28/09/2025
ইউরোপের উন্নতি ও আফ্রিকার অবনতি কোনো আলাদা ঘটনা নয়। বরং তা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ইউরোপ সমৃদ্ধ হয়েছে আফ্রিকার সম্পদ লুট করে। তাদের উন্নতি, শিল্পায়ন এবং আধুনিকতার ভিত গড়ে দিয়েছিল আফ্রিকার প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদ। দাস ব্যবসা থেকে ঔপনিবেশিক শাসন—সবকিছুই ছিল সেই লুটপাটের অংশ। লক্ষ্য ছিল—আফ্রিকাকে নিঃশেষ করে ইউরোপে পুঁজিবাদের বিকাশ ঘটানো।
ঔপনিবেশিক শাসন শেষ হয়েছে। কিন্তু আফ্রিকার শরীরে আজও রয়ে গেছে সেই ক্ষতচিহ্ন। দখলদাররা শুধু লুটপাট করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা চাপিয়ে দিয়েছিল এমন-এক অর্থনৈতিক কাঠামো, যা ধ্বংস করে দিয়েছে আফ্রিকার নিজস্ব শিল্প। দুর্বল অর্থনীতি এখনো তাদেরকে বেঁধে রেখেছে বৈশ্বিক পুঁজিবাদের শৃঙ্খলে।
ওয়াল্টার রডনির এই গবেষণা আমাদের সামনে তুলে ধরে সেই শোষণ ও লুটপাটের ইতিহাস। সমকালীন বিশ্বে ধনী-গরিব বৈষম্যের শিকড় কোথায়, এখান থেকে তা স্পষ্ট হবে। রডনি যে চেতনা লালন করতেন, সেটার কারণে মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই খুন হতে হয়েছে তাকে। কিন্তু সেই বিপ্লবী চিন্তার বয়ান তিনি সংরক্ষণ করে গেছেন এই রচনায়। তার বইটি পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছে বিশ্বের অসংখ্য শিক্ষার্থী, গবেষক, অ্যাক্টিভিস্ট ও আন্দোলনকারী। রডনি দেখিয়েছেন, শোষণ ও লুটপাট কেবল অতীতের ইতিহাস নয়, বরং আধুনিক বিশ্বব্যবস্থার অংশ। তাই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং শোষণের প্রক্রিয়া বোঝার এক অনন্য দলিল ধারণ করে আছে বইটি।
বই: আফ্রিকা লুটপাটের ইতিহাস
লেখক: ওয়াল্টার রডনি
অনুবাদক: আশিক আরমান নিলয়
নজরে সানী: ডা. শামসুল আরেফীন, জাকারিয়া মাসুদ
পৃষ্ঠা: ৩৯২
বাইন্ডিং: হার্ডকভার
খুচরা মূল্য: ৫৮০ টাকা