12/11/2025
আওয়ামী লীগ আর হাসিনার সাথে সবচেয়ে ভালো ব্যবহার করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
মুজিবের দুর্নীতি করে কামানো ৫০৩ ভরি স্বর্ণ তিনি শেখ হাসিনাকে বুঝিয়ে দেন।
বুঝিয়ে দেন ধানমন্ডি ৩২ এর বাড়ি আর রাজনীতি করার অধিকারও।
এর প্রতিদান দিতে হাসিনা দেরি করেন নি।
হাসিনা ফেরার মাত্র ১৩ দিনের মাথায় খুন হন জিয়াউর রহমান।
হাসিনা না ফিরলে এই খুন হত কি না, আমার সন্দেহ আছে।
১৯৯৫ তে জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে মিলে মিশে আন্দোলন করেছিল।
নিজামী সাহেবের সাথে হাসিনার হাসি হাসি মুখে করা মিটিং এর ছবি এখনও নেটে আছে।
সেই নিজামীকে হাসিনা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন।
২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পরেও হাসিনাকে খুব একটা ঘাটাননি। দুর্নীতির মামলা করেননি। হাসিনাকে রাজনীতি করতে দিয়েছেন।
সেই খালেদা জিয়াকেই হাসিনা বৃদ্ধ বয়সে জেলে ঢুকিয়েছেন। বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলার বন্দোবস্ত পর্যন্ত করে ফেলেছিলেন।
আরেকটু দেরি হলে হয়তো সাঈদী সাহেবের মত পরিনতিই ম্যাডামের হত।
আওয়ামী লীগের সাথে ভালো ব্যবহার করা প্রত্যেকের পরিনতি হয়েছে এতটাই করুন।
৭৫ এর পর আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে ফেলার সুযোগ একবার এসেছিল।
সেই না মোছার খেসারত দিতে হলো ২০ হাজার রাজনৈতিক খুন, ২০০০ গুম আর জুলাই গণহত্যা দিয়ে।
এখন আমরা যদি এবারও আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছতে না পারি, পরেরবার ২০ লাখ লোকের প্রাণ দিয়ে তার কাফফারা দিতে হবে।
নবিজীর একটা হাদিস আছে।
তাঁর উম্মতদের তিনি এক সাপের গর্তে দুইবার পা দিতে না করেছেন।
মানে আপনি সাপের গর্তে পা দিয়ে ছোবল খাবেন, তারপর ভাগ্যের দোষ দেবেন, সেটা হবে না।
আওয়ামী লীগ নামের সাপের গর্তে আমরা একবার না, ৪ বার পা দিয়ে রক্তাক্ত হয়েছি।
আর না।
বিষধর সাপের সামনে আপনি যতই গোলাপ নিয়ে যান, ওরা শেষ পর্যন্ত ছোবলটাই চেনে।
ওদের সাথে চলার একমাত্র ওয়ে হইলো, ওদের বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া। এর বাইরে আর কোন ওয়ে নাই।
আওয়ামী লীগ আবার গর্ত থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে। আগুন দিচ্ছে বাসে, কারে, মাইক্রোবাসে।
অলরেডি পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে একজনকে।
আরও পোড়ানোর আগেই এদের মাজা ভেঙে দিতে হবে।
জালিমের প্রতি সদয় আচরণ করার অর্থ হলো মজলুমের উপর জুলুম করা।
আওয়ামী লীগের প্রতি সদয় হইতে বলার আগে কথাটা যেন আমরা মনে রাখি।