বাঁধন পাবলিকেশন্স

বাঁধন পাবলিকেশন্স সৃজনশীলতা, সত্য, সুন্দর এবং সাহস এর অভিযাত্রায়
বাঁধন পাবলিকেশন্স
২০০৫ সালের ১৫ মার্চ থেকে প্রকাশনার যাত্রা শুরু
করে হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে অধ্যাবধি চলছি…
(1)

এই নোবেল পুরস্কারের পরিষমাপ্তি চাই? এই ভাবে নোবেল পুরস্কার দিলে বিশ্বে অশান্তি আরও বাড়বে।
18/10/2025

এই নোবেল পুরস্কারের পরিষমাপ্তি চাই? এই ভাবে নোবেল পুরস্কার দিলে বিশ্বে অশান্তি আরও বাড়বে।

আজ ১৬ অক্টোবর, কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর জন্মদিন। ১৯৫৬ সালে বাগেরহাটের মংলায় জন্ম নেওয়া এই কবি ছিলেন প্রেম, প্রতিব...
17/10/2025

আজ ১৬ অক্টোবর, কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর জন্মদিন। ১৯৫৬ সালে বাগেরহাটের মংলায় জন্ম নেওয়া এই কবি ছিলেন প্রেম, প্রতিবাদ ও মানবতার দীপ্ত কণ্ঠস্বর। মাত্র ৩৪ বছরের জীবনে রেখে গেছেন গভীর সৃষ্টির ছাপ—যেখানে ভালোবাসা ছিল কোমল, আর প্রতিবাদ ছিল অগ্নিস্পর্শী।

‘উপদ্রুত উপকূল’, ‘মানুষ মানুষের জন্য’, ‘ফিরে চাই ক্রান্তিকাল’—তার কবিতায় জেগে আছে সময়ের আর্তি আর মুক্তির স্বপ্ন। গানেও ছিলেন অনন্য—“ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো” আজও ভালোবাসার চিরন্তন প্রতীক। ১৯৯১ সালে তিনি বিদায় নিলেও, তার কবিতা আজও শেখায়—ভালোবাসাই মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি

পড়তে পারেন আপনিও। আমার ভালো লেগেছে। কি সেই ডিজিটাল পতিতালয়ের নতুন খদ্দের ?রাতের অন্ধকারে, সবার থেকে লুকিয়ে যখন ফোনের স্...
07/10/2025

পড়তে পারেন আপনিও। আমার ভালো লেগেছে।

কি সেই ডিজিটাল পতিতালয়ের নতুন খদ্দের ?
রাতের অন্ধকারে, সবার থেকে লুকিয়ে যখন ফোনের স্ক্রিনে আঙুল বোলান, আপনার বুকে কি একবারও কাঁপুনি ধরে না? একবার নিজের অন্তরাত্মাকে প্রশ্ন করুন তো, আপনি ঠিক কী খুঁজছেন? জ্ঞান, বিনোদন, নাকি কোনো অচেনা বৌদির ভেজা তোয়ালের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেওয়া নিষিদ্ধ শরীরের ইঙ্গিত?
আপনার কপালে হয়তো চিন্তার ভাঁজ, "ছি ছি, আমি এমন নই!" কিন্তু আপনার ফোনের সার্চ হিস্ট্রি যে অন্য কথা বলছে! আপনি যখন রবীন্দ্রনাথের কবিতা পাশ কাটিয়ে এক মাঝবয়সী মহিলার "বুকের খাঁজ" দেখানো কবিতায় গিয়ে থামেন, তখন কি একবারও মনে হয় না, আপনি আসলে কবিতা নয়, তাঁর শরীরটাকেই ভোগ করছেন? কবিতা এখন কানে শোনার জিনিস নয়, চোখে দেখার বস্তু হয়ে গেছে; আর বক্ষ-বিভাজিকাই যেন তার আসল ছন্দ, আসল অলংকার!
ভাবুন তো সেই দৃশ্যটার কথা। এক মহিলা প্রায় অর্ধ-নগ্ন হয়ে ক্যামেরার সামনে প্রশ্ন করছেন, "দেখুন তো আমি কী পরে আছি?" আর লক্ষ লক্ষ পুরুষের দল হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সেই ভিডিওতে। আপনার একটা লাইক, আপনার একটা ভিউ ওদের কাছে এক-একটি কয়েনের মতো। আপনার এই সস্তা কৌতূহল দিয়েই সে হয়তো মাসের সংসারের টাকাটা তুলে নিচ্ছে। আপনি ভাবছেন, আপনি শুধু দর্শক। কিন্তু আসলে আপনি সেই খদ্দের, যে নিজের অজান্তেই এক ডিজিটাল পতিতালয়কে দিনের পর দিন আরও বড় করে তুলছে।
"দেওরকে আজ যা দিলাম না!"—এই একটা লাইনের টোপেই আপনি বোকার মতো ক্লিক করছেন। কী দেবে, কেন দেবে, সেই আদিম কৌতূহল আপনার মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে। আপনার মগজ জানে, ভেতরে কিছুই নেই, কিন্তু আপনার শরীরী প্রবৃত্তি আপনাকে সেই নোংরামির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আপনি ভুলে যাচ্ছেন, যে সময়টা আপনি জ্ঞানের জন্য খরচ করতে পারতেন, সেই সময়টা আপনি এক নারীর সস্তা নাটকের দর্শক হয়ে কাটাচ্ছেন।
সমাজের বড় বড় কথা বলা লোকগুলোও রাতের গভীরে এই "নাইটি-বিলাসে" মত্ত। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে একদল বিকৃত মস্তিষ্কের কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তারা জানে, শিক্ষামূলক ভিডিওতে নয়, ভিউ লুকিয়ে আছে শাড়ির আঁচলের গভীরতায়। তারা জানে, আপনার পৌরুষকে জাগিয়ে তুলতে বাপ, দেওর, বা শ্বশুরকে নিয়ে যৌন উস্কানিমূলক গল্প বানাতে হবে। আর আপনি, শিক্ষিত, সভ্য সমাজের একজন হয়েও সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন।
আপনি কি নিজেকে প্রশ্ন করেছেন, কেন এমন হচ্ছে? কারণ, আপনিও সেই শিকারি, যে সহজ শিকার ভালোবাসে। বইয়ের পাতার কঠিন জ্ঞান আপনার কাছে বিরক্তিকর, কিন্তু তোয়ালে পরা তরুণীর শরীরের বাঁক আপনার চোখে অমৃত সমান। আপনি সেই সহজলভ্য উত্তেজনার দাস হয়ে গেছেন, যা আপনার মনুষ্যত্বকে একটু একটু করে খেয়ে ফেলছে। আপনার এই রুচির দুর্ভিক্ষই আজ সমাজকে এই পর্যায়ে এনে দাঁড় করিয়েছে।
ঐশ্বর্য বা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তৈরি কন্টেন্ট আপনার চোখে পড়ে না, কারণ সেখানে কোনো শরীরী ইঙ্গিত নেই, কোনো নিষিদ্ধতার গন্ধ নেই। আপনি সেই গন্ধটাই খুঁজছেন। আর আপনার এই খোঁজের কারণেই আজ আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের শিক্ষা, আমাদের রুচিবোধ এক ভয়ংকর খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে।
নিজেকে এই নোংরামি থেকে বের করে আনবেন কীভাবে?
যখনই কোনো উত্তেজক থাম্বনেইল বা ক্যাপশন দেখবেন, নিজেকে প্রশ্ন করুন, "এটা দেখে আমার কী লাভ হবে? আমি কি আমার মূল্যবান সময় এই আবর্জনার পেছনে নষ্ট করব?" আপনার আত্মসম্মানবোধকে জাগিয়ে তুলুন।
যখন কোনো শিক্ষামূলক বা ভালো রুচির ভিডিও দেখবেন, তখন সেটাতে লাইক দিন, শেয়ার করুন। আপনার সমর্থনই ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের উৎসাহিত করবে। মনে রাখবেন, দর্শক যা চায়, বাজার সেটাই সরবরাহ করে। আপনার চাহিদা বদলান, বাজার বদলাতে বাধ্য হবে।
আজ আপনি যা দেখছেন, কাল আপনার সন্তান সেটাই শিখবে। আপনি কি চান, আপনার সন্তান পড়াশোনা ছেড়ে "কীভাবে শরীর দেখিয়ে টাকা কামানো যায়" সেটা শিখুক? আপনি কি চান, সে সম্মান আর ভালোবাসার বদলে সস্তা যৌনতাকে জীবনের মূলমন্ত্র বানাক? যদি উত্তর 'না' হয়, তাহলে আজই নিজেকে বদলান। কারণ, আপনার রুচিই আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।
ফেসবুকের এই সস্তা বিনোদনের বাইরেও একটা সুন্দর জগত আছে। বই পড়ুন, প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান, নিজের শখকে গুরুত্ব দিন। দেখবেন, আপনার ভেতরের শূন্যতাটা ভরে উঠছে এবং এই সব নোংরামি আপনার কাছে অর্থহীন মনে হবে।
শেষ প্রশ্নটা আপনার কাছেই। আপনি কি এই ডিজিটাল নর্দমার একজন কীট হয়েই জীবন কাটিয়ে দেবেন, নাকি নিজের রুচির দায়ভার কাঁধে তুলে নিয়ে একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হিসেবে বাঁচবেন?
আমার এই লেখাটা পড়ে হয়তো আপনার অস্বস্তি হচ্ছে, রাগ হচ্ছে। হওয়াই স্বাভাবিক। কারণ, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের কদর্য রূপটা দেখার সাহস সকলের থাকে না। সিদ্ধান্ত আপনার। আপনি কি দর্শক থাকবেন, নাকি পরিবর্তনের কারিগর হবেন?
সংগৃহীত।

30/09/2025

I gained 12,504 followers, created 109 posts and received 210 reactions in the past 90 days! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

30/09/2025
29/09/2025

সত‍্যিই কি এআই দিয়ে ছবি বানানো যায়। প্রসিডেন্ট জোনাল্ট ট্রাম্প এর সাথে অনেকের ছবি ফেজবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

#গরীব #অসহায় #প্রতিবন্ধী



একুশ আমার চেতনা একুশ আমার বিশ্বাস।একুশ নিয়ে ষড়যন্ত্র মানি নামানবো না।
28/09/2025

একুশ আমার চেতনা
একুশ আমার বিশ্বাস।
একুশ নিয়ে ষড়যন্ত্র মানি না
মানবো না।

23/09/2025

সফদার ডাক্তার মাথা ভরা টাক তার
ক্ষিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে
চেয়ারেতে বসে গোনে এক দুই তিন।
পড়ে বই আলোটাকে নিবিয়ে।

আহমাদ ইশতিয়াক মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দুইদিন পর ১৮ই ডিসেম্বর  রায়েরবাজার  বধ্যভূমিতে অজস্র লা'শের ভিড়ে পাওয়া গিয়েছিলো একটি ...
22/09/2025

আহমাদ ইশতিয়াক

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দুইদিন পর ১৮ই ডিসেম্বর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে অজস্র লা'শের ভিড়ে পাওয়া গিয়েছিলো একটি লা'শ।
লা'শটির দুই চোখ উপড়ানো। সমগ্র শরীরে জুড়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আঘাতের চিহ্ন। দু হাত পিছনে গামছা দিয়ে বাঁধা। লুঙ্গিটা উরুর উপরে আটকানো। হৃদপিন্ড আর কলিজাটা ছিঁড়ে ফেলেছে হানাদার ও নিকৃষ্ট আলবদরেরা।
লা'শটি ছিলো ছবির এই ভদ্রলোকের। বিশ্বখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট শহীদ অধ্যাপক ডাঃ ফজলে রাব্বি। তাঁর উপর এতোটাই ক্ষোভ ছিলো নরপশুদের!
এই সেই ফজলে রাব্বি, সমগ্র পাকিস্তানকে সাত বার আটি দরে বেচলেও যার মেধা ও মস্তিস্কের দাম উঠবে না৷ উনি সেই ফজলে রাব্বি তিনি যিনি হতে পারতেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নোবেলজয়ী কোনো চিকিৎসা বিজ্ঞানী।
ঢাকা মেডিকেলের এমবিবিএস চূড়ান্ত পরীক্ষায় সমগ্র পাকিস্তানে ১ম হয়েছিলেন ফজলে রাব্বী।
১৯৬২ সালে মাত্র ত্রিশ বছর বয়সে লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ানের অধীনে এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি নিয়েছিলেন ডাঃ ফজলে রাব্বি। তাও আবার একটি বিষয়ে নয়, বরং দুটিতে। যথাক্রমে ইন্টারনাল মেডিসিন এবং কার্ডিওলজিতে। দেশে ফিরে যোগ দিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে।
মাত্র ৩২ বছর বয়সে ১৯৬৪ সালে মেডিসিনের উপর তাঁর বিখ্যাত কেস স্টাডি 'A case of congenital hyperbilirubinaemia ( DUBIN-JOHNSON SYNDROME) in Pakistan' প্রকাশিত হয়েছিলে বিশ্বখ্যাত গবেষণা জার্নাল 'জার্নাল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন হাইজিন' এ।
মাত্র ৩৮ বছর বয়সে ১৯৭০ সালে তাঁর বিশ্বখ্যাত গবেষণা Spirometry in tropical pulmonary eosinophilia প্রকাশিত হয়েছিলো ব্রিটিশ জার্নাল অফ দা ডিসিস অফ চেস্ট ও ল্যানসেট ম্যাগাজিনে।
আর ১৯৭০ সালে মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই ডাঃ ফজলে রাব্বি মনোনীত হয়েছিলেন পাকিস্তানের সেরা অধ্যাপক পুরস্কারের জন্য। পাকিস্তানের ইতিহাসে এতো কম সময়ে সেরা অধ্যাপকের পুরস্কার পাননি ফজলে রাব্বি বাদে আর কেউই।
কিন্তু তাঁর আত্মায়, মনে মননে ছিলো বাংলার অসহায়র্ত মানুষ। ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছিলেন তিনি সেই পুরস্কার।
মাত্র ৩৯ বছর বয়সী ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর অব ক্লিনিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড কার্ডিওলজিস্ট। আজকের দিনে বসে কল্পনা করলেই গর্বে বুক ফুলে উঠে।
মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়েই অধ্যাপক ডাঃ ফজলে রাব্বি আহত মানুষদের সেবা দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলে বসেই। বেশ কয়েকফা নিজের সাধ্যের চেয়ে বেশী ঔষধ আর অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয় গোপন রেখে দিয়েছিলেন চিকিৎসাও।
তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িটি ব্যবহৃত হয়েছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের নানান কাজে। মূলত ঝুঁকি এড়াতে তাঁর গাড়িতে করে তিনি নিজেই ঔষধপত্র পৌঁছে দিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের গোপন আস্তানায়। তাঁর বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের আসা যাওয়া ছিলো নিত্য। তাঁর স্ত্রী জাহানারা রাব্বিও পুরোটা সময় ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর ডাঃ ফজলে রাব্বির স্ত্রী জাহানারা রাব্বী একই স্বপ্ন দুবার দেখলেন। স্বপ্নটা এমন একটা সাদা সুতির চাদর গায়ে তিনি তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে জিয়ারত করছেন এমন একটা জায়গায়, যেখানে চারটা কালো থামের মাঝখানে সাদা চাদরে ঘেরা কী যেন।
১৫ই ডিসেম্বর সকালে ঘুম থেকে জাহানারা রাব্বি স্বামীকে এই স্বপ্নের কথা খুলে বললেন। জবাবে ফজলে রাব্বি মৃদু হেসে বললেন, ‘তুমি বোধ হয় আমার কবর দেখেছ’। শুনে ভয় পেলেন জাহানারা রাব্বি।
টেলিফোন টেনে পরিচিত অধ্যাপকদের কারো কারো বাড়িতে ফোন করতে বললেন। দেশের কি অবস্থা জানার জন্য। ডাঃ ফজলে রাব্বিও ফোন করলেন। কিন্তু কারো বাড়িতেই সংযোগ পাওয়া যাচ্ছিলো না। একসঙ্গে কাউকেই পাওয়া যাচ্ছেনা খানিকটা অবাক হলেন জাহানারা রাব্বি।
নাস্তা করে তাঁরা খেয়াল করলেন আকাশে ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান উড়ছে। কাছেই কোথাও বিমান থেকে বোমা হামলা চালাতেই বিকট শব্দের আওয়াজ। চমকে উঠলেন জাহারারা রাব্বী।
সকাল ১০টার দিকে জানা গেল দুই ঘণ্টার জন্য কারফিউ উঠেছে। এমন সময়ে ডাঃ ফজলে রাব্বি তাড়ার গলায় স্ত্রীকে বললেন, 'পুরান ঢাকায় যেতে হবে একবার। এক অবাঙালি রোগীকে দেখতে যাবো। দেখেই ফিরে আসবো।'
শুনেই জাহারানা রাব্বি বললেন, 'ওখানে যাওয়ার কাজ নেই। দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ। ওরাই তো পাকিস্তানীদের সঙ্গ দিচ্ছে।'
জবাবে ফজলে রাব্বি হালকা হেসে বললেন, '‘ভুলে যেও না, সে মানুষ।’ জাহানারা রাব্বি বললেন, 'তুমি যে বল আজই আত্মসমর্পণ করবে। তো মিরপুর মোহাম্মদপুরের লোকদের আমরা ক্ষমা করতে পারব?' গাড়ি থেকে মুখ বাড়িয়ে ডাঃ ফজলে রাব্বি বললেন, 'আহা ওরাও তো মানুষ। তাছাড়া ওদের দেশ নেই।'
জাহানারা রাব্বি বললেন, কিন্তু এতসবের পর ওদেরকে ক্ষমা আমরা কেমন করে করবো?' জবাবে ফজলে রাব্বী বললেন, হ্যাঁ ক্ষমাও করবে এবং এবং আমাদের স্বাধীন দেশে থাকতেও দেবে।'
সেদিন ডাঃ ফজলে রাব্বি বাসায় ফিরে এসেছিলেন ফের কারফিউ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই। দুপুরের খাবার ছিলো আগের দিনের বাসি তরকারি। কিন্তু ডাঃ ফজলে রাব্বী উল্টো বলেছিলেন, ‘আজকের দিনে এত ভালো খাবার খেলাম।’
জাহানারা রাব্বি এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন। দেশের এই অবস্থায় এখানে থাকাটা বিপজ্জনক। জাহানারা রাব্বি স্বামীকে বললেন, 'চলো এখনই চলে যাই।' ডাঃ ফজলে রাব্বি বলেছিলেন 'আচ্ছা, দুপুরটা একটু গড়িয়ে নিই। বিকেলের দিকে না হয় বেরোনো যাবে।'
কিছুক্ষণ পর বাবুর্চি এসে বললো ‘সাহেব, বাড়ি ঘিরে ফেলেছে ওরা।’ সিদ্ধেশ্বরীর বাসার বাইরে তখন কাদালেপা মাইক্রোবাস ও একটি জীপ দাঁড়িয়ে। মাইক্রোবাসের সামনে বেশ কয়েক জন তরুণ। পাশেই জীপে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানী সৈন্য দাঁড়িয়ে। যে আশংকা করছিলেন জাহানারা রাব্বি, ঠিক যেন তাই হলো।
খুব হালকা স্বরে ফজলে রাব্বি জাহানারা রাব্বির দিকে না তাকিয়েই বললেন, ‘টিঙ্কুর আম্মা ওরা আমাকে নিতে এসেছে।’ এরপর দারোয়ানকে গেট খুলে দিতে বলেছিলেন তিনি। যখন মাইক্রোবাসে তিনি উঠলেন তখন সময় ঘড়িতে বিকেল চারটা।
১৮ই ডিসেম্বর ডাঃ ফজলে রাব্বির লাশটি পাওয়া গিয়েছিলো রায়েরবাজার বধ্য'ভূমিতে। দুই চোখ উপড়ানো। সমগ্র শরীরে জুড়ে বেয়'নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আঘাতের চিহ্ন। দু হাত পিছনে গামছা দিয়ে বাঁধা। লুঙ্গিটা উরুর উপরে আটকানো। তাঁর হৃদপিন্ড আর কলিজাটা ছিঁড়ে ফেলেছে হানাদার ও নিকৃষ্ট আলবদরেরা।
এই সেই ডাঃ ফজলে রাব্বি, যাঁর গোটা হৃদয় জুড়ে ছিলো বাংলাদেশ আর অসহায়র্ত মানুষ। যার হৃদয় জুড়ে ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন। হানাদার ও আল বদরের ঘৃণ্য নরপিশা'চেরা সেই হৃদয়কে ছিঁড়ে ফেললেই কি সমগ্র বাংলার মানুষের হৃদয় থেকে কি তাঁকে বিছিন্ন করা যায়?
মাত্র ৩৯ বছর বয়সেই আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের জন্ম ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম এই সন্তানকে। বেঁচে থাকলে আজ ৩৯ এর উল্টো হয়ে ৯৩ বছর পূর্ণ হতো অধ্যাপক ফজলে রাব্বীর।
বিশ্বাস করি হাজার বছর পরেও ডাঃ ফজলে রাব্বি থাকবেন আমাদের প্রাণে, হৃদয়ের গহীনে। জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করি এই কিংবদন্তি শহীদ বুদ্ধিজীবীকে।🙏

every one

রাখিবো নিরাপদ দেখাবো আলোর পথ-কারা অধিদপ্তর
21/09/2025

রাখিবো নিরাপদ দেখাবো আলোর পথ
-কারা অধিদপ্তর

অমর একুশে বইমেলায় এবার অংশগ্রহণ করা দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়লাম। এবার বইমেলা ২০২৫-২৬ মিলিয়ে হচ্ছে সম্ভবত। highlights
18/09/2025

অমর একুশে বইমেলায় এবার অংশগ্রহণ করা দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়লাম। এবার বইমেলা ২০২৫-২৬ মিলিয়ে হচ্ছে সম্ভবত।
highlights

Address

12/13 Pyaridash Road
Dhaka
1100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাঁধন পাবলিকেশন্স posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বাঁধন পাবলিকেশন্স:

Share

Category