Out Of The Box

Out Of The Box ভিন্ন চোখে দেখার এবং দেখানোর প্রয়াস।

30/08/2024
দুই বন্ধু একসাথে...সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সহজে চেনা গেলেও দাড়ি কেটে দেওয়ায় প্রায় বেঁচে যাচ্ছিলেন সালমান এফ রহমান। ...
15/08/2024

দুই বন্ধু একসাথে...

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সহজে চেনা গেলেও দাড়ি কেটে দেওয়ায় প্রায় বেঁচে যাচ্ছিলেন সালমান এফ রহমান। কোস্ট গার্ড আনিসুল হককে ধরা পড়ার পর দরবেশ ধরিয়ে দেন মূলত তিনিই। এরপর থেকে দুজন একসাথেই আছেন।

25/07/2024

ডিনারে কি খাবা?
এক গ্লাস তাজা রক্ত!

11/02/2024

স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর জাদুঘর। রাঢ়িখাল, বিক্রমপুর।

ছোটোবেলায় বিদেশ থেকে কেউ আসলে আমাদের যেমন প্রত্যাশা থাকতো...
10/01/2024

ছোটোবেলায় বিদেশ থেকে কেউ আসলে আমাদের যেমন প্রত্যাশা থাকতো...

27/11/2023

জামাই বাবাজী এই আদুরে ডাকটা প্রথম শুনি ক্লাস সেভেনে থাকার সময়। মেয়েপক্ষের সবাই জামাই বলেই ডাকতো, ফ্রক পরা উশকুখুশকু চুলের কিশোরী কন্যা ঘরের কপাট ধরে দাঁড়িয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে আমায় দেখতো।

বাবাকে গ্রামের সবাই সম্মান দিতো। হয়তো বাবার ধর্মভীরুতা আর সততার কারনেই এটা উপঢৌকন হিসেবে পেয়েছেন মানুষের কাছ থেকে। বাজারের এক সম্রান্ত চা বিক্রেতা মোস্তফা মিয়া, যার সাথে বাবার বেশ ভালো খাতির ছিলো, বাবা আর আমি চা খেতে গেলে সবসময় চায়ের সাথে দুধ চিনি একটু বাড়িয়ে দিতেন। মাঝেসাঝে কাপ উপচে পড়ে যেতো কিছু অংশ, দামও নিতে চাইতেন না।

উনার প্রথম দুই ছেলে সন্তান হওয়ার পর আবারও সুখবরের অপেক্ষায় ছিলেন। বেচারার আবার কন্যা সন্তানের অনেক শখ ছিল। বাবাকে প্রায়ই বলতেন, মাওলানা সাব দোয়া করেন, যাতে এবার একটা মাইয়া অয়; তাইলে আপনারে দুধ চিনি আরো বাড়ায়া দিমুনে।

বাবা একদিন হাসিচ্ছ্বলেই বলে ফেললেন, মোস্তফা মিয়া তোমার এবার মেয়েই হবে, তবে একটা না দুই দুইটা। মোস্তফা মিয়া তখন বাবার চায়ের কাপে দুধের স্বর ঢালতে ঢালতে বলে উঠলেন, আমিন! আল্লাহ কবুল করুক।
চায়ে চুমুক দিয়ে বাবা এবার হাঁকলেন, তয় মোস্তফা মিয়া তোমার মেয়ে হইলে আমারে কিন্তু একটা দিতে হইবো!

কোন এক একদিন সকালে বাবা গোসল সেরে বাইরে বের হওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন, এমন সময় সাইকেলে চেপে মোস্তফা মিয়া আমাদের বাড়িতে এসে হাজির, হাতে বাজারের বিখ্যাত হাজী সুইটমিটের গরম গরম মিষ্টি। তাকে দেখে বেশ উৎফুল্ল মনে হচ্ছে! কিছু বুঝে উঠার আগেই বাবাকে জড়িয়ে ধরলেন! মাওলানা সাব এখন তো আপনে আমার বেয়াই হয়ে গেলেন! ফজরওয়াক্তে আমার ঘরে দুই জান্নাত(কন্যা)হইছে!

এহন থেইকা কিন্তু আপনের ছোডো পোলা আমার জামাই! বাবা হচকিয়ে গেলেন, তিনি হয়তো তার কথাটা এরকম ফলে যাবে ভাবেননি। আমার মা ঘটনার পূর্বাপর মাথামুন্ড বুঝতে না পেরে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইলেন। তারপর থেকে চাওয়ালার দোকানের সামনে দিয়ে গেলেই একটা ডাকই শুনতাম জামাই বাবা।

আমি লুকিয়ে লুকিয়ে হবু শশুর বাড়ীতে মাঝে মাঝে যেতাম, তবে মিয়াসাবের কন্যাদের দেখার জন্য নয়, খাবারের লোভে। ঔ বাড়ীতে গেলেই মুখরোচক সব খাবার জুটতো! আড়াল থেকে মাঝে মাঝে অবিকল দুইটা সুন্দর মুখ দেখতাম আমার দিকে তাকিয়ে আছে, ওরা হয়তো ঝগড়া বাধিয়ে দিতো কে আগে বউ হবে এটা নিয়ে, কে জানে!

স্মৃতি
লেখার সময়কাল-২০১৭
মুহসিন হল, রুম নম্বর-৪৬৫

সকাল থেকেই পেটে গন্ডগোল মতির। বৃষ্টি নামার আগে আকাশ যেমন কিছুক্ষণ তর্জনগর্জন করে তারপর জমজমিয়ে নামে, তারও হইছে সেই দশা। ...
26/11/2023

সকাল থেকেই পেটে গন্ডগোল মতির। বৃষ্টি নামার আগে আকাশ যেমন কিছুক্ষণ তর্জনগর্জন করে তারপর জমজমিয়ে নামে, তারও হইছে সেই দশা। এ পর্যন্ত কম করে হলেও দশবারো বার যাওয়া সারা। গতরাতে সেগুনবাগিচার বিউটি কমিউনিটি সেন্টারের গেইটম্যান নুরুরে হলিউড সিগারেট আর রহিমা খালার স্পেশাল মালাই চা খাওয়ায়া এক প্যাকেট মোরগ পোলাও কোনরকমে বাগায়া আনছিল সে। কথায় আছে, কুত্তার পেটে ঘি হজম হয়না। মতিরও অবস্থা হইছে সেইরকম। পাতলা ডাল আর মোটা চালের ভাত হজম করা পেটে মোরগ পোলাও বেচারিরাও নিজেদের অসম্মানিত ভাবে, তাই হজম না হয়ে বের হয়ে যেতে চায় তারা।
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি নীলক্ষেত-পলাশী-শাহবাগ-চাঁনখারপুল এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্লাস্টিক কুঁড়ায় মতি। সন্ধ্যার পর তা মহাজনের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে অন্য ধান্দায় নামে। আর সেটি হলো নেশা বিকিকিনির ধান্ধা।

শাহবাগের তিন নেতার মাঝারের গেইট থেকে গাঁজা নিয়ে রোজকার কাস্টমারদের কাছে তা ঘুরে ঘুরে সাপ্লাই দেয়। মতির বান্দা কাস্টমারদের বেশীরভাগই রিকশা ভ্যানওয়ালা। তবে মাঝেমাঝে ভাগ্য ভালো হলে দুয়েকটা বড়সড় পার্টিও ঝুটে যায়। তখন একদিনেই চারপাঁচ দিনের রোজগার হয়ে যায় তাঁর। এইতো সেদিন হাইকোর্টের সামনের গাছতলায় বসে অন্যদের সঙ্গে বসে জুয়া খেলার সময় একটা প্রাইভেট গাড়ি তাদের সামনে এসে জোরে ব্রেক কষে দাঁড়ায়। তারপর গাড়ি থেকে এক সাহেব এসে জানতে চায়, কারো কাছে গাঁজা পাওয়া যাবে কিনা! মতি সুযোগ বুঝে অন্যদের ইশারা দিয়ে সরে যেতে বলে। তারপর সাহেবরে মুরগি বানানোর চেষ্টা করে।

মতিঃ স্যার, আপনের কি হাঁচাই গাঞ্জা লাইগবো?

সাহেবঃ সত্য নাকি মিথ্যা? তোর সঙ্গে রাতদুপুরে ইয়ার্কি করছি বাস্টার্ড?

মতিঃ না, স্যার, ভাবছিলাম আপনে পুলিশের লোক কিনা। ঐ মাঙ্গিরপুতগো জ্বালায় শান্তিমতো ব্যবসাডাও করতে পারতাছি না। হালারপুতেরা টেকার ভাগও লইবো আবার পুটকিতে গরম ডিমও ভরবো। একেকটা আস্ত হারামির জাত।

সাহেবঃ প্যাচাল বাদ দে। গাঁজা আছে? থাকলে দ্রুত দে।

মতি বিড়বিড় করে বলে, এইতো চান্দু লাইনে আসছো। তারপর বলে, স্যার, আইজকা তো মাল পাইবেন না। আপনের মতো আরও অনেকেই এসে ফিরে গেছে। কাউরেই দিতে পারি নাই। কি করুম, পুলিশের কড়া পাহাড়ায় ডরে কেউ এহন আর এসব সাপ্লাই দিতে চায় না।

সাহেব এবার আগের থেকে সুর নরম করে বলে, অল্প কিছুও নাই, টাকা যা লাগে দিবো। এবার মতির মুখ লাল হয়ে উঠে। সে মনে মনে ভাবে, আইজকা বড় পার্টি পাওয়া গেছে। যা পারা যায় কামায়া নিতে হবে। তারপর বলে, স্যার, আমার নিজের জন্য অল্প কিছু রাখছিলাম। অন্য কাউকে দেইনাই। তবে আপনি যহন এতো কইরা কইতাছেন, তয় আপনাকে দিতে পারি। কিন্তু টেকা বেশি দেওন লাগবো।

সাহেবঃ তাড়াতাড়ি দে, টাকা যা চাস পাবি। শেষমেশ চড়া দামে দুইটা গাঁজার স্টিক সাহেবের হাতে গুঁজে দেয় মতি।

ইদানিং ভার্সিটির হলগুলো থেকেও গাঁজার অর্ডার আসে মতির কাছে। ছেলেদের থেকে মেয়েদের হল থেইকা অর্ডার আসে বেশি। মতি ভাবে, কি জমানা আইলো, মাইয়া মাইনষেরাও সমানে গাঞ্জা টানে। লাজশরমের বালাই নাই।
যাই হোক সবাইকে গাঁজা সাপ্লাই দিয়ে শেষে নিজেও অবশিষ্টগুলো জোরসে টানে। রাত যত গভীর হয়, মতির নেশাও ততো চড়ে। একসময় নেশার ঘোরেই সিটি কর্পোরেশনের এলইডি লাইটের ফকফকা আলোকে আড়ালে রেখে হাকিম চত্তরের গাছতলায় বিছানা পেতে বেঘোরে ঘুমায় সে। রাতে মাঝে মাঝে ঘুম ভেঙে যায় মতির। আর তখন নানান কথা মাথায় আসে তাঁর। মতির মনে পড়ে তাঁর মায়ের কথা। সে তাঁর বাবাকে কখনো দেখেনি। মা যখন ছিল, তাকে জিজ্ঞেস করলেই বলতো, তোর বাবা আছে, বিদেশে কামে গেছে। কাম শেষ হলেই ফিরা আইবোনে। কিন্তু সেই অতটুকুন বয়সেই মতি বুঝে গেছে যে, তাঁর বাবা আসলে কোনদিন আর ফিরবে না। মা তাঁর সাথে মিথ্যা কথা বলতেছে। আসলে আশেপাশের মানুষরাই তাকে প্রতিমুহূর্তে বুঝিয়ে দিয়েছে সে একটা বেজন্মা। আরেকটু খোলাসা করে বললে, সে এমন ছেলে যার বাবার ঠিক নাই। সুযোগমতো কেউ তাঁর মায়ের সর্বনাশ করে চম্পট দিয়েছে। আর এ সর্বনাশের ফসল সে।

মতির যখন সবে লাইনে দাঁড়িয়ে রিলিফের চাল/ডাল নেয়ার বয়স অথবা পথশিশুদের স্কুলে গিয়ে মনোযোগী ছাত্রের ভান করে পেটে খাবার চালান দেয়ার বয়স, ঠিক সেই বয়সে তাঁর মা অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। তখন তারা মগবাজার রেলগেট লাগোয়া বস্তিতে থাকতো। ঐ বস্তিরই এক মহিলা, যে রাত নামলে বেশ্যার কাজ করতো, সে তাকে দয়া করে আশ্রয় দেয়। একসময় মতির সাথে ঐ মহিলার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। মহিলার দিক থেকেই প্রথম কু প্রস্তাব আসে। সদ্য দাড়িগোঁফের আল গজানো মতিরও একসময় শরীরে শিহরণ জাগে। ঝাঁপিয়ে পড়তে দুইবারের বেশি ভাবে না সে। কিন্তু তাদের এই নষ্টামি বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। একদিন মহিলার স্বামী হাতেনাতে তাদের ধরে পেলে। তারপর সালিশে বস্তির সরদার মতিকে বস্তি থেকে বের করে দেওয়ার রায় দেয়, এছাড়া ওই মহিলাকেও তালাক দিতে বলে তার স্বামীকে। তারপর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই আস্তানা গাড়ে মতি।

প্রথম দিকে নতুন জায়গায় নতুন পরিবেশে টিকে থাকাই তার জন্য বেশ কষ্টসাধ্য ছিল। তাঁর সমবয়সীরা তাকে নতুন উপদ্রব মনে করে সবসময় তাড়ানোর ধান্ধায় থাকতো। দিনের বেলা সবাই এক জোট হয়ে তাকে ভালোয় ভালোয় এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিত, আর রাত নামলে দুইচারটা কিলঘুষিও মারতে দ্বিধা করতো না। কিন্তু একদিনের এক ঘটনার পর পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে যায়। ভাগ্য মতির পক্ষে কথা বলে। এরপর থেকে মতি শাহবাগ-টিএসসি এলাকায় টোকাই-ভাঙ্গারী দলের লিডারে পরিণত হয়। সেদিন ভার্সিটির মুহসিন হল থেকে ভাঙাচোরা আর ক্ষ্যাপমতো একজোড়া পাম্প সু চুরি করে ফিরছিল মতি, ভিসি চত্বর পার হয়ে যেইনা টিএসসির দিকে এগোবে, ওমনি আগে থেকে ওৎপেতে থাকা একদল পোলাপান হালারে ধর ধর বলে তাকে ঘিরে ধরে। কারও হাতে ইট, কারও বা চাকু অথবা ক্ষুর। মতি ঘটনার আকস্মিকতায় ভড়কে না গিয়ে উল্টো বিকট শব্দে হেসে উঠে। তারপর সবাইকে চমকে দিয়ে হঠাৎ হাসি থামিয়ে বলে, তোরা মারবি আমারে? আয় দেখি কতবড় কইলজা তোগো। এরপর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই একজনের হাত থেকে একটা ইটের টুকরা নিয়ে আরেকজনের মাথায় জোরসে মারে। এর কিছুক্ষণ পর তেড়ে আসা দলের কাউকে আর আশেপাশে খুঁজে পাওয়া যায়না, শুধু মাথায় আঘাত পাওয়া ছোকরার দুয়েকবার ঘোঙানির শব্দ শোনা যায়। অন্যের মাথা ফাটিয়ে এভাবেই নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নেয় মতি।

রোজকার এই জীবনের বাইরেও আরেকটা জীবন আছে মতির। যে জীবনে সে তার ভালোবাসার মানুষ ময়নাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে। রাতে নেশার ঘোরে গাছতলায় শুয়ে শুয়ে সে ভাবে, ময়না আর তার ছোট্ট একটা সংসার হবে। চান্দের লাহান ফুটফুটে একটা বাচ্চা হবে। আরো কত কি!
ময়নাও তার মতোই টোকাই, তবে সে তাঁর মা-বইনের সাথে পলাশীর বস্তিতে থাকে। দিনে একবারই দেখা হয় তাদের। সেটাও চাঁনখারপুলে মহাজনের কাছে দিনের সংগ্রহ বুঝিয়ে দেওয়ার সময়।
প্রতিদিন ময়নার সাথে দেখা হওয়ার আগে শাহবাগ মোড়ের ফুলের দোকানগুলোর ফেলে দেয়া বাসি-পঁচে যাওয়া ফুলের স্তূপ থেকে অপেক্ষাকৃত একটু ভালোটা সে কুঁড়িয়ে নিয়ে সবার অগোচরেই তা ভাঙারির বস্তায় লুকিয়ে রাখে। তারপর তা সুযোগমতো ময়নার ময়লা নাকের ডগার কাছে তুলে ধরে বলে, কি কেমুন ঘ্রাণ? ফাইন নাহ? এরপর রহস্য করে হাসতে হাসতে বলে, যাহ তোকে দিয়ে দিলাম এইটা। ময়নাও তখন মুচকি হেসে ফুলটা নিয়ে যত্ন করে নিজের বুকের কাছে রেখে দেয়। এভাবেই চলছে গত দেড়বছর ধরে।
কিন্তু আজ মতির পেট সব গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলছে। তাঁর অবস্থা ক্রমশ খারাপের দিকে যাওয়ায় তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা ধরাধরি করে তাকে মহাখালির কলেরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও সমাজের নিচু জাত টোকাই শ্রেণীর হওয়ায় সিট জুটেনি ভাগ্যে। হাসপাতালের বারান্দাতেই রাখা হয়েছে তাকে। সেখানে শুয়ে শুয়েই সে ভাবে, আজও কি ময়না তাঁর বাসি ফুলের ঘ্রাণের অপেক্ষায় থাকবে?..

Fokhrul Islam
বাসি ফুলের ঘ্রাণ
লেখার সময়কাল, ২০১৭' কোনো এক রাত
মুহসিন হল, ৪৬৫ নম্বর রুম।

@highlight

'শনিবার বিকেল' এই মাঝরাতে বসে দেখার পর দুইটা বিষয় মাথায় ঘুরছে। সেন্সর বোর্ড এটারে এতদিন ধরে ব্যান করে রেখে মূলত ফ্রিতে প...
24/11/2023

'শনিবার বিকেল' এই মাঝরাতে বসে দেখার পর দুইটা বিষয় মাথায় ঘুরছে। সেন্সর বোর্ড এটারে এতদিন ধরে ব্যান করে রেখে মূলত ফ্রিতে প্রচারণা করে দিলো। নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আমাদের আকর্ষণতো চিরায়ত। দ্বিতীয়ত, একটা ভালো জিনিস হতে পারতো এমন কনসেপ্ট নিয়ে 'যেমন খুশি তেমন সাজো' এক্মপেরিমেন্ট চালালেন ফারুকী সাহেব।

হলি আর্টিজান বেকারিতে জ-ঙ্গি হা-ম-লা নিয়ে অনেকের অনেক প্রশ্ন আছে, অজানা আছে। কিন্তু আপনি শনিবার বিকেল সেই আগ্রহের জায়গা থেকে দেখতে বসলে হতাশ হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। আপনার মনে হবে দৈনিক বাংলা মোড়ের আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় ছাপা হওয়া জগাখিচুড়ি টাইপ কপিপেস্ট কোনো খবর পড়ছেন। যার মাথামুণ্ড নাই। ০১ জুলাই ২০১৬ সালে জঙ্গি হামলা হয় রাতভর। ছবিতে দেখানো হলো দিনে। আইএসের মুখপাত্র আমাক এর ছবিতে জঙ্গিদের যেমন পাগড়ী ও পতাকা দেখা গিয়েছিল এখানে এসব দেখা যায়নি।

যে ঘটনা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশে একের পর এক জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলে যার রেশ ধরে, সেই আবহটা ছবিতে পাইনি। মানুষ মারছে কিন্তু থমথমে ভীতিকর লাগেনি। কারও অভিনয়ই ন্যাচারাল ছিল না।

ওটিটিতে দেখেছি, সব সিন রাখা হয়েছে নাকি কাটা হয়েছে এটা নিয়ে যদিও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এছাড়া ওইদিন রাতে আসলেই কী হয়েছিল আমরা কেউ জানি না। নিহত হওয়া একজনকে এক পক্ষ বীর বানাচ্ছে, প্রতিবছর সাহসিকতার পদক দেওয়া হচ্ছে তার নামে অথচ তার এমন বীরত্বগাঁথা নিয়ে তেমন জোরালো প্রমাণ দেখিনি কোথাও।

Fokhrul Islam

06/09/2023

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একটা মিডিয়ার এমন খবরের মন্তব্যের ঘরে কেউ লিখেছেন, ইনটেক?, খানাপিনা হইছে? কয়জনে মিলে...তেমন সুন্দর না দেখে হয়তো ফিরিয়ে দিয়েছে।

২.
এক বান্ধবী একবার আমাকে বলেছিল, ক্লাস এবং টিউশনির কারণে নিয়মিত তাকে লোকাল বাসে চড়তে হয়। মাঝেমধ্যেই বাসে হয়রানির শিকার হতে হয়। এক্ষেত্রে বেশিরভাগই কালপ্রিট বাবা চাচার বয়সী পুরুষরা। অল্প বয়সী মেয়ে দেখলে ওদের মাথা ঠিক থাকে না।

৩.
আমাদের বিয়ের পর যখন বাসা নেই, ছুটা কাজের জন্য একজন বুয়া নেওয়া হয়। প্রথম দিকে উনি কাজ করতে চাচ্ছিলেন না। তার ভাষ্যমতে, পুরুষ মানুষ বাসায় একা থাকলে কাজ করা নিরাপদ না। আমরা যেহেতু দুজনই মানুষ। তাই দেখেশুনে বয়সী একজনকে নেওয়া হয় পরে।

পাদটীকা- আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এদেশের বেশিরবাগ মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ ও সেক্মুয়ালি ফ্রাস্টেটেড। আপনি কষ্ট করে খোঁজ নিলে দেখবেন এসব কালপ্রিটদের অনেকেই নিয়মিতমসজিদে যায়, ধর্মীয় কোনো বিষয়ে সবার আগে ঝাঁপিয়ে পড়ে, আরও নানাবিদ কাজে থাকে। কিন্তু দিনশেষে সব হারামির বাচ্চা।

#এদেশআমারনা

এই যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটা পরিত্যক্ত হইলো। ক্রিকেটপ্রেমীরা আদখাওয়া সিগারেটের মতো অতৃপ্ত একটা লড়াই দেখল, এর দায় নিঃসন্দ...
02/09/2023

এই যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটা পরিত্যক্ত হইলো। ক্রিকেটপ্রেমীরা আদখাওয়া সিগারেটের মতো অতৃপ্ত একটা লড়াই দেখল, এর দায় নিঃসন্দেহে ভারতের। নিরাপত্তাহীনতার জোজো তুলে গুয়ার্তামি করে পাকিস্তানে যায়নাই। যদিও বিদেশী দলগুলো এখন নিয়মিত সেখানে সফর করছে। দেশটির সরকারে অস্থিরতা থাকলেও প্রেসিডেন্সিয়াল নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও কেন যায়নাই!

এশিয়া কাপের ফাইনালসহ বেশিরভাগ ম্যাচ এমন ভেন্যুতে ফেলা হলো যেখানে এই সময়টাতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। আজকের হাইভোল্টেজ ম্যাচ ভোগে গেলো। কাল ফাইনালও ভোগে যাবে। এদিক দিয়ে বারবার কাভার দেওয়া ও সরাতে সরাতে দারুণ এক্মারসাইজ হবে মাঠ কর্মীদের।

আকাশের কি আসলে কোনো ঠিকানা আছে? আব্বার কাছে একটা চিঠি লিখতাম।গ্রামের মানুষের কাছে মওলানাসাব, নিজের মাদরাসায় হুজুর, মসজিদ...
31/08/2023

আকাশের কি আসলে কোনো ঠিকানা আছে? আব্বার কাছে একটা চিঠি লিখতাম।গ্রামের মানুষের কাছে মওলানাসাব, নিজের মাদরাসায় হুজুর, মসজিদে সেক্রেটারিসাব। আর আমার কাছে স্রেফ আব্বা। আমার দেখা একজন আধুনিক মানুষ। আব্বা যখন মারা যান, ধর্মীয় কারণে জানাজায় শরীক হতে না পারলেও দূরে দাঁড়িয়ে নিরবে চোখের পানি ফেলেছেন তার হিন্দু বন্ধুরা।

চার ভাই দুই বোনের বিশাল পরিবার। সবাইকে সাধ্যমতো মানুষ করার চেষ্টা করে গেছেন। ভালো বেতন পেলেও কখনো একটা টাকাও জমাতে পারেননি। চাচারা বলতো আকবর কিছু জমি কিনে রাখ। এতগুলো ছেলে। কই থাকবে। আব্বা হেসে বলতেন, ওদের খাওয়ায়া পড়ায়া বড় করে দেই, মানুষের মতো মানুষ হোক। পরে নিজেরা যা পারবে করবে।

আমাদের ঘরে ভোর হতেই শুরু হতো রান্নার বিশাল কর্মযজ্ঞ। সন্ধ্যার আগে বিশ্রামের ফুরসত পেতেন না আম্মা। রোজ সকালে ব্যাগভর্তি বাজার নিয়ে এসে আব্বা বলতেন, শরিফের মা আজকের মাছগুলো তাজা আছে। কেনার লোভ সামলাতে পারলাম না। একই গল্প প্রতিদিন শুনতে শুনতে আম্মাও অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। কিছুক্ষণ রাগ দেখালেও পরে ঠিকই মাছ কাটাকাটিতে বসে যেতেন।

আব্বা নিজের ব্যাপারেও ছিলেন সৌখিন। যেদিন মারা গেলেন সেদিনও চুল দাড়ি কেটে এসেছিলেন। নখ কেটে পরিস্কার করেছেন। সবসময় এভাবেই থাকতেন। সাদা ধবধবে ইস্ত্রিকরা পান্জাবি পরতেন। কখনো দেখিনাই খালি পায়ে হেঁটেছেন।

Address

Banasree, Rampura
Dhaka
1236

Telephone

+8801835160663

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Out Of The Box posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Out Of The Box:

Share