
01/02/2023
Desh Amar Live TV: সুপারফুড হিসেবে পরিচিতি বিটরুট চাষে সফল শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের চরখোরাতলা গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ভুইয়া। স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসডিএস’র সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সহায়তায় ১০শতক জমিতে বিট চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন তিনি। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ তাঁর ক্ষেত থেকে সরাসরি বিট নিয়ে যাচ্ছেন।
আব্দুর রাজ্জাক ভুইয়া প্রতিবছর বিভিন্ন ধরণের সাধারণ সবজির চাষ করে থাকেন। এ বছর তিনি এসডিএস এর সমম্বিত কৃষি ইউনিটের সহযোগিতায় ১০ শতক জমিতে বিট রুটের চাষ করেন। প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে ৪৮০ কেজি বিটরুট বিক্রি করে তিনি ২৪০০০ টাকা পেয়েছেন। তার ১০ শতক জমিতে বিট রুট চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০০০ টাকা। একবিঘা জমিতে বিটরুট চাষ করতে ২০-২৪ হাজার টাকা খরচ করে ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিটরুট চাষ করা অনেক সহজ। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে জমি ৩-৪ বার চাষ দিয়ে শেষ চাষে সম্পূর্ণ সার ছিটিয়ে দিয়ে চাষ দিতে হবে। ৮-১০ দিন পর ১ কেজি বিটের বীজ ছিটিয়ে দিয়ে জমি হালকা করে মই দিতে হবে। জমি শুস্ক অবস্থায় ৩-৪ টি সেচের প্রয়োজন হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষম হওয়ায় কীটনাশক স্প্রের প্রয়োজন হয় না। ৭০ দিন পর হতে বিট বাজারজাত করা যায়।
আব্দুর রাজ্জাক ভুইয়ার বিটরুটের ক্ষেত দেখতে এসে পাশের গ্রামের কৃষক আলমগীর সরদার জানান, এ বছর আমি মূলা, গাজরের চাষ করেছি কিন্তু বাজার দর ভালো না এবং চাহিদা কম। সেই তুলনায় বিটরুট প্রায় দ্বিগুন দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আমি মনে করি বিটের চাষ লাভজনক হবে এবং শরীরের জন্যেও বেশ উপকারী। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর আমারও বিটরুট চাষ করার ইচ্ছা আছে।