
24/07/2025
সময় টা ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬। বাংলার প্রতিটি মানুষের মনে, প্রতিটি টিভিতে একটা টিভি সিরিজের নাম ছিল। সেই সিরিজের নাম কী? প্রশ্ন করেছিলাম হা করে থাকিয়ে আছেন কেন। আচ্ছা থাক মনে হয় ভুলে গেছেন। আলোচিত সমালোচিত সিরিজের নাম দেখতে হলে আরো নিচে যেতে হবে।
সিরিজের নামঃ- কিরনমালা 🔥🔥
জনরাঃ- ফ্যান্টাসি, ড্রামা
আইএমডিবি রেটিংঃ- ৪.৯/১০
পর্ব সংখ্যাঃ- ৭২১
রাইটারঃ- মদন মিত্র
পরিচালকঃ- রুকমা রায়
কিরণমালা হলো স্টার জলসায় প্রচারিত একটি ভারতীয় বাংলা টেলিভিশন ধারাবাহিক। এটি দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার রচিত ঠাকুরমার ঝুলি থেকে নেওয়া হয়েছে। কিরণমালা চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুকমা রায়।
অভিনয় এবং চরিত্রঃ-
রুকমা রায় রাজকুমারী কিরণমালা / ঊর্মিমালা / ঝিনুকমালা, রজনী গান্ধী আলোকমালা, ফারহান ইমরোজ রাজকুমার পৃথ্বীরাজ, কৌশিক চক্রবর্তী রাজা বিজয়, অদিতি চক্রবর্তী রাণী রূপমতী, মৌমিতা গুপ্ত রাজমাতা, চান্দ্রেয়ী ঘোষ রাক্ষসী রানী কটকটি/মহারানী কলাবতী, চৈতালি চক্রবতী প্যাকাটি, মধুবানী ঘোষ বজ্রমালা, দেবযানী চট্টোপাধ্যায় মহারানী আম্রপালি, অরিজিৎ চক্রবর্তী মহারাজা বিক্রম সিংহ, মাফিন চক্রবর্তী মায়া পরী/মায়া আরশী, পার্থ আচার্য বিটকেল, জয়মালা গঙ্গোপাধ্যায় ললনাময়ী, সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা ছলনাময়ী, অনির্বান ভট্টাচার্য কাল, তাপস্বীরিয়া গঙ্গোপাধ্যায় চক্রবর্তী নাগকন্যা শঙ্খিনী, রানা রায় সুবর্ণ কুমার সহ আরো একাধিক।
কাহিনী সংক্ষেপঃ-
অচিনপুরের রাজা বিজয় দিগবিজয় করে ফিরে আসার পরে জানতে পারে,রাক্ষসরা জেগে উঠেছে। তাদেরকে ধ্বংস করে সারা বিশ্বকে বাঁচাতে পারে তার কন্যা কিরণমালা।এমন সময় একজন জানায় যে, মহারাজা বিজয় বাবা অর্থাৎ মহারানী রূপমতি মা হচ্ছেন । সারা রাজ্য যখন আনন্দ উপভোগ করছে তখন রাক্ষসীরানি প্যাকাটি বৃদ্ধা সেজে এসে রানির সেবা করা শুরু করে । কিরণমালার জন্মের সময় সে ঘরে থাকায় কিরণমালাকে সরিয়ে একটি পুতুল নিয়ে মহারাজাকে দেখিয়ে বলে, রুপমতী রাক্ষসী। সে কিরণমালার জন্ম দিতে অক্ষম । এই শুভ কাজ করতে পারে রাজকন্যা কলাবতী । রূপবতীকে বন্দি করার পর প্যাকাটি তার মেয়ে কটকটিকে কলাবতী সাজিয়ে এনে রাজা বিজয়ের সাথে বিয়ে দেয় । ছদ্মবেশী কটকটি বিয়ের পরে রাজাকে হত্যার চেষ্টা করে । কিন্তু রাজা বিজয়ের কাছে বজ্র বানিক হার থাকায় কটকটি ব্যর্থ হয় । কালতপস্বী তাকে সাহায্য করে এবং বলে তাকে ষোল বছর অপেক্ষা করতে হবে । অচিনপুরের ক্ষমতা পাওয়ার জন্য সে অপেক্ষা করতে থাকে । অন্যদিকে, কিরণমালাকে ফেলে দেয়া হয় সমুদ্রে । সে শুভ শক্তির প্রতীক থাকায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় এবং তাকে এক জেলে বড় করে তুলতে থাকে ।
১৬ বছর পর
কটকটি অচিনপুরের ক্ষমতা দখল করে ও রাজা বিজয়কে হত্যা না করে বশীভূত করে । রাজ পুরোহিত, যে ষোল বছর আগে পালিয়ে যায়, সে কিরণমালাকে বাঁচাতে ও আসল পরিচয় জানাতে কিরণমালার কাছে যায় । কিরণমালা নিজের পরিচয় জানার পর নিজের রাজ্যে ফিরে আসে । কটকটির মন জয় করে ঝিনুকমালা সেজে প্রাসাদে থেকেই রাক্ষসদের ধ্বংসের পরিকল্পনা করতে থাকে । কটকটি জানতে পারে যে, কিরণমালা বেঁচে আছে । তখন সে তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করে । সে জানতো না যে, ঝিনুকমালাই কিরণমালা । একসময় সে এটা জানতে পারে এবং তাদের মাঝে যুদ্ধ হয় । যুদ্ধে কিরণমালা সমুদ্রে পড়ে যায় । কটকটি ভাবে, কিরণমালা মারা গিয়েছে । কিরণমালাকে খুঁজে পায় অমৃত নগরীর রাজকুমার পৃথ্বীরাজ । তখন কিরণমালার স্মৃতি হারিয়ে যায় । তার নাম হয় ঊর্মিমালা। অমৃতনগরীর অমৃত পান করে অমর হওয়া যায়, যার রক্ষণাবেক্ষণ করছে রাজ পরিবার । কটকটি এটি জানতে পারে, এবং অমর হওয়ার আশায় তার মেয়ে বজ্রমালাকে এখানে নিয়ে আসে এবং রাজ কুমারের সাথে বিয়ে দিয়ে অমৃত কেড়ে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করতে থাকে । কুমার ও কিরণমালা একে অপরকে ভালবেসে ফেলে । এরপর কিরণমালার স্মৃতি ফিরে আসে ও কটকটির পরিচয় প্রকাশ করে । কটকটিরা পালিয়ে যায় । কুমার ও কিরণমালার বিয়ে হয় । এরপর নানাভাবে তারা কটকটিদের হারিয়ে দেয় । প্রত্যেক বার সে পালিয়ে যায় ও নতুন ভাবে ষড়যন্ত্র করে । এরপর, কিরণমালা ও কুমার আলোকমালা নামক এক কন্যা জন্ম নেয় । কটকটি শিশু আলোকমালাকে চুরি করে ও ভিনগ্রহে নিয়ে যায় । কিছু বছর পর সে তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় । এরপরে কিরণমালাকে ভবিষ্যতেও যেতে হয় । গল্পের শেষে কিরণমালার প্রাণের সাথে রাক্ষসকুলের প্রাণ মিশে যায় । তখন বিশ্বকে বাঁচানোর জন্য কিরণমালা আত্মহত্যা করে ।ফলে, কিরণমালার মৃত্যুর সাথে গোটা রাক্ষসকুল ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে, আলোকমালা তাকে ফিরিয়ে আনে । রাক্ষসরা নরকে শাস্তি পায় ।বিশ্ব রাক্ষসদের থেকে মুক্তি লাভ করে ।
কষ্ট করে পড়ে সময় নষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ☺️