https://www.facebook.com/104999061987224/

Written Life Stories Everyday, Dhaka (2025)

07/08/2025

মানুষ কখনও পাহাড়ে হোঁচট খায় না, হোঁচট খায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইট পাথরের টুকরাতে। পাহাড়ের মতো বিশাল কিছুর সামনে আমরা সতর্ক থাকি, প্রস্তুত থাকি। কিন্তু ইট পাথরগুলো আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়, যে কারণে প্রায়ই আমরা ইট পাথরে পা হড়কে পড়ে যাই।

জীবনের মতোই, সম্পর্কের পথও এরকমই। একটি সম্পর্ক – সেটা প্রেম, বন্ধুত্ব, দাম্পত্য কিংবা পারিবারিক যাই হোক না কেন – কখনোই বড় কোনো ইস্যুতে ভেঙে পড়ে না। সম্পর্ক ভাঙে ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝি, অবহেলা, না বলা কথার ভেতরে জমে থাকা কষ্ট, কিংবা সময়মতো একটুখানি মনোযোগ না দেওয়ার কারণে। এই ছোট ছোট অপ্রাপ্তিগুলো প্রথমে হয়ত তেমন একটা গুরুত্ব পায় না, কিন্তু দিনে দিনে সেগুলো জমতে জমতে পাহাড়ের চেয়েও বড় হয়ে ওঠে। একটা সময়ে গিয়ে যখন আর বোঝাপড়ার কোনো রাস্তা খোলা থাকে না, বিচ্ছেদ হয়ে ওঠে একমাত্র সমাধান।

আমরা অনেক সময় ভাবি, “এতো ছোট একটা বিষয়, ও এতটা রাগ করল কেন?” কিন্তু ওই ছোট্ট বিষয়টাই হয়ত তার কাছে বড় ছিল। হয়ত সে প্রতিদিন একটু কথা বলে হালকা হতে চেয়েছিল, হয়ত ও একটুখানি বেশি সময় চেয়েছিল, হয়ত আপনার কোনো একটা বাক্য বা অভিব্যক্তি তার মনে অনেক গভীর ক্ষত তৈরি করেছে। একটি ক্ষতের জন্য সবসময় বড় অস্ত্র লাগে না, ক্ষত গভীর হয় তখনই যখন অনুভূতির জায়গায় আঘাত লাগে।

তাই একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে বড় কিছু করার প্রয়োজন পড়ে না। প্রয়োজন পড়ে ছোট ছোট যত্নের, সামান্য খেয়ালের, একটুখানি বোঝাপড়ার।

সময়মতো একটি মেসেজ, ক্লান্ত দিনে এক কাপ চা, কষ্টে থাকা মানুষটার পাশে নীরব উপস্থিতি, কিংবা কেবল মন দিয়ে তার মনের কথাগুলো শোনা — এই ছোট্ট ছোট্ট কাজগুলোই আজীবনের বন্ধন গড়ে তোলে।

সম্পর্ক মানে একে অপরের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করতে পারা। তার অনুভূতিকে তার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করা। একটুখানি কেয়ার, একটুখানি সম্মান, একটুখানি গুরুত্ব দেওয়া, একটুখানি সহানুভূতি — এগুলোই একটি সম্পর্কের মেরুদণ্ড।

মনে রাখবেন, সম্পর্ক একটি সুন্দর বাগানের মতো। প্রতিদিন সেখানে একটু করে পানি দিতে হয়, আগাছা পরিষ্কার করতে হয়, খেয়াল রাখতে হয় সূর্যের আলো পড়ছে কিনা। অবহেলা করলেই তা শুকিয়ে যায়। তাই সম্পর্কের ছোট ছোট বিষয়গুলোকে অবহেলা নয়, বরং যত্নে আলিঙ্গন করা উচিত। কেননা, জীবনের সবথেকে বড় সুখ লুকিয়ে থাকে ওই ছোট ছোট খুঁটিনাটিতেই!

07/08/2025

"অন্যের সন্তানকে নিয়ে খারাপ কিছু বলার আগে এটা অবশ্যই ভাববেন যে, আপনার ও কিন্তু সন্তান আছে এবং সেই সন্তানের ও কিন্তু সন্তান হবে।"

আজ আপনি হয়তো গর্ব করে অন্যের ছেলেমেয়েকে নিয়ে নিচু কথা বললেন,
বললেন — "ওদের কোন শিষ্টাচার নেই, কেমন বেয়াদব!"
কিন্তু একবারও ভাবলেন না, যে ভাষা আপনি আজ অন্যের সন্তানকে নিয়ে ব্যবহার করছেন,
হয়তো আগামীকাল কারও মুখে ঠিক এই কথাগুলোই শুনবেন আপনার নিজের সন্তানকে নিয়ে।

সমাজে একটা অদ্ভুত নিয়ম চলে —
নিজের সন্তান ভুল করলে সেটা "বাচ্চামি",
আর অন্যের সন্তান করলে সেটা "অপরাধ"।
পৃথিবীটা গোল।

আপনি যেটা অন্যের সন্তানের ওপর প্রয়োগ করলেন,
একদিন ঠিক সেইটুকুই এসে থামবে আপনার নিজের দরজায়।
কারণ বিচার করা সহজ — সহানুভূতি দেখানো কঠিন।
কিন্তু দুনিয়াতে সবচেয়ে ভয়ংকর অভিশাপ হয়
অন্যের চোখের জল থেকে উঠে আসা বদদোয়া।

আপনি ভুলে যাচ্ছেন —
সন্তানরা শুধু বই থেকে শেখে না, তারা শিখে চারপাশ দেখে।
আপনি যদি ঘৃণা ছড়ান, তারা শিখবে বিদ্বেষ।
আপনি যদি অপমান করেন, তারা শিখবে কাউকে মানুষ না ভাবতে।

আজ আপনি যেমন অন্যের সন্তান নিয়ে মন্তব্য করছেন,
আগামীকাল কেউ ঠিক তেমনভাবেই আপনার নাতি-নাতনির দোষ ধরবে।
কারণ জীবন চক্র ঘুরে ফিরে সেই জায়গাতেই আসে —
যেখানে নিজের বলা প্রতিটি কথা, নিজের জীবনের আয়নায় ফিরে আসে।

"তাই আগে বিচার করুন নিজেকে, তারপর অন্যের সন্তানকে।
কারণ সন্তান বড় হলেও, পৃথিবীর নিয়ম কিন্তু ছোট।

“আপনার মুখের শব্দ যদি অন্যের সন্তানকে বিষ দিতেও পারে,
তবে ঠিক সেই শব্দ একদিন আপনার রক্তের মানুষকেও পোড়াবে।
তাই ন্যায়ের মুখোশ পরে, অন্যায় বিচার বন্ধ করুন।
পৃথিবীর সবচেয়ে নীরব প্রতিশোধ — সময়।”

কলমে-তাহমিনা আক্তার লিলি।

06/08/2025

একটা সন্তানের জন্য সবচেয়ে কষ্টের জায়গা তখনই হয়, যখন তার পৃথিবী যাদের ঘিরে গড়া—
সেই বাবা-মা দুইটা ভিন্ন পথে হাঁটা শুরু করে। সে কাকে ধরে বাঁচবে, আর কাকে ছেড়ে দেবে? ওদের জীবনে হয়তো নতুন সংসার এসেছে
,কিন্তু সন্তানের তো পুরোনো জায়গাটাই এখনো ফাঁকা পড়ে আছে। কেউ কি সেটা দেখতে পায়?
আল্লাহর কাছে শুধু এইটুকুই চাই—যেন কোনো শিশুকে তার ভালোবাসার মানুষদের মাঝে না-বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হয়। ওরা তো কাউকে হারানোর জন্য জন্মায় না।

বাচ্চা নেওয়ার আগে ১০০ বার আগে চিন্তা করা উচিত বাচ্চাকে বেটার লাইফ দিতে পারবেন কিনা।।আপনি সেলিব্রেটি হন আর নরমাল মানুষ না কেন।। বাবা-মায়ের সঠিক সিদ্ধান্ত বাচ্চার বড় হওয়া নির্ভর করে।।।

ভিডিও টা দেখে নিজেরেই খারাপ লাগছে।।

06/08/2025

সাইফ হিজাজি।১৩ বছর বয়স।
একদিন নিজের বাড়িতেই বিমান হামলার শিকার হয়েছিল সে।সেই হাম-লা তার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে, তার পরিবার পরিজন। তার হাত-পা অবশ হয়ে গেছে, পুরো দেহ প্যারালাইজড।

এতটুকুতে ভাগ্যের নির্মমতা থেমে থাকেনি। আজ সে তীব্র অপুষ্টির সঙ্গেও লড়ছে। ক্ষুধা আর যন্ত্রণার এই দ্বিগুণ শিকলে বাঁধা সাইফের শেষ স্বপ্ন কি শুনবেন?

“মৃত্যুর আগে যদি অন্তত একটা আলু খেতে পারতাম!”

গা'***জা য় স্বপ্নগুলো ছোট হতে হতে এখন একবাটি ডাল, একটা টমেটো,একটা আলু অথবা একটুকরো রুটিতে এসে ঠেকেছে 💔

~নাঈমা তামান্না

06/08/2025

“ভালো মা হতে গিয়ে ক্লান্ত এক মা… আমি কি একটু থামতে পারি না?”

একজন মা যখন শিশুর জন্য রাতভর জেগে থাকে, সকালে ক্লান্ত শরীর নিয়েও রান্নাঘরে দাঁড়ায়, দুপুরে আবার ঘুম না দিয়েই খেলনা গুছায়—তখন তিনি কেবল মা নন।
তখন তিনি হচ্ছেন এক নিঃশব্দ যোদ্ধা, যার ক্লান্তির কোনো ভাষা নেই।

তবে, এই যোদ্ধারও হৃদয় আছে।
এই মায়েরও কান্না পায়।
এই মায়েরও কখনো মনে হয়—“আর পারছি না।”
“শুধু একটুখানি নিঃশ্বাস নিতে চাই, কেউ যেন কিছু না বলে।”

আমরা সবাই চাই, শিশুকে ভালবাসায় বড় করব।
চিৎকার করব না, ধমক দেব না, কখনো রাগ দেখাব না।
কিন্তু একটা পর্যায়ে এসে—যখন শিশুর কান্না থামছে না, ঘরের কাজের শেষ নেই, ঘুম হয়নি অনেকদিন, নিজের খাবারও সময়মতো খাওয়া হয়নি—তখন সেই ‘ভালো মা’ নিজেই ভেঙে পড়েন।

তখন হয়ত নিজের অজান্তেই আপনি চিৎকার করে ফেলেন। ধমক দেন।
তারপর গভীর আত্মগ্লানিতে ডুবে যান। ভাবেন,
“আমি তাহলে খারাপ মা?”

না, আপনি খারাপ মা নন।
আপনি একজন মানুষ।
একজন ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, দায়িত্বের ভারে নুয়ে পড়া মা।

আজকাল অনেক মায়েই ভুগছেন এক বিশেষ ধরনের চাপের মধ্যে, যাকে বলা হয় Sensory Overload।
যেখানে শব্দ, আলো, শিশুর কান্না—সবকিছু অসহনীয় মনে হয়।
তখন মনে হয়,
“কারো কোনো কথা না শুনি…
এই ঘর, এই দায়িত্ব, এই পৃথিবী—সব কিছু থেকে একটু দূরে যাই…”

এটা অস্বাভাবিক নয়। এটা আপনি একা অনুভব করছেন না।

একজন শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমি প্রায়ই দেখি,
এই সমাজ শুধু শিশুর যত্ন নিয়ে ভাবে—
কিন্তু সেই শিশুর পেছনে যিনি আছেন, সেই মা’টির ভেতরে কী ঝড় বইছে, সেটা কেউ দেখে না।

মা হিসেবে আপনি ঘুম ঠিকভাবে পান না। সময়মতো খেতে পারেন না।নিজের শরীর বা মানসিক শান্তির দিকে ফিরেও তাকাতে পারেন না।

আর সেই জায়গা থেকেই জন্ম নেয় স্ট্রেস, উদ্বেগ, ক্লান্তি, এবং অপরাধবোধ।
আমাদের সমাজ ভুল করে যখন ভাবে,
“ভালো মা” মানেই নিঃস্বার্থ, চিরধৈর্য, সবসময় হাসিখুশি।

আমি বলি—
ভালো মা মানে একজন যিনি নিজেকে বোঝেন, নিজের ক্লান্তি স্বীকার করেন, এবং নিজের যত্ন নিতে শিখছেন।

তাই আজ যদি আপনি খুব ক্লান্ত থাকেন,
আজ যদি আপনার মুখে হাসি না থাকে,
আজ যদি আপনি একটু রাগ করে ফেলেন—তবুও আপনি একজন ভালো মা।

নিজের প্রতি একটু দয়া রাখুন।
যত্ন নিন নিজের ঘুম, খাবার, মনের। সময় লাগলে সাহায্য চান—এটা দুর্বলতা নয়, এটা সাহস।

কারণ শিশুর সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি সুস্থ, শান্ত মায়ের।
আর সে মা হচ্ছেন আপনি। আপনি, যিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রতিদিন।

06/08/2025

📌গল্পের নাম: "চালাক মা, তালাক কন্যা"

একটা ছোট শহরে রোজিনা বেগম নামে এক মহিলা থাকতেন। তিনি ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতী, কথায় পাকা, আর সামান্য বিষয়েও নিজের মত চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তার একমাত্র মেয়ে ছিল সানজিদা। মেয়েটি দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত, তবে মা'র প্রভাবে একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী আর অহংকারী হয়ে উঠেছিল।

রোজিনা বেগম সবসময় মেয়েকে বলতেন,
– "তোর শ্বশুরবাড়ির কেউ যদি তোকে একটু কষ্ট দেয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করবি! কোনোরকম ছাড় দিবি না। আমরা কি কেউ কম নাকি?"

সানজিদা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে যায়। স্বামী রাশেদ ছিল সহজ-সরল, ভালো মানুষ, কিন্তু খুব বেশি কথা বলতো না। শ্বশুর-শাশুড়িও ছিলেন শান্ত স্বভাবের। কিন্তু সানজিদা সেখানে একটু কিছু হলেই মায়ের শেখানো পথে প্রতিক্রিয়া দিতো।

একদিন শুধু ডাল পাতলা হয়েছে বলে সে রাগ করে নিজে রান্নাঘরে গিয়ে ডাল ফেলেই দিল। আরেকদিন স্বামী অফিস থেকে দেরি করে আসায় রেগে গিয়ে দরজা খুলতে দেয়নি। দিনদিন তার আচরণ এমন হয়ে উঠছিল যেন সবাই তার দাস।

রাশেদ অনেক চেষ্টা করেও শান্তি আনতে পারলো না। কথা বললে ঝগড়া, চুপ থাকলে অপমান। কয়েক মাস না যেতেই তালাক হয়ে গেল।

রোজিনা বেগম বললেন,
– "ওরা তোকে বুঝতে পারেনি, তুই তো ঠিকই ছিলি।"

তারপর দ্বিতীয় বিয়ে হলো। নতুন শ্বশুরবাড়ি, নতুন স্বামী। কিন্তু একই আচরণ, একই চিন্তাধারা। আবারও তালাক।

এভাবে একে একে তিনবার বিয়ে হলো সানজিদার। কিন্তু মায়ের শেখানো চালাকি, তর্ক, অহংকার, একচেটিয়া মনোভাব – সব কিছুই সম্পর্ক ভেঙে দিতে লাগলো।

শেষে যখন সানজিদা একা হয়ে গেল, তখন একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবল,
– "সব দোষ কি শুধু তাদেরই ছিল? না কি মা’র চালাকির চেয়ে একটু ভালোবাসা, ধৈর্য আর নম্রতা শিখলেই জীবনটা অন্যরকম হতো?"

গল্পের শেষে বলা যায়—
চালাকি দিয়ে সম্পর্ক টেকে না, টেকে সহনশীলতা, শ্রদ্ধা আর মনের মিল দিয়ে। মায়ের চাতুর্যের ছায়া যদি মেয়ের জীবনে অহংকার হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে প্রেমের জায়গা করে নেয় তালাকের নোটিশ।

06/08/2025

Silence is a crime, silence is betrayal.

06/08/2025

🫰

06/08/2025

জয়েন্ট বাড়ী নয়!

সামর্থ্য থাকলে ভুলেও আত্মীয়ের সাথে জয়েন্ট বাড়ী করবেন না। একটা জয়েন্ট বাড়ী হতে পারে আপনার সারাজীবনের অশান্তির কারণ এবং আপনার সন্তানদের মানসিক বিকাশের পথে হতে পারে বড় বাধা।

কারণ, যখন বাসায় মাঝেমধ্যেই গন্ডগোল, চিৎকার, চেঁচামেচি, ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকবে তার প্রভাব অবশ্যই আপনার কোমলমতি শিশুদের উপর পড়বে।

প্রভাব পড়বে আপনার দৈনন্দিন ও অফিসিয়াল কাজকর্মে। প্রভাব পড়বে আপনার মানসিক ও শারিরীক স্বাস্থ্যের উপর।

এক সময় আমাদের দেশে জয়েন্ট ফ্যামিলি ছিলো। দাদা তার সমস্ত সন্তান, নাতি-নাতনীদের নিয়ে এক বাউন্ডারি ঘেরা বাড়িতে শান্তিতেই বসবাস করেছেন। দাদাই ছিলেন পরিবারের কর্তা। তার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত ও বাধ্যকর ছিলো। পরিবারের সকলের প্রতি সকলের বিশ্বাস, দায়িত্বশীলতা,ও সম্মানবোধ ছিলো। কারো প্রতি কারো একেবারেই কোন অভিযোগ ছিলো না বিষয়টা এরকম নয়, কিন্তু তাদের মধ্যে সহনশীলতা ছিলো। সমস্যাগুলোর সমাধান পরিবারেই হতো।

সময় পরিবর্তন হয়েছে। যৌথ পরিবার ভেঙে একক পরিবার গঠন হয়েছে। বড় পরিবার ছোট হওয়ার সাথে - সাথে আমাদের মনও অনেক ছোট হয়ে গেছে।

যারা শহরে থাকে তারা চেষ্টা করে গ্রামের আত্মীয়দের কিভাবে পিছু ছুটানো যায়। আর গ্রামের আত্মীয়রা শহরে বেড়াতে আসতে চাইলে মুখের দিকে তাকানো যায় না। দাদা-দাদি বেড়াতে আসলে কবে ফেরৎ যাবে এ কাউন্ট ডাউন আসার দিন থেকেই শুরু হয়ে যায়।

উপরের এ আলোচনার কারণ হলো আমাদের মধ্যে চরম অসহীঞ্ষুতা তৈরী হয়েছে। আমরা কাউকে ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়। শুধু ভোগের চিন্তা, ত্যাগের কোন চিন্তা নাই। নিজের উদরপূর্তি, নিজের সুখ-আরাম, নিজের ভবিষ্যৎ -ই শেষ কথা। কাউকে কোন ছাড় নয়, এমনকি নিজের ভাইবোনকেও না।

চরম আত্মকেন্দ্রিক আমরা।

বাপ দাদারা তাদের সহনশীলতার ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের শিক্ষা থেকে তার সন্তানরা ভালো থাকবে এ আশায় জয়েন্ট বাড়ি করে দিয়ে গেছেন। তারা ভাবেননি যে তার সন্তানরা ভাইয়ে-ভাইয়ে, বোনে-বোনে, ভাই-বোনে ভারত পাকিস্তান হয়ে যাবে। স্বর্গীয় সম্পর্ক চিরশত্রুতার রুপ নিবে। কেও কারো মুখ দেখবে না।

যাইহোক, লেখা আর বাড়াতে চাই না। যদি আপনার সামর্থ্য থাকে তাহলে সন্তানদের জন্য পৃথক বাড়ি করুন। কারণ আপনার সন্তানরা এক থাকবে তার গ্যারান্টি কি? তাদের স্ত্রী সন্তনারা এক থাকবে তার গ্যারান্টি কি?

তার উপর সন্তানদের সবার সামর্থ্য এক রকম নাও থাকতে পারে। বাড়িটা যখন মেরামতের প্রয়োজন হবে তখন একজনের নিকট টাকা থাকলে অপরজনের নিকট না থাকতেও পারে। একে অপরের স্ট্যাটাস আলাদা হতে পারে। ছোটোখাটো বিষয় নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকবে।

ঘর শান্তির যায়গা না হয়ে চির অশান্তির স্থান হয়ে যাবে।

কোন এক অজানা কারণে পরের সাথে একই ফ্ল্যাটে ইউনিট ভাগাভাগি করে থাকতে পারলেও আত্মীয়-স্বজন বা ভাই - বোনদের সাথে তা হয়ে ওঠেনা।

তাই জয়েন্ট বাড়ি নির্মান থেকে বিরত থাকুন।

ভালো থাকবেন। কপি

05/08/2025

দুই ভাই বোনের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার পিছনে অন্যতম কারন হিসেবে কাজ করে বাবা মায়ের পক্ষপাতিত্ব।
দুই ভাই-বোনের সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারণ: বাবা-মায়ের পক্ষপাতিত্ব

বাবা-মায়ের পক্ষপাতিত্ব মানে কী?
যখন বাবা-মা এক ভাই বা বোনকে অন্যদের চেয়ে বেশি ভালবাসেন বা বেশি সুযোগ-সুবিধা দেন, তখন তাকে বলা হয় ‘পক্ষপাতিত্ব’। যেমন, বড় ভাইকে বেশি সুযোগ দেওয়া, ছোট বোনকে বেশি আদর দেওয়া, কারো সমস্যায় বেশি মনোযোগ দেওয়া ইত্যাদি।
পক্ষপাতিত্ব কীভাবে সম্পর্ক নষ্ট করে?
১. অন্য ভাই-বোনরা অসন্তুষ্ট হয়: যারা কম ভালোবাসা বা মনোযোগ পায়, তারা মনে করে তারা অবহেলা পাচ্ছে। এতে তাদের মনে ঈর্ষা, দুঃখ, রাগ জন্মায়।
২. আত্মবিশ্বাস কমে যায়: বাবা-মায়ের পক্ষপাতিত্ব যাদের ওপর বেশি, তাদেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কারণ তারা হয়তো নিজের যোগ্যতা নয়, শুধু পরিবারের পক্ষপাতের কারণে এগিয়ে যাচ্ছে মনে করবে। আর যাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব কম, তারা নিজের মূল্যায়নে কুৎসিত ভাবতে পারে।
৩. আত্মীয় সম্পর্ক দুর্বল হয়: ভাই-বোনদের মধ্যে ভালোবাসা, বিশ্বাস কমে গিয়ে সম্পর্ক দূরত্বে পরিণত হয়। অনেক সময় কথাবার্তা কম হয় বা একে অপরকে বোঝার ইচ্ছা থাকে না।
৪. মানসিক সমস্যা: পক্ষপাতিত্বের শিকার ভাই-বোনরা হতাশা, মানসিক চাপ, একাকীত্ব অনুভব করতে পারে।
বিজ্ঞান ও গবেষণা কী বলে?
বিভিন্ন মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, পারিবারিক পক্ষপাতিত্ব সন্তানদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ২০১০ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, পরিবারের পক্ষপাতিত্ব শিশুদের আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়, যা ভবিষ্যতে তাদের সামাজিক জীবনেও সমস্যা সৃষ্টি করে।
আরেকটি গবেষণা ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দেখা গেছে, বাবা-মায়ের পক্ষপাতিত্ব ভাই-বোনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ায়, যার কারণে তাদের সম্পর্ক দুর্বল হয়।
কী করবেন বাবা-মা?
✅ সবার প্রতি সমান মনোযোগ দিন: ভাই-বোনদের প্রয়োজন, মনোভাব বুঝতে চেষ্টা করুন। সবাইকে ভালোবাসা ও মূল্যায়ন সমানভাবে দিন।
✅ ন্যায়পরায়ণ হোন: পুরস্কার, দণ্ড, সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখুন।
✅ খোলা আলোচনা করুন: ভাই-বোনদের মাঝে সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলুন এবং সমাধানের পথ খুঁজুন।
✅ প্রতিটি সন্তানের গুণ ও প্রয়োজন বুঝুন: প্রত্যেকের স্বতন্ত্র গুণাবলী ও প্রয়োজন আলাদা। তাই সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখুন না, বরং ন্যায্য দৃষ্টিতে দেখুন।
✅ পক্ষপাতিত্ব এড়িয়ে চলুন: স্পষ্ট বুঝিয়ে দিন যে, কেউ অন্যের থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

---

কী করবেন না?

❌ কোনো একটি সন্তানকে অন্যদের তুলনায় বেশি আদর বা সুযোগ-সুবিধা দেবেন না।
❌ সন্তানদের মাঝে টানাপোড়েন হলে কোনো পক্ষ গ্রহণ করবেন না।
❌ অজান্তে কথাবার্তায় বা আচরণে পক্ষপাতিত্ব দেখাবেন না।
❌ সন্তানদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিরোধ সৃষ্টি করবেন না।
❌ ছোটখাটো বিষয়েও অতিরিক্ত সমর্থন বা বিরক্তি দেখাবেন না, যাতে পক্ষপাত তৈরি হয়।
উপসংহার
বাবা-মায়ের পক্ষপাতিত্ব ভাই-বোনের মধ্যে দূরত্ব ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করে, যা সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার বড় কারণ। তাই সন্তানেরা যেন সবাই সমান ভালোবাসা, মূল্যায়ন ও সুযোগ পায়, সেটা নিশ্চিত করা বাবা-মায়ের দায়িত্ব। এর মাধ্যমে পরিবারের সুখ-শান্তি ও ভালো সম্পর্ক বজায় থাকে।

Copied

04/08/2025

আমি সিউর দেব এবার বিয়ে করে নিবে রুক্মিণীকল।।
দেব শুধু এই সময়ের অপেক্ষা করেছিলো।।
দেবের মধ্যে অনেক গিল্টিফিল ছিলো,শুভশ্রীকে ঠকানোর,তারমধ্যে অপরাধবোধ ছিলো এত বছর,আর তাই সে বিয়েটা করে নি।।
এখন যখন শুভশ্রী মাফ করে দিয়ে,দেবের সাথে আবার একসাথে হলো,দেব অনেকটা রিলিফ পেলো।।
আর এখন বিয়ে করতে তার কোনো বাঁধা নাই।।
কথাটা মিলিয়ে নিয়েন,দেব এবার বিয়ে করবে।।।😉

Written Life Stories Everyday

07/08/2025

07/08/2025

06/08/2025

06/08/2025

06/08/2025

06/08/2025

06/08/2025

06/08/2025

06/08/2025

05/08/2025

04/08/2025

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category