Ziaur Rahman Sagor

Ziaur Rahman Sagor সবাই পরিবর্তন চাই,�
কিন্তু নিজেকে পরিবর্তনের বেলায়ই যত অনীহা।

22/07/2025

"গোটা পৃথিবী যার রূপে মুগ্ধ হয়েছিলো, আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম তার যত্নে, তার কোমলতায়, তার খামখেয়ালিতে ভরা শিশুতোষ মনটা দেখে।

পুরোটা জীবন সে শুনতো কতটা মায়া তার চোখে টলমল করে, তার ঠোঁটে কৃষ্ণচূড়ারা কেমন আল্পনা এঁকে রাখে, তার গালে রোদ্দুর এসে ছুঁয়ে দিলে কেমন রূপকথার গল্প সৃষ্টি হয়।

অথচ সে যখন দু'টো শব্দ ছুড়ে দিলো আমাকে, আমি টের পেলাম তার শিমুল তুলোর মত মনটা কেউ পড়তে পারে নি এতদিন। কেউ বোঝে নি, শেষ বিকেলে কেন তার বিষণ্ণ লাগে। কেউ জানতে চায় নি, কোন কথাতে সে খিলখিল করে হাসে, কতটা যত্ন পেলে সে আদুরে বেড়ালের মতো প্রশান্তি নিয়ে ঘুমায়।

আমি জানলাম, এই বিশাল পৃথিবীর কেউ তারে কখনো পড়তে চায় নি। তার উপন্যাসের মলাটকে রূপকথার গল্প ভেবে আটকে গিয়ে কেউ জানতে চায় নি, উপন্যাসের কোন পাতায় ভীষণ যন্ত্রণা লুকানো ছিলো, কোন বাক্যের ভেতর তার আকুতি জড়ানো ছিলো, কোন শব্দে সে আনমনা হতো, কোন নীরবতায় সে ভাসতো।

আমি বুঝলাম, তারে কেউ কখনো ভালোবাসে নি। শুধু তারে পাওয়ার এক অদ্ভুত আকাঙ্ক্ষায় বুদ হয়ে ছিলো সবাই।

তারপর একদিন ভীষণ ইতস্তত করে আমি তারে ছুঁয়ে দেওয়ার স্পর্ধা করে ফেললাম। অবাক হয়ে দেখলাম, সাদা মেঘের মতো মানুষটা কেমন ঝুম বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়লো আমার বুকের শহরে। তার চঞ্চলতায় আমি এলোমেলো হয়ে গেলাম, তার শিশুতোষ কোমলতায় আমি ডুবে গেলাম, তার অভিমানের চাদরে আমার গোটা জীবনের শীতলতা হার মানলো।

আমি তারে ভালোবাসলাম, যেমন করে কেউ তারে আগে ভালোবাসে নি, যেমন করে আমিও কাউকে কখনো ভালোবাসি নি।"

07/07/2025

"জীবনে একটা তীব্র কষ্ট পাওয়ার পর মানুষ অনেকভাবে বদলাতে পারে। এই প্রত্যেকটা বদলে যাওয়ার পেছনে যুক্তি থাকে। কেউ বদলে গেলে তাকে দোষ দেয়া যায় না।

যে মানুষটার বিশ্বাস একবার ভেঙ্গে গেছে, তাকে আমি কখনোই প্রশ্ন করতে পারবো না যে, কেন সে আর কাউকে কখনো বিশ্বাস করবে না? যে ভালোবেসে ঠকে গেছে, সে আর কখনো কাউকে ভালোবাসতে না পারলে - তাকে একদমই দোষ দেওয়া যাবে না।

তবে এতকিছুর ভীড়ে আমার নিজেকে খুব বোকা মনে হয়। কারণ আমি বারবার ঠকে গেলেও আবার জিতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি, আমার বিশ্বাস ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেলেও আমি আবার নতুন করে কাউকে বিশ্বাস করতে দ্বিধা করি না।

আমার সবসময়ই মনে হয়, আমার ভেতরের যে ভালোবাসাটুকু আমি উজাড় করে দিয়েছি, সেই ভালোবাসা তো কোনো অন্যায় করে নি, আমিও কোনো অন্যায় করি নি। কাউকে আমি চোখ বুজে বিশ্বাস করেছি, সেই বিশ্বাস করাতে তো কোনো দোষ ছিলো না।

তাহলে একটা ভুল মানুষের জন্য আমি আমার সত্যিকারের বিশুদ্ধ অনুভূতিগুলোকে কেন শেষ করে দিবো? হয়তো সেই অনুভূতিগুলো অন্য কারো প্রাপ্য। হয়তো অন্য একটা মানুষ প্রতীক্ষার এক পশলা বৃষ্টির মতো আমার ভালোবাসা দু'হাত ভরে নিবে!

আমার বিশ্বাস যে ভেঙ্গেছে, অন্যায়টা সে-ই করেছে। আমার ভালোবাসাকে যে তুচ্ছ করেছে, ভুলটা তো তারই। আমার ভালোবাসায় তো ভুল ছিলো না, দ্বিধা ছিলো না। আমার বিশ্বাসে তো ঘাটতি ছিলো না। আমার নিয়তে তো এক বিন্দু শুদ্ধতার অভাব ছিলো না।

তাহলে আমি কেন বদলাবো?

আমি ভুল মানুষের কাছে অবহেলা পেয়ে আরো বেশি করে ভালোবাসতে শিখেছি। আমি কষ্ট পাওয়ার পর টের পেয়েছি, কষ্ট পেলে কতটা যন্ত্রণা হয় মানুষের, বিশ্বাস ভেঙ্গে গেলে কতটা অসহায় লাগে।

আমার বুকের ভেতর অনেকখানি ভালোবাসা আমি তুলে রেখেছি কারো জন্য। সেই মানুষটা ভুল নাকি শুদ্ধ, আমি জানি না, জানতেও চাই না। আমি শুধু জানি, আমি তাকে উজাড় করে ভালোবাসবো। আমি যে তীব্র কষ্ট পেয়েছি, সেই কষ্টের এক বিন্দুও যেন তাকে স্পর্শ না করে। যে অবহেলায় আমি তুচ্ছ বোধ করেছি রোজ, সেই অবহেলা তো দূরে থাক, তার বিপরীতে শতগুণ যত্ন আমি বরাদ্দ করে রেখেছি তার জন্য।

আমি চোখ বুজে তারে বিশ্বাস করবো। হেরে যাওয়ার, ঠকে যাওয়ার, বোকা বনে যাওয়ার ভীষণ রিস্ক নিয়ে আমি আবার মানুষটার ডিঙি নৌকাতে চড়ে মাঝ নদীতে ভাসবো।

আমি ডুবে গেলে পুরো পৃথিবী হাসবে, জানি। আর আমি তারে নিয়ে কূলে পৌঁছে গেলে আকাশপানে খোদার দিকে চেয়ে আমি বিজয়ীর হাসি হাসবো। খোদাও কি আমার দিকে চেয়ে মুচকি হাসবেন না? হয়তো হাসবেন!

এই পৃথিবীতে শুদ্ধ নিয়তে উজাড় করে ভালোবেসে অনেকে হেরে গেছে, অনেকে জিতেও গেছে। কিন্তু ভালো না বেসে কেউ কোনোদিন জিততে পারে নি।"

13/06/2025

"যেদিন থেকে টের পেয়েছি, কালকের সকালটা আদৌ দেখবো কিনা আমি জানি না, প্রিয় মানুষের সাথে শেষ দেখাটা হয়েই গেলো কিনা আমি জানি না,

এইমাত্র যে বাক্যটা কাউকে বললাম, সেটাই শেষ কথা কিনা, কিংবা যার উপর একরাশ অভিমান পুষে রাখলাম, সেই অভিমান বুকে নিয়েই চোখ বুজে ফেলতে হবে কিনা - কিচ্ছু আমি জানি না,

সেদিন থেকে আমি প্রতি মুহূর্তের জন্য বাঁচতে শুরু করলাম।

কাল সকালে কি আমি থাকবো এখানটায়? বছর পাঁচেক পরে কি আমাদের সত্যিই কথা হবে? কিংবা পরেরবার দেখা হলে আমি কি ক্ষমা চাইতে পারবো?

জানি না। হতে পারে এটাই শেষ কথা, শেষ দেখা, শেষ লেখা।

যেদিন থেকে আমি জানলাম, জীবনটা সত্যিই ভীষণ ঝড়ে মাঝ সমুদ্রে দুলতে থাকা ডিঙি নৌকার মতো ঠুনকো, ঠিক সেদিন থেকে আমি প্রতি মুহূর্তের জন্য, প্রতিদিনের জন্য, এটাই শেষ ভেবে অল্প অল্প করে বাঁচি।

বুকের ভেতরটায় এমনিতেই কত শত দীর্ঘশ্বাস জমে আছে, ওখানটায় আরো খানিকটা আফসোস রেখে কি ঘুমোনো যায়?"

30/05/2025

"মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো - সে যখন অন্যায় করে, তখন তার বোধ আসে না। তার ভেতর এই চিন্তাটা কাজই করে না যে সে অন্যায় করেছে।

আপনি ভাবতেই পারেন, অন্যায় করার পর যারা ক্ষমা চায়, তাদের ভেতর মনে হয় বোধটা চলে আসে। সত্যিটা হলো - নাহ, তখনও তাদের বোধ আসে না।

মানুষ ক্ষমা চায় হারানোর ভয় থেকে। ক্ষমতাবানরা গদি হারানোর ভয় পায়, ধার্মিকরা বেহেশত হারানোর ভয় পায়, বাকিরা পায় মানুষ হারানোর ভয়।

ভয় কেটে গেলে সে আবার অন্যায় করতে শুরু করে। কারণ পৃথিবীর সবচেয়ে ঠুনকো আর ক্ষণস্থায়ী অনুভূতি হলো ভয়।

মানুষের সত্যিকারের অপরাধবোধ কিংবা অন্যায়ের বোধটা কখন আসে জানেন?

যখন সে সব হারিয়ে ফেলে! সব!

পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলে, মাথার উপর থেকে ছায়া সরে গেলে, চিরদিনের জন্য সবাই মুখ ফিরিয়ে নিলে, ভালোবাসার মানুষটা সত্যি সত্যি হারিয়ে গেলে - মানুষ টের পায় সে অসহায়, নিঃস্ব, একা, ভয়ংকর রকমের একা।

অপরাধবোধ থেকে শিক্ষা নিয়ে এরপর অনেকে ভালো হয়ে যায়। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে গিয়ে বাকি জীবন নিজেকে শুধরে নেয়, এমন কী ফেরেশতাও হয়ে যায়। তাতে পাপের দাগ মুছে যায় হয়তো, কিন্তু হারানো কিছুই ফেরত আসে না।

No matter how much you try, you can never bring back something that's already dead. That's the cruel truth, my friend. That's the coldest truth!"

06/05/2025

"ঠিক কতবার অন্যের জন্য বাঁচতে গিয়ে ভেতরে ভেতরে মরে গিয়েছি আমরা?

সমাজ বলে দেয়, দিনশেষে আমাদের কেমন হতে হবে। পরিবার ঠিক করে দেয়, তাদেরকে খুশি করতে হলে আমাদের কী করতে হবে। আমরাও মেনে নিই। গোটা পৃথিবীর কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে, অমন করেই তো বাঁচতে হবে।

শেষমেশ যে ফিরেও তাকালো না, তার দরজায় বিরতিহীন কড়া নাড়তে থাকি আমরা। তারে ছাড়া বাঁচতে ভীষণ কষ্ট হয়। স্রষ্টার কাছে মিনতি করে জানতে চাই, ঠিক কী করলে সে আমায় ভালোবাসবে?

কি ভীষণ অবহেলা অবলীলায় গিলে ফেলি প্রতিদিন!

অন্য কারো উত্তরের আশায় বেঁচে থাকি, অন্য কারো স্বপ্নপূরণের তাগিদে ছুটে চলি, অন্য কারো প্রিয় হওয়ার আকুতিতে নিজেকে ভেঙ্গেচুরে গড়ি বারবার।

কখনো নিজেকে জিজ্ঞেস করা হয় নি, আমি কেমন হতে চেয়েছিলাম? আমার স্বপ্ন কী? আমার ইচ্ছেঘুড়িরা কোন আকাশে উড়তে চেয়েছিলো?

আস্ত একটা জীবন অন্যের জন্য বাঁচতে গিয়ে নিজের জন্য এক বিন্দুও বাঁচা হয় নি। অথচ নিজেকে একটু ভালোবাসলেও তো পারতাম!"

22/03/2025

"আমাদের আশেপাশে কিছু মানুষ আছে, যারা নিজের গণ্ডির বাইরে কোনো কিছুই চিন্তা করতে পারে না। সে নিজে সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠলে মনে করে গোটা পৃথিবীরই সকাল আটটায় উঠা উচিত। তার নিজের লাইফস্টাইলই তার কাছে স্ট্যান্ডার্ড, বাকিদের কারো লাইফস্টাইল ঠিক নাই।

এই ধরণের মানুষের সাথে কথা বলতে গেলে আরেক বিপদ। কথায় কথায় নিজের উদাহরণ টেনে নিয়ে এসে আপনাকে ভয়াবহ লো ফিল করাবে।

ধরেন, আপনি জ্বরের কারণে বিছানায় শুয়ে আছেন। সে এসে বলবে, "এইটুকু জ্বরে কাত হয়ে গেলা? আমি তো ১০৫ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে জিম করছি, শাশুড়ির কাপড় কেচে দিছি, ক্লাস করছি, বাজার করছি, রান্না করছি এরপর এন্টার্কটিকার বরফে ডুব দিয়ে হেঁটে ফেনী গিয়ে সবার জন‍্য ঈদের শপিং করে আনছি। এত দুর্বল কেন তুমি? তোমাকে দিয়ে তো হবে না!"

এদের সাথে কথা বললে মনে হবে, আপনার পুরা জীবনটাই ভুল। শুধু সে-ই ঠিক। খোদা আমাদের এমন মানুষ থেকে দূরে রাখুক।"

11/03/2025

"যতবার আপনি ভাববেন, পৃথিবীটা ফেয়ার, ততবার পৃথিবী আপনাকে ভুল প্রমাণ করবে।

নিজেকে বারবার প্রমাণ করার পরও দেখবেন দিনশেষে আপনাকেই সবাই ভুল বুঝতেছে।

ঠিক যেদিন মনে হবে, আপনার কোনো বিকল্প নাই, ঠিক তার পরের দিন নিষ্ঠুর পৃথিবী আপনাকে রিপ্লেস করে ফেলবে। কেউ আপনার দিকে ফিরেও তাকাবে না, আপনার কথা মনেও করবে না।

নিজেকে উজাড় করে দিয়ে কাউকে ভালোবাসার পর দেখবেন, ঐ মানুষটার মনে আপনার জন্য এক বিন্দু মায়াও জন্মে নাই।

চোখ বুজলে আমরা যে আদর্শ পৃথিবীটাকে দেখি, সেখানে ভালোর সাথে ভালো হয়, খারাপের সাথে খারাপ হয়, ভালো কাজ করা মানুষ পুরষ্কার পায় আর আঘাত দেওয়া মানুষরা কর্মফল হিসেবে ভীষণ কষ্ট পায়।

একদিন আমরা টের পাই, আদর্শ পৃথিবী বলে কিছু নেই। যদি থাকতো, তাহলে নিষ্পাপ শিশুটার সাথে অতটা অন্যায় হতো না, বৃদ্ধ পিতা ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে কারো অপেক্ষায় থাকতো না, নিরপরাধ মানুষটার জীবন অমন দুঃস্বপ্নের মতো হতো না, বোকা মানুষটা বারবার ঠকে যেতো না, ভালোবেসে কেউ হেরে যেতো না।

পৃথিবীটা চিরদিন আনফেয়ারই ছিলো। আমরাই বরং অন্ধ হয়ে ছিলাম অনেক অনেক দিন!"

13/02/2025

"কষ্ট মাপার কোনো যন্ত্র আছে পৃথিবীতে.? এক নদী কষ্ট আর এক সমুদ্র কষ্ট - কোনটারে কিভাবে মাপি.? কী নামেই বা ডাকি.?

যে কষ্টে বুকের ভেতরটা এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়, মাথার দুই পাশে ভয়ংকর যন্ত্রণা হয়, চোখ বুজলে মনে হয় আমার পুরো পৃথিবীটা সর্বগ্রাসী লেলিহান শিখার মত দাউদাউ করে জ্বলছে - সেই কষ্টটা প্রকাশ করতে গেলে কেমন ভাষাহীন হয়ে যাই আমি!

অথচ ভেতরের ঐ আগুনের আঁচ আমি বাদে পৃথিবীর কেউ টের পায় না। কেউ না।

মাঝে মাঝে ভুল করে কেউ কেউ জিজ্ঞেস করে ফেলে, 'কেমন আছো.?'

একটা ঠিকঠাক শব্দ কিংবা ঠিকঠাক বিশেষণ খুঁজে না পেয়ে মুচকি হেসে বলি, 'এই তো, ভালোই আছি'

যে গল্প শুনেও কেউ বুঝবে না, যে সমুদ্রের গভীরতায় কেউ ডুব দিবে না, যে নরকের আঁচ কেউ টের পাবে না - সেই গল্প, সমুদ্র আর নরক বরং আমার কাছেই যত্ন করে রেখে দিই।"

12/01/2025

বাইরে থেকে দেখে কারো জীবন সম্পর্কে আন্দাজ করাটা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার, কিন্তু এই অসম্ভব কাজটাই আমরা প্রতিনিয়ত করতে থাকি। হাসিখুশি মানুষটাকে দেখে ভাবি তার জীবনে কোন সমস্যাই নেই, কেউ একটু দুঃখের গান শুনলে ভাবি, তার জীবনে অনেক কষ্ট, অথচ ব্যাপারটা এরকম নাও হতে পারে !!

আমরা অনেক জাজমেন্টাল, বাইরে থেকে দেখেই একটা কথা বলে বসি, বলার আগে ভাবি না যে, আমি যেভাবে চিন্তা করছি ব্যাপারটা অন্যভাবেও তো হতে পারে আমার চিন্তাই যে সঠিক তা কে বললো,,??

একটা মানুষ তার মাথার ভেতর মনের ভেতর কেমন বোধ করছে - আপনি আমি হাজার চেষ্টা করলেও তার ১% ও বুঝতে পারবো না।

যে বাচ্চাটার খেলনা হারিয়ে গেছে, তার কাছে ঐ খেলনা হারানোর কারণটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাওয়ার কারণ, আমার বা আপনার কাছে সেটা একদম তুচ্ছ, তেমনি আমাদের কাছে যেটা তীব্র কষ্টের কারণ, ঐ বাচ্চাটার কাছে সেটা তুচ্ছ। এই সত্যটা আমরা বুঝতে চাই না।

আমরা কেউ কাউকে বুঝতে না পারি, কিন্তু ভুল বুঝে জাজ করাটা বন্ধ তো করতে পারি ... একটা মানুষ সম্পর্কে আমি যখন তেমন কিছুই জানি না, তাকে নিয়ে আন্দাজে কিছু একটা ভেবে নেয়ারই বা দরকার কি,,?? ... তাকে নিয়ে কিছু বলারই বা দরকার কি,,?? ... থাকুক না সে তার মত।

আমার কাছে যার জীবনটা স্বপ্নের মত লাগে, তার দুঃস্বপ্নগুলোর এক বিন্দুও হয়তো আমি দেখি নি ... আমার জীবনটা যার কাছে রূপকথার গল্পের মত সুন্দর লাগে, সে হয়তো আমার অসুন্দর বাস্তবতার ছিটেফোঁটাও টের পায় নি।

জীবনটা এমনই ... কেউ এক মূহুর্ত সময় নিয়ে কাউকে বুঝতে চায় না ... কিন্তু সব বুঝে ফেলার ভান ধরে কিছু একটা বলে ফেলতে এক মুহূর্তও দেরি করে না।

14/12/2024

"আমরা কেন নিজের গল্প লুকাই..? আমরা কেন ভালো থাকার অভিনয় করে যাই..? কারণ নিজেরে উজাড় করে দিয়ে আমরা বহুবার অন্যের কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছি, তাদের আড্ডায় হাসির পাত্র হয়েছি, তাদের খোশগল্পের বিষয় হয়েছি।

আমাদের দুঃখের সাথে রিলেট করতে না পারলে মানুষ সেই দুঃখ নিয়ে রসিকতা করে। আমরা আবেগ দেখালে মানুষ আমাদের জাজ করতে দ্বিধা করে না। আমাদের জীবনের ট্র‍্যাজেডি নিয়ে কাছের মানুষরাই পেছনে গসিপ করে যায়। তারপর আবার অবাক হয়ে অভিযোগ করে, আমাদের সাথে শেয়ার করলেও তো পারতো..!!

কেউ আপনার কাছে তার একান্ত ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ না করলে তারে দোষ না দিয়ে একটু নিজেকে প্রশ্ন করেন। আপনি কি তার ভরসার মানুষ হতে পেরেছেন কিনা। আপনি কি তার বিশ্বাসটুকুর মর্যাদা দিতে পেরেছেন কিনা। আপনি কি তার কমফোর্ট জোন হতে পেরেছেন কিনা।

আপনার কোন আচরণের কারণে সে আপনার কাছে কিছু বলতে প্রচণ্ড দ্বিধা বোধ করতেছে - একটু চিন্তা করে দেইখেন।

দিনশেষে আমরা কেউ একা একা দমবন্ধ হয়ে থাকতে চাই নি। আমরা শুধু একটা ভরসার মানুষ চেয়েছিলাম, যে মানুষটা আমাদের কথা শুনবে, বুঝবে, আমাদের চোখ দিয়ে জীবনটারে দেখবে। আর কিচ্ছু না।

অনেক ভীড়েও তাই আমাদের একা লাগে, দমবন্ধ লাগে। কারণ চারপাশে অনেক অনেক কাছের মানুষ, কিন্তু ভরসার মানুষ নাই।"

04/11/2024

"অনেক দিন ভালো করে ঘুমাই না। একদিন ভালো করে ঘুমাবো - সেই বন্দোবস্ত করতে গিয়ে নির্ঘুম রাত কাটে প্রতিদিন। তারপর ঘন্টা তিনেক চোখ বুজে ধড়ফড়িয়ে উঠি।

জীবনটা এমন হয়ে যায় একদিন। এখানে স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে স্বপ্ন বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে হয়। আস্তে আস্তে স্বপ্ন ফুরিয়ে যায়। এরপর আর বাড়ি ফেরা হয় না।"

04/10/2024

"বয়স বেড়ে যাওয়াটা একটা সমস্যা ... তার চেয়েও বড় সমস্যা বোধ হয় বয়স বেড়ে যাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে যাওয়াটা !!

তীব্র জ্বরের ঘোরে এখনো আমি মা-কে খুঁজি ... এমন না যে মা একদম খেয়ালই রাখে না ... মা ঠিকই খেয়াল রাখে, কিন্তু আগের মত না !!

আমরা বয়সে বড় হই, কিন্তু অসুখে বিসুখে আমরা অবচেতন মনে একটা বাচ্চা যেমন কেয়ার চায়, তেমন কেয়ার ইতিউতি করে খুঁজতে থাকি !!

ছোটবেলায় অসুখ হলে ভাতের প্লেট হাতে নিয়ে এসে মা মাথার পাশে বসতো, আধশোয়া হয়ে ভাত খেতাম ... মা খাইয়ে দিতো আর বলতো, আরেকটু খা বাবা ... আর এক লোকমা খা, ঔষুধ খেতে হবে !!

মা এখনো ভাত খেতে বলে, কিন্তু নিজে আসে না ... বড় হয়ে গেলে বোধহয় একটু প্রাইভেসির চিন্তা চলে আসে ... কে জানে !!

অনেকে বলতে পারে, এত বয়স হইসে, তাও এত আহ্লাদ কেন..? গ্রো আপ ... আদর যত্নের বেলায় কেন জানি আমি বড় হতে পারি না ... আমি ৫ বছর বয়সে জ্বরের ঘোরে মাথার পাশে যেমন মা কে খুঁজতাম, ২৫ বছর বয়সেও অবচেতন মনে মা-কেই খুঁজি !!

সবচেয়ে কষ্ট পেতাম হোস্টেলে বা মেসে থাকা অবস্থায় আর এখন প্রবাসে অসুস্থ হলে ... মা আমার হাজার কিলোমিটার দূরে ... টেনশন করবে বলে তখনও জানাতাম না এখনো জানাই না যে আমার অসুখ ... মেসের ছোট্ট বিছানার এক কোণে পড়ে থেকে নিঃশব্দে মা কে ডাকতাম ... অত দূরে সেই ডাক পৌঁছাতো না ... আহ কি অসহায় একটা সময়!!

এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি অসহায় তারাই, যাদের অসুস্থতার সময়ে মা থাকে অনেক অনেক দূরে ... হয়তোবা অন্য শহরে, অন্য দেশে কিংবা অন্য জগতে !!"

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ziaur Rahman Sagor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ziaur Rahman Sagor:

Share