Quicktvbd.com

Quicktvbd.com Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Quicktvbd.com, Media/News Company, House-10 (GFlr), Road-28, Block-K, Banani, Dhaka.

কাতার ------মধ্যপ্রাচ্যের মরুময় দেশ কাতার নয়, নামাজের কাতার সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কিছু অনুভূতি প্রকাশ করতে চাই।  আমরা ...
12/01/2025

কাতার
------
মধ্যপ্রাচ্যের মরুময় দেশ কাতার নয়, নামাজের কাতার সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত কিছু অনুভূতি প্রকাশ করতে চাই। আমরা যে কোন নামাজ জামাতে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে পড়ি। কাতার বা লাইন সোজা করে নামাজ পড়ি। এই কাতার বা লাইনে হরেক কিসিমের মানুষ দাঁড়াতে পারে। এখানে কোন প্রটোকল নেই, বাধা নিষেধ নেই। কাতারে দাঁড়ানো আল্লাহর কাছে সব বান্দাই সমান। অতিতে রাজা,বাদশা, উজির নাজির,সম্রাট, নবাব, জমিদার সহ ফকির মিসকিন, চোর ডাকাত, বাটপার, খুনি ধর্ষণকারী, গুন্ডা পান্ডা, অর্থ পাচারকারী, গণতন্ত্রকামী অথবা স্বৈরাচার ইত্যাদি যে কেউ একই কাতারে সমবেত হয়ে নামাজ পড়ার অধিকার রাখে।

কিন্তু ঈমাম ? ঈমাম যে কেউ হতে পারবে না। সার্বজনীনভাবে নিষ্কলুষ চরিত্রের মানুষের পিছনে আমরা নামাজ পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। সকল মুসল্লিদের প্রত্যাশা থাকে, যার ঈমামতিতে, পিছনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ব তিনি যেন মর্যাদাবান ব্যক্তি হন। কোন চিহ্নিত, প্রমাণিত, সাজাপ্রাপ্ত আসামি যদি নামাজের ঈমামতী করে তাহলে তার পিছনে '' একতো দায়তো বেহাজাল ঈমাম'' বলে নিয়ত করতে কি আপনি অন্তর থেকে সাড়া পাবেন? মন থেকে একজন জুলুমবাজ, অন্যায়কারী অথবা বিতর্কিত ব্যক্তির পিছনে দাঁড়িয়ে, তাকে ঈমাম মেনে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নামাজ পড়তে আপনি কি সাব্যস্ত করবেন ? জানি করবেন না।

এটাতো গেল নামাজের কথা। মন্দিরে পূজা করতে পুরোহিত, গির্জায় প্রার্থনা করতে এমন দুষ্ট চরিত্রের পাদ্রীর নেতৃত্বে প্রার্থনা কেউ করবে ? না জেনে করতে পারে। কিন্তু জ্ঞাতসারে পবিত্র অনুভূতি সৃষ্টিতে কোন বিতর্কিত ঈমাম, পুরোহিত অথবা পাদ্রীর নেতৃত্বে কেউ ইবাদত করতে চায়না। আমিও চাইনা।

কিন্তু নামাজ বা যেকোন ইবাদত, উপাসনাতো করতে হবে। তাহলে উপায় কি ?

উপায় কিন্তু সহজ। হয় বিতর্কিত ঈমাম বদলাতে হবে। নতুবা একা একাই নামাজ বা যে কোন প্রার্থনা করতে হবে। বিতর্কিত ঈমামের অজুহাতে নামাজ বা উপাসনা বাদ দেয়ার কোন অবকাশ নেই। শুধু নামাজ বা যেকোন উপাসনার জন্যেই নয়, ঈমাম বা নেতাকে হতে হয় নির্ভেজাল, নিস্কলুষ ও বিতর্কমুক্ত। আমি নির্ভেজাল, নিস্কলুষ ও বিতর্কমুক্ত ঈমাম ছাড়া ভেজালী ইমামের পিছনে কাতারে দাঁড়াতে চাইনা।

আমিন।

লুৎফর রহমান।
১২/১/২০২৫ বিকাল ৪.৪৫

বেবু ভাই এই প্রথম মেট্রোরেলে উঠলেন----আজ পল্টনে আমার অফিসে বেবু ভাই এসেছিলেন। কথা শেষে অফিস থেকে ফেরার পালা। বেবু ভাই বল...
06/12/2024

বেবু ভাই এই প্রথম মেট্রোরেলে উঠলেন----

আজ পল্টনে আমার অফিসে বেবু ভাই এসেছিলেন। কথা শেষে অফিস থেকে ফেরার পালা। বেবু ভাই বললেন - মেট্রোরেলে আমি কখনো উঠিনি। আমি বললাম উঠেন আজকে। তারপর --একসাথে মতিঝিল টু উত্তরা উত্তরের পথে আগারগাঁও এ নামলেন বেবু ভাই। আমি নামলাম -মিরপুর-১১ তে।

মেট্রোরেলে উঠে বেবু ভাইকে বললাম , জীবনের প্রথম সাবওয়েতে উঠেছি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে। ১৯৯১ সালে। আজ থেকে ৩৩ বছর আগে। সিউলে সাবওয়ে চলত, মাটির নীচ দিয়ে। ঢাকায় মেট্রো চলে অনেক উঁচু দিয়ে। পার্থক্য শুধু এটুকুই-----

০৫.১২.২০২৪/ রাত ৮.২০

খুব মিস করি লেখালেখি। মিস করি মাঝ রাত গান শুনতে শুনতে ধূসর অতিতে চলে যাওয়া। মাঝে মাঝে নিজেই নিজেকে অভিযুক্ত করি -তুমি কে...
24/10/2024

খুব মিস করি লেখালেখি। মিস করি মাঝ রাত গান শুনতে শুনতে ধূসর অতিতে চলে যাওয়া। মাঝে মাঝে নিজেই নিজেকে অভিযুক্ত করি -

তুমি কেমনে এত নিঠুর হইলা
অন্তর পোড়াইয়া
ভালোবাসার সব শিখাইয়া
না চাইলা ফিরিয়া---

পাদটীকাঃ শেখ হাসিনা নিজেই দাবি করেছিল তার আন্দোলনের ফসল ছিল ২০০৭ সালের ১/১১ মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার। সেই থেকে শুরু হলো এক ভিন্ন জীবন। নিজেকে হারায়ে খুঁজেছি অগণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের চারণভূমি এই বাংলাদেশে। আমরা যারা গণতন্ত্রের কর্মী ছিলাম - আমাদের জীবন থেকে ১৭ টি বছর কেড়ে নেয়া হলো। এই ১৭ বছর ছিল যৌবনের শ্রেষ্ট মুহূর্ত।

এই ১৭ বছরের অখন্ড অবসরে কলম তুলে নিয়েছিলাম। শুধু লিখেই গিয়েছি। প্রকাশিত ৪ টি গ্রন্থ সহ অগোছালো লেখার পরিমান প্রায় ২০ টি গ্রন্থের সমান। কিন্তু জুলাই ৩৬ -২০২৪ এর পর আর লেখার সুযোগ পাইনা। গানও শোনা হয়না। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া বাংলাদেশ মেরামত করা এখন অতীব জরুরি।

১৫.২৪.২০২৪/রাত ১১.৪৩

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে কুড়িগ্রামে শুরু হোক নতুন এক পথচলা - আছি কুড়িগ্রামে। যারা দেখা করতে চেয়েছেন, দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
18/10/2024

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে কুড়িগ্রামে শুরু হোক নতুন এক পথচলা - আছি কুড়িগ্রামে। যারা দেখা করতে চেয়েছেন, দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।

18/10/2024
তারেক রহমানঃ একজন অগ্নিপুরুষ --------------------------------------ফিলিপস নিকলসন ইংরেজী ভাষার এক অনবদ্য থ্রিলার লেখক। কি...
15/10/2024

তারেক রহমানঃ একজন অগ্নিপুরুষ
--------------------------------------
ফিলিপস নিকলসন ইংরেজী ভাষার এক অনবদ্য থ্রিলার লেখক। কিন্তু তিনি ছদ্মনামে লিখতেন। ছদ্মনামেই তিনি বিশ্বব্যাপি পরিচিতি লাভ করেছেন এ জে কুইনেল (A. J. Quinnell) হিসাবে। জগৎ জোড়া থ্রিলার এই লেখক বাংলাদেশে ব্যাপক পরিচিত সেবা প্রকাশনীর কাজী আনোয়ার হোসেন ও কথার জাদুকর হুমায়ুন আহমেদ এর কারণে।

এ জে কুইনেল এর একটি কাহিনী ৮০ এর দশকের শেষ দিকে কাজী আনোয়ার হোসেন সম্পাদিত রহস্য পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয় জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর অনূদিত গল্পের শিরোনামে। গল্পের কাঠামো এ. জে. কুইন্যালের ''ম্যান অন ফায়ার'' (বাংলা অর্থঃ ''অগ্নিপুরুষ'') থেকে নেয়া। কাঠামোগত সামান্য মিল সহ হুমায়ুন আহমেদ এই কাহিনী ভিন্ন নামে উপন্যাসে রূপদান করেন ২০০৪ সালে।

কিন্তু এ জে কুইনেল এর ''ম্যান অন ফায়ার'' সেবা প্রকাশনীর মাধ্যমে কাজী আনোয়ার হোসেন মূল কাহিনী সরাসরি ছায়া অবলম্বনে প্রকাশ করেন মাসুদ রানা সিরিজের ১৩৫ তম সিরিজ কাহিনী অগ্নিপুরুষ -১ ও ১৩৬ তম সিরিজ কাহিনী অগ্নিপুরুষ- ২ শিরোনামে।

বাংলা সাহিত্যের অসংখ্য পাঠক মনে করেন এ জে কুইনেল এর ''ম্যান অন ফায়ার'' বা ''অগ্নিপুরুষ'' সর্বাধিক পঠিত বাংলা লেখনী। এমনকি একই কাহিনী একাধিকবার পাঠ করার ক্ষেত্রে এই অগ্নিপুরুষ শীর্ষে অবস্থান করছে।

বাংলাদেশের সমকালীন রাজনীতিতে শ্রেষ্ঠ আলোচিত নাম তারেক রহমান। যিনি কৈশোর ও তারুণ্যের সময়গুলোতে পারিবারিক কারণে অবস্থান করেছেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জোষ্ঠ্য সন্তান হিসাবেই শুধু নয় - বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাসিত একজন মজলুম নির্যাতিত নেতা হিসাবে ভিন্ন মেজাজের এক পজেটিভ নেতৃত্ব দিয়ে গোটা দুনিয়াকে চমকে দিয়েছেন।

তারেক রহমান ! যার শিশুবস্থায় গোচরোভিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ-৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জিয়ার ঐতিহাসিক ঘোষণা, যার পিতা যুগ সন্ধিক্ষণের কালপুরুষ হয়ে বিভৎস এক বাকশালীয় বাংলাদেশকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের বাংলাদেশ বানিয়েছিলেন। তারেক রহমান আরও চাক্ষুষ করেছেন কিভাবে প্রেসিডেন্ট জিয়া মাত্র ৫ বছরেই তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশকে শস্য দানায় ভরপুর এক ঝুড়িতে পূর্ণ করেন।

মাত্র ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোর তারেক রহমান আরও মাসুম একমাত্র ছোটভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো'কে নিয়ে কি মর্মান্তিকভাবে এতিম হয়ে গেলেন ১৯৮১ সালের ৩০ মে।

এরপরের ঘটনাগুলো সেলুলয়েডের ফিতার মত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তারেক রহমানকে ৪৫ বছর পর আজকের এই এক ''অগ্নিপুরুষ'' এ পরিণত করেছে -তা কেবল বিশাল এক ক্যানভাস ছাড়া আর কোন ভাবেই প্রকাশিতব্য নয়।

আমি এ জে কুইনাল নই। কল্পনার ফানুসে ভর করে আমি কোন থ্রিল বা একশনে ভরা কাহিনী লিখতে বসিনি। আমি যা লিখতে শুরু করলাম, জানিনা কখনো শেষ করতে পারব কিনা ? কিন্তু আমি আল্লাহর নামে শুরু করলাম। লিখতেই থাকব ইনশাআল্লাহ !

কখনো কি গভীরভাবে ভেবেছেন,পিতা শহীদ জিয়াকে হারানোর পর এই ৪৫ বছর যাবৎ কিভাবে কেটে গেছে তারেক রহমান এর ? কৈশোর থেকে তারুণ্য, তারুণ্য থেকে আজকের এই তারেক রহমানের জীবনে বহতা নদী কতবার বাঁক নিয়েছে ?

বিগত ৪৫ বছর থেকে শেষের এই দেড় যুগ বা বিগত ১৫ বছরের অধিক নির্বাসিত জীবনের কথা ভাবুন ? সুদূর লন্ডন থেকে বাংলাদেশের জন্যে তার প্রতিটি মুহূর্ত ব্যয়ের পরিসংখ্যান চিত্র বা গ্রাফ তৈরী করুন ? কি দেখতে পাবেন ? দেখতে পাবেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সার্বক্ষণিক শ্যেন দৃষ্টিকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বিএনপি ও অতঃপর বাংলাদেশকে হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ সৃষ্টিতে এক অগ্নিপুরুষের ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছেন।

Tarique Rahman : The Man On Fire (তারেক রহমানঃ দ্য ম্যান অন ফায়ার) অথবা ''তারেক রহমানঃ একজন অগ্নিপুরুষ'' সম্পর্কে তথ্য নির্ভর ঐতিহাসিক এক দলিলনামা সৃষ্টিতে হাত দিলাম। আপনারা সকলে পাশে থাকবেন, পূর্বের গ্রন্থগুলো সৃষ্টিতে যে সাহস জুগিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন, সে আশায় এই কঠিন যাত্রার সহযাত্রী হিসাবে আমার সকল সতীর্থ, সাথী, বন্ধু, সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধু, অতঃপর দেশ দুনিয়াব্যাপি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সকল ভাইবোনের দোয়া চাই। আল্লাহর রহমত চাই। আমিন।

-লুৎফর রহমান।
১৬.১০.২০২৪ খ্রিস্টাব্দ /রাত ১২.৪৫

খলিলুর রহমান -লাভলু পাটোয়ারী আর নেই। ----------------------------------------------ঘুম থেকে উঠে বিছানায় শুয়ে মোবাইল স্ক্...
12/10/2024

খলিলুর রহমান -লাভলু পাটোয়ারী আর নেই।
----------------------------------------------
ঘুম থেকে উঠে বিছানায় শুয়ে মোবাইল স্ক্রিনে দেখলাম লাভলু আর নেই -ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন পড়লাম। ফেসবুকের নিউজ ফিডে আর কিছু পড়তে পারলাম না। চোখের কোনা দিয়ে নোনা জল বালিশ ভিজিয়ে দিচ্ছে। এরমাঝেই তাৎক্ষণিক ভাবে কুড়িগ্রাম থেকে বেবু ভাই ফোন করল। আমি কথা বলতে পারছিনা। আমার কথায় কান্নার জড়তা।

লাভলুর অন্য কিছু হওয়ার ছিল। সে পুলিশে সাব- ইন্সপেক্টর এর চাকুরী কেন করেছিল সে শুধু আমি জানি। লাভলু ছিল মানবিক এক পুলিশ।

ডিএমপির শাহ আলী থানার ওসি, সূত্রাপুর থানার ওসি - আরও কত কি হলো। সে ছিল আমার নিয়মিত যোগাযোগের মধ্যে।

লাভলু আর আমি ৮৩ এর এসএসসি - কারমাইকেল কলেজের মেধাবী ছাত্র লাভলু আমার এক বছর পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগে ভর্তি হলো। আমারই জহুরুল হক হল এটাচ্ড। এরপরে জিয়া ও মুজিব হল চালু হলে উলিপুরের সাঈদ আর লাবলু জিয়া হল ও মুজিব হলে চলে গেল।

এস এস সি তেরাশিয়ান হলেও ঢাবিতে এদের আমি একবছর সিনিয়র হওয়ায় এরা হয়ে গেল আমার ছোট ভাই। আপন ভাইয়ের চেয়েও বেশি। প্রথমে চলে গেল সাঈদ আর গতকাল চলে গেল লাভলু পাটোয়ারী।

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার নাজিমখাঁ ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী পাটোয়ারী পরিবারের সুসন্তান খলিলুর রহমান পাটোয়ারী -লাভলু পুলিশের ইন্সপেক্টর পদে সুনামের সাথে চাকুরী করেছিল। মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছিল। না। ফেরার দেশে সে যেন থাকে পরম শান্তিতে। আমিন।

-লুৎফর রহমান।
১২.১০.২০২৪

কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির কমিটি এই মাত্র ভেঙে দেয়া হয়েছে।
06/10/2024

কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির কমিটি এই মাত্র ভেঙে দেয়া হয়েছে।

14/09/2024

সাত্তার এই দ্বার আজ কেন রুদ্ধ
ঐখানে বসে আছে গৌতম বুদ্ধ।

পাদটীকাঃ বিএনপির রাজনীতি করতে এসে প্রথমতঃ সাত্তার নামটির সংগে বিশেষভাবে পরিচিত ছিলাম এই কারণে যে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর তাঁরই উপ-রাষ্ট্রপতি প্রয়াত বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিচারপতি সাত্তার নিঃসন্তান এবং একজন সৎ মানুষ ছিলেন।

কিন্তু জনগণ এবং রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ আমানত রক্ষায় তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। এরশাদের বন্দুকের নলের ডগায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বিনা রক্তপাতের এক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করেন এরশাদের কাছে।

এই ইতিহাস অনেকেরই জানা কিন্তু প্রয়াত একজন মানুষ কখনো ইতিহাসের পাতা থেকে আলোচনা বা সমালোচনা থেকে রেহাই পাননা। ইতিহাস উম্মোচিত হয় সত্যের আলোকে। যদিয় ধর্মীয়ভাবে মৃত ব্যক্তির সমালোচনা সঠিক নয়। কিন্তু ইতিহাস তো ইতিহাসই। বিচারপতি সাত্তারের ইতিহাস রচিত হয়েছে এবং আরও হবে।

সাত্তার নামে বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষের নাম আছে। মুসলিম সম্প্রদায়ে এই নামটি এসেছে আল্লাহর গুনবাচক নাম থেকে। এর অর্থ ''দোষ গোপনকারী''। সাত্তার নামের আরবি অর্থ জেনে একটা ধাক্কা খেলাম। যে নিজেই অন্যের দশ গোপনকারী তার দোষ বা সমালোচনা করা কি ঠিক ? ঠিক না। অন্ততঃ আমার কাছে ঠিক না।

সম্প্রতি আমার চারিদিকে, আমার রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সাত্তার নামটি খুব আলোচিত হচ্ছে। আলোচনা যেখানে থাকে তার সংগে ওৎপ্রোতভাবে সমালোচনাও জড়িয়ে থাকে। কাজেই তাকে নিয়েও সমালোচনা করার ইচ্ছা আমার আর থাকে কিভাবে ?

কিন্তু ইতিহাস কাউকে রেহাই দেয়না। নামের অর্থ ধর্মীয় ব্যারিকেড এ যাহাই থাকুক - ইতিহাসে প্রকৃত সত্যটাই উঠে আসবে। যেকোন সাত্তারই হোক না কেন ঐতিহাসিক কোন ভূমিকার অংশীদার হলে তাকে তার সফলতা অথবা ব্যর্থতার খতিয়ান উপভোগ করতে হবে। তাই বলছি -

সাত্তার এই দ্বার আজ কেন রুদ্ধ
ঐখানে বসে আছে গৌতম বুদ্ধ।

যতই দ্বার রুদ্ধ হোক - সাত্তারদের মনে রাখতে হবে, গৌতম বুদ্ধই হোক, ঈশ্বরই হোক অথবা জনগণের মাঝে বিরাজমান প্রকৃতি বিধাতাই হোক, কাউকে ফাঁকি দিয়ে,কর্তব্যে অবহেলা বা ত্রুটি রেখে রিলাক্স পাওয়ার কোন অবকাশ নেই। দ্বায়িত্বের হিসাব নিকাশে ইতিহাস চুলচেরা বিশ্লেষণ করবে। খুব অচিরেই।

- লুৎফর রহমান।
১৫.০৯.২০২৪/ রাত ১২.৩৪

13/09/2024

তোমারি পথ পানে চাহি
আমারি পাখি গান গায়
শিশির নীরে অবগাহি
কানন পথ ফুলে ছায়।

চাকুরীজীবি বনাম রাজনীতিবিদদের দুর্বৃত্তায়ন -------------------------------------------------বাংলাদেশে দুর্নীতির মচ্ছব যে...
12/09/2024

চাকুরীজীবি বনাম রাজনীতিবিদদের দুর্বৃত্তায়ন
-------------------------------------------------
বাংলাদেশে দুর্নীতির মচ্ছব যেন থামবেইনা। সরকার যায় সরকার আসে। কিন্তু দুর্নীতিবাজ ঘুষখোররা বহাল তবিয়তে থেকে যায়। প্রতিমুহূর্তে ঘুষখোরদের সরব অবস্থান দেশবাসী দেখে আসছে। একজন অন্ধকেও ঘুষের রাজ্য অনুভব করতে হয় প্রতি পদে পদে । ঘুষ, দুর্নীতি আর অনিয়মের সঙ্গে বাংলাদেশের যেন এক নিবিড় সহাবস্থান সৃষ্টি হয়ে আছে।

আমলা বা চাকুরীজীবি বনাম রাজনীতিবিদদের দুর্বৃত্তায়নের রকমফের একটু ভিন্ন রকম। রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি বা ঘুষের হিস্যার অনেকটাই চলে যায় দলীয় নেতাকর্মী অথবা জনগণের পিছনে। যারা নির্বাচনের রাজনীতি করেন তাদেরতো প্রচুর টাকা ব্যয় করতে হয় নিয়মিতভাবে। কিন্তু আমলা বা চাকুরীজীবির ঘুষ বা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের ভাগ তেমন কাউকে দিতে হয়না। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে রাজনীতিবিদদের উপরই ধকলটা যায় বেশি। জেল জুলুম অথবা পলাতকা জীবনের স্বাদ গ্রহণ করতে হয় রাজনীতিবিদদের।

আমলারা সোনার চামুচ মুখে নিয়ে যেন জন্ম গ্রহণ করেছে। অঢেল সম্পদ অর্জনের ভর্তুকিমাত্রা তাদের জন্যে খুবই কম। একটু সময় পেলেই এরা নিজেদের খোলস পাল্টিয়ে প্রবাহমান স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়। খুব দ্রুতই আমলারা মিশে যেতে পারে দিন বদলের দিনে।

দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ চাকুরীজীবীরা। এরাই নষ্টের গোড়া। রাজনীতিবিদদেরকে ঘুষের রাজ্য তৈরীতে চাকুরীজীবীরাই প্রধান কারিগরের ভূমিকায় অবতীর্ন হয়। আমলা চাকুরিজীবীদের সমন্বয়ে দুর্নীতির মচ্ছব সৃষ্টি হয় সারাদেশময়।

প্রজাতন্ত্রের সেবক বা রক্ষকরাই ভক্ষকে পরিণত হওয়ার খেসারত দেশবাসীকে দিতে হয়। দেশকে শূন্য ঝোলায় পরিণত করেও দুর্নীতিবাজদের যেন আশ মিটেনা। এবারের আন্দোলনে মানুষ দুর্বৃত্তদের পতন দেখতে চেয়েছিল। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের পতন কিছুটা দৃশ্যমান হলেও এখনো বহাল তবিয়তে আছে দুর্বৃত্ত, দুর্নীতিবাজ আমলারা। এদের বিরুদ্ধে আরেকটা যুদ্ধ বড়ই আবশ্যক। এই দেশটাকে যারা আমাদের দেশ মনে করে তাদের উচিত দুর্বৃত্তমুক্ত বাংলাদেশ তৈরিতে আরেকটি যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুতি নেয়া।

-লুৎফর রহমান।
১২.০৯.২০২৪/ রাত ১০.৩৫

12/09/2024

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া : শুরু থেকেই লেজে গোবরে অবস্থা
-----------------------------------------------------------------------
নতুন নিয়োগ পাওয়া ৫৯ জন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তাদের বেশির ভাগই সদ্য বিদায়ি আওয়ামী লীগ সরকারের অতি ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। এর মধ্যে অনেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মেয়র এবং তৎকালীন সরকারের আস্থাভাজন দলবাজ সচিবদের পিএস (একান্ত সচিব) হিসাবে কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরকারের কাছে সরবরাহ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে ৫৯ জন ডিসি নিয়োগ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা। তাদের মতে, এ বঞ্চিতদের মধ্য থেকে অপেক্ষাকৃত দক্ষ, মেধাবী ও সৎ কর্মকর্তাদের ডিসি পদে নিয়োগ দেওয়া হোক।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে অনিয়মের বিষয় স্বীকার করে গত দুই দিনে নয়জনের নিয়োগ বাতিল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি চারজন ডিসির জেলা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। ডিসি নিয়োগে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের হট্টগোল বিশৃঙ্খলা ও অশোভন আচরণ হিসাবে গণ্য করে তা তদন্তে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদকে প্রধান করে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

উল্লিখিত বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বুধবার নিজ দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গণমাধ্যম এবং এজেন্সির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আমরা ৮ জন ডিসির নিয়োগ বাতিল করেছি। এর আগে মঙ্গলবার একজন ডিসির নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। তারা কর্মস্থলে যোগদানের আগেই নিয়োগ বাতিল করা হলো। তাদের বিষয়ে নিয়োগ কমিটিতে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। আমাদের মধ্যে দুষ্ট লোকের তো অভাব নেই।

সচিব আরও বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ডিসি পদে নিয়োগ বঞ্চিতদের করা হট্টগোল একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তিনি বিষয়টিকে বিশৃঙ্খলা ও অশোভন আচরণ হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটল তার কারণ জানতে ওই কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তারপর বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সচিব আরও বলেন, বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে ডিসি নিয়োগ-পূর্ব সাক্ষাৎকার গ্রহণ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে ৮ জন ডিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০ দিন যাবত যাচাই-বাছাই শেষে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হলো, তারপরও কেন এমন ঘটনা ঘটল এমন প্রশ্নে জনপ্রশাসন সচিব বলেন- তথ্যে বিভ্রান্তি, কমিউনিকেশর গ্যাপ তাই এমনটি হয়েছে। যাকে যে তথ্য দিতে বলা হয়েছে, সে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। অথবা ডিসি হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার পর ওই তথ্য আমাদের হাতে এসেছে।

এত সব যাচাই-বাছাইয়ের পরও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা কি পদোন্নতি কিংবা ডিসি হিসাবে নিয়োগ পায়-এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, আমরা কি সবাই ভালো মানুষ। আমাদের ভুল তথ্য দিয়েছে কিংবা সঠিক তথ্য গোপন করেছে। আমরা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছি। যথেষ্ট সচেতন। তারপরও মানুষ হিসাবে ভুল হতেই পারে। কোথাও কোনো অনিয়ম থাকলে ধরিয়ে দেবেন, ব্যবস্থা নেব।

সাবেক সরকারের সময় তৈরি করা ফিটলিস্টের ছয়জন কর্মকর্তাকে ডিসি হিসাবে কীভাবে পদায়ন করা হলো-এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, যারা আমাদের সাচিবিক সহায়তা দেয় এসব তাদের কাজ। তারা এসব করে। যাচাই-বাছাই করে আমরা ১০৬ জনের ফিটলিস্ট তৈরি করেছি। এর মধ্যে যদি কারও কোনো খারাপ তথ্য আমাদের দেবেন, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দাবি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমাদের সন্তানদের রক্তের বিনিময়ে এ সরকার এসেছে। নতুন সরকারের এ কয়েক দিনের মধ্যে আমরা তিন শতাধিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছি। তারা তিন দিনের মধ্যে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আমরা তো কাজ করছি। এক প্রশ্নে জবাবে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় শূন্য থাকা সাত সচিব পদে শিগগিরই নিয়োগ দেওয়া হবে। এদের সবাইকে কর্মরত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নেওয়া হবে।

বঞ্চিতদের দাবি : গত সাড়ে ১৫ বছরে বঞ্চিত কর্মকর্তারা বুধবার সাংবাদিকদের জানান, ডিসি নিয়োগের জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপন আজকের (বুধবার) মধ্যে বাতিল করতে হবে। কারণ এ নিয়োগে সদ্য বিদায়ি সরকারের সময় সচিব, সিনিয়র সচিবদের একান্ত সচিবরা নিয়োগ পেয়েছেন। ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করা ব্যক্তিরা ডিসি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তাদের অনেকেই বিগত সরকারের সময় প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে দলবাজিতে লিপ্ত ছিলেন। পাশাপাশি কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে। তার প্রমাণ হলো- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত দুই দিনে ৯ জন ডিসির নিয়োগ বাতিল করেছে। তার মানে হলো এ নিয়োগ ছিল ত্রুটিযুক্ত। সুতরাং তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

তারা আরও জানান, বিগত সময়ে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যারা সৎ, যোগ্য এবং মেধাবী তাদের ডিসি হিসাবে নিয়োগ দিতে হবে। ডিসি নিয়োগে কারা অনিয়ম করেছেন এমন প্রশ্নে- উপসচিব নূরুল হাফিজ এবং নূরুল করিম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, নিয়োগ কমিটির কিছু লোক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আশ্বস্ত করেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নূরুল করিম ভূঁইয়া আরও বলেন, আমাদের দাবি হলো প্রশাসনের সর্বস্তরে বিগত দিনে যারা সুবিধাভোগী, যারা ছাত্র-জনতা হত্যার সঙ্গে জড়িত, খুন, লুটপাট ও রাষ্ট্র সংস্কারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং এখন পর্যন্ত ছাত্র-জনতার এই বিপ্লবের মূল আকাঙ্ক্ষা ও চেতনার বিরুদ্ধে কাজ করছেন, সেসব কর্মকর্তাকে আজকের (বুধবার) মধ্যে বিদায় দিতে হবে। এটা ছিল আমাদের প্রধান দাবি।

নতুন ডিসিদের আমলনামা : ঢাকার ডিসি হিসাবে নিয়োগ পাওয়া তানভীর আহমেদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাবেক ডিসি মোমিনুর রহমানের ভাগনে। তানভীর আহমেদ সাবেক আইন সচিব আবু সালেহ মো. জহিরুল ইসলামের একান্ত সচিব (পিএস) ছিলেন। এছাড়া তিনি সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সাজ্জাদুল ইসলাম শাহিনের নিকটাত্মীয়। বিগত সরকারের সময় অতিরিক্ত সচিব সায়লা ফারজানা এবং জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের দেওয়া ডিসির ফিটলিস্টে তানভীর আহমেদের নাম ছিল। ময়মনসিংহ জেলার ডিসি মফিদুল আলম চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাসিরের পিএস ছিলেন। তিনি সর্বশেষ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিএস ছিলেন।

কুষ্টিয়ার ডিসি হিসাবে নিয়োগ পাওয়া ফারহানা ইসলাম সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীরের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। তিনি একসময় রূপগঞ্জের ইউএনও ছিলেন। তিনি গোলাম দস্তগীরের মালিকানধীন গাজী টিভির সংবাদ পাঠিকা হিসাবে কাজ করছেন। ঝিনাইদহের ডিসি মো. আব্দুল আওয়াল কমলনগর ও কুমিল্লায় ইউএনও থাকা অবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া বিগত সরকারের সময় তৈরি করা ফিটলিস্টে তার নাম ছিল। মাগুরার ডিসি মো. অহিদুল ইসলাম গত সরকারের সময় ৫ বছর মরিশাসে ফার্স্ট সেক্রেটারি হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজার জেলার ডিসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গত সরকারের সময় তিনি একটি মোটা বেতনে প্রকল্পে লিয়েনে পোস্টিং নিয়েছেন। নোয়াখালীর ডিসি খন্দকার ইসতিয়াক ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। তার পিতা ও মামা গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি চারটি উপজেলায় এসিল্যান্ড ছিলেন। খুলনার ডিসি মো. সাইফুল ইসলাম তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারির একান্ত সহচর ছিলেন। হবিগঞ্চে ইউএনও থাকাকালে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গত সরকারের সময় তিনি কলকাতা হাইকমিশনে উপ-হাইকশিনার হিসাবে কাজ করেছেন। বিগত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে তার নাম ছিল।

গোপলগঞ্জের ডিসি মো. কামরুজ্জামান বিগত সরকারের আস্থাভাজন হওয়ায় সৌদি আরবে ২০১৬-২০২১ পর্যন্ত কনসাল জেনারেল পদে নিয়োগ পেয়েছেন। রাজউকের পরিচালক ও হজ অফিসার হিসাবে পোস্টিং পেয়েছেন। গত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে তার নাম ছিল। সিরাজগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ মনির হোসেন রাজউকের পরিচালক ছিলেন। তিনি সালমান এফ রহমানের সঙ্গে শেয়ারবাজার কারসাজির অপকর্মে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তার শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জামালপুরের ডিসি হাসিনা বেগম ঢাকা ডিসি অফিসে এলএও হিসাবে কাজ করেছেন। ইউএনও হিসাবে নরসিংদীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তাকে তৎকালীন ডিসি তাকে অনুপযুক্ত কর্মকর্তা হিসাবে চিহ্নিত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠান। কিশোরগঞ্জের ডিসি ফৌজিয়া খান বিগত সরকারের সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত আগস্ট মাসে বিপ্লবের সময় বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সচিব জাহাঙ্গীর হোসেনের ডান হাত হিসাবে ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাজশাহীর ডিসি মো. মাহবুবুর রহমান পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমানের ভাগনিজামাই।

ফরিদপুরের ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লাহ ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাবেক ডিসি মোমিনুর রহমানের ভাগনিজামাই। বর্তমান ঢাকার ডিসি তানভীর আহমেদের ভগ্নিপতি। পদোন্নতির পর পরই তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গিয়েছেন। বিগত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে তার নাম ছিল। শরীয়তপুরের ডিসি আব্দুল আজিজ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন। তিনি সাবেক সরকারে কট্টর সমর্থক বলে অভিযোগ রয়েছে। পদোন্নতি পেয়ে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে ফুল দিতে গিয়েছেন। পঞ্চগড়ের ডিসি মোহাম্মদ নায়িরুজ্জাম এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রাহমাতুম মুনিমের পিএস ছিলেন। লালমনিরহাটের ডিসি রকিব হায়দার উপ-সচিব হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে ফুল দিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি এক সময় মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন। গত সরকারের সময় তৈরি করা ডিসির ফিটলিস্টে বরগুনার ডিসি মোহাম্মদ শফিউল আলমের নাম ছিল। নীলফামারীর ডিসি শরীফা হকের মাঠ প্রশাসনে এক বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিগত সরকারের সময় গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া নিয়োগ পাওয়া বাকি ডিসিদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেও প্রায় একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে।

কেন এই অভিযোগ ? ডিসি নিয়োগে কেন এতো অনিয়ম হলো ? শুধু কি ডিসি নিয়োগ ? অন্যান্য পদায়ন ও বদলিগুলোতে কি হচ্ছে ? যা হচ্ছে তা সুখকর নয়। যা হচ্ছে তা সংস্কারের নামে লেজেগোবরে অবস্থা। এর পিছনে এরই মধ্যে তৈরী হয়েছে অসংখ্য সিন্ডিকেট। এখুনি সময়। এখুনি এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত না দিলে স্বপ্নের এই সরকার দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।

তথ্যঃ দৈনিক যুগান্তর থেকে সংগৃহিত।

-লুৎফর রহমান।

১২.০৯.২০২৪/সকাল ৯.৪০

Address

House-10 (GFlr), Road-28, Block-K, Banani
Dhaka
1213

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Quicktvbd.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Quicktvbd.com:

Share