
27/06/2025
ফিনল্যান্ডের মতো এই ছোট দেশটি কিভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ও কৌশলী পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে নিজেদের স্বাধীনতা ও স্বার্থ রক্ষা করেছে।
——————————————————————————
ফিনল্যান্ডের সোভিয়েত আগ্রাসন প্রতিরোধঃ আমাদের জন্য শিক্ষা (এটি বড় পোষ্ট! দেশের স্বাধীনতা রক্ষার ব্যাপারে যারা সিরিয়াসলি ভাবেন—তাদের জন্য!)
১। ফিনল্যান্ড—একটি ছোট উত্তর ইউরোপীয় দেশ, যার পূর্বে রয়েছে রাশিয়ার মতো (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) বিশাল সামরিক পরাশক্তি। তবে বিস্ময়করভাবে, সোভিয়েত আগ্রাসনের মুখেও এই ছোট দেশটি নিরপেক্ষতা বজায় রেখে, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ও কৌশলী পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে নিজেদের স্বাধীনতা ও স্বার্থ রক্ষা করেছে।
২। ফিনল্যান্ডে সোভিয়েত আগ্রাসনের ইতিহাস:
২-ক। শীতকালীন যুদ্ধ (Winter War), ১৯৩৯–৪০
• ১৯৩৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) ফিনল্যান্ডে আক্রমণ চালায়, দাবি করে যে ফিনল্যান্ডের পশ্চিমা ঘনিষ্ঠতা তাদের জন্য হুমকি। অনেকটা বর্তমান ইউক্রেন মডেল!
• ফিনিশ সেনারা বিপুল সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে পাহাড়ি বনাঞ্চলে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে। সীমিত অস্ত্র, তীব্র ঠান্ডা ও স্থানীয় ভূখণ্ডের সুবিধা কাজে লাগিয়ে তারা সোভিয়েত সেনাদের বড় ক্ষয়ক্ষতি করে।
• যুদ্ধ শেষে ফিনল্যান্ড কিছু ভূখণ্ড হারালেও নিজের স্বাধীনতা রক্ষা করে।
২-খ। রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা (Post-War Influence)
• সোভিয়েতরা ফিনল্যান্ডকে কমিউনিস্ট ব্লকের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিল।
• স্থানীয় কমিউনিস্ট পার্টিকে উস্কে দিয়ে ফিনিশ রাজনীতিতে স্থায়ী প্রভাব তৈরি করতে চেয়েছিল মস্কো।
• মস্কো বিশেষ করে ১৯৪৫-৫০ এর দিকে ফিনল্যান্ডের সোভিয়েতপন্থী রাজনীতিবিদদের গোপনে মদত দিত, ঠিক যেভাবে এদেশে ভা|র'তপন্থী দল/নেতাদেরকে সমর্থন দেয়া হয় / হয়েছে।
২-গ। অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা
◇ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিনল্যান্ড ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মুদ্রা ছাড়াই “Barter System”-এ বাণিজ্য চালু হয়, যেখানে পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে লেনদেন হতো। ফিনল্যান্ড রপ্তানি করত প্রযুক্তি, যানবাহন, ও কাঠজাত পণ্য; আর সোভিয়েত দিত জ্বালানি, কাঁচামাল ইত্যাদি।
◇ এ ব্যবস্থায় ফিনল্যান্ড অর্থনৈতিকভাবে সোভিয়েতের ওপর কিছুটা নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, যদিও এটি ছিল সোভিয়েত চাপ সামলানোর একটি কৌশল।
২-ঘ। মিডিয়ায় সোভিয়েতপন্থী সেন্সরশিপের প্রভাব
◇ ফিনল্যান্ডে সোভিয়েত-বিরোধী কোন কিছু প্রকাশ করার বিরুদ্ধে অঘোষিত সেন্সরশিপ ছিল। যেমনঃ ১৯৪৪-৪৬ সালে সোভিয়েত নিয়ন্ত্রিত “Valvontakomissio” এর নির্দেশে—১,৭০০+ জনবিরোধী গ্রন্থ লাইব্রেরি থেকে সরানো হয় এবং কিছু বইয়ের দোকান নিষিদ্ধ করা হয়
◇ এছাড়া কিছু সোভিয়েত-বিরোধী চলচ্চিত্রও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল
◇ পরবর্তী দশকগুলোতে মিডিয়া ও সংস্কৃতিতে সরাসরি রাশিয়া-বিরোধী বক্তব্য কমে যায়, যা এক ধরনের self-censorship হিসাবে কাজ করে।
◇ এটি ছিল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব বিস্তারের একটি সূক্ষ্ম, পরোক্ষ উপায়। অর্থাৎ সোভিয়েত ইউনিয়ন “যুদ্ধ না করেই”, মিডিয়া ও সংস্কৃতিতে একটি মনস্তাত্ত্বিক নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছিল।
◇ References: “Political Censorship in Finnish Libraries 1944–1946” — Penn State University,
২-ঙ। পররাষ্ট্রনীতিতে সোভিয়েত চাপ প্রয়োগ
◇ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, ফিনল্যান্ড সোভিয়েতের একটি বাফার স্টেট (buffer state) হয়ে ওঠে — যার মাধ্যমে মস্কো পশ্চিমা প্রভাব ঠেকাতে চেয়েছিল। ফিনল্যান্ডকে বলা হয় ন্যাটোতে যোগ না দিতে, পশ্চিমা সামরিক জোটে না জড়াতে।
◇ ১৯৪৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে "Agreement of Friendship, Cooperation, and Mutual Assistance (FCMA)" চুক্তি হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে ফিনল্যান্ড ন্যাটো বা পশ্চিমা জোটে না যাওয়ার মৌখিক অঙ্গীকার দেয়, যদিও তারা স্বাধীন থাকে।
▪ নোটঃ এভাবেই সকল গোলামীর চুক্তিকেই "বন্ধুত্বপূর্ণ চুক্তি" নামে ডাকা হয়। ভা|র'তের সাথেও বাংলাদেশের এমন "বন্ধুত্বপূর্ণ / গোলামীর চুক্তি" ছিল / আছে।
◇ সে সময় বহু সময় ফিনিশ নেতাদের সোভিয়েত সফর করতে হতো, সম্পর্ক ভালো রাখার প্রতিশ্রুতি দিতে হতো। সোভিয়েত সরকার চাপ দিত যেন ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রনীতি তাদের “বন্ধুত্বপূর্ণ নিরপেক্ষতা” বজায় রাখে।
▪ নোটঃ এভাবে এদেশেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে ভা|র'ত সফরের রীতি ছিল / আছে।
◇ ফিনল্যান্ড কৌশলগতভাবে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে অপ্রকাশ্য সম্পর্ক বজায় রাখে—তারা ইইউ, ওইসিডি সদস্য হলেও সামরিক জোটে ছিল না। এই কৌশলকে বলা হয় “Finlandization”।
◇ অনেক বিশ্লেষক একে সোভিয়েত ইউনিয়নের “cold coercion” বলেন। অর্থাৎ এটি সামরিক চাপ নয়, কিন্তু গভীর কূটনৈতিক চাপ।
◇ References: Cold Peace: Stalin and the Soviet Legacy in Postwar Europe by Mark Kramer
২-চ। সোভিয়েত সাংস্কৃতিক প্রভাব বিস্তার
◇ শীতল যুদ্ধের সময়, সোভিয়েত ইউনিয়ন সোভিয়েতপন্থী সাহিত্য, গান, চলচ্চিত্র ইত্যাদি ফিনল্যান্ডে চালু করতে চেষ্টা করে।
◇ কমিউনিস্ট আদর্শকে তরুণদের কাছে পৌঁছাতে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, সাংস্কৃতিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
▪ নোটঃ বাংলাদেশে কী কী ভা|র'তীয় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ও সাংস্কৃতিক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম হয়, আশা করি জানা আছে সবারই।
◇ ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থায়ও প্রভাব বিস্তার করা হয়। সোভিয়েত লেখক ও শিল্পীদের বই ও শিল্পকর্ম নানা সময় ফিনিশ শিক্ষাব্যবস্থায় ঢুকানোর চেষ্টা হয়।
▪ নোটঃ এদেশের পাঠ্যবই বিষয়ক ভা|র'তপন্থী বুদ্ধিজীবীদের কার্যক্রম দ্রষ্টব্য।
◇ সোভিয়েত সমর্থিত সংগঠন যেমন "Suomi–Neuvostoliitto-Seura" (Finland–Soviet Union Society) এ সোভিয়েত সংস্কৃতি ছড়ানোর কাজ করত।
◇ References: The Grand Chessboard by Zbigniew Brzezinski
২-ছ। সোভিয়েত ইউনিয়ন ফিনল্যান্ডে সরাসরি ফিনল্যান্ড দখল করতে পারেনি সত্য, কিন্তু পরবর্তী ৫০ বছর রাজনৈতিক প্রভাব, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা এবং সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে গেছে।
৩। ফিনল্যান্ডের সোভিয়েত আগ্রাসন প্রতিরোধ
৩-ক। Winter War এ প্রতিরোধ যুদ্ধ
• Winter War (১৯৩৯–১৯৪০) এ সোভিয়েত ইউনিয়নের তুলনায় বহু গুণ ছোট হলেও, ফিনল্যান্ড অসাধারণ গেরিলা কৌশলে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা আত্মসমর্পণ করে নিজেদেরকে বিকিয়ে দেয় নি।
• যুদ্ধে কিছু অঞ্চল হারালেও শেষ পর্যন্ত তারা দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে সক্ষম হয়।
৩-খ। কৌশলগত নিরপেক্ষতা: “Finlandization” নীতি
◇ যুদ্ধের পরে, ফিনল্যান্ড ঘোষণা করে যে তারা ন্যাটো বা সোভিয়েত—কোনো জোটেই যোগ দেবে না।
◇ তারা পররাষ্ট্রনীতিতে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে, কিন্তু সবসময় আত্মরক্ষার প্রস্তুতিও ধরে রাখে।
◇ সোভিয়েত ইউনিয়নের চাপ থাকলেও, তারা তাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখে এবং কিছু পশ্চিমা দেশের সাথে অর্থনৈতিক সংযোগ বজায় রাখে।
◇ References: Finlandization, Self-Censorship and the Cold War, Journal of Cold War Studies
৩-গ। অর্থনৈতিক কৌশল: ভা|র'সাম্য ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা
◇ সোভিয়েতের সাথে “barter system” চালু করলেও একই সঙ্গে পশ্চিমা বাজার ও প্রযুক্তির সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখে—ভা|র'সাম্য নীতি অনুসরণ করে।
◇ তারা স্থানীয় শিল্প ও অস্ত্র উৎপাদন বাড়ায়, যেন জরুরি মুহূর্তে আত্মনির্ভরতা থাকে।
৩-ঘ। সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া স্বাধীনতা রক্ষা
◇ সোভিয়েত সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, ফিনল্যান্ডের স্বাধীনচেতা জনগণ নিজস্ব ভাষা, সাহিত্য ও ইতিহাসকে গুরুত্ব দেয়।
◇ সেন্সরশিপ চাপ থাকলেও, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকরা আত্মপরিচয়ের ভিত্তিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
৪। আমাদের জন্য শিক্ষা: ভা|র'তীয় আগ্রাসন মোকাবেলায় "ফিনল্যান্ড মডেল"
৪-ক। ফিনল্যান্ড দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও পরবর্তীকালে সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো বৃহৎ শক্তির মোকাবেলায় যে কৌশল অনুসরণ করেছে, তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, বিশেষ করে ভা|র'তীয় আধিপত্য ও হস্তক্ষেপের প্রেক্ষাপটে।
৪-খ। নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কৌশলী পররাষ্ট্রনীতিঃ ফিনল্যান্ড সবসময় একটি ভা|র'সাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করেছে, বিশেষ করে রাশিয়া ও পশ্চিমা জোটগুলোর মধ্যে। বাংলাদেশকেও অনুরূপভাবে ভা|র'ত ও চীনের মধ্যে কৌশলগত ভা|র'সাম্য বজায় রাখতে হবে। একইসাথে ইসলামিক বিশ্ব, Global South এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ ও কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন—যাতে বাংলাদেশ কোনো একক শক্তির উপর নির্ভরশীল না হয়ে বহুমাত্রিক সহযোগিতা গড়তে পারে।
৪-গ। সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণ ও প্রতিরক্ষা বাহিনীঃ ফিনল্যান্ডে প্রায় সকল নাগরিক বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকে। এই মডেল থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশেও স্কুল-কলেজ পর্যায়ে প্রাথমিক সামরিক শিক্ষা চালু করা যেতে পারে। একইসঙ্গে একটি শক্তিশালী রিজার্ভ বাহিনী গঠনের মাধ্যমে জরুরি সময়ে দ্রুত প্রতিরোধ গঠন সম্ভব হবে। এতে শুধু সীমান্ত নয় বরং অভ্যন্তরীণভাবে একটি প্রতিরোধ-সক্ষম জাতি গড়ে তোলা যাবে।
৪-ঘ। সীমান্ত প্রতিরক্ষা মজবুতকরণঃ ফিনিশ সীমান্ত রক্ষার জন্য বাঙ্কার, প্রাকৃতিক প্রতিরোধ কাঠামো এবং সেনা উপস্থিতির বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশকেও ভা|র'তের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সেনা ছাউনির আধুনিকায়ন, রাস্তা-সেতুর কৌশলগত ব্যবহার এবং প্রতিরোধমূলক কাঠামো তৈরি করতে হবে। ভা|র'তের যেকোনো আগ্রাসন বা অনুপ্রবেশ মোকাবেলায় এর কার্যকারিতা অপরিসীম।
৪-ঙ। সচেতনতা ও নাগরিক অংশগ্রহণঃ ফিনল্যান্ডে নাগরিকদের যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি, আগ্রাসন শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধমূলক ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন করা হয়। বাংলাদেশেও জনগণকে ভা|র'তীয় আগ্রাসনের প্রকৃতি, কৌশল, এবং বিপদের বিষয়ে অবহিত করতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে “সীমান্ত সুরক্ষা কমিটি” এবং "আগ্রাসন প্রতিরোধ কমিটি" গঠন করে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যেতে পারে।
৪-চ। নিজস্ব অস্ত্র ও প্রযুক্তি শিল্প গড়ে তোলাঃ ফিনল্যান্ড যেভাবে অস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তি উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীলতার ওপর জোর দিয়েছে, বাংলাদেশকেও নিজস্ব অস্ত্র, ড্রোন, নজরদারি সরঞ্জাম ও কৌশলগত প্রযুক্তির উৎপাদনে মনোযোগ দিতে হবে। ভা|র'তীয় সামরিক প্রযুক্তি নির্ভরতা যত কমানো যাবে, ততই স্বাধীন কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে।
৪-ছ। ভা|র'তীয় মিডিয়া ও সাংস্কৃতিক প্রভাব প্রতিরোধঃ ফিনল্যান্ডে সোভিয়েত সাংস্কৃতিক প্রভাব প্রতিরোধে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মিডিয়াকে উৎসাহিত করা হয়। বাংলাদেশেও ভা|র'তীয় টেলিভিশন সিরিয়াল, প্রোপাগান্ডা, ও মিডিয়ার সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। কলকাতাভিত্তিক বয়ান থেকে বের হয়ে বিকল্প সাংস্কৃতিক বয়ান প্রস্তুত করতে হবে।
৫। ফিনল্যান্ডের মতো একটি ছোট রাষ্ট্র তার সাহস, কৌশল, ও জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে—শুধু বৃহৎ সেনা বা অর্থনীতি নয়, সঠিক পরিকল্পনা ও ঐক্যবদ্ধ জাতিই আসল শক্তি। বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থা অনেকটাই ফিনল্যান্ডের মতো—বড় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভা|র'তের সামরিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের মধ্যে টিকে থাকা।
ভা|র'তীয় আধিপত্যবাদ ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশও যদি এমন কৌশল গ্রহণ করে, তাহলে একটি শক্তিশালী ও আত্মনির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সকল প্রকার বৈদেশিক আগ্রাসন থেকে মুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে জীবন কাটানোর ও আল্লাহর ইবাদত করার তাউফিক দান করুন, আমীন।