11/08/2025
পেশাগত কারণে কাজের অংশ হিসেবে নানা দল/সংগঠনের প্রোগ্রামে যেতে হয়। আজ নিউজ কাভারের জন্য গিয়েছিলাম ছাত্রশিবিরের এসএসসি ও দাখিলে এপ্লাস প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে।
দি কিং অব চিটাগাং-এ অনুষ্ঠানে চিফ গেস্ট ছিলেন সারাবছর আলোচনায় থাকা ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
অন্যন্যদের মতো আমিও মনযোগ দিয়ে শুনছিলাম তার বক্তব্য।
বিশ্বাস করুন, একটাও পলিটিক্যাল কথা বলেননি।
প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেননি।
বলেছেন, ছাত্রছাত্রীদের উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের কথা, এইচএসসিতেও এ প্লাস পেতে সিরিয়াস হবার কথা, জ্ঞ্যানের রাজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের পাশাপাশি সততা ও নৈতিকতার বলে বলিয়ান হবার কথা, বড় মানুষ হবার পাশাপাশি ভালো মানুষ হবার কথা।
আমার মনে হচ্ছিলো, আমি আমার ছেলে বা মেয়েকে যা বলতাম; তিনি সেটিই বলছিলেন। বলছিলেন, এই জীবনের পর আরেকটি জীবন আছে।
এই জীবনের শেষ আছে সেই জীবনের শেষ নেই।
এই জীবনে সফল হবার পাশাপাশি সেই জীবনেও সফল হতে হবে।
সেখানে যেন ফেরেস্তারা লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে জান্নতের দিকে নিয়ে যায়!
আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো কথাগুলো শুনছিলাম আর ভাবছিলাম, দেশের অন্যান্য ছাত্রসংগঠগুলোও যদি এভাবে মেধাবী তরুণ-তরুণীদেরকে গাইড করতো, তাহলে হয়তো একটি সুখী সমৃদ্ধ জাতি গঠনে আর বেশি অপেক্ষা করতে হতো না।
আজকের এপ্লাস প্রাপ্তরাই তো আগামী দিনের ডিসি, এসপি, জজ, ব্যারিস্টার, এমপি, সচিব, রাজনীতিবিদ ইত্যাদি হবেন।
ছোটবেলা থেকে নীতি-আদর্শের শিক্ষা পেয়ে বড় হয়ে যদি সেটা ধরে রাখতে পারে তাহলে এই জাতির অগ্রগতি ঠেকায় কে?
- আরাফাত বিপ্লব
সাংবাদিক, চট্টগ্রাম।