28/07/2025
কাউকে ঠকানো বা অন্যায়ভাবে প্রতারণা করা ইসলামে খুব বড় গোনাহ। কেউ যদি ইনিয়ে-বিনিয়ে কথা বলে, মিষ্টি ভাষায় হাজারটা অজুহাত দিয়ে অন্যকে ঠকায়, তাহলে মনে রাখতে হবে আল্লাহ সব দেখছেন, সব জানেন। হয়তো দুনিয়াতে সে কিছুদিনের জন্য পার পেয়ে যাবে, কিন্তু আখিরাতে তার কঠিন হিসাব হবে।
অনেক সময় আমরা দেখি কেউ কারো দায়িত্ব নেয়, প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু পরে সেই দায়িত্ব অস্বীকার করে বসে। এটা শুধু ন্যায়ের বিরুদ্ধেই নয়, এটা একপ্রকার মুনাফিকির মতো। কোরআন ও হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে, তাদের পরিণতি ভালো হয় না।
আর যারা জায়গা-জমি, ঘরের সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে কারো প্রতি অন্যায় করে, কারো ভাগ বেশি দেয় আর কারো ভাগ কম দেয় – তারাও আল্লাহর কাছে কঠিন অপরাধী। কারো হক (অধিকার) মেরে দিলে তা যত ছোটই হোক না কেন, আল্লাহ তা ক্ষমা করেন না যতক্ষণ না যার হক নেওয়া হয়েছে সে ক্ষমা করে।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন,
"তোমরা মানুষের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং বিচারকের কাছে অন্যায়ভাবে পৌঁছার জন্য মিথ্যা সাক্ষ্য দিও না।" (সূরা বাকারা)
তাই আমাদের উচিত সৎ থাকা, ন্যায়ের পথে থাকা এবং কারো অধিকার নষ্ট না করা। কারণ দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আখিরাত চিরস্থায়ী। দুনিয়াতে ঠকিয়ে হয়তো লাভ করা যাবে, কিন্তু আখিরাতে তার চরম মূল্য দিতে হবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে ইনসাফ ও সততার সাথে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।
©