ ও রোগ বাঁচার জন্য বৈধ উপকরণ গ্রহণ করতে পারবে এবং জাদু, বদনজর ও হিংসা থেকে বাঁচার জন্যও বৈধ পন্থা অবলম্বন করতে পারবে । এ বিষয়ে ইমাম ইবনুল কাইয়িম রহিমাহুল্লাহ তাঁর 'বাদা-ইয়ুল ফাওয়ায়েদ' কিতাবে এমন উপকারী ও পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিয়েছেন যা অন্যের নিকটে পাওয়া যায় না বললেই চলে। এখানে তিনি বৈধ ১০টি উপকরণ উল্লেখ করেছেন । জাদু ও বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তি এর অনিষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যেকোনো উপকরণ গ্রহণ করতে পারবে। এ বইটি আমি শুধু এই দশটি উপকরণ ব্যাখ্যা করেছে মাত্র । সংক্ষেপে এর উদ্দেশ্য বর্ণনা করেছি । যাতে ব্যাপক উপকার সাধিত হয়। বিশেষকরে মানুষের মাঝে জাদু ও বদনজরের ক্ষতিকর দিক বেড়ে যাওয়ার দরুন এর অনিষ্ঠ থেকে মুক্তির উপকরণগুলো জানা প্রয়োজন।
আর এই বৈধ উপকরণগুলো জানা এবং সেগুলো অনুসরণ করা -আল্লাহর অনুমতিক্রমে- একজন বান্দাকে হারাম পন্থা অবলম্বন করা থেকে, বিভিন্ন বিভ্রান্তি ও বিপজ্জনক কুসংস্কার থেকে রক্ষা করবে। বিশেষ করে যারা জাদু বা বদ নজরের শিকার হয়েছেন এবং যাদের কোনো জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা নেই। তারা প্রায়ই নানাবিধ যন্ত্রণা ও বিরক্তিকর প্রভাবের কারণে সীমাহীন বিভ্রান্তি ও অগণিত কুসংস্কারের আশ্রয় নেয় । যদি কোনো মুসলিম কুরআন-সুন্নাহর উপর প্রতিষ্ঠিত বিশুদ্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে নিজেকে সুরক্ষিত রাখে এবং শারয়ী উপকরণ অনুযায়ী আমল করে তাহলে সে কল্যাণ লাভ করবে। এর ফলাফলও পাবে। তার দুনিয়া ও আখেরাতের অবস্থা সুসজ্জিত হবে।
▪️বই: জাদু ও বদনজর থেকে বাঁচার দশটি উপায়।
▪️মুল: শাইখ আব্দুর রাযয্বাক বিন আব্দুল মহসিন আল- বদর।
▪️অনুবাদ: আব্দুর রহমান বিন আনোয়ার
▪️সম্পাদনায়: শাইখ সাজ্জাদুর রহমান রিয়াদী।
▪️প্রকাশনায়: আত্ তাওফীক প্রকাশন
▪️সাইজ: ৭×৫ ইঞ্চি
▪️ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৭২
▪️ কভার: পেপার ব্যাক
▪️মুদ্রিত মূল্য:৭২ ৳
-----------------------------***-------------------------------
বই-৭: অভিশপ্ত যারা
দুচোখ যতদূর যায় শুধু চোখে পড়ে আল্লাহর বিপুল নেয়ামত আর নেয়ামত। আমাদের জন্য গোটা পৃথিবীটা নেয়ামতে পরিপূর্ণ করেছেন । গাছে গাছে হরেক রকম ফুল, সুস্বাদু মুখরোচক ফল, পাখির কন্ঠে সুমধুর গান, নদী ভরা জল,পুকুর ও দীঘি ভর্তি নানান প্রজাতির মাছ, খেত ভর্তি সবুজ শ্যামল ফসল, ক্লান্ত পরিশ্রান্ত দেহটা শীতল করার জন্য দখিনা হাওয়া। আল্লাহর অজস্র নেয়ামতের কথা লেখে শেষ করা যাবে না। আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত, তিনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমাদের কাছে পাঠিয়ে আমাদের হেদায়াতের উপর পরিচালিত করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোটা জীবনটাই আমাদের চিন্তায় বিভোর ছিলেন। কীভাবে আমরা ওৎপেতে থাকা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে পরম প্রশান্তির স্থান জান্নাতে যেতে পারি এটাই ছিল তাঁর ঐকান্তিক অভিলাষ। তিনি আমাদের জন্য কত কষ্ট যন্তণা সহ্য করেছেন ! নিজের জন্য কখনো কারো থেকে প্রতিশোধ নেননি। আমরা এমন কী অপরাধ করে ফেলেছি, যার দরুন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উপর 'অভিশপ্ত' করেছেন জানতে আজ বড্ড ইচ্ছে করছে। জানতে পারলেই তো ওই অপরাধ থেকে বিরত থাকতে পারবো। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাদের উপর অভিশপ্ত করেছেন বক্ষমাণ বইটি এ বিষয়কে কেন্দ্র করেই লেখা।
▪️বই: অভিশপ্ত যারা
▪️লেখক: সাইদুর রহমান
▪️প্রকাশনায় : আত-তাওফীক প্রকাশন
▪️পৃষ্ঠা : ৬৪
▪️ কভার: পেপার ব্যাক
▪️মুদ্রিত মূল্য: ৯৬৳
-----------------------------***-------------------------------
বই-৮: ইসলামের সৌন্দর্য
ইসলামে প্রত্যেকটা বিষয় কত নান্দনিক,নিপুণ ও নিখুঁতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইসলাম থেকে বাদ পড়েনি কোনো জাগতিক বিষয়, এমনকি কীভাবে আমরা নখ, গোঁফ, বগলের নিচের পশম, নাভির নিচের পশম কাটবো এই বিষয়গুলো পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ। আমরা আশাবাদী বক্ষমাণ বইটি পাঠ করলে অনুসন্ধিৎসু পাঠক দলীল ভিত্তিক এই বিষয়গুলো জানতে পারবে ।
▪️বই: ইসলামের সৌন্দর্য
▪️লেখক :সাইদুর রহমান
▪️প্রকাশনায় : আত-তাওফীক প্রকাশন
▪️পৃষ্ঠা : ৩২
▪️ কভার: পেপার ব্যাক
▪️মুদ্রিত মূল্য:৪৬
-----------------------------***-------------------------------
বই ৯- :মাতুরিদী আকিদা ও মানহাজ
📗মাতুরিদী ফির্কা:
এটি দীনের অন্তর্গত একটি যুক্তিবাদী বিদ‘আতী ফির্কা। তাদেরকে আবু মানসুর আল-মাতুরিদীর দিকে সম্পৃক্ত করা হয়। বাহ্যিকভাবে ফির্কাটির উত্থান হয়েছিল দীনের হাকীকত ও ইসলামী আকীদা প্রতিষ্ঠায়, তাদের প্রতিপক্ষ মু‘তাযিলা, জাহমিয়াহ ও অন্যান্যদের মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রমাণ এবং যুক্তিভিত্তিক ও তর্কশাস্ত্রীয় প্রমাণাদি ব্যবহার করার জন্য।
হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর শেষের দিকে আবু মানসূর আল-মাতুরিদীর হাত ধরে মাতুরিদী ফির্কার উত্থান শুরু হয় এবং এ ফির্কাটি মু‘তাযিলা ও অন্যদের সঙ্গে কঠিন বিতর্ককারী হিসেবে চিহ্নিত হয়। সে সময় মাতুরিদী কঠিনভাবে মোকাবেলা করছিলেন মু‘তাযিলা ও অন্যদের বিরুদ্ধে, তবে তার নীতি আশ‘আরীর নীতি থেকে ছিল ভিন্ন, যদিও তারা উভয়ে অনেক ক্ষেত্রে মিলে গেছেন, কিন্তু ঐতিহাসিক সূত্রগুলো তাদের উভয়ের মধ্যে সাক্ষাৎ অথবা পত্র যোগাযোগ অথবা একে অপরের গ্রন্থ সম্পর্কে অবগত হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করে না।
অতঃপর আবু মানসূরের কিছু ছাত্র তৈরি হয়, যারা তাদের শায়খ ও ইমামের চিন্তাসমূহ প্রসারে কাজ করেন এবং তার পক্ষে প্রতিরোধ করেন। আর তারা শাখাগত মাসআলায় (বিধিবিধানে) ইমাম আবু হানীফার মাযহাব অনুসরণ করে অনেক কিতাব রচনা করেন। সামারকান্দে মাতুরিদী ফির্কার আকীদা বিস্তারের এটিই মূল কারণ ছিল।
▪️বই :মাতুরিদী আকিদা ও মানহাজ
▪️মুল:ড.আব্দুল মাজীদ ইবন মুহাম্মাদ আল-ওয়া'লান।
▪️অনুবাদ-সম্পাদনা ও টীকা:
প্রফেসর ড.আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
▪️ প্রকাশনায়: আত্ তাওফীক প্রকাশন
▪️পৃষ্ঠা সংখ্যা:২৬৪
▪️কভার:হার্ডকাভার
▪️মুদ্রিত মূল্য:৪৫০৳
-----------------------------***-------------------------------
বই-১০:কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ আলোকে নফল ইবাদত
📔 আমাদের সমাজে দু’ধরনের লোক দেখতে পাওয়া যায়। কিছু রয়েছে যারা নফল ইবাদতের প্রতি তেমন গুরুত্ব দেয় না, শুধু ফরজ ইবাদতই পালন করে থাকেন ও যথেষ্ঠ মনে করেন। আবার কিছু রয়েছে যারা নফল ইবাদত এতটাই গুরুত্ব দেয় যে, নফল ইবাদত করতে গিয়ে সীমা অতিক্রম করে ফেলে। আবেগবশত, মনগড়া, ইচ্ছানুযায়ী নফল ইবাদত করে সেগুলো রাসূল (সা;) হতে প্রমাণিত নয়। আর যে ইবাদত রাসূল (সা;) হতে প্রমাণিত নয় তা ইবাদতই নয়, তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
মহান আল্লাহ তাআলা ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদতেরই নির্দেশনা দিয়েছেন। রাসূল (সা;) নিজে নফল ইবাদত করতেন ও সাহাবীদেরকে উৎসাহিত করতেন। নফল ইবাদতের মাধ্যমেই বান্দা মহান আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করে থাকে। বিচারের মাঠে নফল ইবাদত দিয়েই ফরজ ইবাদতের ঘাটতি পূরণ করা হবে।
যারা নফল ইবাদতে আগ্রহী, নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে চান, সৎ আমলের বিনিময়ে জান্নাত ও আল্লাহর সাক্ষাত পেতে চান, তাদের জন্য আমার এ “কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে নফল ইবাদত” বইটি সহায়ক হবে বলে মনে করছি। আর যারা নফল ইবাদতে অভ্যস্ত নয় তাদেরকে নফল ইবাদতে উদ্বুদ্ধ করতেও সহায়ক হবে ইনশা-আল্লাহ।
▪️বই:কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ আলোকে নফল ইবাদত।
▪️রচনায়:আবু মাহমুদ আব্দুল মান্নান
▪️সম্পাদনায়:শাইখ মুহাম্মাদ ইবরাহীম মাদানী।
▪️প্রকাশনায়: আত্ তাওফীক প্রকাশন
▪️পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৯২
▪️ কভার: পেপার ব্যাক
▪️মুদ্রিত মূল্য : ২৮৬ ৳
-----------------------------***-------------------------------
বই-১১: নিয়মিত কুরআন পড়ছেন তো?
📘 ভাই! নিজ হাতে এই কুরআন কতবার বহন করেছেন মনে আছে কী?
ভাই! মনে পড়ে কতবার চোখ বুলান আপনার রবের কিতাবে?
ভাই ! যার মাধ্যমে আল্লাহ আপনাকে সম্মানিত করেছেন সেই মহা সম্মানের দিকে আপনার দৃষ্টি নিবদ্ধ করার জন্যই কেবল এ প্রশ্নগুলো করেছি। আর তা হলো- নিজের উপর সহজ করে নিতে হবে কুরআন পড়া ও মুখস্ত করাকে। নতুবা-ভাই- বান্দার অন্তর তা বহনের শক্তি হারিয়ে ফেলবে। তা বহনে দুর্বল হয়ে পড়বে তাদের দেহ।
ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন : কোথায় মানুষের অন্তরের ক্ষমতা আর কোথায় পাহাড়ের ক্ষমতা! এতদাসত্তেও আল্লাহ তা‘য়ালা তা বহন করার জন্য তাঁর বান্দাদের মধ্য হতে যাকে যতটুকু ইচ্ছা দয়া ও অনুগ্রহস্বরূপ শক্তি দান করেছেন।
প্রিয় ভাই! এ সম্মান আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন। কারণ, যাতে আপনি তা বারংবার অধ্যয়নের মাধ্যমে সংরক্ষণ করতে পারেন। আর তা বর্ণনার মাধ্যমে আল্লাহ আপনার উপর কতই না অনুগ্রহ করেছেন! হিদায়াত ও ভ্রষ্টতার দুটো পথই আপনার সামনে খোলা। চাইলে প্রথম পথে চলতে পারেন। বেঁচে থাকতে পারেন দ্বিতীয় পথ থেকে।
▪️বই: নিয়মিত কুরআন পড়ছেন তো?
▪️মুল:আজহারী আহমাদ মাহমুদ
▪️অনুবাদ :আব্দুর রহমান আনোয়ার
▪️সম্পাদনা: শাইখ আব্দুল্লাহ শাহেদ মাদানী
▪️ প্রকাশনায়: আত্ তাওফীক প্রকাশন
▪️পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৩২
▪️ কভার: পেপার ব্যাক
▪️মুদ্রিত মূল্য :৪৬৳
-----------------------------***-------------------------------
বই -১২: ছোটোদের বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ﷺ
আল্লাহ তাআলা বলেন, রাসূলের মধ্যেই রয়েছে তোমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব । তিনি হলেন, সকল ধর্ম ও জাতির জন্য উত্তম আদর্শের প্রতীক । তাঁর জীবনাদর্শ ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অনুসরণীয়। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমরনীতি, শিক্ষানীতি, বিচারব্যবস্থায় ও ইবাদত বন্দেগীতে অবশ্য পালনীয়। বিশ্বনবীর অনুসরণে রয়েছে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি। পরকালীন নাজাতের জন্য বিশ্বনবীর জীবনাদর্শ জানা একান্ত জরুরি। কুরআন ও হাদীসের সঠিক মর্মার্থ বোঝার জন্য বিশ্বনবীর সীরাত জানতে হবে। সীরাতে রাসূলের জ্ঞান ছাড়া জ্ঞানীর জ্ঞান পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। এজন্য ছোটো-বড়ো নারী-পুরুষ সকলের জন্য বিশ্বনবীর সীরাত (জীবনী) পড়া আবশ্যক। সন্তানদেরকে নবীদের আদর্শে গড়ে তুলতে হলে নবীর জীবন চরিত জানতে হবে । প্রত্যেক মুসলিম পরিবারের ছেলে মেয়েদের জন্য রাসূলের সংক্ষিপ্ত জীবনাদর্শ জানতে ""ছোটোদের বিশ্বনবী মুহাম্মাদ(ﷺ)""বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী হবে বলে মনে করছি। এ বইটি অধ্যয়নের মাধ্যমে তারা বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। সোনামণিদের পাশাপাশি সকলের জন্য বিশ্বনবীর সীরাত সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান সাধিত হবে। কেননা এই ছোট্ট বইটিতে সংক্ষেপে রাসূলের পুরো জীবনচরিত তুলে ধরা হয়েছে।
▪️বই: ছোটোদের বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (ﷺ)
▪️সংকলন: আবু মাহমুদ আব্দুল মান্নান
▪️সম্পাদনা: শাইখ ড.জাকারিয়া বিন আব্দুল জলীল মাদানী
▪️প্রকাশনায়: আত্ তাওফীক প্রকাশন
▪️ কভার: পেপার ব্যাক
▪️পৃষ্ঠা: ৯৬
▪️মুদ্রিত মূল্য: ১২৩৳
-----------------------------***-------------------------------
বই-১৩: নব্য জাহিলীয়াত
'জাহেলী যুগ' নামটা শুনলেই হ্নদয়টা আঁতকে উঠে। ভেসে উঠে পনেরোশো বছর আগের সে-ই ভয়াবহ চিত্র। মানুষ কতটা পাষাণ, নিষ্ঠুর হ্নদেয়র অধিকারী হলে নিজ হাতে নিজ কলিজার টুকরো সন্তানকে হত্যা করতে পারে! একটাবারের জন্যও মায়া মমতা বিবেকের দ্বারে কড়ানাড়া দিত না। বর্বরতা, হিংস্রতা, জুলুম, অবিচার, বেহায়াপনা, অশ্লীলতায় টইটম্বুর ছিল জাহেলী যুগের সমাজ। জাহেলী যুগের কাজকর্ম, রীতিনীতি হুবহু আমাদের বর্তমান যুগে হচ্ছে। বরং যদি বলি আমাদের বর্তমান যুগ জাহেলী যুগকে হার মানিয়েছে তাহলে অত্যুক্তি হবে না। জাহেলী যুগের মানুষের রীতিনীতি নতুন আঙ্গিকে, নতুন রঙে রঙিন হয়ে আমাদের সমাজে জেঁকে বসেছে। মানুষ জানেই না যে সে জাহেলী যুগের মানুষের মতো বর্বর হিংস্র আচরণ করছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত লোক হচ্ছে তিনজন। যে লোক হারাম শরীফে অন্যায় ও অপকর্মে লিপ্ত হয়। যে লোক ইসলামী যুগে জাহিলী যুগের রীতিনীতি অন্বেষণ করে। যে লোক ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া কারো রক্তপাত দাবি করে। (বুখারী, হা/৬৮৮২)
বক্ষমাণ বইয়ে প্রথমে আমরা জাহেলী যুগের রীতিনীতি, কাজ কর্ম তুলে ধরেছি। তারপর বর্তমান যুগের মানুষের রীতিনীতি যে হুবহু জাহেলী যুগের মানুষের রীতিনীতির মতো তা-ও তুলে ধরারা হয়েছে ।
▪️বই: নব্য জাহিলীয়াত
▪️লেখক: সাইদুর রহমান
▪️সম্পাদনা: শাইখ সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী
▪️প্রকাশনায়:- আত্ তাওফীক প্রকাশন
▪️পৃষ্ঠা :-১২০
▪️ কভার: পেপার ব্যাক
▪️মুদ্রিত মূল্য:-১৭৬