19/09/2024
ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে খালেদ মুহিউদ্দিনের পুরো সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান দেখলাম। একজন বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি এত সুন্দর, এত চমৎকার, এত পটু ও সচেতন, এত প্রজ্ঞা ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বসম্পন্ন, এত দূরদর্শী ও গোছালো জবাব দিতে পারে, তা সত্যি অভাবনীয়। তিনি বিদগ্ধ বাগ্মী, এটা জানতাম; কিন্তু খালেদ মুহিউদ্দিনের সামনে বাঘা বাঘা ব্যক্তিও যেভাবে নাকানিচুবানি খায়, সেখানে তার দ্বিধাহীন স্থিরতা, কনফিডেন্স ও বাকপটুতা সত্যি বিস্ময়কর। খালেদ পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছেন, 'আপনি একজন অসাধারণ বিতার্কিক'। খালিদের বারংবার হাসিও প্রমাণ করছিল, এই আলাপনে তিনি বেশ আনন্দই পাচ্ছিলেন। তাছাড়া আলোচনায় এমন অসাধারণ পক্ষ সম্ভবত তিনি কমই পান।
অনুষ্ঠানের মন্তব্যঘরে সাধারণ দর্শক-শ্রোতারা যেভাবে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন, তা-ও অভাবনীয়। অতীতে তাকে দেশের আধুনিক প্রজন্মের অনেকেই চিনত না। আর এখন শুধু চিনছেই না, বরং রীতিমতো মুগ্ধ হচ্ছে। ব্যক্তির প্রতি মুগ্ধতা ধীরে ধীরে দলের প্রতিও মুগ্ধতা তৈরি করে। সুতরাং এমন আমির পাওয়া নিঃসন্দেহে সংগঠনের জন্যও সৌভাগ্যের ব্যাপার।
খালেদ মুহিউদ্দিনও ইতোপূর্বে এত বিনয়ী হয়ে কথা কমই বলেছেন। তার এই আচরণও প্রশংসনীয়। এটা ইসলাম ও একটি ইসলামি দলের আমিরের প্রতি তার অন্তরে কিছুটা হলেও ভালোবাসা ও দুর্বলতার প্রমাণ বহন করে। ডা. সাহেবের কিছু জবাব বেশ কৌশলী ছিল। সাধারণত খালেদ মুহিউদ্দিন প্রতিপক্ষকে ব্রা*শ*ফা*য়া*রের মতো উপর্যুপরি প্রশ্ন ছুড়ে বিচলিত করে রাখেন, এই অনুষ্ঠানে ডা. সাহেব তার কঠিন কঠিন প্রশ্নের জবাবও যেভাবে সর্বোচ্চ গতির সঙ্গে দিয়েছেন এবং অনেকক্ষেত্রে খালেদ মুহিউদ্দিনকে নির্বাক করে দিয়েছেন, তাতে বারবার এটাই মনে হয়েছে, তিনি যেন পু*লি*শের টি*য়া*রশে*ল পড়ামাত্রই হাতে ধরে উল্টো তাদের দিকে ছুড়ে দিচ্ছেন।
ইসলামি অঙ্গন থেকে ডা. শফিকুর রহমান, ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসি, মুফতি সাখাওয়াত রাজি ও মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ হাফি. নিয়মিত এজাতীয় প্রোগ্রামে কথাবার্তা বললে এ জাতি তাদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে। ©
Ali Hasan Osama