23/07/2025
ঝিকুট ফাউন্ডেশন একটি ব্যতিক্রমী প্লাটফর্ম
সময়তো দাঁড়িয়ে থাকে না, গড়িয়ে চলে, মাড়িয়ে যায় এবং কালের আবর্তে হারিয়ে যায়। এ হারানো ইতিহাস লেখার জন্য কেউ কাউকে নির্দেশ দেয়নি। আপনা থেকেই লিখতে থাকে চলার কথা, বলার কথা, সুখ-দুঃখ আর কান্না-হাসির কথা। ক্ষুদ্র এ প্রয়াসে সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
ফুলের যেমন সুরভি, পত্র পল্লবের যেমন শ্যামলিমা, সাগরের যেমন উদারতা, তেমন হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা ঝিকুট ফাউন্ডেশনের সুধী, সদস্য, উপদেষ্টামন্ডলী ও পৃষ্ঠপোষকমন্ডলীর জন্য। এছাড়া যারা সময়, শ্রম, মেধা, অর্থ ও তথ্য দিয়ে আমাদের এ উদ্যোগকে সফল করার লক্ষ্যে চেষ্টা করছেন তাদের প্রতি রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও দোয়া।
শত চেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের কাজ নির্ভুল হবে তা বলার সাহস রাখি না। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী। একতা, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ মূলমন্ত্র এবং পরিবর্তমান পদযাত্রা স্লোগান নিয়ে আশরাফ ইকবাল ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ব্যতিক্রমী সংগঠন ঝিকুট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
একতা যে কোনো এলাকার উন্নতি লাভের সিঁড়ি। সমাজের উন্নতির শুরুতে একতা আবশ্যিক। একতা ছাড়া সুন্দর, সুশৃঙ্খল সমাজের কথা শুধু কল্পনায় থেকে যায়। যেমন পিপিলিকার প্রশংসনীয় গুণগুলো এদেরকে নতুন, সুন্দর ও সাবলীল সমাজ উপহার দিয়েছে। ঝিকুট ফাউন্ডেশন এদের থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত।
ঝিকুট (মেধা) মানুষের পরম সম্পদ- কোনো সন্দেহ নেই। জীবন কেবল বুদ্ধি দ্বারাই চলে না। যুগপৎ বুদ্ধির অনুশীলন ও আত্মার পরিচর্যাই মানুষকে প্রকৃত মনুষ্যত্বে পরিণত করে। মানুষ ছাড়া অন্য সকল জীবকেই আল্লাহ সবল করে পাঠিয়েছেন। অথচ দুর্বল মানব শিশু আবহমানকাল থেকে বৈজ্ঞানিক সুযোগ-সুবিধার বদৌলতে যান্ত্রিক সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে জীবনকে বিকশিত করে গড়ে তুলতে পেরেছে। অর্থাৎ দুর্বল অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য ঝিকুট বিকাশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
তরুণরা বুদ্ধির চর্চা করুক, মাথা (ঝিকুট) খাটাক ডিক্টেটরেরা মোটেও চায় না। মুক্ত চিন্তাকে মনে করে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী ও সবচেয়ে বড় শত্রু। আর ক্ষমতার ধর্ম হচ্ছে সব সময় মাথার চেয়ে হাতের উপর, হাতের চেয়ে ডান্ডার উপর। জালাল উদ্দীন রুমির ভাষায়- এরা মানুষের কাঁধে বাহিত শবের মতো, আত্মার বিনিময়ে এরা ক্ষমতা লাভ করে গর্ববোধ করে। তথাকথিত শিতল যুদ্ধ এই চিন্তাহীনতার ফল। প্রখ্যাত চিন্তাবীদ আলবার্ট সুইৎজার বলেন, With the spirit of the age I am in complete disagreement, because it is filled with disdain for thinking. মানুষের মত ও বিশ্বাস নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের প্রতি স্থির নেই। দিন দিন, ঘন্টায় ঘন্টায় বদল হচ্ছে। বর্তমান সভ্যতা কোনো গভীর ভাব ও চিন্তার উপর প্রতিষ্ঠিত নয়। সারাবিশ্বের এই মহা সংকট থেকে বাঁচতে হলে মানব সভ্যতাকে একটি নীতি ও সত্যের উপর দাঁড় করাতে হবে। করতে হবে মুক্ত চিন্তা ও যুক্তির চর্চা।
একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমপিউটার যে তথ্য জমা রাখে, মানুষের মস্তিষ্ক বা ঝিকুট তার চাইতে ১ লক্ষ গুণ বেশি তথ্য ধারণ করতে সক্ষম। মানব মস্তিষ্ক প্রতি সেকেন্ডে ১ কোটি গানিতিক ক্যালকুলেশন সম্পন্ন করতে সক্ষম। মানুষের ডিএনএ-তে বয়ে বেরাচ্ছে ৫ বিলিয়নের চাইতে বেশি সংখ্যক তথ্য। আর একটি ডিএনএর তথ্য লিখতে ১ বিলিয়ন পৃষ্ঠা লাগবে। যা হয়তো বিশ্বের সবচে বড় Encyclopedia-র (পৃষ্ঠা - ২৫০০০) চাইতে ৪০ গুণ বড়। আসুন এবার আমরা অনেক কিছু করে দেখিয়ে দিতে চাই।
খন্ডিত দৃষ্টিকোণ না দিয়ে উদার হয়ে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক ঝিকুট ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কর্মসূচি দেখে যুক্ত হোন।...
উল্লেখ্য শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ সংগঠন ঝিকুট ফাউন্ডেশনের যেসব কর্মসূচি পালিত হয়েছে ও চলমান রয়েছে –
১. ফসলি জমি রক্ষায় ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন।
২. সাহিত্য সমাজে সমকালীন বাস্তবতা শীর্ষক আলোচনা সভা।
৩. সাব সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপিএ ফ্লাইট লে. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর স্মরণ সভা।
৪. ঝিকুটপত্র ম্যাগাজিন।
৫. ঝিকুটপত্র অনলাইন পোর্টাল।
৬. ঝিকুট ফাউন্ডেশন শিক্ষাবৃত্তি।
৮. সংগঠক, লেখক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গুণীজনদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ।
৯. ঝিকুট ফাউন্ডেশন শিক্ষা সেমিনার।
১০. এইচএসসি জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা।
১১. পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা।
১২. বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা।