02/09/2025
চাপা কান্নায় ভেজা চোখে আজো ছোট্ট আছিয়া বাবার খোঁজ করে। বাবা নে"ই, তাই এক মুঠো ভাতও জোটে না তাদের। অসহায় মা শাহিনুর বেগম সন্তানদের ক্ষু'ধা'র্ত মুখের দিকে তাকিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েন। তাঁর কণ্ঠ কাঁপতে কাঁপতে শুধু এ কথাই বলেন, আমার স্বামী যদি আজ বেঁচে থাকতেন, তবে আমার সন্তানরা না খেয়ে থাকতো না। মাইনসের পোলাপাইন কত ভাল খায়, ভাল থাকে, আর আমার পোলাপাইন ক্ষু"ধা'র কষ্টে দিন কাটায়।”
ভোলার সদর উপজেলার কন্দুবপুর গ্রামের এই দুঃখভরা সংসারে এখন শুধু বেঁ'চে থাকার লড়াই।
২০০৬ সালে ভোলার রামদাসপুরের কামাল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় শাহিনুর বেগমের। কামাল ছিলেন পেশায় জেলে। সংসারটা অভাবের হলেও ভালোই চলছিলো। কিন্তু ২০২২ সালের এক ভ*য়া'ল রাতে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। মাছ ধরতে গিয়ে মেঘনা নদীর পানিতে ত*লি'য়ে চিরতরে হা*রি'য়ে যান কামাল হোসেন। শুধু প্রা"ণ'টাই নয়, ভ*য়ংক*র সেই নদী গি/লে নিয়েছে তাদের সামান্য জমিজমাও।
এখন শাহিনুর বেগম সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন নানার বাড়িতে। কিন্তু সেখানেও নেই নি'রা'পত্তা। সকালের শুকনা উঠোন বিকালে নদীর জলে ভরে যায়। যেন প্রতিদিনই তারা মৃ*ত্যু ভ*য়ের সঙ্গে যু/দ্ধ করে বেঁচে আছে।
বড় ছেলে হযরত আলী ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তো। কিন্তু টাকার অভাবে স্কুল থেকে ঝ"রে গেছে। ছোট ছেলে আলামিনের অবস্থাও একই রকম। আর সবচেয়ে ছোট্ট মেয়ে আছিয়া, যে বাবার মুখ মনে রাখতে পারেনি আজো বাবাকে খুঁজে বেড়ায়। তাদেরও স্বপ্ন আছে। কেউ হতে চায় ডাক্তার, কেউ হতে চায় ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু তারা কেউই বাবার মত জেলে হয়ে নদীতে হা*রিয়ে যেতে চায় না।
আজ প্রশ্ন দাঁড়ায়, এই জাতি কি পারবে শাহিনুর বেগমের সন্তানদের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে।
না কি তারা ক্ষু"ধা আর দুঃখের অ"ন্ধকারেই হারিয়ে যাবে?