14/09/2025
আল্লাহর তাআলা শুকরিয়া আদায় করা আর ধৈর্যধারণ করা এই দুটোই মুমিনদের মূলমন্ত্র হিসেবে অবহিত করেছেন। মুমিনরা ধৈর্য ধরে এবং নিজেদের বোঝায়—তারা আল্লাহর প্রতি কখনোই নিরাশ হয়নি, সেইসাথে আল্লাহর শুকরিয়াও আদায় করে। কারণ, আল্লাহ বিপদ দিয়ে পরীক্ষা করছেন। আবার আল্লাহ নিজেই সেই বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন।
ছোটো ছোটো বিপদ অনেক বিপদই তো আমাদের মাঝে আসে। আমরা ধৈর্য ধরে যদি সেগুলো মোকাবিলা করতে পারি, তাহলে যত বড়ো বিপদই আসুক না কেন, আমরা তা সহজেই মোকাবিলা করতে পারব। যেকোনো বিপদ-আপদ সামনে এলে বুঝতে হবে, এসব আমাদের ঈমান বৃদ্ধির পরীক্ষা।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝলাম—ঈমান বৃদ্ধি পায় বটে, কিন্তু কখনো কখনো ঈমান হ্রাসও পায়। এই বাস্তবতা আমাদের মেনে নিতে হবে যে, ঈমান সর্বদা সমপর্যায়ে থাকে না। জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতি, সময় কর্মসাধন আমাদের ঈমানকে বাড়িয়ে তোলে আবার ঈমানকে কমিয়েও দেয়। ঈমান দুর্বল হয়ে যাওয়া মানে দ্বীন থেকে একেবারেই খারিজ হয়ে যাওয়া, এমন না। রাসুল ﷺ বলেন—
“এমন কোন হৃদয় নেই, যা মেঘে ঢেকে যায় না; যেমনটা মেঘ চাঁদকে ঢেকে দেয়—যখন এটি উজ্জ্বল হয়, তখন চাঁদ ঢেকে যায় অন্ধকারে। কিন্তু যখন মেঘ চলে যায়, তখন চাঁদ ফিরে আসে তার উজ্জ্বলতা নিয়ে।”
রাসুল ﷺ অসাধারণ একটি উপমার সাহায্যে আমাদের ঈমান কমা-বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি আরও বলেন—মানুষের অন্তর থেকে ঈমান খুলে পড়ে যায় যেমনভাবে মানুষ কাপড় খুলে রাখে। তাই আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে, আমার ঈমান যেন দৃঢ় হয় এবং আল্লাহ সবার ঈমানকে যেন দৃঢ় করেন।
বই: মুসলিম যুবকদের পুনর্জাগরণ
মূল: ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস
অনুবাদ: আল আমিন রাকিব