EASHA HD MEDIA

EASHA HD MEDIA Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from EASHA HD MEDIA, Digital creator, Kaliganj, Dhaka.

আসসালামু আলাইকুম আমাদের কাছে কিছু নকশী কাঁথা রয়েছে আপনারা যারা আর্জেন্ট নবজাতকের জন্য নকশি কাঁথা নিতে চান তারা আমাদের স...
22/01/2025

আসসালামু আলাইকুম
আমাদের কাছে কিছু নকশী কাঁথা রয়েছে আপনারা যারা আর্জেন্ট নবজাতকের জন্য নকশি কাঁথা নিতে চান তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন দুই তিন দিনের মধ্যে ডেলিভারি পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ

আসসালামু আলাইকুম ছোট্ট সোনামণিদের জন্য নকশি কাঁথা নিতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন বেস্ট কোয়ালিটির নকশি কাঁথা ...
22/01/2025

আসসালামু আলাইকুম
ছোট্ট সোনামণিদের জন্য নকশি কাঁথা নিতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন বেস্ট কোয়ালিটির নকশি কাঁথা পাবেন ইনশাআল্লাহ আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী কালার ও ডিজাইন কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন
to followনকশি কাঁথার সমাহার By Easha

কবে_হলো_ভালোবাসা তাশফিয়া_রহমান_মাটি (লেখিকা) পর্ব :৫দীবা অবাক হয়ে তাকাতে বাকা হাসলো দিবস। এদের দুজনের চোখাচোখি কারো নজ...
31/01/2024

কবে_হলো_ভালোবাসা
তাশফিয়া_রহমান_মাটি (লেখিকা)
পর্ব :৫

দীবা অবাক হয়ে তাকাতে বাকা হাসলো দিবস। এদের দুজনের চোখাচোখি কারো নজরে পড়লো না।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে দিবসরা চলে গেলো।
দীবা একটু ঘুমিয়ে নিলো। বাবলির ডাকে উঠে গোসল করে, নামাজ পড়ে ফোন নিয়ে একটু ইনস্টাগ্রামএ ঢুকতেই সবার প্রথম এ দিবসের পিক দেখতে পেলো। যা মাএ দুই মিনিট আগে ছাড়া আর তাতে রিয়াকশন ৫০০+ দীবা একটু অবাক হলো। কমেন্ট গিয়ে আরো অবাক হাজার কমেন্ট সব মেয়ের অথচ কোনটাই দিবসের রিপলে নেই। দীবা কিছু ভেবে কমেন্ট করলো
- পিউর পাগল একটা। সাথে সাথে রিপ্লে আসতে ঘাবড়ে গেলো।

দিবস কমেন্ট কিছু না বলে ইনবক্সে মেসেজ দিলো
দিবস: পাগল তোমার জন্য।
- সরেনতো ।
দিবস: সরে কোথায় যাবো।
- যেখানে খুশি যান।
দিবস: ওকে তাহলে তোমার কাছে আসি।
- হাউ ফানি।
দিবস- হাউ হানি।
- আপনাকে কমেন্ট করায় আমার ভুল হয়েছে, ভাই মাফ চায়।
দিবস:আমার কি গান শুনতে চাও দীবানিশি?.
- আমার তো মনে হয় আপনি গান ই জানেননা। এত ফলোয়ার নিশ্চিত টাকা দিয়ে তৈরি করছেন ঠিক না?
দিবস মজা করে লিখলো
দিবস: আমার বিষয়ে এত ধারণা! ওয়াও নট ব্যাড, আমার ডাই হার্ট ফ্যান কিউটিপায় ।
- নট কিউটিপায় ওনলি দীবা।
দিবস: ওলে বেবিটা ।
- শুধু ফাজলামি, আমার একটা জিনিস মনে হচ্ছে।
দিবস: কি?
- আপনার গান শুনতে বোধহয় শুধু আমরায় যাবো। দেখা গেলো দর্শক আমরায়।
এদিকে দীবার এই মেসেজ দেখে দিবস বেশ জোরে হেসে উঠলো। যা কেউ জানলো না। হাসতে হাসতে টাইপ করলো দিবস
দিবস: যদি একজন দর্শক শুধু তুমি হও তো দিবস শুধু তোমার জন্যই গান করবে।

দীবা আর কোন কথা খুজে না পেয়ে ,অনলাইন থেকে বেরিয়ে গেলো।
বাবলির সাথে গল্প, বাবলির পড়াশোনা দেখিয়ে দেয়া, খাওয়া দাওয়া, নামাজ কালামের মধ্যে দিনটি শেষ হলো।

পরেরদিন সন্ধ্যাতে দীবা একটা গোলাপি রঙের গাউন , সাথে সাদা রঙের হিজাব বেধে, চোখে কাজল, আইলাইনার, ঠোঁটে হালকা লিপ বাম দিয়ে কোন মেক আপ না করে রেডি হয়ে নিচে নেমে এলো। বাবলিও সেম ড্রেস পরেছে। কিন্তু অনেক মেক আপ করেছে। দুজন হাত ধরে গেইট দিয়ে বের হতে চোখ পড়লো দিবস এর দিকে। গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে একমনে ফোন দেখছে। বাবলি বলে উঠলো
বাবলি: দিবস আমাদের না দেখে ফোনে কি?
বলার সাথে সাথে দিবস একদৃষ্টিতে দীবার দিকে তাকালো ওর মনে হলো নি:শাস নিতে ভুলে গেছে!

দিবস আজ নেভি বল্লু কালার এর টি -শার্ট পড়েছে। চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করা, হাতে রিস্ট ওয়াস উফ এতেই যেনো দীবার অবস্থা সেম হলো।দীবার কি হলো সেও চোখে চোখ রাখলো।দুজনের দৃষ্টিবিনিময় চলছে।বাবলি এদের চুপচাপ দেখে এগিয়ে এসে বললো
বাবলি: দিবস আমরা কি যাবো না?

বাংলার কথায় দুজনেই বাস্তবে ফিরে এলো।দিবস ঘোর থেকে বেরিয়ে বললো
দিবস: চলো কিউটি যাবো তো।
আজ ড্রাইভার নিয়ে যাচ্ছে দিবস। তাই তারা তিনজন পেছনে বসল। বাবলি একপ্রকার জোর করে জানালার পাশে বসলো। দিবস ও অপর দিকে জানালার পাশে তাই বাধ্য হয়ে দীবাকে ওদের মাঝে বসতে হলো।
দিবস বলে উঠলো
দিবস : তোমার কত ভাগ্য যে দিবস এর পাশে বসতে পারছো। বলেই ভাব নিতে লাগলো। তাই দীবা বললো
- এমন ভাগ্য আর কখনো না হোক।
দিবস: দেখো আবার এমন ভাগ্য না তোমার সারাজীবন হয়ে যায়। বলেই হাসতে হাসতে চোখ মারলো।
- এই আপনি নাকি সেলিব্রেটি! এই কি একটা সেলিব্রেটি হলো কোন লজ্জা নাই। বেশরম একটা।
দিবস: বেশরম গানটাও শুনে ফেলছো ?
- আমি ঐসব পচা গান শুনি নাই।
দিবস: গানটা পচা তুমি কেমনে জানছো। মজা করে বলতে লাগলো
দিবস : ছি তুমি এইসব ভাষা ঐসব গান দেখে শিখছো। ।
- বিলিভ মি আমি ঐ গান দেখে বলি নাই, যার লজ্জা শরম নাই তাকে বেশরম বলে।
দিবস : চোখ মারলে বেশরম হয় তা মাএ জানা আমি। তা আর কি করলে বেশরম হয় বলেনতো ?
-আজব এত কথা বলেন কেনো?
দিবস: জাস্ট একটা কথা মনে হচ্ছে আজ।
- কি?
খুব সিরিয়াস হয়ে বললো
দিবস:আই নেভার বিলিভড , ইন লাভ এট ফার্স্ট সাইট, বাট দেট ওয়াজ বিফোর আই স ইউ।
দীবার হার্ট বিট বেড়ে গেলো। দীবা অস্থিরতা নিয়ে বললো
- ক কি কি বলছেন এসব?
দিবস ওর অস্থিরতা দেখে হা হা করে হেসে ফেললো। এদের এতসময় এর কথা বাবলির কানে না গেলেও দিবস এর হাসির শব্দ এ উৎসুক হয়ে তাকালো।
দীবা রেগে বললো
- আবার মজা। বলে হাত বাড়ালো দিবসের চুলের দিকে ,দিবস সাথে সাথেই পেছনে হেলে বললো
দিবস: নো আজকে প্রোগ্রাম আছে।
- মন তো চাইছে আপনার গলা টিপে দেয়।
দিবস : গলা টিপলে তোমারি লস।
- আমার লাভও নাই লসও নাই।
দিবস: লাভ হলে তোমারি ক্ষতি হতো।
দীবা বুঝতে না পেরে বললো
- মানে?
দিবস: লাভ আই মিন ভালোবাসা ইউ নো। বলেই আবার হাহা করে হাসতে লাগলো।

বাবলি নিরব দর্শক হয়ে দেখছে আর হাসছে।
এভাবে খুনসুটি করতে করতে পৌঁছে গেলো তারা গন্তব্যে।
দিবস গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে চারিদিক থেকে চার জন বডিবিল্ডার লোক চলে এলো।
দীবা আর বাবলি নেমে চুপচাপ দেখ ছিলো। এমন সময় দিবস হাত বাড়ালো দুজনের দিকে, বাবলি সাথে সাথে হাত বাড়ালেও দীবা ইতস্ততবোধ করছিলো তা দিবস বুঝতে পেরে নিজেই হাত ধরে দীবার। দীবা সাথে সাথে কেপে উঠে। এক নতুন রকম অনুভূতির সাথে পরিচয় হলো।

দিবস হাত ধরে এগিয়ে ভেতরে নিয়ে যেতেই ,দীবা অবাক হয়ে গেলো এত মানুষ আসছে। দিবস এর এত দর্শক! এসব ভাবনার মাঝেই দিবস সামনে সিট দেখালো যেখানে মামনিরা সবাই আছে। তার কথা মত আগাতে যেতেই হাতে বাধা পেলো । দীবা অবাক হয়ে পেছনে ফিরে দেখলো দিবস এর হাতের ভেতরে দীবার হাত এখনো। দীবা কিছু বলতে নিতেই দিবস বললো
দিবস: আমার হাত কি সারাজীবন ধরে রাখতে চাও। ধরে রাখতে চাইলে রাখতে পারো। আমিও পারবো কিন্তু এখন আমার প্রোগ্রাম আছে তুমি যদি চাও হাত ...
আর বলতে পারলো না কারণ দিবসকে থামিয়ে দীবা বললো
দীবা: হাত ছাড়বেন এটা কি ধরনের অসভ্যতা!
দিবস মৃদু হেসে হাত ছেড়ে দিতেই দীবা একপ্রকার দৌড়ে চলে গেলো।
তার কিছু সময় পর শুরু হলো অনুষ্ঠান।
দিবস এর নাম এনাউন্স হতেই কেমন যেন লাগলো দীবার।
দিবস মাইক হাতে নিয়ে বললো
দিবস: আসসালামুআলাইকুম এভরিওয়ান। সবাই ভালো আছেন তো?
সবাই উওর করলো।
এরপর গান শুরু হওয়ার আগেই হাজারো মেয়ে চিৎকার দিয়ে বললো দিবস দিবস।
দিবস আবার হাসলো। হাসিটা কেমন যেন দীবাকে আকৃষ্ট করলো। তাই অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতে দিবসের চোখে চোখ পড়লো। দিবস এর হাসি আরেকটু গাঢ় হলো। চোখ দিয়ে ইশারা করলো ,যেন তার গান মন দিয়ে শোনে। তারপর গিটার হাতে নিয়ে সুর তুলে গাইতে শুরু করলো ....

চলবে ।

রায়হানের মধ্যে মেয়েলি স্বভাব আছে! ছোটোবেলা থেকেই সে মেয়েদের সাথে মিশে!  ওর কোনো ছেলে বন্ধু নেই!এইচএসসি পাশ করার পর রায়হা...
28/01/2024

রায়হানের মধ্যে মেয়েলি স্বভাব আছে! ছোটোবেলা থেকেই সে মেয়েদের সাথে মিশে! ওর কোনো ছেলে বন্ধু নেই!

এইচএসসি পাশ করার পর রায়হান একটা মহিলা কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিলো। পরীক্ষায় পাশ করে ভর্তি হয়ে গেল!

প্রথমদিন ক্লাস করার সময় ম্যাডাম রায়হানকে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "এই ছেলে তুমি এখানে কেন!"

রায়হনা বলল," আমি দেখতে ছেলে হলেও একজন মেয়ে!"

ম্যাডাম প্রিন্সিপাল ম্যাডামের কাছে অভিযোগ করলেন। অধ্যক্ষ ম্যাডাম রায়হানকে ডেকে পাঠালেন।

রায়হান অধ্যক্ষ ম্যাডাক কে বলল, "ম্যাডাম আমি একজন মেয়ে!"

ম্যাডাম ভাবলেন দেশে এ সব নিয়ে খুব মাতামাতি হচ্ছে! এখন নিজের কলেজকে এ সবের মধ্যে ফেলা ঠিক হবে না! এই ছেলেটা মনে হয় হিজড়া!

তিনি রায়হান কে বললেন, " শোন ছেলে! স্যরি মেয়ে তোমাকে দেখতে অনেকটা ছেলে মনে হয়! তাই আমার কলেজে পরতে হলে একটু মেয়ে সেজে আসতে হবে! বুঝতে পারছ আমার কথা?"

রায়হান মাথা নেড়ে সায় দিলো। এবং ম্যাডামের রুম থেকে বের হয়ে আসল।

রায়হান মেয়েদের পোশাক পরে ক্লাসে যায়। এ নিয়ে এখন খুব একটা সমস্যা হয় না!

আবার সমস্যা হলো রায়হান হলে সিটের জন্য আবেদন করেছে! অধ্যক্ষ ম্যাডাম বললেন, "তোমকে সিট দেয়া হবে না!"

রায়হান বলল," কেন ম্যাডাম! আমি এই কলেজে ছাত্রী! আমার সিট পাওয়ার অধিকার নাই?"

ম্যাডাম ভেবে দেখলেন হিজড়াটাকে সিট না দিলে আবার না জানি কী হাঙ্গামা শুরু হয় কে জানে! তাই শেষমেশ সিট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন!

রায়হান হলে উঠে আসল। প্রথম প্রথম মেয়েরা ওর সাথে খুব একটা মিশে না। কিন্তু রায়হান ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের সাথে মিশে অভ্যাস। কাজেই কিছুদিনের মধ্যে মেয়েরা ওর সাথে মিশতে শুরু করল।

এখন রায়হান হলের সবার ভালো বান্ধবী!

বছরখানেক পরে হলের দায়িত্ব থাকা ম্যাডাম অধ্যক্ষ ম্যাডের রুমে এসে বললেন," ম্যাডাম সর্বনাশ হয়ে গেছে!"

অধ্যক্ষ বললেন, "এই সকাল বেলা কে আপনার সর্বনাশ করল!"

একটু হাসলেন!

হলের ম্যাডাম বললেন, "আমার না হলের মেয়েদের করেছে! "

"হোয়াট! কী বলছেন আপনি?"

হলের ম্যাডাম একটু বাঁকা হাসি দিয়ে বললেন, " জী ম্যাডাম! হলের সব মেয়ে প্রেগন্যান্ট! "

ম্যাডামের চেহেরাটা কালো হয়ে গেল! "কী বলেন এ সব!"

"জি ম্যাডাম!"

"ডাকুন সব গাধীদের! "

সব কয়টা মেয়ে ম্যাডামের রুমে দাঁড়িয়ে আছে! ম্যাডাম কঠিন স্বরে বললেন, "কী করে হলো এ সব?"

নুসরাত নামের মেয়েটা বলল, "ওই শয়তান রায়হানটার জন্য ম্যাডাম! আমরা ওকে মেয়ে মনে করেছিলাম! ও যে একটা ছেলে বুঝতে পারিনি!"

"দেখে না হয় বুঝতে পারোনি! কিন্তু সেই সময়ই কী বুঝতে পারোনি?"

"স্বপ্ন ভেবেছিলাম ম্যাডাম! সুইটি বলল, ওর সাথে ঘুমালে সুন্দর স্বপ্ন দেখা যায়! তাই আমরা সবাই ওর ঘুমিয়েছিলাম! আপনি স্বপ্ন দেখেন না ম্যাডাম?"

ম্যাডাম বিরক্ত হয়ে বললেন," বের হও আমার রুম থেকে বলদ কোথাকার! "

এবার রায়হান কে ডেকে আনলেন। রায়হান ম্যাডামের সামনে দাঁড়িয়ে আছে!

ম্যাডাম বললেন, "এই ছেলে তুমি না মেয়ে?"

জি ম্যাডাম আমি তো নিজেকে মেয়েই মনে করি! কিন্তু ওরা আমাকে ছেলে মনে করলে আমার কী করার আছে বলেন!

বের হয় আমার কলেজ থেকে! বেয়াদব কোথাকার!



যারা আইডি ফলো না দিয়ে গল্প পড়ছেন,পেজটা ফলো করুন

👉Easha HD Media

কবে_হলো_ভালোবাসা তাশফিয়া_রহমান_মাটি  (লেখিকা) পর্ব :৪দীবা গাড়ি থেকে নেমে একটু আগাতে, পেছনে ফিরে দেখলো দিবসও আসছে। তাই ...
28/01/2024

কবে_হলো_ভালোবাসা
তাশফিয়া_রহমান_মাটি (লেখিকা)
পর্ব :৪

দীবা গাড়ি থেকে নেমে একটু আগাতে, পেছনে ফিরে দেখলো দিবসও আসছে। তাই দাড়িয়ে পড়লো।
দিবস দাড়ানো দেখে বলে উঠলো
দিবস: হঠাৎ দাড়ালে কেনো? চলো।
- আপনিও যাবেন নাকি?
দিবস: হ্যাঁ কেনো যেতে পারিনা ?
দীবা কিছু বলার আগেই বাবলি একপ্রকার চিৎকার দিয়ে বললো
বাবলি : ওহ মাই গড! তুমি আমাদের বাসায় কতদিন পর। বলেই দিবস এর হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে ভেতরে চলে যাচ্ছে ।এদিকে দীবার কথা যেনো খেয়াল করেনি। দিবস বুঝতে পেরে বাবলিকে থামিয়ে বললো
দিবস: তোমার কাজিন দীবা অসুস্থ।
বাবলি: তুমি আমার কাজিন দীবা আপুকে কোথায় পেলে?
দিবস: হুম আমাদের ভার্সিটি আই মিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়। আমি যেহেতু চিনতাম তোমার কাজিন হয় এজন্য আমার সাথে নিয়ে আসলাম।
বাবলি: ওহ। আপু কোথায়?
- এই যে আমি আমাকে তো ভুলে গেছেন। আমি কে হয় মনে রাখতে হবে।
বাবলি: সরি আপু। এই দেখো কান ধরছি। দুই বোনের খুনসুটি দিবস নীরব চোখে দেখছে, আর মিটিমিটি হাসছে। যা কারো চোখে পড়লো না।

দীবা কিছু বলার আগেই ,দিবস বলে উঠলো
দিবস: বাবলি আপুকে নিয়ে বাসায় যাও আমি গেলাম।

বাবলি: নো তুমি কতদিন পর আমাদের বাসায় সামনে এলে , সো এখন আমাদের সাথে আমাদের বাসায় যেতেই হবে।
দিবসকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে হাত ধরে বাসায় ভেতরে চলে গেলো। দীবাও ভেতরে গেলো ।
দীবার ফুফু দিবসকে দেখার সাথে সাথে বললেন
দীবার ফুফু: কতদিন পর তোমার মুখটা দেখলাম বাবা। দিবস: আসসালামুয়ালাইকুম মনি কেমন আছেন?
দীবার ফুফু: ওয়ালাইকুমুসসালাম, আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
দীবাকে পেছনে দেখে বলে উঠলেন।
দীবার ফুফু: দীবা মা এত তাড়াতাড়ি বাসায় আসলে ক্লাস হয়নি?
দীবা কিছু বলার আগেই দিবস সব ঘটনা বললো। দীবাকে কাছে নিয়ে আদর করলেন। তারপর ওদের তিনজনকে রেখে দিবসকে উদ্দেশ্যে করে বললেন
খেয়ে যেতেই হবে।
দিবস: না মনি আজকে না অন্যকোন দিন।
দীবার ফুফু: কোন কথা না বসো আমি আসছি।
দীবা তার ফুফুর কথাবার্তায় বুঝলো দিবসের সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক ।এসব ভাবনার মাঝেই দিবস বললো
দিবস: বাবলি কেউ কি চিন্তার সাগরে ডুবে গেছে নাকি, সে আবার সাতার জানেতো ?
বাবলি কিছু বুঝলো না ।
- কিছু মানুষ যে আসলেই পাগল, সে বার বার প্রমাণ করে বুঝছো বাবলি।
বাবলি: আমি তোমাদের কারো কথায় বুঝতে পারছি না। তোমরা থাকো আমার স্কুলে যেতে হবে। বাই। বলে চলে গেলো।

দীবা এখনও দিবসের দিকে তাকিয়ে আছে দেখে দিবস বললো
দিবস: দীবানিশি আই নো আম হ্যান্ডসাম। তাই বলে এইভাবে নজর দিবে! যদি আমি অসুস্থ হয়ে যায়।
- হ্যান্ডসাম না একটা হনুমান। আর আমি মোটেও নজর দেয়নি ওকে।
দিবস:নজর কীভাবে দেয়গো দীবানিশি ? বলেই দিবস চোখ মারলো।
সাথে সাথে দীবা বলে উঠলো
- আপনি এত ফাজিল কেনো? আর চোখ মারলেন কেনো?
দিবস ইনোসেন্ট ফেইস করে বললো
দিবস: চোখ আবার কীভাবে মারে বুঝলাম না! চোখ মারা যায় নাকি?
- অসহ্য। চোখ মারলেন কেনো? ফাজিল তো বুঝছি। এখন কি আবার নিজেকে অসভ্য প্রমাণ করতে চাইছেন?
দিবস খুব সিরিয়াস হয়ে বললো
দিবস: আমি সত্যিই বুঝলাম না চোখ মারে কীভাবে একটু বুঝায়ে বলবে?
দিবস এর সিরিয়াস ভাব দেখে দীবা ভাবছে সত্যিই হয়তো জানেনা না বুঝেই ওমন করলো। দিবস আবার বললো
দিবস: কি হলো আমাকে কি বলার মতো না, আমি একটু বুঝতে পারিনি একটু দেখায়ে দিলেই বুঝবো প্লিজ ।
দীবা কি করবে বুঝতে পারছে না, লজ্জা লাগছে আবার দিবস এর মুখ দেখে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিলো
দীবা দিবস এর দিকে চেয়ে, বাম চোখ খোলা রেখে ডান চোখ বন্ধ করলো। করার সাথে সাথে দিবস হাহা করে হাসতে শুরু করলো। দীবার আর বুঝতে বাকি নেই দিবস ইচ্ছা করে ওকে বোকা বানিয়েছে।

দীবা এক হাত দিয়ে দিবসের চুল টেনে ধরে বললো
- অসভ্য, ফাজিল হনুমান একটা , আপনি ইচ্ছা করে করলেন, ফাজিল ছেলে।
দিবস হাসছে আর বলছে
দিবস: আরে ছাড়ো দীবানিশি, আমার সেট করা চুলের কি অবস্থা করছো ! ব্যাথা পায়তো হানি।
ব্যাথার কথা শুনে চুল ছেড়ে দিয়ে দীবা বললো
- আমি আর কখনো কথা বলবোনা।
দিবস হাত দিয়ে চুল ঠিক করে বললো
দিবস: কিন্তু কথা না বললে তো
আর বলতে পারলো না কারণ তার মাঝে কেউ বলে উঠলো
:আমার আব্বা এখানে আর আমি জানি না।
দিবস চোখ তুলে সামনে তাকিয়ে দেখে ,ওর মা দাড়িয়ে তাই উঠে গিয়ে জড়িয়ে ধরে সব বললো। দিবস তার ফ্যামিলির সাথে ভীষণ ফ্রি তাই দীবার কথা আগেই বলেছিলো।
দিবসের মা সব শুনে দীবার মাথায় হাত রাখলেন।
দিবসের মা : খাওয়া দাওয়া করবে ঠিক মতো মা।
- জি আন্টি ।
দিবসের মা: তুমি আমাকে মামনি বলে ডেকো। আন্টি কেমন পর পর মনে হয় মা।
দিবসের মায়ের আন্তরিকতা দীবার মন ছুয়ে যাচ্ছে।
এসব ভাবনার মাঝেই দিবসের মা বললেন
দিবসের মা: মা তোমার ফুফু কোথায়?
- রান্না ঘরে আমি ডেকে আনছি।
দিবসের মা: না মা তুমি বসো আমি যেতে পারবো।
দিবসের মা যেতেই দীবা বলে উঠলো
- আপনার মা ভীষণ ভালো।
দিবস: কার মা দেখতে হবে তো বেইবস।
- আমার নাম কি ভুলে যান হুম ?
দিবস: কি নামগো?
-দীবা ।
দিবস: ওহ দীবানিশি সো কিউট নেম।
দীবা অবাক হয়ে তাকাতে দিবস বলে উঠলো
দিবস: ঐভাবে তাকিয়ো না প্রেমে পড়ে যাবোতো ।
- কি সব বলেন!.
দিবস: আমি কারো প্রেমে পরিনি কিন্তু তুমি যদি চাও ভেবে দেখতে পারি।
-জীবনেও না।

দিবস: ওহ আমি ভেবে দেখি এটা চাও না ।আমি ডাইরেক্ট তোমার প্রেমে পরি তাই চাও বুঝছি।
- কচু বুঝছেন।
আমি একদমই চাইবোনা আপনি আমার প্রেমে পরেন।
দিবস ভুরু কুচকে বললো
দিবস: তাহলে কি চাও ভালোবাসি।
দীবার মূহুর্তে কি হলো হার্ট বিট বেড়ে গেল।
দিবস দীবাকে চুপ থাকতে দেখে বললো
দিবস: যদি চাও ভালোবাসি ,তবে আমার মায়ের পরে তুমি হবা পৃথিবীর দ্বিতীয় নারী। যাকে আমি ভালোবাসবো।
দীবার অস্থির মুখ দেখে দিবস জোরে জোরে হেসে ফেললো। দীবা অবাক চোখে তাকাতে দিবস বললো
দিবস: আরে দীবানিশি আমি ফান করছিলাম। তুমি দেখি সিরিয়াস নিসো। তোমার মুখ দেখার মতো ছিলো। বলেই আবার হাসলো। দীবা নিজের বোকামি লুকানোর জন্য বললো
- আমিও জানি আপনি ফানই করছেন। ফান ছাড়া আর কি পারেন।
দিবস: মানে এটা ফান না হলে তুমি খুশি হতে এটা বুঝাতে চাইছো? মুখে এখনো হাসি।
- অসহ্য সরেন তো শুধু উলটো পালটা কথা।
-
ওদের কথার মাঝেই দিবস এর মা ও দীবার ফুফু এলো।
এসেই সব খাবার সার্ভ করে বসতে বললো সবাইকে।
দিবস এর মা বলে উঠলেন
: জোর করেই তোমার ফুফু খাওয়ায়ে ছাড়বে,,বুঝছো বলেই হাসলো। সাথে দীবাও হাসলো। খেতে খেতে দিবসের মা বললো আগামীকাল দিবস এর গানের কনসার্ট আছে। তোমরা সবাই আমাদের সাথেই যাবা কোন কথা শুনবো না।
দিবস: ওহ শিট বলতে ভুলে গেছিলাম। মনিরা সবাই আমার গান শুনলেও ,এখানে একজন আছে নতুন, তাকে আমি আমার সাথে নিয়ে যেতে চাই। আমার সাথে বাবলি আর দীবা যাবে পারমিশন আছে?
দীবা কিছু বলার আগেই দীবার ফুফু বললো
অবশ্যই যাবে।
বলার সাথে সাথে দিবস দীবার দিকে তাকিয়ে চোখ মারলো ...

চলবে ।

কবে_হলো_ভালোবাসা তাশফিয়া_রহমান_মাটি  (লেখিকা) পর্ব :৩রিকশা থেকে নেমে ভাড়া দিতে গেলেই, রিকশাওয়ালা দীবাকে  জানালো- যে রি...
28/01/2024

কবে_হলো_ভালোবাসা
তাশফিয়া_রহমান_মাটি (লেখিকা)
পর্ব :৩

রিকশা থেকে নেমে ভাড়া দিতে গেলেই, রিকশাওয়ালা দীবাকে জানালো- যে রিকশা ঠিক করেছিলেন ,সে আগেই ভাড়া দিয়েছেন।
এদিকে দীবা মনে মনে ভাবতে লাগলো
- দিবস কখন ভাড়া দিলো!আমি ঠিক ও পেলাম না।
এসব ভেবে গেইটের সামনে চোখ তুলে তাকাতেই, আমার পায়ের নিচের মাটি সরে গেল! অস্ফুট সুরে মুখ থেকে বের হলো একটি নাম ফাহাদ! চারিপাশে মনে হলো অন্ধকারে ছেয়ে গেলো আর কিছু মনে নেই।

_____
চোখ খুলতেই আমার আশে পাশে অনেক মানুষ দেখলাম । কিন্তু শুধু পাশে বসে আছে তিশু। তিশুকে কান্না করতে দেখলাম। আমি কিছু বলার আগেই কারো ভয়েস কানে এলো। তিশুর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সামনে তাকিয়ে দিবসকে দেখলাম।
দিবস: অবশেষে জ্ঞান ফিরলো। তা কি এমন হয়েছিলো যে মাথা ঘুরে গেলো! খাওয়া দাওয়া কিছু করো না নাকি?
আমার মনে পড়ে গেলো, আমি ফাহাদকে দেখেছিলাম। ভাবতেই ভীষণ অস্থিরতা শুরু হয়ে গেলো। যা কারো চোখে না পড়লেও দিবসের চোখে পড়লো।
দিবস কিছু ভেবে সবাইকে বললো দীবাকে সে বাড়ি পৌঁছে দেবে। সবাই বেশ অবাক হলো বিশেষ করে মেয়েরা, তাদের যেনো দীবাকে হিংসা হলো।

সবাই যার যার মতো চলে গেলেও ,তিশু দীবাকে পাশে নিয়ে বসে থাকলো।

দিবস এগিয়ে এসে, দীবার অস্থিরতা দূর করার জন্য বললো
দিবস: দীবানিশি বাই এনি চান্স, তুমি কি আমার কোলে উঠার জন্য মাথা ঘোরার নাটক করছো?
দীবা চোখ গরম করে তাকিয়ে বললো
- আপনার কোলে উঠার চেয়ে মাথা ঘুরে রোডে পরে গিয়ে ব্যাথা পাওয়া আমার জন্য বেটার।
দিবস কিছু বলতে যেতেই আমি থামিয়ে বললাম
- এই আপনার কোলে মানে বুঝলাম না! এই তিশু আমার মাথা ঘোরার পর আর কিছু মনে নেই কি হয়েছিলোরে?
তিশু এদের দুজনের খুনসুটি বেশ উপভোগ করছে। একটু হেসে বললো
তিশু: তুই মাথা ঘুরে পড়তে যাবি ,এমন সময় আমিও দৌড়ে আসছিলাম। কিন্তু আমার আগেই দিবস হিরোর মতো এন্ট্রি নিয়ে তোকে ধরে ফেললো। উফ কি রোমান্টিক সিন ! ওর কথা শুনে দীবাতো লজ্জা পাচ্ছে সাথে দিবস ও খুক খুক করে কেশে উঠলো, বাহানা দিয়ে বললো
দিবস: তিশা তোমার বান্ধবীর আরেকটূ রেস্টের প্রয়োজন। আমার একটু কাজ আছে। একটু পরে এসে নিয়ে যাবো।

দীবা জানে তিশুর মুখে কোন কন্ট্রোল নেই। তাই বলে দিবস এর সামনে এসব বলবে ও ভাবেনি। দীবা এসবের মাঝে, ফাহাদ এর কথা ইতিমধ্যে ভুলেও গেছে।

- এই তিশু তোর মুখে কিছু আটকায় না ,সেটা তোর বেস্ট ফ্রেন্ড হিসেবে আমি তো জানিই। বাইরের মানুষদেরকে জানানো কি খুব জরুরি!

তিশু : কে বাইরের লোক!
- দিবস আবার কে !
তিশু: আমার তো মনে হয়, এই বাইরের মানুষটি আবার তোর সবচেয়ে কাছের মানুষ না হয়ে যায় দেখিস।
- আজেবাজে কথা বলিস না।
তিশু : তোর হঠাৎ মাথা ঘুরে গেলো কেনো বাবু? দীবা আবার অস্থির হয়ে আমতা আমতা করে বললো
- আ আমি ফাহাদকে দেখেছি। জানিনা আমার চোখের দেখার ভুল কিনা ।
তিশু চমকে উঠলো এক প্রকার! কারণ সে ফাহাদ সম্পর্কে সবটাই জানে।

তিশু দীবাকে বোনের মতো ভালোবাসে। তাই দীবাকে স্বাভাবিক করার জন্য বললো
তিশু: দিবস এর কোলে তোরে দারুণ লাগছিল।
- তাই আমি নাচবো।
বলার সাথে সাথে দিবস রুমে এসে বললো -
দিবস: তুমি এত ডাই হার্ট ফ্যান যে আমাকে ইমপ্রেস করার জন্য নাচতে চাইছো ওয়াও দীবানিশি।
দীবা ভাবতে লাগলো ,সব কথা শুনে ফেলেনি তো! এর মাঝেই দিবস আবার বললো-
দিবস: ভাবনার সাগর থেকে বের হলে আমরা যেতে পারি ।
দীবাও আর কোন কথা না বলে, এগিয়ে গেলো।
- একি গাড়ি কেনো! আমি আপনার সাথে গাড়িতে যাবো না।
দিবস: দেখো সবসময় সফট্ লি কথা বলি, তার মানে এই না যে এখন তোমার এই আবদার মেনে নিবো। তুমি অসুস্থ আর এই অবস্থায় তোমার একা রিকশা করে যাওয়া ঠিক না । আর বাসায় কল করে গাড়ি আনিয়েছি শুধু তোমার জন্য।
- আমার জন্য এত ভাবতে কে বলেছে আপনাকে?
দিবস: আমি তোমার জন্য না শুধু ,যেকোন মেয়ে অসুস্থ হলে হেল্প করতাম। হয়তো বাসায় পৌঁছে দিতাম না নিজে ,কিন্তু তোমার জন্য করছি।
- কেনো করছেন?
দিবস: আমি তোমাকে চিনি ,আর তাছাড়া আমার বাড়ির কাছে তুমি থাকছো।
দীবার যেন বিলিভ হলো না কথাগুলো। তবুও গাড়ির কাছে এগিয়ে যেতেই হুট করে কোথা থেকে একটি মেয়ে এসে দিবসকে জড়িয়ে ধরলো। দীবা অবাক চোখে চেয়ে থাকলো! এদিকে দিবস ও দীবার সামনে ওক ওয়ার্ড ফিল করলো। তাই মেয়েটিকে জোর করে ছাড়িয়ে বললো
দিবস: কি সমস্যা রেবা এটা পাবলিক প্লেস ।ফারদার এগুলো করবানা আমার পছন্দ না।
রেবা : আমি তোমার জিএফ বেইব।
দিবস: জিএফ হাহ একটা কথা মনে রেখো, আমি তোমাকে জিএফ হওয়ার জন্য বলিনি। তুমি আমার পিছনে ঘুরছো কান্না করছো । সফট্ মনের জন্য জাস্ট একসেপ্ট করছি। এর বেশি কিছু এক্সপেক্ট করবা না তাহলে ব্রেকাপ ।
এদিকে দীবা নিরব দর্শক এর মতো সব দেখছে।
দিবস এর কথা শুনতেই ,মেয়েটি সাথে সাথে বললো
রেবা: নো নো বেবি প্লিজ ব্রেকাপ করো না। আমি তোমার জিএফ এই পরিচিতি টা ঠিক আছে। আর কিছু চায় না। বলেই দিবসকে কিছু না বলার সুযোগ দিয়ে চলে গেলো।

দিবস গিয়ে ড্রাইভারকে টাকা দিলো। বাসায় চলে যেতে বললো। তারপর দিবস সামনে বসে দীবাকে পাশে বসতে বললো। দীবা এখনো ঐ মেয়ের কথা ভাবছে , ভাবতে ভাবতে দিবস এর পাশে বসলো।
দিবস অনেক সময় নিয়ে খেয়াল করছে দীবাকে।
দীবা জানালা দিয়ে বাইরে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
দিবস ভাবছে কি এত ভাবছে , ও কি এখনো কোন বিষয় নিয়ে আপসেট। যে জন্য অসুস্থ হলো। তাই মজা করে বললো
দিবস: দীবানিশি
দীবা অন্যমনস্ক থাকায় উওর দিলো
- হুম।
দিবস অবাক হয়ে গেলো যে মেয়েকে এসব নাম ধরে ডাকলে ঝগড়া শুরু করে, সে এত কি ভাবছে, তাই আবার বললো
দিবস: দীবানিশি আমার দেয়া নাম তোমার এত পছন্দ। বলেই হাহা করে হাসলো। দীবা এবার বুঝলো মনের ভুলে উওর করে ফেলেছিলো। তাই কথা ঘোরানোর জন্য বললাম
- ছি : আপনার দাত কি পচা ব্রাশ করেন না নাকি?
দিবস: আজেবাজে কথা বাদ দাও। আমার এই হাসি দেখার জন্য কত মেয়ে পাগল, ধারণা থাকলে এটা বলতে না।
- পাগলীরায়তো পাগলের ফ্যান হবে।
দিবস: যে মন তুমি।
- আপনার মাথা।
দিবস: আমার মাথা আমার কাছেই আছে। দিবস কিছু আবার বলতে গেলে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম
- আপনার জিএফদের কেনো ঠকাচ্ছেন? ওরা তো আপনাকে ভালোবাসে হয়তো।
দীবার কথায় ভীষণ অবাক হলো! এমন কোন প্রশ্ন করবে আশা করে নি। দিবস আবার ভাবলো তাহলে এতসময় কি দীবা এসব ভাবছিলো !
- কোন উওর নেই?
দিবস: থাকবে না কেনো অবশ্যই আছে।
- তাহলে কি বলতে চাইছেন না।
দিবস: ওরা কেউ আমাকে ভালোবাসে না।
- কীভাবে বুঝলেন?
দিবস: আমার নাম, খ্যাতি, আমাদের স্ট্যাটাস এসব দেখে আমার জিএফ হয়েছে।ওরা নিজেরাও ফ্ল্যার্ট করে আর আমিও এছাড়া কিছু না।আজ আমার কিছু না থাকতো, কেউ পাশে থাকতো না। দুনিয়ায় যার টাকা আছে, তার পিছনে এরকম হাজারো মেয়ে আছে, এদের মধ্যে আর যাই থাকুক ভালোবাসা থাকে না। আমার মা আমাকে অলওয়েজ বলে ,কখনো কোন মেয়ের সাথে খারাপ বিহেভ বা অসম্মান হয়, এমন কিছু করবি না। আমি সবসময় সেই কথা মাথায় রাখি।

দীবা মুগ্ধ হয়ে দিবস এর কথা শুনছে । যতটা খারাপ ভেবেছিলো ,ততটা নয়। শুধু ফ্ল্যার্ট করে এই যাহ । এসব ভাবনার মাঝেই দিবস আবার বললো
দিবস: ওরা আমার নামমাত্র জিএফ। ওরা অনেক এই আমার কাছে আসার অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি অলওয়েজ একটা দূরত্ব তৈরি করে রেখেছি। ঐ যে মায়ের কথা মাথায় থাকে।
আমার কাছে সেই আসতে পারবে, যে আমার মনের কাছে আসতে পারবে।
দীবার দিকে এক ঝলক তাকিয়ে দেখলো এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে।
দিবস: অনেক সিরিয়াস কথা বললাম। এই তোমার কি পাপিয়া ঝাপিয়া লাগবে নাকি? (বাকা হাসি)
- মানে সেটা আবার কি?
দিবস দুষ্টু হেসে বললো
দিবস: পাপিয়া আই মিন কিসি, আর ঝাপিয়া মানে হাগ।
- ফাজলামি না করলে চলে না। আপনাকে ভালো ভাবাটায় ভুল অসহ্য।
দিবস: এই এক মিনিট ,তুমি আমাকে ভালো ভাবো নাকি? কবে থেকেগো দীবানিশি!
- অসহ্য।
এইভাবে খুনসুটির মধ্যে দীবার ফুফুর বাড়ির সামনে গাড়ি থামালো দিবস।

চলবে ।।

কবে_হলো_ভালোবাসা তাশফিয়া_রহমান_মাটি (লেখিকা) পর্ব :২রুমে এসে ফুফুর সাথে একটু গল্প করলাম । সারাদিন এর ঘটনা সবটাবললেও দিব...
27/01/2024

কবে_হলো_ভালোবাসা
তাশফিয়া_রহমান_মাটি (লেখিকা)
পর্ব :২

রুমে এসে ফুফুর সাথে একটু গল্প করলাম । সারাদিন এর ঘটনা সবটাবললেও দিবস এর বিষয়ে কিছু বললাম না। কেনো বলিনি জানিওনা । খাওয়া দাওয়া করে বাবলির পাশে শুয়ে পড়তেই বাবলি বললো
বাবলি : আপু তোমার ফোনটা একটু দাও তো।
-কি করবা এখন অনেক রাত।
বাবলি: আরে কি বলো আপু এখন মাএ ১১ টা বাজে। ঢাকা শহরে মাএ সন্ধ্যা বুঝছো ।
মনে মনে ভাবছি এই মেয়ে এত পাকনা হয়েছে, এসব ভাবনার মাঝেই বাবলি আবার বললো
বাবলি: কি হলো আপু ফোন দাও। আসলে আমার ফোন এ চার্জ আউট হয়ে গেছে।
আমি অবাক হয়ে বললাম !
- তোমার ফোন আছে?
বাবলি: একচুয়ালি ফোনটা মাম্মাম এর কিন্তু স্কুল এর সব খবর জানতে + বিভিন্ন পড়ার জন্য গুগুল এর প্রয়োজন হয় এই জন্য বেশীরভাগ সময় ফোন আমার কাছে থাকে।
ফোনটা বাবলিকে দিয়ে ভাবছি এমনি পাকনা আবার ফোন ইউস করছে।

এদিকে বাবলি ফোন নিয়ে দীবার ইনস্টাগ্রাম এ যেয়ে দিবসের আইডিতে ঢুকে পিক দেখতে দেখতে, ভুলে গেছে এটা দীবার ফোন ও নিজের ফোন ভেবে ,দিবস এর ১ ঘন্টা আগে আপলোড দেয়া পিকে লাভ রিয়াকশন দিলো ও একটা কমেন্ট করে। তারপর ইউটিউব এ গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যায়।

দীবার চোখ এ ঘুম নেই আজ। কেনো এমন হচ্ছে জানা নেই। হয়তো নতুন জায়গা বলে। বাবলির দিকে চোখ যেতেই দেখে বাবলি ঘুমিয়ে গেছে। তাই ফোনটা নিয়ে গান অফ করতেই একটা নটিফিকেশন এলো।
নটিফিকেশন অন করে অবাক হয়ে গেলাম!
ফারদিন আহমেদ দিবস রিপ্লে ইউর কমেন্ট। আমি ভাবছি আমি কখন কমেন্ট করলাম। কমেন্ট ওপেন করতেই যা দেখলাম বিস্ময় এর চরম পর্যায়ে গেলাম।
কমেন্ট এ লেখা
আর ইউ এ ম্যাজিসিয়ান? ইট’স দি স্ট্রঙ্গেস্ট থিং, বাট এভরি টাইম ই লুক এট ইউ, এভেরিওনে এলসি ডিসপেয়ার্স.
আর রিপ্লে দিবস লিখেছে
দিবস:ইয়েস বেবি আই এম এ ম্যাজিসিয়ান, এ ম্যাজিসিয়ান হু স্টিলস ইওর মাইন্ড।

মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো, ফ্ল্যার্ট করছে তাও আমার সাথে কত বড় সাহস! হনুমান একটা কি বলছে আবার ম্যাজিসিয়ান হাহ কিন্তু আমি ভাবছি কমেন্ট করলো কে একটু ভাবতেই বাবলির কথা মাথায় এলো, বাবলি!
বাবলি এখন ঘুমের অতলে বাবলির দিকে তাকিয়ে বলছি
_
-কেনো কমেন্ট করলে বোন। দিবস এবার কালকে সিউর আবার মজা করবে।
আবার কমেন্ট এ রিয়াকশন ও দিছে। অনেক ভেবে আবার কমেন্ট করলাম
হনুমান আবার ম্যাজিসিয়ান ! লিখে চলে আসতে নিতেই সাথে সাথে রিপ্লে দিলো
এখন এসব বলেও লাভ নাই বেবস্ আই নো আই এম দি ম্যাজিসিয়ান অফ ইউর মাইন্ড হানি।
অনলাইন থেকে বের হয়ে আসলাম। এই বাবলিটার জন্য এখন দিবস এর পাগলামী দেখতে হবে।

ফজরে আযানের সময় ঘুম ভাঙলো। উঠে ওয়াশরুমে যেয়ে ওযু করে নামাজ আদায় করে,একটু কোরআন তেলাওয়াত করলাম। ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে গোসল করে রেডি হতে হতে তিশুর কল আসলো। গতকাল ই দুজন দুজনের নাম্বার নিয়েছিলাম। তো তিশুর ফোন ধরতেই বললো
তিশু: বের হয়ছিস কিউটি।
- রেডি হচ্ছি।
তিশু : এখনও সময় আছে ধীরে ধীরে রেডি হতে থাক।
ফোন রেখে রেডি হতে শুরু করলাম।
আজকে কালো রঙের একটি গোল জামা, চুড়িদার , মাথায় ম্যাচিং হিজাব। চোখ এ হালকা কাজল, ঠোঁটে হালকা লিপ বাম দিয়ে ফুফুর বাসা থেকে বের হয়ে রিকশার জন্য অপেক্ষা করতে করতে হঠাৎ দিবস ওর বাইক নিয়ে আমার সামনে দাড়ালো আচমকা আসার জন্য হার্ট বিট বেড়ে গেছে।
আমি ভয় পেয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছি তখন দিবস বলে উঠলো
দিবস: তুমি আমি আমার ডাই হার্ট ফ্যান আবার প্রমাণ করলে দীবানিশি হানি বানি।
- একদম উলটো পালটা নামে ডাকবেন না।

দিবস: উলটো পালটা কি বেইবস্ ?
- ফালতু হনুমান।
দিবস: হনুমান এর মধ্যে ফালতু/ ভালো আছে নাকি হানি?
- উফ আবার আপনার সমস্যা কি পরিস্কার করে বলবেন?
দিবস: তুমি দীবানিশি না দীবা?
আমি ভালো মন নিয়ে বললাম
- আমি দীবা।
বলার সাথে সাথে হাহা করে হেসে বললো
দিবস: কী দীবা?
-আপনার মাথা ফাটাবো অসহ্য।
দিবস: মাথা ফাটায়ে দিলে তো আমার ব্রেন ডেমেজ হবে আমি তখন সব ভুলে যাবো। আমি হারিয়ে গেলে কি তুমি আমাকে তোমার হৃদয় এর রাস্তা চিনতে দিবে দীবানিশি?বলার সাথে হাহা করে হাসতে লাগলো।
আমি মনে মনে ভাবছি কীভাবে পারে এত ফ্ল্যার্ট করতে একটা মানুষ!
-সরেন তো আপনার ক্লাস করার ইচ্ছা না থাকতে পারে কিন্তু আমার আছে।
দিবস: এখন এসব ভাব দেখায়ে কোন লাভ নাই দীবানিশি। কারণ গতকাল তুমি নিজেই কমেন্ট করছো।
- ঐ কমেন্ট আমি করিনি।
দিবস: আমি জানতাম তুমি আমাকে হনুমান বলতেই পারো না। আফটার অল মাই ডাই হার্ট ফ্যান তুমি।
- ও হ্যালো হনুমান লিখেছি আমি, কিন্তু ম্যাজিসিয়ান ওটা আমি না বাবলি করেছে।
দিবস: আহ দীবানিশি এখন আমার কিউটি বাবলির নামে কোন দোষ দিবানা, আমি জানি মনের কথা লিখে এখন লজ্জা পাচ্ছো এম আই রাইট বেইব?
মনে মনে ভাবতে লাগলাম এই ছেলেরে কিছু বলা আর না বলা সমান এ নিজের মতো বুঝবে অসহ্য।
আমার ভাবনার মাঝেই বললো
দিবস : দীবানিশি এটা কিন্তু ঠিক না?
আমি বুঝতে না পেরে বললাম
- কি ঠিক না?
দিবস: এইযে আমাকে নিয়ে জেগে জেগে তাও আবার আমার সামনে ড্রিম দেখছো। বলেই হাসলো।
- উফ এই আপনি কি অল টাইম মজার মুডে থাকেন আশ্চর্য !
দিবস একটু সিরিয়াস ভাব নিয়ে বললো
দিবস: ভার্সিটি তুমিও যাবে আর আমিও, যেহেতু একি ভার্সিটি আমার বাইকে আসতে পারো।
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগে আবার বললো
দিবস: আমি নরমালি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছাড়া কাউকে বাইকে উঠায় না, ইভেন রেবা, মিমি, তানিয়া আর জিনিয়াকেও বাইকে বসায় না।

আমি অবাক হয়ে বললাম
- এরা কারা?
দিবস একটু দুষ্ট হাসি দিয়ে বললো
দিবস: তুমি কোন যুগের মানুষ বলোতো! মানে এতগুলো মেয়েদের নাম শুনলে বাবলিও বুঝবে আর তুমি! অবশ্য দোষ তোমার না এত ক্রেজি ফ্যান যে অন্য কোন মেয়েকে আমার পাশে নিতে পারো না । আই লাইক ইট।
- ফালতু কথা বাদ দেন।
দিবস : ওরা আমার জিএফ ।
- এতজন একসাথে কীভাবে!
দিবস: ঐভাবেই একচুয়ালি আমার মন অনেক সফট্, তাই ওরা যখন প্রপোজাল দেয় আমি একসেপ্ট করি, কারো মনে কষ্ট দেওয়া তো ঠিক না।
আমার কি হলো জানিনা মুখ ফসকে বলে ফেললাম
- ভালোবাসেন?
আমার কথায় দিবস অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো !যেই চোখে এক দৃষ্টিতে চোখ রাখা আমার সম্ভব হলো না। আমি চোখ সরিয়ে নিতেই দিবস সাথে সাথে বললো
দিবস: সরি বুঝলাম না।
আমি কি বলেছি বুঝতে পেরে আমতা আমতা করে বললাম
- আমি বলছি যে স সবা ইকে কি ভালোবাসেন, মানে আপনার সব জিএফকে ?
দিবস খুব সহজেই বললো
দিবস: নো ঐসব ভালোবাসা আমার জন্য না। আর সত্যি বলতে ওরকম ফিলিংস এখনও কারো জন্য তৈরি হয়নি।
আমি কিছু বলতে যেতেই আবার বললো
দিবস :আরে তুমি কালো রঙের ড্রেস পড়ছো! আমার ফেভারিট কালারো জেনে গেছো নট ব্যাড।
- এহ মোটেওনা আপনার ফেভারিট জন্য পরিনায়, এটা আমার ফেভারিট কালার ওকে। আপনি থাকেন আমি গেলাম। আমি পা বাড়াতে দিবস বলে উঠলো
দিবস: আমি রিকশা ঠিক করে দিচ্ছি। দীবানিশি এটা ঢাকা শহর এখানে তোমার একা যাতায়াত করা ঠিক না।
- কারো উপর নির্ভরশীল হওয়া কি ঠিক?
দিবস এর মাঝে রিকশা ঠিক করে রিকশা উঠতে বলে বললো
দিবস: না কারো উপর নির্ভর করাও ঠিক না ।তবে জীবনে চলার পথে কেউ না কেউ পাশে থাকলে, জীবন উপভোগ করা যায় ভালোভাবে।
আমি কথার মানে বুঝতে না পেরে কিছু বলতে নিতেই দিবস বললো
দিবস: আর ২০ মিনিট পর তোমার ক্লাস। আর কোন কথা না ভালোভাবে রিকশাতে উঠো। আমি পিছনে আসছি।
আমিও আর টাইমের কথা ভেবে কিছু না বলে রিকশায় উঠে পড়লাম।
রিকশা থেকে নেমে গেইটের সামনে তাকাতে আমার মনে হলো পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো!মূহুর্তেই সব অন্ধকার হয়ে গেলো...

চলবে....

ভার্সিটিতে আজ  প্রথম দিন। শিড়ি দিয়ে উপরে উঠতে যেতেই, হঠাৎ মাথায় ময়লা পানি পড়লো। মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল।উপরে তাকিয়ে ...
27/01/2024

ভার্সিটিতে আজ প্রথম দিন। শিড়ি দিয়ে উপরে উঠতে যেতেই, হঠাৎ মাথায় ময়লা পানি পড়লো। মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল।
উপরে তাকিয়ে দেখি দুইটা ছেলে হাসছে ,আরো এক দফা মেজাজ খারাপ হলো। মনে মনে বললাম পচা পানি ফেলে আবার হাসা হচ্ছে। দেখাচ্ছি মজা।

শিড়ি দিয়ে উপরে উঠে চারিদিকে ময়লা পানি খুজতে খুজতেই ,সামনে তাকিয়ে দেখি ময়লার একটি বালতি। উফ এত মেঘ না চাইতে জল। খুশি হয়ে বালতি বাম হাতে নিয়ে ডান হাতে নাক ধরলাম পচা গন্ধ জন্য। বালতি নিয়েই পেছন থেকে ঐ ছেলেদের গায়ের উপর ফেলতেই পাশের ছেলেটি সরে দাড়ালো। যার ফলে একজনের উপর পড়লো। পড়ার সাথে সাথে ছেলেটি সামনে ঘুরেই একপ্রকার চিৎকার দিলো। আমি কেপে উঠলাম।
ছেলেটি বলে উঠলো
ছেলেটি: হাউ ডেয়ার ইউ?
- আমার সাহস একটু বেশিই ওলয়েজ মিস্টার হোয়াটহেভার।
ছেলেটি আবার বললো
ফারদিন আহমেদ দিবস কল মি ওকে?
- আপনার নাম কি ,নাম থাকুক বা না থাকুক আই ডোন্ট ইন্টারেস্টেড ওকে।

দিবস : এটিটিউড তাও আবার দিবসকে! তা আপনার নাম কি রাজকন্যা?
- তাশফিয়া ফারহা দীবা।
নাম শুনে দিবস সহ তার সব বন্ধু একসাথে হেসে উঠলো। আমি চলে আসতেই পেছন থেকে বললো
দিবস: দীবানিশি আমার মাথায় ময়লা ঢালার কারণ বলে যাও।
-ও হ্যালো আমি দীবা, নট দীবানিশি ওকে ।
দিবস : কি দীবা আবার আমাকে?
- আজব আমি কি দিবো? কানে কি কম শুনেন?
বলার সাথে সাথে হাসলো দিবস ।
দিবস বন্ধুদের ডেকে বললো এই তোরা তো শুনছিস ও বলছে আমি দীবা বলছে কি না? বন্ধুরা সব হ্যা হ্যাঁ করলো আমার মেজাজ খারাপ হলো তাই চলে আসতে আবার বললো
দিবস : কি হলো কি দীবা? না দিয়ে কোথায় যাও বলেই হে হে করে হাসলো।

আমার পরিচয় হলো আমি তাশফিয়া ফারহা দীবা। বাবা মা আর ছোট ভাই এই নিয়ে আমাদের পরিবার। আমাদের বাড়ি কুষ্টিয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ায় আমি আমার ফুফুর বাসায় এসেছি।

অপরদিকে ফারদিন আহমেদ দিবস যে বাবা মার একমাত্র সন্তান। সে দ্বিতীয় বর্ষ এর ছাএ।যেমন মেধাবী, তেমন সুন্দর, হাইট ৬ ফিট, মুখ সাদা ধবধবে , ট্রিম করা দাড়ি, আবার গানের গলাও অসাধারণ। সে একজন সিঙ্গার সেলিব্রেটিও অলরাউন্ডার। এক কথায় যে কোন মেয়ে প্রেম এ পড়তে বাধ্য হবে। সব দিক দিয়ে অলরাউন্ডার।

আজকে ক্লাস ঢুকে ১ম পরিচয় হলো একটি মেয়ের সাথে ,গল্প করতে করতে হঠাৎ পেছন থেকে কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরলো ,সাথে সাথে পেছনে তাকাতে আমি অবাক হয়ে গেলাম !আমার স্কুল জীবনের বেস্ট ফ্রেন্ড । স্কুল জীবনের বলছি কারণ কলেজে উঠে ও ঢাকা চলে আসে। তাই আমরা আলাদা হয়ে যায়।

আমার ভীষণ ভালো লাগছে ওর নাম আনিশা রহমান তিশা। আমার তিশু ।
আর যে মেয়ের সাথে কথা বলছিলাম ,ওর নাম মেহরোজ আফরোজ রিয়া। ও বেশ ভালো।
ক্লাস করে বের হতেই তিশু চিৎকার দিয়ে উঠলো।

- কি হলো এইভাবে চিৎকার করছিস কেনো?
তিশা: সামনে দেখ এখনকার বিখ্যাত ইয়াং ডেশি্্ হ্যান্ডসাম সিঙ্গার ।
সামনে তাকাতেই মেজাজ খারাপ হলো, আমি কিছু বলার আগেই তিশু বলে উঠলো
তিশা: দোস্ত আমি ভাবতে পারিনি দিবস এখানে পড়ে।
-কেনো না পড়ার কি আছে উনি কি মানুষ না আজব।
তিশা: আরে তুই উনাকে চিনিস না নাকি?
- না আর যদি চিনতাম ও তবুও এত আদিখ্যেতা করতাম না, আরে আমরা যেমন সাধারণ মানুষ উনি ও তেমন। রিয়া কিছু না বললেও ওর মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে ওরো ভালো ক্রাশ।

গেইটের সামনে যেতেই দিবস সামনে এলো এসেই বললো
দিবস: দীবানিশি ময়লা ফেলছিলে কেনো, আমি বুঝতে পারছি।
- সরেন তো।
তখনই তিশু বলে উঠলো
তিশা: দিবস আমি আপনার ভীষণ ফ্যান। একটা সেলফি তুলতে পারি।
দিবস আমার দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে বললো
দিবস: অফ কোর্স আই নো আই এম সো হ্যান্ডসাম এন্ড গুড লুকি্্ ।
তিশু ও হেসে রিয়াকে সাথে নিয়ে বেশ কিছু পিক তুলে আমাকে ডাকতেই, আমি চোখ বড় করে তাকালাম যা দিবসের চোখে পড়তেই বলে উঠলো
দিবস: দীবা কিবার সাথে পিক তুলতে চাইছিনা ।

- আহা ভাব দেখো যেন এমন তার সাথে ছবি তোলার জন্য মরে যাচ্ছি।
দিবস: মনে মনে মরো আমি জানি আমার মতো গুড লুক ছেলের এটেনশন পেতেই ময়লা ঢেলেছিলে। আমি গুড বয় তাই কিছু বলিনি।
মুখের কথা থামিয়ে আমি বললাম
- এহ গুড না পচা আপনাকে একদম হনুমানের মত লাগে।
দিবস কিছুটা রাগ নিয়ে কিছু বলতে যেতেই তাকে থামিয়ে আবার বললাম
- দীবা মোটেও আগে কিছু করে না ওকে। আমাকে বিরক্ত করলে আমিও করবো ইট মারলে পাটকেল দীবা দিতে জানে। বলেই রিয়া আর তিশুর হাত ধরে গেইটের বাইরে বের হয়ে গেলাম।
ওদেরকে বিদায় দিয়ে রিকশা করে ফুফুর বাসায় চলে আসলাম। ফুফুর বাসায় খুব একটা আশা হয়নি আমার কারণ ফুফু বেশি যেতো আমাদের বাড়ি। তার বাসায় আসা এই দিয়ে ৩বার । আমার একটা ফুফাতো বোন আছে সিক্স পড়ে। ভীষণ পাকনা কিন্তু আমাকে খুব ভালোবাসে আর আমিও।

____
এদিকে দিবস বাড়িতে ঢুকেই রুমের দরজা আটকে নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। দিবস এর মন মেজাজ খারাপ থাকলে, সে তার বেলকনিতে সময় কাটায়। তাই বেলকনিতে গিয়ে দাড়াতে এক আকাশ সমান অবাক হলো! কারণ তার বেলকনির অপজিট বেলকনিতে দীবা দাড়িয়ে এটা কীভাবে সম্ভব! বারবার চোখ খুললো বন্ধ করলো কিন্তু সে সত্যিই দীবাকে দেখছে।

দীবা তার ফুফাতো বোন বাবলির সাথে বেলকনিতে গল্প করছিলো। এমন সময় কোন পু'রুষ ভয়েস শুনে চমকে গেল!
দিবস: দীবানিশি ফলো করতে করতে আমার বাড়ি পর্যন্ত চলে আসছো, নট ব্যাড আমার পাগল ফ্যান। উফ সরি পা'গ'লী।

এখন দীবা খেয়াল করলো তার সামনে দিবস দাড়িয়ে সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই বাবলি বলে উঠলো
বাবলি : উফ দিবস ইউ আর সো হ্যান্ডসাম এন্ড কিউট এত কিউট কেনো তুমি?
দিবস হাসলো দীবা এক ঝলক তাকাতেই তার হার্ট বিট বেড়ে গেলো! হাসিটা ভীষণ সুন্দর নিজের মনকে নিজেই বকা দিলো এসব উলটো পালটা ভাবার জন্য আরো ভাবলো হাসি সুন্দর কিন্তু জীবনেও বলবোনা ভাবে তাহলে উড়েই যাবে। এসব ভাবনার মাঝেই দিবস বললো
দিবস: থ্যাংক ইউ সো মাচ কিউটি বাবলি।
বাবলি এসব পা*গল ফ্যান আই মিন পা'গলী তোমার বাসায় কি করে বাবলি? আমি জানি আম গুড লুক হ্যান্ডসাম তাই বলে যাকে তাকে তোমার বাড়িতে ঢুকতে দিতে নায়?

- এহ কে পা*গল ফ্যান আপনার মতো হনুমানকে আমি চিনিও না আবার আমাকে পা*গল ফ্যান বলেন কোন দিক দিয়ে! আমার মনে হয় আপনি পাবনা থেকে পালায়ে আসছেন। বলেই অনেক হাসতেই উনি আবার বললেন
দিবস: বাবলি আমার মনে হয় এই মেয়ের চোখ নাই। চোখ নাই যাদের কি বলে?
বাবলি: কানা, কিন্তু দিবস সি ইজ মাই কাজিন
দিবস একটু অবাক হয়ে বললো
দিবস: এই কানি তোমার কাজিন কীভাবে!

- মুখ সামলে কথা বলেন।
দিবস: মুখ সামলিয়ে আবার কীভাবে কথা বলে? ওহ মেবি তুমি মুখ সামলিয়ে কথা বলতে পারো, আমাকে একটু শিখিয়ে দাও।
- অসভ্য।
দিবস: অসভ্যতার মত কি করলাম। আজকাল ভালোর জামানা নাই কিছু না করেই অসভ্য। নিজে কি বেয়াদব মেয়ে আমি যে তোমার সিনিয়র সেটা মাথায় রেখে কথা বলবা।
- সিনিয়র তো আমি কি নাচবো। যে যেমন তার সাথে দীবা ঠিক সেভাবেই কথা বলে।
এর মাঝে ফুপু ডাকায় বাবলি চলে গেছে। দিবস ও দীবার কারো খেয়াল নেই। এরা ঝগড়া করতে ব্যস্ত।
দিবস আবার মজা করে বললো
দিবস: কী দীবা?
- অসহ্য, বলেই চলে আসলাম।
এদিকে দিবস চিৎকার করে বললো
দিবস: অসহ্য কেমনে দেয় ভাই!

চলবে ।।

কবে_হলো_ভালোবাসা

তাশফিয়া_রহমান_মাটি (লেখিকা)
পর্ব ১(শুরু)

Address

Kaliganj
Dhaka

Telephone

+8801970253822

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when EASHA HD MEDIA posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to EASHA HD MEDIA:

Share