02/07/2025
পৃথিবীর প্রত্যেকটা মেয়ের মূলত আল্লাহ আর সে নিজে ছাড়া আপন কেউ হয় না।এই ছোট একটা কথা বুঝতে তার গোটা একটা জীবন শেষ হয়ে যায়। মেয়ে মানুষের জীবনে যতগুলো মানুষ থাকে সবাই তাকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করে। যতদিন বাবার বাড়ি থাকে ততদিন বাবা মার সেবা করলে, তাদের কথার পুতুল হয়ে থাকলে, তুমি লক্ষী মেয়ে।যেই তুমি নিজের ব্যপারে নিজের সিদ্ধান্ত নিতে চাও, নিজে কিছু করতে চাও সেই লক্ষী তখন নাকি মানসম্মান শেষ করে? কে সৃষ্টি করলো এই মানসম্মান যা শুধু মেয়েদের গেলামীতেই ভালো থাকে। সবাইকে খারাপ বলছি না,হাজারে এমন পরিবারও থাকে যার সোজা হয়ে দাড়ানোর মেরুদণ্ড তার পরিবার হয়। যাই হয়ে যাক মেয়ের পাশে সবসময় থাকে। কিন্তু কয়টা পরিবারইবা এমন। এই তো গেলো বাবার বাড়ি। তারপর শুরু হয় আরেকবাড়ি যার নাম - শ্বশুরবাড়ি। বিসমিল্লাহতেই যেখানে শুরু হয় মানিয়ে নেয়া,কম্প্রোমাইজ, এডজাস্টমেন্ট দিয়ে। আগের যুগে তো ছিল শারীরিক নির্যাতন, এখন তা আপডেট হয়ে হয়েছে মানসিক নির্যাতন। চুন থেকে পান আলাদা হলেই শুনতে হয় শিক্ষা, সমাজ, আবার সেই মানসম্মান নিয়ে কথা। বাবার বাড়িও তখন আর আপনালয় থাকে না। এভাবেই এখানের ধাক্কায় ওখানে, ওখানের ধাক্কায় এখানে- এভাবেই জীবন পার হয় তার। শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেও শান্তি পায় ভেবেছেন? তাও পায় না। এই পুরো জীবনচক্রে কে তার আপন, কে তার নিরাপদ আশ্রয় হয়েছে? কেউ না। সবার স্বার্থ যতদিন রক্ষা করতে পেরেছে ততদিন তাদের কাছে ভালো থেকেছে। জীবনের অর্ধেক পার করে বুঝলাম, আপন কেউ হয় না,বাবা-মা,ভাই-বোন,স্বামী,সন্তান কেউ না। যতদিন তাদের কাজে আসবেন ততদিনই আপনার অস্তিত্ব থাকবে। যেদিন ভুল করে আপনি একটু ভালো থাকতে চাইবেন, খুশি চাইবেন তখন আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষটা হবেন। লক্ষী গোলাম হয়ে থাকার চেয়ে, খুশি অলক্ষী হয়ে থাকা ভালো। সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কাউকে খুশি করার চেষ্টা বৃথা, তিনি যা ভাগ্যে লিখেছেন তাই হবে। তাই নিজেকে গুরুত্ব দেয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ।