06/06/2025
চলেন গল্প পড়ি
______&&&____
ছুটির দুপুর। কলেজ বন্ধ, চারদিক ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। আমি তখন থার্ড ইয়ার, নিপা আমাদের ব্যাচেই, তবে আলাদা বিভাগে। চোখে পড়ার মতো মেয়েটি নয়, কিন্তু তার চুপচাপ, ভদ্র ব্যবহার ধীরে ধীরে মনে দাগ কেটেছিল।
সেদিন ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম একটা বই নিতে। লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে দেখি, ক্যান্টিনে বসে আছে নিপা — একা। হাতে একটা নোটবুক, মুখ গম্ভীর। আমাকে দেখে হালকা হাসল। আমিও এগিয়ে গিয়ে বললাম, “তুমি এখানে একা?”
সে মাথা নাড়ল। “বন্ধুরা আসবে বলেছিল, কিন্তু কেউ আসেনি। ফোনও ধরছে না।”
আমি বললাম, “চলো, ক্যান্টিনে একসাথে চা খাই। আজ কলেজ একেবারে খালি।”
চা এল, কথাও চলল। তার চোখে-মুখে একটা চাপা ক্লান্তি। হঠাৎ বলল, “তুমি কখনো কারো খুব আপন হতে চেয়েছো? এমন কেউ যার পাশে বসে শুধু চুপচাপ থাকতে মন চায়?”
আমি একটু চমকে গেলাম। বললাম, “হ্যাঁ, চেয়েছি। এখনো চাই।”
সে চোখ নামিয়ে রাখল। আমি হাত বাড়িয়ে তার কাঁধে আলতো করে হাত রাখলাম — আদরের মতো, আশ্বাসের মতো।
সে একটু চমকে উঠলেও হাতটা সরায়নি। শুধু বলল, “ভেবেছিলাম, কেউ হয়তো একদিন আমাকে এভাবে ছুঁবে… ভালোবাসবে, বিনা প্রশ্নে।”
আমি তার দিকে তাকালাম, বললাম, “তুমি জানো, নিপা — আমি সেই 'কেউ' হতে পারি।”
সে কিছু বলল না। শুধু চোখ বুজে চুপ করে রইল। দুপুরের আলো তখন জানালার ফাঁক গলে তার মুখে পড়ছিল — শান্ত, স্বস্তির মতো এক মুহূর্ত। আমি তার কপালে আলতো একটা চুমু খেলাম। নিপা ধীরে ধীরে আমার দিকে ঘুরে বসে বলল, “এটাই কি ভালোবাসা?”
আমি বললাম, “হয়তো। অথবা এটাই তার শুরু।”
শেষ।
তোমার যদি এই গল্পের আরেকটা রূপ বা ধারাবাহিক চাও, বা চরিত্রগুলোকে ভিন্নভাবে গঠন করতে চাও, জানিও!