01/04/2024
ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি এবং হুর ইবনু কায়স ইবনু হিসন আল-ফাযারীর মধ্যে মূসা (আ)-এর সম্পর্কে বাদানুবাদ হলো। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বললেন, তিনি ছিলেন খিযর। ঘটনাক্রমে তখন তাদের পাশ দিয়ে উবাঈ ইব্ন কা’ব (রাযি.) যাচ্ছিলেন। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) তাঁকে ডাক দিয়ে বললেনঃ আমি ও আমার এ ভাই মূসা (আ)-এর সেই সহচর সম্পর্কে বাদানুবাদ করছি যাঁর সাথে সাক্ষাত করার জন্য মূসা (আ) আল্লাহর নিকট পথের সন্ধান চেয়েছিলেন- আপনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তাঁর সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি,
একদা মূসা (আ) বনী ইসরাঈলের কোন এক মাজলিসে উপস্থিত ছিলেন। তখন তাঁর নিকট জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, ’আপনি কাউকে আপনার চেয়ে অধিক জ্ঞানী বলে মনে করেন কি?’ মূসা (আ) বললেন, ’না।’ তখন আল্লাহ্ তা’আলা মূসা (আ)-এর নিকট ওয়াহী প্রেরণ করলেনঃ ’হ্যাঁ, আমার বান্দা খিযর।’ অতঃপর মূসা (আ) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য পথের সন্ধান চাইলেন। অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা মাছকে তার জন্য নিদর্শন বানিয়ে দিলেন এবং তাঁকে বলা হল, যখন তুমি মাছটি হারিয়ে ফেলবে তখন ফিরে যাবে। কারণ, কিছুক্ষণের মধ্যেই তুমি তাঁর সাথে মিলিত হবে। তখন তিনি সমুদ্রে সে মাছের নিদর্শন অনুসরণ করতে লাগলেন। মূসা (আ)-কে তাঁর সঙ্গী যুবক (ইউশা ইবনু নূন) বললেন,
(কুরআন মজীদের ভাষায়ঃ) আপনি কি লক্ষ্য করেছেন আমরা যখন পাথরের নিকট বিশ্রাম নিচ্ছিলাম তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম? শয়তানই তার কথা আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল। মূসা বললেন, আমরা তো সেটিরই সন্ধান করছিলাম। অতঃপর তারা নিজেদের পদ চিহ্ন অনুসরণ করে ফিরে চলল। (সূরাহ্ কাহ্ফ ১৮/৬৩-৬৪)
তাঁরা খিযরকে পেলেন। তাদের ঘটনা সেটাই, যা আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর কিতাবে বিবৃত করেছেন। (২২৬৭, ২৭২৮, ৩২৭৮, ৩৪০০,৩৪০১, ৪৭২৫, ৪৭২৬, ৪৭২৭, ৬৬৭২, ৭৪৭৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪)