02/11/2025
“শিশুকে বাইরে নিলে ঠান্ডা লাগবে!”
“রোদে গেলে কালো হয়ে যাবে!”
“খোলা বাতাসে থাকলে অসুস্থ হবে!”
“মানুষের চোখ লাগবে!”
এই চারটা বাক্য প্রায় প্রতিটা মা-ই শুনেছেন, তাই না?
কিন্তু সত্যিটা হলো—
বাইরের পৃথিবীই শিশুর সবচেয়ে বড় শেখার জায়গা।
আলো, রোদ, পাখির ডাক, বাতাস, গাছের পাতা — সবকিছু মিলে ওর মস্তিষ্ক, ইমিউন সিস্টেম আর আবেগীয় বিকাশের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে।
“রোদে নিলে কালো হয়ে যাবে!” না মোটেও তা নয় । সূর্যের আলো শিশুর শরীরে ভিটামিন D তৈরি করে, যা হাড় শক্ত রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
“খোলা বাতাসে ঠান্ডা লাগবে!” বাইরের বাতাসে নিয়ো না এই কথাটা অনেক মায়েরাই শুনে। কিন্তু বাস্তব উল্টো। খোলা বাতাস শিশুর ফুসফুসের জন্য ভালো। বারান্দা, পার্ক বা ছাদে স্বল্প সময়ের জন্য নিয়ে যাওয়া গেলে শ্বাসপ্রশ্বাস ভালো হয়, ঘুম ভালো হয়, মুডও ফ্রেশ থাকে।
শুধু আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক পরাতে হবে — এটাই মূল কথা।
“মানুষের চোখে লাগবে, তাই বাইরে যেও না!” এটা এতো একটা কমন কথা সবার! বরং শিশুকে আলাদা করে রাখা মানে ওর সামাজিক বিকাশকে থামিয়ে দেওয়া।
মানুষের মুখ, আওয়াজ, হাসি—এসবের মাধ্যমেই বাচ্চারা সামাজিক ও ভাষাগত দক্ষতা গড়ে তোলে।
চোখ লাগার ভয় যদি থেকেই যায়, বিশ্বাস রাখুন প্রার্থনা অনেক বেশি শক্তিশালী কোনো “দৃষ্টি”র চেয়ে।
“ছোট বাচ্চা বাইরে গেলে অসুস্থ হবে!” এই ধারণায় অনেকেত বাচ্চাকে সারাক্ষণ ঘরবন্দি রাখেন। অতিরিক্ত ঘরবন্দি থাকা বরং ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে। ধীরে ধীরে, ধুলাবালি এড়িয়ে, পরিষ্কার জায়গায় সামান্য সময়ের জন্য বাইরে নেওয়া বরং ওর দেহকে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।
শিশু প্রকৃতির একটা অংশ। ওকে প্রকৃতির সান্নিধ্য থেকে দূরে রাখা মানে ওর শেখা, দেখা আর অনুভব করার সুযোগ কেড়ে নেওয়া। তাই পরেরবার কেউ বললে “বাচ্চাকে বাইরে নিও না”, হেসে বলুন—
“ও তো মাটির সন্তান, মাটি পানি বাতাসেই বড় হবে!”
Momtactics