Prothom Sakal

Prothom Sakal অনলাইন সংবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা

নলডাঙ্গায় সম্পত্তির লোভে পাঁচ বছরের শিশু হ *ত্যার চেষ্টা, ভাবি জেমি খাতুন গ্রেফতার।নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় সম্পত্তির লো...
21/11/2025

নলডাঙ্গায় সম্পত্তির লোভে পাঁচ বছরের শিশু হ *ত্যার চেষ্টা,
ভাবি জেমি খাতুন গ্রেফতার।

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় সম্পত্তির লোভ ও পারিবারিক ক্ষোভের জেরে পাঁচ বছরের এক শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে জেমি খাতুন (১৯) নামের এক ভাবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ নভেম্বর ২০২৫) সকালে উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের সাধনগর (উত্তরপাড়া) গ্রামে এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম শিশুটির বড় ভাইয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে চার মাস আগে জেমি খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে, বিশেষ করে দেবরের স্ত্রীর সঙ্গে, তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তির প্রতি লোভ থেকেই এমন ঘৃণ্য কর্মে লিপ্ত হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার দিন সকালে শিশুটির মা আত্রাই যাওয়ার আগে জেমিকে অনুরোধ করেন—শিশুটিকে একটু দেখে রাখতে। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জেমি। শাশুড়ি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে সে ঘরে থাকা ধারালো ব্লেড দিয়ে শিশুটির গলা ও গালে একাধিক আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে হত্যার চেষ্টা চালায়।

হঠাৎ শিশুটি চিৎকার শুরু করলে অপরাধ গোপনের উদ্দেশ্যে জেমি নিজেই ঘরে থাকা বটি দিয়ে নিজের হাত-পায়ে আঘাত করে। এরপর নাটক সাজিয়ে দাবি করে—মুখোশধারী দুই ব্যক্তি ঘরে ঢুকে দেবরকে জখম করেছে এবং তাকেও আঘাত করতে চেয়েছিল।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জেমির বর্ণনায় অসংগতি খুঁজে পায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে শিশু হত্যার চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করে।

নাটোরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম-এর নির্দেশনায় নলডাঙ্গা থানা পুলিশ অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। গুরুতর জখমপ্রাপ্ত শিশুটি বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গ্রেফতারকৃত জেমি খাতুনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ।

ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জে দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু, মা ও প্রতিবেশী আহত                                                        ...
21/11/2025

ভূমিকম্পে নারায়ণগঞ্জে দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু,
মা ও প্রতিবেশী আহত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা (১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভুমিকম্পের সময় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমা গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ইসলামবাগ ৫ নম্বর ক্যানেল এলাকার আব্দুল হকের মেয়ে। এ সময় শিশুর মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগম আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ভুমিকম্পের সময় ঘটনাস্থল হয়ে ভুলতা গাউছিয়া যাওয়ার সময় সড়কের পাশের দেয়াল ধসে শিশু ফাতেমা, তার মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগমের ওপর পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই শিশু ফাতেমার মৃত্যু হয়। পড়ে তারা দেয়ালের নিচ থেকে শিশু ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করেন। আহত অবস্থায় শিশুটির মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এ বিষয়ে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন, ভুমিকম্পে দেয়াল ধসে ফাতেমা নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শিশুটির মা কুলসুম বেগম ও প্রতিবেশী জেসমিন বেগম গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান।
ছবি : প্রতিকী।

নলডাঙ্গা ডায়াবেটিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধনস্বাস্থ্যসেবায় নলডাঙ্গায় নতুন দিগন্তের সূচনা।নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা মোড়ে আধুনিক...
21/11/2025

নলডাঙ্গা ডায়াবেটিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন
স্বাস্থ্যসেবায় নলডাঙ্গায় নতুন দিগন্তের সূচনা।

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা মোড়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন নলডাঙ্গা ডায়াবেটিক সেন্টার–এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ১০টায়। এলাকাবাসীর জন্য বহুল প্রতীক্ষিত এই সেবাকেন্দ্র ডায়াবেটিস শনাক্তকরণ, চিকিৎসা ও পরামর্শ সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা জানানো হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।

উদ্বোধন করেন নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ রবিউল আউয়াল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব প্রিয়াংকা দাস।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন—
জনাব মোঃ আশিকুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি)
নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব রফিকুল ইসলাম
হাজী কল্যাণ সমিতির অন্যতম সদস্য এম এ হাফিজ প্রমুখ

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোঃ আনিছুর রহমান, এবং পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নলডাঙ্গা ডায়াবেটিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডঃ মোঃ জিয়াউল হক জিয়া। আয়োজনটি পরিচালনা করে হাজী কল্যাণ সমিতি, নলডাঙ্গা।

বক্তারা বলেন, নলডাঙ্গায় এই ডায়াবেটিক সেন্টার উদ্বোধনের মাধ্যমে এলাকার স্বাস্থ্যসেবায় নতুন মাত্রা সংযোজিত হলো। আধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ চিকিৎসকদের মাধ্যমে সেন্টারটি খুব দ্রুতই জনগণের আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নলডাঙ্গার স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত হলো নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার—নলডাঙ্গা ডায়াবেটিক সেন্টার, যা স্থানীয় মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আক্কেলপুরে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে যথাযথ মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিব...
21/11/2025

আক্কেলপুরে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে যথাযথ মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সকাল ১০ টায় আক্কেলপুর সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক কল্যান সংস্থার আয়োজনে এক রালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে আক্কেলপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসে শেষ হয়। পরে বিদ্যালয়ের হল রুমে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের ও সুধি সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনার অনুষ্ঠানে অব: সাজেন্ট আব্দুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ডা. মোহামেদ ওসমান গুনি সরদার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আক্কেলপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র আলমগীর চৌধুরী বাদশা, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জামায়াতে ইসলামের জেলা সহকারী সেক্রেটারি মো: রাশেদুল আলম সবুজ, আক্কেলপুর সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক কল্যান সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাজেন্ট এমরুল কায়েশ, জামালগঞ্জ কলেজের অব: অধ্যক্ষ হায়দার আলী, অবসরপ্রাপ্ত নায়েব রুহল আমিন, তিলকপুর ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. হাফিজুর রশিদ বকুল।

প্রধান অতিথি বলেন, তোমরা যেখানে থাকো একজন ভালো মানুষ হও, ভালো কিছু কর।
সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্ব ও আত্মত্যাগ আমাদের জাতির গর্ব। দেশের নিরাপত্তা, দুর্যোগ মোকাবিলা ও শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অবদান প্রশংসিত। এই দিনে আমরা সকল শহীদ ও কর্মরত সেনানীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

আক্কেলপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র আলমগীর চৌধুরী বাদশা বলেন,সমাজকে ভালো কিছু উপহার দিতে হবে, সমাজের হয়ে কাজ করতে হবে। আপনারা সকলেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে সমাজ পরিবর্তনের জন্য কাজ করবেন। আক্কেলপুরবাসীর পক্ষ থেকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই। দেশের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় তাদের ভূমিকা আমাদের সবসময় অনুপ্রাণিত করে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দীর্ঘজীবী হোক।

রাশেদুল আলম সবুজ বলেন, একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি তার সন্তানকে মানুষ করে গড়ে তুললেন, পরিশ্রম করলেন, স্বপ্ন দেখলেন-আজ সেই সন্তান চাকরি পেয়েছে, দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সমাজে নিজের জায়গা করে নিচ্ছে। আমরা এমনই বাংলাদেশ দেখতে চাই, যেখানে প্রত্যেক মানুষ সুযোগ পাবে, প্রতিটি পরিবার স্বপ্ন পূরণের পথ খুঁজে পাবে। সকল মানুষ তার মৌলিক চাহিদা-খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান ও নিরাপত্তা-নিশ্চিতভাবে পাবে। সমান সুযোগ ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাবে আমাদের দেশ।

সৈনিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েশ বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বীর সেনানীদের আত্মত্যাগ আমাদের স্বাধীনতার ভিত্তি। জাতীয় নিরাপত্তা, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অবদান আজ বিশ্বে স্বীকৃত। আমরাও সমাজের জন্য দেশের জন্য ভালো কিছু উপহার দিতে চাই।

উপস্থিত সকল অতিথি ও সৈনিকদের কলম উপহার দেন সাবেক মেয়র আলমগীর চৌধুরী বাদশা।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন সকল অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

গুরুদাসপুরে ‘মুক্তমঞ্চ’ এখন মুত্রাগারপ্রতি মাসে একটি করে নাটক মঞ্চস্থ হতো। প্রতি সন্ধ্যায় বসতো গানের আসর। সুরের মূর্ছনায়...
21/11/2025

গুরুদাসপুরে ‘মুক্তমঞ্চ’ এখন মুত্রাগার

প্রতি মাসে একটি করে নাটক মঞ্চস্থ হতো। প্রতি সন্ধ্যায় বসতো গানের আসর। সুরের মূর্ছনায় নিজেদের ভাসিয়ে দিতেন নানা বয়সি সংস্কৃতিমনারা। শিশুরা এসে গাইতো, নৃত্য করতো। উপভোগ করতে ভীড় জমাতেন দর্শনার্থীরা। এসবের আয়োজন ছিল একটিমাত্র ‘মুক্তমঞ্চ’কে ঘিরে। সেই ‘মুক্তমঞ্চ’ এখনো আছে। কিন্তু হারিয়ে গেছে নাচ-গান আর মঞ্চ নাটক।
সর্বশেষ ২০১০ সালের দিকে এই মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। এরপর অযতœ অবহেলায় ধীরে ধীরে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে। মুক্ত সংস্কৃতি চর্চাও মুখ থুবরে পড়ে আছে। মুক্তমঞ্চটি নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের ব্যস্ততম শহর চাঁচকৈড় বাজারের পাদদেশে অবস্থিত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে নবকুঁড়ি নাট্য সংস্থা ও স্বরলীপি শিল্পী গোষ্ঠিসহ স্থানীয় শিল্পীদের সংস্কৃতি বিকাশের জন্য মুক্তমঞ্চটি নির্মাণ করেন তৎকালিন পৌর চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাবলু। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের স্বরণে মুক্তমঞ্চের ভবনে লাল হরফে লেখা হয় ‘যাঁদের রক্তে স্বাধীন এ দেশ’। কিন্তু দেড় দশকের ব্যবধানে মুক্ত সংস্কৃতির এই মঞ্চ এখন দুর্গন্ধের মুত্রাগারে পরিণত হয়েছে। বেদখল হয়ে যাচ্ছে মঞ্চের জায়গা। মঞ্চের সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা আবর্জনা। গড়ে উঠেছে কিছু অস্থায়ী স্থাপনাও।
স্থানীয় নাট্য ও সঙ্গীত শিল্পীরা জানান, গুরুদাসপুরসহ পার্শ্ববর্তী তাড়াশ, বড়াইগ্রাম ও সিংড়া উপজেলার সাংস্কৃতিমনা মানুষদের আনাগোনা ছিলো এই ‘মুক্তমঞ্চে’। বিকশিত হতে থাকে সংস্কৃতি চর্চা। গড়ে ওঠে চাঁচকৈড় কিশোর সঙ্গীত একাডেমী, গুরুদাসপুর শিল্পকলা একাডেমী, লালন পরিষদের মতো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানও। ‘মুক্তমঞ্চে’ উৎসব মুখর পরিবেশে নাচ, গান আর মঞ্চ নাটক আয়োজন করতো এসব প্রতিষ্ঠান। মাঝে মাঝে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানও ঠাঁই পেত।
নবকুঁড়ি নাট্য সংস্থার সভাপতি আলী আক্কাছ জানান, তাদের দাবির কারণেই নব্বই দশকে ‘মুক্তমঞ্চ’ নির্মিত হয়। ‘ঘাটের মরা’ মঞ্চায়িত হওয়ার মাধ্যমে মুক্তমঞ্চের যাত্রা শুরু। এরপর একে একে মঞ্চায়িত হয়- নাটক ‘স¤্রাট বাহাদুর শাহ, টাকার দোষ, বাঁচতে চাই, চেয়ারম্যান, সতর্ক হোন, এ লাশ কবরে থাকবে না’। এসব নাটক এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। যোগাযোগ ব্যবস্থা অপ্রতুল্য হলেও প্রতি মাসেই ‘মুক্তমঞ্চে’ নাটক দেখতে ভিড় জমাতেন সংস্কৃতি প্রেমীরা। তৈরি হতে থাকে অনেক কবি, লেখক, শিল্পী।
স্বরলীপি শিল্পী গোষ্ঠির সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম বলেন, প্রথম এক দশকে স্থানীয় শিল্পীরা মুক্তমুঞ্চকে ঘিরে সাংস্কৃতিক চর্চা চালিয়েছেন। রাজনৈতির বহুমাত্রিক প্রভাব, বহিরাগত শিল্পী এনে অনুষ্ঠান আয়োজন, স্থানীয় শিল্পীদের অবমূল্যায়ণ সহ নানা কারণে ‘মুক্তমঞ্চ’ নিজস্ব স্বকিয়তা হারায়। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা হারিয়ে যায় প্রতিভা বিকাশ করা থেকে। ২০০৮ সাল নাগাদও মুক্তমঞ্চে নাটক, গান বাজনা আর নৃত্য হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে বহিরাগত শিল্পীদের এনে সাংস্কৃতিক চর্চা করায় কমে যায় স্থানীয় শিল্পীদের কদর। ধীরে ধীরে জৌলুস হারায় মুক্তমঞ্চটিও। সংস্কারের অভাবে মুক্তমঞ্চটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
লালন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বলেন, বর্তমানে মুক্তমঞ্চের আশপাশ স্থায়ী-অস্থায়ী মুত্রাগার আর ময়লার ভাগার। দূর্গন্ধে নাকাল স্থানীয়রা। মুক্তমঞ্চ ভবনের তিনটি কক্ষের তিনটিই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সংস্কার করে মঞ্চটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনার উপযোগী করার দাবি তার।
কবি ও কলামিস্ট জালাল উদ্দিন শুক্তি বলেন, মুক্তমঞ্চে তার লেখা বেশ কিছু নাটক মঞ্চায়িত হয়েছিল। মুক্তমঞ্চের কার্যক্রম বন্ধের সাথে সাথে তার মঞ্চ নাটক লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে।
পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মশিউর রহমান বাবলু, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় শিল্পীদের দাবির মুখে তিনি ‘মুক্তমঞ্চ’টি নির্মাণ করেন। স্থানীয় শিল্পীদের নানা আয়োজনে উৎসবমুখর হয়ে থাকতো মঞ্চটি। অথচ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে সেই মুক্তমঞ্চটি। এলাকার সাংস্কৃতিক চর্চা ফিরে আনতে মুক্ত মঞ্চটিকে রক্ষার দাবি তার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক ফাহমিদা আফরোজ বলেন, গুরুদাসপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ‘মুক্তমঞ্চে’র ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধ। দ্রুত অর্থবরাদ্দের মাধ্যমে মুক্তমঞ্চটি সংস্কার করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে দৃষ্টিনন্দন করা হবে।

Address

Unique House, Muslim Nagar , Road No-03, Matuail, Demra, Dhaka:
Dhaka
1362

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Prothom Sakal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Prothom Sakal:

Share