09/08/2025
বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতির আরেকটা অধ্যায় নতুন করে লেখা শুরু হয়ে গেছে, যে ইয়াং জেনারেশন রাজনীতি বিমুখ ছিল-- ২৪ তাদের রাজনীতি সচেতন করে তোলে এবং রাষ্ট্র, রাজনীতি, এবং রাজনীতিবিদের নানা প্রশ্ন করা শুরু করে!
যা রাজনীতিবিদের শঙ্কিত করে তুলছে, কারণ তাদেরকে যৌক্তিক কারণে কেউ কখনও প্রশ্ন করেনি, তাদের অধিকার নিয়ে তারা কথা বলেনি, তাদের লুটপাট, ক্ষমতার দাম্ভিকতা, ক্যাডার রাজনীতি নিয়ে প্রকাশ্য তাদের সাম্রাজ্যকে আঘাত করার সাহস কেউ করেনি। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম তাদের সাম্রাজ্যের প্রতি বার বার প্রশ্ন, তাদের ক্ষমতাকে প্রশ্ন করছে, তাদের কোন যৌক্তিক উত্তর নাই তারা দিশে হারা হয়ে পরেছে। ..
এভাবে চলতে দিলে তারা আর কোন দিন, তাদের ক্ষমতার রাজনীতি, বাহুবলি, ক্যাডার, সন্ত্রাস কেন্দ্রিক রাজনীতি করতে পারবে না! তাহলে এর পরিত্রাণ কি?
এদের নতুন প্রজন্মের রাজনীতি, দেশকে নিয়ে চিন্তা করার আকাঙ্ক্ষাকে অংকুরেই ধ্বংস করে দাও। যেন তারা আর কোন দিন মাথা উঁচু করে কথা বলার সাহস না করে। (যেমনটা আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোকে পালতু বানায় রাখছিল-- শাড়ি আর চুরি প্রায় গত ১৬-টা বছর) রাজনীতি শুধু তাড়াই করবে যারা ক্যাডার-গুণ্ডা কিংবা গ্যাংস্টার নেতার পালতু কুকুর হয়ে থাকতে পারবে...। ..
তাহলে এটার সুন্দর ট্যাম্পেল্ট কি হতে পারে? শিক্ষার্থীদের জাতীয় ঐক্যকে, দলীয় ফান্ডামেন্টাল দিয়ে প্রতিস্থাপন করে দাও। একে ওপরের বিরুদ্ধে, অন্যায় ভাবে বিরুদ্ধাচার, মিথ্যাচার করে সাধারণ জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি কর। চলে আশা জমিদারদের ন্যায় পাল বানায় দাও সবকিছু করার ফ্রি লাইসেন্স দিয়ে, মুখ মুখি দার করে দাও।
ব্যাস এখন শুধু বসে বসে আলু পোড়া খেত থাক বাকিটা নিজেরাই নিজেদের সমূলে নষ্ট করে দিবে। মাঝে পানিটা একটু ঘোলা করে সেখানে বিষ বাষ্প বপন করে দিতে পারলেই ব্যাস পুরো ক্যাল্যা ফতে...
কোন রাজনীতিক দল এবং নেতার সৎ ইচ্ছা দেখা গেল না...! ঐক্যকে ধরে রাখার জন্য... একে ওপরকে আগলে রাখার ব্যাপারে। ..
৩৬- জুলাই, মনসুন বিপ্লবের এক বছর যেতে না যেতে পুরো দেশকে চিরে খেয়ে ফেলা গেল বসে বসেই। (আর আওয়ামী লীগের কিছুই করার লাগল না, যেখানে তাদেরি মুখ্য ভূমিকা রাখার কথা। কারণ তাড়াই তাদের পতনের মুখ্য অংশ।)
দেশকে নতুন ভাবে গড়ে তোলার এত সুন্দর একটা সুযোগ আমরা হারালাম হেলায়। যেখানে পোর খাওয়া প্রজন্ম, এবং নতুন প্রজন্ম একে ওপরের লিগ্যাসি বহন করার কথা, ... সেখানে সেই পোর খাওয়া বুইড়া ভাম রা নিজের স্বার্থ, দলান্ধতাকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে-- রাষ্ট্র বিনির্মাণে অংশগ্রহণের পরিবর্তে।
লাভের খাতায় একটাই আওয়ামী লীগের ছেড়ে যাওয়া খালি জুতায় পা দিতে গিয়ে নিজেরাই আওয়ামী লীগ হয়ে যাচ্ছে সবাই।
আগষ্ট ১০, ২০২৫
কে ব্রত রায়