
26/07/2025
“মা” — এই একটা শব্দেই আমার পুরো পৃথিবী 💔
গতকাল মিরপুরে বোনের বাসায় গিয়েছিলাম মা’কে দেখতে। মনটা অদ্ভুত ভারী হয়ে ছিল… মা’কে রেখে আসতে একদম মন চাইছিল না।বললাম,তুমি তো মাছ-মাংস খাও না… মা, যদি একদিন তুমি না থাকো, আমি কীভাবে থাকবো!? আমি কাকে মা বলে ডাকবো?কার বুকে মুখ লুকিয়ে শান্তি পাবো?কে আমার জন্য প্রতিদিন আলাদা করে নফল নামাজ পড়ে দোয়া করবে??”মা তখন চোখের জল ধরে রেখে শুধু বললেন,মানুষের মা কি আর চিরকাল বাঁচে? তোমরা তো কপাল করে আমাকে এখনো পাশে পেয়েছো।
তারপর মা বলে উঠলেন:
“যেদিন আমি থাকবো না, আমার সাত মেয়ে মিলে যেন আমাকে শেষ গোসল করায়। আর তোমার বাবার পাশেই যেন আমাকে কবর দাও।”🥲🥲🥲🥲🥲🥲
কাল দুপুর ১.৩০ থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ছিলাম মায়ের কাছে।আমি গিয়েই দেখি মা গোসল করতেছে —আমি নিজ হাতে গোসল করিয়ে দিলাম।মা আমারএকেবারে ছোট্ট শিশুর মতো… এতটাই নিরীহ, এতটাই শান্ত… অল্পতেই খুশি হয়ে যায়।
আমার মা—আমাদের ১০ ভাই বোনের দোয়ার মানুষ।
আমাকে বললো-
তোমাদের ৭ বোন এবং পরিবার, আমার নাতনী দোহা, সবাইকে আল্লাহ ভালো রেখেছে।তোমাদের নিয়ে আমার কোনো টেনশন নেই।
শুধু আমার দুই ছেলে আর নাতিদের জন্য মনটা অস্থির।তুমি টেনশন বেশি কর না মা ।তোমাকে আল্লাহ একদিন বাড়ি-গাড়ি করে দিবে ইনশাআল্লাহ , আমি জানি তোমাকে দিবে।তোমার মনটা অনেক বড়।
আমি তোমার জন্য আলাদা করে প্রতিদিন চার রাকাত নফল নামাজ পড়ি।
আমাকে বলে আমার মা আমি মরে গেলে দাবি রেখ না।🥲🥲
আমি মাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,আমি দাবি রাখব🥲
তুমি আমার বাসায় এসে থাকবে, যেমন ছোটবেলায় তুমি আমার যত্ন নিয়েছিলে, এবার আমিও চাই তোমার সেবার সুযোগ পেতে।তখন মা বললো,
তুমি তোমার বাবা’কে অনেক করেছো… আমি জানি তুমি আমার জন্যও করবে।কাল কতবার যে মা কেঁদেছে… আর আমি শক্ত থেকে শুধু হাসছিলাম।কিন্তু বিদায় নেওয়ার সময় আর পারলাম না—হু হু করে কেঁদে ফেললাম।মা সিঁড়ির ওপর দাঁড়িয়ে তাকিয়ে ছিল… সেই দৃষ্টি বুকের ভেতর কাঁপে ওঠে।
আল্লাহ, আমার অর্ধেক হায়াত তুমি আমার মাকে দিয়ে দাও।আমার মা যেন সুস্থ থাকে, ভালো থাকে—এই আমার সব চাওয়া।প্লিজ, মা’টাকে সুস্থ করে দাও মাবুদ… 🙏🥺