Tasnim Tabassum - তাসনিম তাবাসসুম

Tasnim Tabassum  - তাসনিম তাবাসসুম Every new day comes with a fresh inspiration about the things you think of yourself.

This can either be what you hope for yourself or some feelings you simply want to share with others.

20/09/2023
27/11/2022

#অব্যক্ত_অনুভূতি💔
ঃTasnim_Tabassum_তাসনিম_তাবাসসুম

🍁তার সাথে আমার পরিচয়টা খুব অদ্ভুত ভাবেই। আমি তখন সবে মাএ অনার্স ১ম বর্ষের ছাএী। ঢাকা শহরে নতুন এক মুখ। আমি আদ্রিজা কুষ্টিয়ার মেয়ে।ছোট থেকে বেড়ে ওঠাটা ও সেখানেই। বনেদি পরিবারের মেয়ে হওয়ায় বাবা কখনো কষ্টের ছিটে ফোঁটা ও পেতে দেন নি। বাবার খুব আদরের মেয়ে আমি।বড় হওয়ায় বাবার সব আশা আকাঙ্খা যেন আমাকে ঘিরেই।বাবার সাথে এক প্রকার জেদ করেই শহরে আসা।আমার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।আমি ভর্তি হলাম বাবা তখন ও আমায় নিয়ে চিন্তিত।ঢাকা শহরের তিনকূলে আমাদের কেউ নেই বাবা আমাকে একা ছাড়তে চাইছেন না।ঘরে তখন মায়ের চরম অশান্তি। দিন রাত বাবার সাথে ঝগড়া হচ্ছে “ মেয়েকে তল্লাই দিয়ে দিয়ে মাথায় চড়িয়েছেন” এটা যেন প্রতি বেলায় ঝগড়ার কমন লাইন হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এদিকে এত ঝগড়া ঝাটিতে যে তার ব্লাড প্রেশার বেড়েই চলেছে সেদিকে তার হুদিশ নেই।অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে মাকে শান্ত করা হলো। ভার্সিটির প্রথম দিন বাবা হোস্টেলে ভর্তি করিয়ে কুষ্টিয়া ফিরে গেলেন।আমার রুম পার্টনার হলো নিশি। নিশি রাজশাহীর মেয়ে। মেয়েটা খুব চঞ্চল।আমি অবশ্য ওর তুলনায় একটু স্থির। ভার্সিটি শুরুর প্রথম দিকে তেমন কাউকে চিনতাম না।কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই যেন পরিচিত মুখ হয়ে গেলো। তখন নিশি আর আমার মধ্যে বন্ধুত্বটা অনেক দূর।একজন আরেকজনকে ছাড়া কিছুই বুঝতাম না।বাবা মায়ের সাথে সারা দিনে দু একবার কথা বলাটা ও রুটিন হয়ে দাড়িয়েছে। দিনটি ছিলো সোমবার ফাস্ট ইয়ারের ফর্ম ফিলাপের ডেট কয়দিন পরই ইয়ার ফাইনাল। এই প্রথম নিজে কাগজ নিয়ে ছোটাছুটি করছি।বরাবরই এগুলো বাবাই করতেই।কাজ শেষে নিশির জন্য দাড়িয়ে আছি। এমন সময় অপরিচিত কারো কন্ঠ শুনে মুখ তুলে তাকালাম“ আচ্ছা ফাস্ট ইয়ারের টাকাটা কোথায় জমা নিচ্ছে? ” আমি হাতের ইশারায় ওই দিকটা ইশারা করতেই আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেদিকে ছুটে গেলো।ছেলেটিকে এর আগে কখনো দেখেছি বলে মনে হলো না।এটা ছিলো অয়নের সাথে আমার প্রথম দেখা।অয়ন খুবই শান্ত স্বভাবের ছেলে।কখনো ভার্সিটি ক্যাম্পাসে কখনো বা ক্লাসে কখনো বা নানা পোগ্রামে অয়নের সাথে চোখাচোখি হলে ও কথা হয়নি।যখন থার্ড ইয়ারে উঠলাম দু একজন ছেলে বন্ধু হলো।তাদের সূএ ধরেই অয়নের সাথে বন্ধুত্বটা ও হয়ে গেলো।অয়নের কথা বলা, চাল-চলন সবটাই যেন আমার ভালো লাগতে শুরু করলো।কখনো বা নদীর ধারে কখনো বা পার্কে কখনো বা ভার্সিটি ক্যাম্পাসে কিংবা ক্যান্টিন অয়নকে আমাকে প্রায়ই একসাথে দেখা যেত।সকলে ভেবে নিয়েছিলো আমার আর অয়নের মধ্যে কিছু একটা আছে। খুব অদ্ভুত ভাবেই আমাদের জুটির একটা নাম ও তৈরি হলো “ আদ্রিন”। নাম দেওয়া ব্যক্তিকে আমি বা অয়ন কেউই খুঁজে পাই নি।তবে নামটা আমার খুব পচ্ছন্দের ছিলো।অয়নকে খুব করে বলতে ইচ্ছে হতো“ আচ্ছা অয়ন আমরা কী আদ্রিন নামটাকে বাস্তবে রুপ দিতে পারি না?”কথাটা মনে এলে ও অয়নকে কখনো বলা হয় নি।আমি তখন ও অয়নের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছু জানতাম না। তবে একদিন নিশিই বললো“ অয়ন গরীব পরিবারের ছেলে। আর্থিক সমস্যার কারণে পড়ালেখার পাশাপাশি জব ও করে। সেই টাকায় পড়ালেখা সহ পরিবারের খরচ চালায়।”তখন অয়নের কথা ভেবে আমার ভিষণ খারাপ লাগলো।তার থেকে ও বেশি খারাপ লাগলো যখন শুনলাম অয়ন অনার্স কমপ্লিট করেই বিদেশে পাড়ি জমাবে।বুকের ভেতরটা ধক করে উঠলো। বুকে চিনচিন ব্যথা অনুভব করলাম কী অদ্ভুত সে ব্যথা। চোখের কোটরে জল এলো কিন্তু পরলো না।এরপর থেকেই অয়নের সাথে দেখা হলেই যেন আমার বুকে রক্তক্ষরণ হতো।আমি নিতে পারতাম না।
★★★
ধীরে ধীরে আমি অয়নের সামনে আসাটা ও কমিয়ে দিলাম।একটু ভালো থাকার জন্য কুষ্টিয়া গেলাম কয়েকদিনের জন্য। সেখানে গিয়ে শুনলাম বাবা বিয়ে ঠিক করেছেন তার বন্ধুর ছেলের সাথে।আমি অনেক কিছু বলতে চেয়েছিলাম তাদের চোখে মুখে উপচে পড়া খুশির দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে পারি নি। আমার দম আটকে আসতে লাগলো। সেই অসহ্য ব্যথার সাথে যোগ দিলো নতুন এক ব্যথা মানুষটিকে এ জীবনে নিজের করে না পাওয়ার ব্যথা।আমার আর কুষ্টিয়া থাকা হলো না একদিনের মাথায় হোস্টেলে ফিরে গেলাম। মাকে অনেক কষ্টে বুঝিয়ে আসতে হয়েছে। নিশি সব জানতো ওই একমাত্র মানুষ যার থেকে আমি কিছু আড়াল করতে পারি নি।আমি সেদিন সারারাত নিশিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলাম।রাতে একফোঁটা ও না ঘুমিয়েই ভার্সিটির ক্লাস সারলাম।ক্লাস শেষ হতেই অয়ন পথ আটকে দাড়ালো। ইগনোর করছি কি না জানতে চাইলে শরীর ভালো নেই বলে বিষয়টা এড়িয়ে গেলাম।শরীরের অবনতি হচ্ছে বুঝতে পারছি মনের মতো শরীরটা ও ক্লান্ত। অনার্সের প্রায় শেষ পর্যায়ে অয়নের সাথে কথা হতো তবে আগের মতো না।আচ্ছা অয়নের ও কী কষ্ট হয়? যতটা আমার হয়।খুব জানতে ইচ্ছে হয়। বুক ফেঁটে কান্না আসে কাঁদার উপায় অন্ত নেই।আচ্ছা ওর মনে কী আমার জন্য এক বিন্দু ও জায়গা নেই? একটু ও না? মনে এতো প্রশ্ন জমে থাকলে ও অয়নকে কখনো প্রশ্নগুলো করা হয় নি।দেখতে দেখতে অনার্স কমপ্লিট হলো।আমি ও কুষ্টিয়া ফিরে গেলাম।এ শহর আমাকে কষ্ট ছাড়া কিছুই দিতে পারে নি এখানে থাকা আমার চলে না।নিশি ও রাজশাহী ফিরে গেলো।এখানে আসার কিছুদিন পর আমার বিয়েটা ও হয়ে গেল।বিয়ের তিনবছর পর আজ নিশির মুখে অয়নের ফেরার কথা শুনে পুরনো কথাগুলো মনে পড়ে গেলো। শুনলাম অয়ন নাকি আমার ঠিকানা চেয়েছিলো বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবে বলে।কিন্তু আমার বিয়ের খবর শুনে সে নাকি অনেক কষ্ট পেয়েছে। আমি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম। এতো বছরের চাঁপা অনুভূতিটা আবারো জেগে উঠলো। বুকের ভেতরটা খাঁ খাঁ করে উঠলো।আমি নিশির ফোনটা রেখেই ডুকরে কেঁদে উঠলাম। মুখে হাত চেঁপে কান্না থামানোর অনবরত চেষ্টা করতে লাগলাম। আজ এতোগুলো বছর পর ওর অনুভূতিটা জানতে পারলে ও আজ ও নিজের অনুভূতিটা প্রকাশ করতে পারি নি হয়তো এ জীবনে আর জানাতে ও পারবো না।হয়তো অয়ন নামের সেই শান্ত ছেলেটা কখনো জানবে না আদ্রিজা নামের মেয়েটা তাকে আজ ও অসম্ভব রকম ভালোবাসে।হয়তো আদ্রিজ নামটা ও কখনো পূর্ণতা পাবে না।আমি নিজেকে সামলাতে দৌড়ে ওয়াশরুম ঢুকে ফুল স্প্রিডে কল ছেড়ে চিৎকার করে কাঁদলাম। বেশকিছুক্ষন পর চোখে মুখে পানি দিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে হাসি মুখেই বেরিয়ে এলাম।ভেতরের খবর কেউ রাখে না সবাই বাহ্যিক দিকটাই দেখে।সবাই ভাবে আমি সুখী আমি সত্যিই সুখী কিন্তু নিজের মনের কঠিন অসুখটা কেবল নিজেই অনুভব করি।

সমাপ্ত

প্রিয়,সম্বোধনটা বরং “তুমি” করেই করি।আমি তোমাকে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম প্রেমে পড়েছিলাম।  সেই বৃষ্টিমুখর দিনে তুমি ছিলে বৃষ...
30/09/2022

প্রিয়,
সম্বোধনটা বরং “তুমি” করেই করি।আমি তোমাকে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম প্রেমে পড়েছিলাম। সেই বৃষ্টিমুখর দিনে তুমি ছিলে বৃষ্টিতে ভেজা এক পদ্ম। তারপর বহুরাত আমি ঘুমোতে পারি নি। মনে জেগেছিলো সেই বৃষ্টি ভেজা পদ্মকে একবার ছোঁয়ার বাসনা। আমি তোমায় বহুবার খুঁজে ফিরেছি তবু তোমার দেখা মেলে নি। তখন আমি ছিলাম তোমার তৃষ্ণায় তৃষ্ণার্থ। তোমাকে পেলে হয়তো সে তৃষ্ণা মিটতো। তারপর বহুদিন গেলো তোমার সাথে আমার আবার দেখা হলো। তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম এই তুমি টা আমার নও ছিলে না কখনো।এই বৃষ্টি ভেজা পদ্ম ছোঁয়ার অধিকার আমার নেই। তোমার স্পর্শে আমার এই আজন্ম তৃষ্ণা মিটবার নয়।তোমার সাথে হয়তো আমার কোনো সম্পর্ক কখনো ছিলো না।কিন্তু তুমি হয়তো জানো না তোমার সাথে আমার আমৃত্যু সম্পর্ক রয়েছে।তোমাকে নিজের করে কাছে পাওয়ার অধিকার না থাকলে ও তোমাকে দূরে থেকে ভালোবাসার অধিকারটা আমার রয়েছে। তোমার আগমনটা আমার জীবনে ছিলো কাঠফাঁটা রোদ্দুরে এক পশলা বৃষ্টির মতো। তোমার আমার এই আমৃত্যু সম্পর্কের কথা হয়তো তুমি কখনো জানবে না। তবে এটুকু জেনে রেখো সব পুরুষ প্রেমিক হতে পারে না। সব পুরুষই হয়তো একজন ভালো মানুষ হতে পারে,ভালো বাবা হতে পারে, ভালো ছেলে হতে পারে, ভালো স্বামী হতে পারে, ভালোবাসার মানুষ হতে পারে। কিন্তু প্রেমিক পুরুষ হওয়া সবার কাম্য নয়।

ইতি
তোমার প্রেমে বলিয়ান এক প্রেমিক

21/07/2022

নতুন কিছু আসছে খুব শীগ্রই...

12/07/2022

জীবনে এমন একটা মানুষ খুব প্রয়োজন,
যে আমাদের বুঝবে আমাদের মতো করে বুঝবে।

াসনিম_তাবাসসুম

11/06/2022

গল্প দেওয়া হয়েছে ❤️❤️

31/05/2022

বিষন্নতা যেন ঘিরে ধরেছে। কিছুতেই কিছু করতে পারছি না। এতো দম বন্ধ পরিস্থিতি নিতে পারছি না। সময়টা খারাপ যাচ্ছে তবু ও আশা রাখি খারাপ সময়টা কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।

“কেউ থাকে না চিরদিন পাশে ”কথাটা ভিষণ  রকমের সত্যি যাদের আমরা অসম্ভব ভালোবাসি , যাদের আমরা আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইতাদেরই আমর...
24/04/2022

“কেউ থাকে না চিরদিন পাশে ”
কথাটা ভিষণ রকমের সত্যি
যাদের আমরা অসম্ভব ভালোবাসি ,
যাদের আমরা আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই
তাদেরই আমরা হারিয়ে ফেলি।দিন শেষে আবারও একাই পথ হাঁটতে হয়।
যার সাথে সারাটা জীবন কাটাতে চাই তার সাথে জীবনটা কাটানো হয়ে উঠে না ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও না।
তাই হয়তো তীব্র ভাবে কিছু চাওয়া উচিত না। কারণ আমরা যেই জিনিসটাকেই বেশি ভালোবাসবো সেটাই আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাবে।

~তাসনিম তাবাসসুম

13/04/2022

ভালোবাসায় সব সময় নতুনত্ব বজায় রাখা উচিত। যদি কখনো মনে হয় ভালোবাসা পুরনো হয়ে গেছে কিংবা ভালোবাসা কমে গেছে তবে অবহেলা বৃদ্ধি পাবে।
ভালোবাসা কখনো পুরনো হয় না শুধু বন্ধুত্বটা কমে যায়।

—তাসনিম তাবাসসুম।

16/10/2021

Welcome to Tasnim Tabassum - তাসনিম তাবাসসুম. Don't forget to like or follow us so you can something new coming soon. Thanks for visiting Tasnim Tabassum - তাসনিম তাবাসসুম and we hope to see you soon!

16/10/2021

Address

Dhaka
1212

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tasnim Tabassum - তাসনিম তাবাসসুম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category