14/07/2025
নিঃসন্দেহে এই ঘটনা হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং আমাদের সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের নগ্ন উদাহরণ।
🕊️ বাবা ডাক আর শোনা হলো না পাবেলের…
একটি কবুতরের শখের জন্য গিয়েছিল গৌরিপুর বাজারে।
যে ছেলেটার পরিচয় এলাকায় শুধু একটাই—ভদ্র, সাদাসিধে, নিরীহ।
পাবেল নামে এই ছেলেটি কখনো কারো ক্ষতি করেনি, কখনো কাউকে আঘাত করেনি—
তবু কেন তার ভাগ্যে জুটলো নির্যাতনের ভয়ঙ্করতম অভিজ্ঞতা?
গৌরিপুর বাজারে হঠাৎ একদল মানুষ তাকে ঘিরে ধরে,
মারে, কিল-ঘুষি, বেতের মত জিনিস দিয়ে পেটায়—
তারপর চোখের সামনে তুলে নেয় এক বিল্ডিংয়ে।
সেখানে শুরু হয় মানবিকতা হারানো এক ভয়াবহ নির্যাতন।
শেষ পর্যন্ত তার পরিবারকে ফোন করে দাবি করা হয় ৫০ হাজার টাকা।
টাকা দিয়ে ‘ছেলেকে ফেরত’ নিতে হয়েছে যেন সে কোনো জিনিস!
😢 কিন্তু এখানেই থামেনি কষ্টের গল্প...
ছেলের উপর এই পাশবিক নির্যাতনের খবর শুনেই
পাবেলের বাবা বাজারেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়—কিন্তু ডাক্তার বলেন,
“তিনি আর নেই…” 💔
👉 একটি ছেলের উপর অমানবিক অত্যাচার, আর তার বাবার হৃদয় থেমে যাওয়া—
এই দুইটা ঘটনা যেন আজ আমাদের মানবতাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
❗এই প্রশ্ন শুধু পাবেলের পরিবারের না—এই প্রশ্ন আমাদের সবার:
আপনার ছেলেও তো কবুতর কিনতে বাজারে যেতে পারে।
আমার ভাই, আপনার ভাই, আমাদের সন্তানেরা কি এমনই নিরাপত্তাহীন থাকবে?
আজ পাবেলের বাবা মারা গেলেন, কাল যদি আমাদের কারো পরিবারের হয়?
📢 তাই আমরা একসাথে বলি:
👉 এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
👉 সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ চাই।
👉 যারা মেরেছে, কিডন্যাপ করেছে—তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
👉 গৌরিপুর বাজারে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চাই।
🔁 এই পোস্টটি শেয়ার করুন – যেন পাবেলের কান্না, তার বাবার শূন্যতা কোনো পরিবারে আর না আসে।
📌 পাবেল এখন শুধু একজন নির্যাতিত ছেলে না—সে এখন একটি প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরো সমাজের সামনে।
আমরা যদি চুপ থাকি, তবে আগামীকাল হয়তো এই রকম পোস্ট আমাদেরই কারো পক্ষ থেকে লিখতে হবে।
#গৌরিপুর_নির্যাতনের_বিচার_চাই
#মানবিকতা_বাঁচাও
#একটি_বাবার_মৃত্যু_আমাদের_ঘুম_ভাঙাবে_কবে?
👨👩👧👦 আপনার শেয়ার হতে পারে কারো চোখে পানি এনে দেওয়া,
আর কারো বিবেকে আলো জ্বালিয়ে দেওয়া এক বাতি।
🕯️ আসুন, আজ আমরা শুধু কীবোর্ডে নয়—আমাদের বিবেকেও প্রতিবাদ করি।
পাবেলের বাবার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, আজ একবার এই পোস্টটি শেয়ার করি।
মোহাম্মদ কাইয়ুম হাসান নামে একজন ফেসবুক ইউজারের আইডি থেকে নেওয়া।