20/03/2025
১. ইরাকি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আমেরিকা একটা অভিযান চালায়। মরুভূমির ঝড় (অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম) নামের এই অভিযানে মার্কিন নেতৃত্বে মিশর বিশহাজার, সিরিয়া চৌদ্দহাজার, মরক্কো তের হাজার, কুয়েত নয় হাজার, ওমান ছয় হাজার তিনশত, আমিরাত চার হাজার তিনশত এবং কাতার দুই হাজার ছয়শত সেনা পাঠিয়েছিলো।
২. অপারেশন অডিসি ডন— ন্যাটোর নেতৃত্বে লিবিয়ার বিরুদ্ধে অভিযানে কাতার চারটি যুদ্ধবিমান, আমিরাত ছয়টি এফ-১৬ ও ছয়টি মিরাজ বিমান এবং জর্ডান চারটি যুদ্ধবিমান পাঠায়। এছাড়াও এসব দেশ মাটিতে লড়াইয়ের জন্য বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করে এবং উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো ন্যাটোর প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমার জন্য এক মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করে! ফলাফল—লিবিয়া ধ্বংস হলো। জনগণ উদ্বাস্তু হলো। আর সম্পদ লুট হয়ে গেলো।
৩. অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম (আল-হাজমের ঝড়)— ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আমেরিকা-ব্রিটেনের নির্দেশে সৌদি আরব একশটি যুদ্ধবিমান ও একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার সেনা পাঠায়। আমিরাত ত্রিশটি, কুয়েত ও বাহরাইন পনেরোটি, কাতার দশটি, জর্ডান ও মরক্কো ছয়টি, সুদান পাঁচটি যুদ্ধবিমান পাঠায় এবং হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে। মিশর এই যুদ্ধে সমর্থন জানিয়ে সামরিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়।
৪. সিরিয়ার বিরুদ্ধে আমেরিকার নির্দেশে— জর্ডান ও তুরস্কে দুটি সামরিক অপারেশন রুম গঠন করা হয় যেখানে সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার, আমিরাত, জর্ডান ও বাহরাইনের অর্থায়নে ষাট হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা প্রবেশ করানো ও তাদের অস্ত্র সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়।
এই হল সেই ইতিহাস যেখানে আরব রাষ্ট্রগুলো নিজেদের মতো আরব দেশ—ইরাক, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়া—ধ্বংসের জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আর যখন দখলদার ই [জ] রা য়ে ল গাযযায় গণহত্যা চালাচ্ছে তখন সবাই অসহায় দর্শক হয়ে বসে আছে! এমনকি মানবিক সহায়তার জন্য সীমান্ত খুলতেও অপারগ হয়ে আছে। কারণ আমেরিকা অনুমতি দেয়নি! কী লজ্জা! কী কলঙ্ক!
এই সব যুদ্ধ কে চালায়? কার স্বার্থে এই সেনারা লড়াই করে? কার আদেশে যুদ্ধবিমান ওঠে?
পেট্রোডলারে কেনা গণমাধ্যমগুলো আমাদের মগজধোলাই করতে ব্যস্ত! তারা বলে ইরাকে যুদ্ধ মানে মুক্তি। লিবিয়ায় যুদ্ধ মানে নাগরিক সুরক্ষা। ইয়েমেনে যুদ্ধ মানে বৈধতা। আর সিরিয়ায় যুদ্ধ মানে গণতন্ত্র! কিন্তু যখন কথা আসে ফিলিস্তিনের তখন সবাই নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে থাকে— লক্ষ শহীদের দিকে তাকিয়েও! যাদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু! লাখের বেশি আহত মানুষের জন্যও তাদের কোনো নড়াচড়া নেই!
আর আজ গাযযায় নতুন করে গণহত্যা চলছে. স্বাধীনতাকামীদের উপর চলছে বর্বর আক্রমণ! এসবকিছুর মধ্যে আরবদের ভূমিকা হলো ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতা!
হায় খুযলান!
Haque