04/06/2025
আরাফার দিন ইসলামে অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। এটি হিজরী জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখে পালিত হয় এবং হজ পালনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গন্য করা হয়।
🌟 আরাফার দিনের ফযিলতসমূহ:
1. হজের মূল স্তম্ভ – আরাফা দিবার অবস্থান (ওকুফে আরাফা):
আরাফার দিনে হাজীরা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন, যা হজের মূল রুকন বা স্তম্ভ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
> "হজ হচ্ছে আরাফা।"
(সহীহ হাদীস: তিরমিজি)
2. এ দিনটি শ্রেষ্ঠতম দিনগুলোর একটি:
রাসূল (সা.) বলেছেন:
> "আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম দিন হলো আরাফার দিন।"
(ইবনু হিব্বান)
3. এ দিনে রোযা রাখা অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ:
যারা হজে নেই, তাদের জন্য এই দিনে রোযা রাখা সুন্নত এবং এতে বিশাল সওয়াব রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
> "আমি আশা করি, আরাফার দিনের রোযা অতীত এক বছরের এবং পরবর্তী এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেয়।"
(সহীহ মুসলিম)
4. দোয়া কবুল হওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়:
আরাফার দিন হলো দোয়া কবুল হওয়ার সর্বোত্তম সময়গুলোর একটি।
রাসূল (সা.) বলেছেন:
> "আরাফার দিনের দোয়া হলো সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া।"
(তিরমিজি)
5. জাহান্নাম থেকে মুক্তির দিন:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
> "আল্লাহ তাআলা আরাফার দিন যত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন, অন্য কোনো দিনে এত বেশি মুক্তি দেন না।"
(সহীহ মুসলিম)
6. তাওহিদের ঘোষণা দিন:
এই দিনে রাসূল (সা.) যে দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পড়তেন:
> "لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ"
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ও হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর।
✅ কি করণীয় এই দিনে:
রোযা রাখা (যদি হজে না থাকেন)
দোয়া করা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা
বেশি বেশি তাকবীর, তাহলীল, তাহমীদ পড়া
কুরআন তিলাওয়াত ও ইবাদতে মশগুল থাকা
গুনাহ থেকে দূরে থাকা ও ভালো কাজ করা
এই দিনটি এমন একটি সোনালী সুযোগ, যা প্রতি বছর একবার আসে। তাই এর সর্বোচ্চ ফায়দা তোলা উচিত।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই দিনের ফযিলত বুঝে আমল করার তাওফিক দিন। আমিন।