Delaoar Hosain-Dada

Delaoar Hosain-Dada আল্লাহ আমাদের নেক হায়াত দান করুন।
আমিন

03/06/2025

একটি গ্রামে রাশেদ নামে এক কিশোর থাকত। তার বাবা একজন দিনমজুর, আর মা গৃহিণী। রাশেদ ছোট থেকেই খুব সৎ এবং পরিশ্রমী ছিল। স্কুলে সে খুব মনোযোগী ছাত্র ছিল, তবে পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে মাঝে মাঝে স্কুলে যাওয়া কষ্টকর হয়ে যেত।

একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে রাশেদ রাস্তার ধারে একটি মানিব্যাগ কুড়িয়ে পেল। ব্যাগটি খুলে দেখে ভিতরে অনেক টাকা আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল। অনেকেই বলল, "নিয়ে রাখ, তোকে তো কেউ দেখেনি। এত টাকা দিয়ে তুমি অনেক কিছু করতে পারো।"

কিন্তু রাশেদ বলল, "এই টাকা আমার নয়। হারানো জিনিস ফেরত দেওয়া আমার দায়িত্ব।"

সে মানিব্যাগের ভিতরের পরিচয়পত্র দেখে মালিকের ঠিকানা খুঁজে বের করল এবং নিজ হাতে মানিব্যাগটি ফিরিয়ে দিল। ব্যাগের মালিক ছিলেন শহরের এক ধনী ব্যবসায়ী। তিনি রাশেদের সততায় অভিভূত হয়ে তাকে পুরস্কারস্বরূপ এক বছরের পড়ালেখার সমস্ত খরচ বহনের প্রতিশ্রুতি দেন এবং তার বাবাকে একটি চাকরিও দেন।

রাশেদের সততা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল। সে তার পরিশ্রম আর সততার মাধ্যমে সমাজে এক উদাহরণ হয়ে উঠল।

শিক্ষণীয় বিষয়:
সততা কখনোই বৃথা যায় না। একসময় না একসময় তা নিজের মর্যাদা ও সফলতা এনে দেয়।

02/06/2025

একটা ছোট্ট গ্রামে দুই ভাই থাকে। বড় ভাই ছিল দয়ালু, ছোট ভাই ছিল চালাক। একদিন ছোট ভাইয়ের ঝগড়া হয়ে গেল অন্য এক আত্মীয়র সঙ্গে। ছোট ভাই রাগ করে বলল, "আমি আর ওই আত্মীয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখতে চাই না।" বড় ভাই হেসে বলল, "আত্মীয়ত্ব মানে শুধু রক্তের সম্পর্ক নয়, ভালোবাসা আর বিশ্বাসও। রাগ হলে মনের কথা খুলে বলো, ঝগড়ার মাধুর্য মুছে যাবে।"

কিছুদিন পরে বড় ভাই তার ছোট ভাইকে নিয়ে গেল ওই আত্মীয়র কাছে। সবাই একত্রে বসে হাসতে শুরু করল। ছোট ভাই বুঝল আত্মীয়তার মুল মানে রাগ না করে ভালোবাসা রাখা। রাগ থাকলেও আত্মীয়তার বন্ধন কেটে যায় না, বরং সেটা মিটিয়ে নতুন সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

একদিন বিকেলে ছোট্ট মামুন মসজিদের পাশে একটা পুরনো বটগাছের নিচে বসে ছিল। আকাশটা ছিল লাল-কমলা রঙের, সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে ...
21/05/2025

একদিন বিকেলে ছোট্ট মামুন মসজিদের পাশে একটা পুরনো বটগাছের নিচে বসে ছিল। আকাশটা ছিল লাল-কমলা রঙের, সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে। চারপাশে নিরবতা, শুধু পাখিদের ঘরে ফেরার শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

মামুনের মা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। ওষুধ খাচ্ছেন, ডাক্তার দেখাচ্ছেন, কিন্তু ঠিকমতো সুস্থ হচ্ছেন না। মামুন প্রতিদিন স্কুল শেষে মাকে একটু পানি দেয়, ওষুধ খাওয়ায়, তারপর নিজের ছোট কোরআনের বই নিয়ে বসে। সে নিজেই কোরআন শেখার চেষ্টা করছে, যেন আল্লাহর কথা জানতে পারে।

সেদিন বিকেলে মামুন একা গাছের নিচে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছিল, “আল্লাহ কী আমাকে শুনছেন?” তারপর সে ধীরে ধীরে দুই হাত তুলে বলল:

“হে আল্লাহ, তুমি তো সবকিছু দেখতে পাও। তুমি জানো, আমার মা কেমন কষ্টে আছেন। তুমি দয়া করে তাকে সুস্থ করে দাও। আমি আর খেলতে যাব না, মায়ের জন্য দোয়া করব, নামাজ পড়ব, ভালো কাজ করব। আমি জানি, তুমি আমার দোয়া শুনবে।”

তার চোখে জল এসে পড়ে, কিন্তু সে মুছে ফেলে। একটুকু হাসি ফুটে উঠে তার মুখে। যেন সে বিশ্বাস পেয়েছে—আল্লাহ তার দোয়া নিশ্চয় শুনবেন।

সেদিন রাতেই মামুন মায়ের পাশে শুয়ে ছিল। হঠাৎ মা বললেন, “মামুন, আজ আমার শরীরটা একটু ভালো লাগছে।” মামুন বিস্মিত হয়ে বলল, “আলহামদুলিল্লাহ!” সে জানে, তার প্রার্থনা বৃথা যায়নি।

রাতে শহরটা নীরব হয়ে যায়, কিন্তু এই নীরবতা রাশেদের মনে ঝড় তোলে। প্রতিদিনের মতো আজও সে বারান্দায় বসে চুপচাপ আকাশের তারার দ...
21/05/2025

রাতে শহরটা নীরব হয়ে যায়, কিন্তু এই নীরবতা রাশেদের মনে ঝড় তোলে। প্রতিদিনের মতো আজও সে বারান্দায় বসে চুপচাপ আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে আছে। তার পাশে রাখা একটি চিঠি—যেটা সে কখনো কাউকে দেখায়নি। চিঠিটা লিখেছিলেন তার প্রিয় স্ত্রী রাশেদা।

চিঠিতে রাশেদা লিখেছিলেন, "তোমার সাথে একসাথে বসে নীরবতা উপভোগ করাটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় শান্তি। যখন কথা শেষ হয়ে যেত, তখনও তোমার পাশে থাকাটা ছিল পরিপূর্ণতা।"

এই লাইনগুলো রাশেদের চোখে জল এনে দেয়। তারা দুজন কোনোদিন খুব বেশি কথা বলতো না। কিন্তু একে অপরের পাশে থাকাটা ছিল যেন শব্দহীন কবিতা।

রাশেদা মরে যাওয়ার পর রাশেদ শব্দের মাঝে শান্তি খুঁজে পায় না। গল্প ইত্যাদি —সবকিছুই কেমন অচেনা লাগে। শুধু এই নীরব রাতগুলোতেই সে রাশেদাকে অনুভব করে। মনে হয়, নীরবতা এখন কথা বলে, তাকে জড়িয়ে ধরে।

একদিন তার নাতনি এসে জিজ্ঞাসা করলো, “দাদু, তুমি একা বসে থাকো কেন?” রাশেদ হেসে বললো, “আমি একা নই বোন।

আমি নীরবতার সাথে গল্প করি।”

জীবনের সবচেয়ে তিক্ত সত্যগুলোই মানুষকে সত্যিকারের শক্ত করে তোলে
20/05/2025

জীবনের সবচেয়ে তিক্ত সত্যগুলোই মানুষকে সত্যিকারের শক্ত করে তোলে

মানুষের জীবনে সময় একটি অমূল্য সম্পদ। এই সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোই সফলতার মূল চাবিকাঠি। কিন্তু অলসতা মানুষের সময়কে অপচয়...
20/05/2025

মানুষের জীবনে সময় একটি অমূল্য সম্পদ। এই সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোই সফলতার মূল চাবিকাঠি। কিন্তু অলসতা মানুষের সময়কে অপচয় করে, জীবনের উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে এবং দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতেই ক্ষতির কারণ হয়। কুরআন ও হাদীস উভয়েই অলসতা থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কুরআনের দৃষ্টিতে অলসতার ক্ষতি:
আল্লাহ তাআলা মানুষের কর্মপরায়ণতার প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেন এবং অলসতা ও গাফিলতির নিন্দা করেছেন।

১. সময়ের গুরুত্ব:

“শপথ সময়ের, মানুষ অবশ্যই ক্ষতিতে রয়েছে। তবে তারা নয়, যারা ঈমান এনেছে, সৎ কাজ করেছে, একে অপরকে সত্যের উপদেশ দিয়েছে এবং ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।”
(সূরা আল-আসর, আয়াত: ১-৩)

এই আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যারা সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগায় না, তারা ক্ষতিগ্রস্ত। অলস ব্যক্তি সময় নষ্ট করে এবং এই আয়াতের আলোকে সে নিশ্চিত ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।

২. কাজ না করে বসে থাকা নিন্দনীয়:

“বলুন, কাজ করো; আল্লাহ তোমাদের কাজ দেখবেন, এবং তাঁর রসূল ও মুমিনগণও।”
(সূরা আত-তাওবা, আয়াত: ১০৫)

এই আয়াত কর্মের প্রতি উৎসাহিত করে, অলসতার বিপরীতে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

হাদীসের আলোকে অলসতার ক্ষতি:
রাসূলুল্লাহ (সা.) অলসতা ও অক্ষমতা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়েছেন।

১. অলসতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাওয়া:
রাসূল (সা.) বলেন:

“হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অক্ষমতা ও অলসতা থেকে...”
(সহীহ বুখারী: ৬৩৬৯, সহীহ মুসলিম: ২৭২২)

এই হাদীস প্রমাণ করে যে অলসতা একটি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য, যা থেকে বাঁচার জন্য দোয়া করা উচিত।

২. তরুণ বয়সে কর্মঠ হওয়ার গুরুত্ব:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:

“কিয়ামতের দিন বান্দার পাঁচটি বিষয়ের হিসাব নেওয়ার পূর্বে পা সরবে না... তার যৌবনকাল সে কিভাবে ব্যয় করেছে।”
(তিরমিযী: ২৪১৬)

অর্থাৎ তরুণ বয়সে কর্ম না করে অলসতা করলে কিয়ামতের দিন তার জবাবদিহি করতে হবে।

অলসতার ফলাফল:
১. সময় ও সুযোগের অপচয়
২. দুনিয়ার প্রাপ্য সফলতা থেকে বঞ্চিত হওয়া
৩. আখিরাতের প্রস্তুতি গ্রহণে ব্যর্থতা
৪. আত্মতৃপ্তি ও নিঃসঙ্গতা
৫. দোষারোপ ও হতাশার জীবন

উপসংহার:
ইসলাম একজন কর্মঠ, দায়িত্বশীল, ও সময় সচেতন মানুষের প্রশংসা করে। কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী অলসতা শুধু সময়ের অপচয় নয়, বরং এটা মানুষের ঈমান, চরিত্র ও ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া এবং নিজের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সঠিক কাজে নিয়োজিত করা।

আল্লাহ তা’আলা পৃথিবী আবাদ রাখার জন্য মানুষকে খলীফারূপে সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে এমন প্রকৃতি ও প্রবৃত্তি দান করেছেন যাতে ...
19/05/2025

আল্লাহ তা’আলা পৃথিবী আবাদ রাখার জন্য মানুষকে খলীফারূপে সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে এমন প্রকৃতি ও প্রবৃত্তি দান করেছেন যাতে সে অতি সহজে নিজের বংশ বৃদ্ধি ও আবাদ করতে পারে। ক্ষুধা-নিবৃত্তি করে যেমন তার নিজের অস্তিত্ব অবশিষ্ট থাকে, তদ্রূপ যৌনক্ষুধা নিবৃত্তি করলে তার বংশ বাকী থাকবে।

এই যৌনক্ষুধা এমন এক ক্ষুধা, যার তাড়নায় ক্ষুধার্ত মানুষ নিজেকে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ ও আয়ত্তে রাখতে পারে না। ক্ষুধা উপশান্ত না হওয়া পর্যন্ত মানুষ প্রকৃতিস্থ হতে পারে না।

অবশ্য উক্ত ক্ষুধা নিবারণের জন্য পৃথিবীতে সাধারণতঃ তিনটি রীতি রয়েছে ;

প্রথমতঃ ‘ফ্রী-সেক্স’-এর পশুবৎ রীতি; যাতে ধর্মীয়, নৈতিক বা লৌকিক কোন প্রকারের বাধা ও নিয়ন্ত্রণ নেই, যখন যেভাবে ইচ্ছা কামপিপাসা দূর করা যায়। যাতে সমাজে সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খলতা এবং বংশে আসে কত শত জারজ।

দ্বিতীয়তঃ সংযম রীতি; যাতে মানুষ ইন্দ্রিয় বাসনাকে নিগৃহীত রাখে। কোন প্রকারের বীর্যক্ষয়কে পাপ মনে করে। এরূপ বৈরাগ্যবাদ প্রকৃতি-ধর্মেরও বিরোধী।

তৃতীয়তঃ নিয়ন্ত্রিত রীতি; গন্ডি-সীমার অভ্যন্তরে থেকে কাম-বাসনাকে মানুষ চরিতার্থ করতে পারে। ঐ সীমা উল্লংঘন করে নিয়ন্ত্রণ-হারা হতে পারে না। এই রীতিই হল মানুষের জন্য প্রকৃতিসিদ্ধ ও ন্যায়পরায়ণ। বিবাহ-বন্ধনের মাঝে সীমিত ও রীতিমত যৌনাচার ও কামবাসনা চরিতার্থ করা যায়। কিন্তু বল্গাহীনভাবে ব্যভিচার করা যায় না। এই নীতিই সমস্ত ঐশীধর্মের নীতি এবং ইসলামের আদর্শ। ইসলাম বিবাহকে বৈধ করেছে এবং ব্যভিচারকে অবৈধ ও হারাম ঘোষণা করেছে। নারী-পুরুষের এই মিলনকে যদি নিয়ন্ত্রিত না করা হত, তাহলে পৃথিবীতে সুশৃঙ্খল সমাজ ও সংসার গড়ে উঠত না। স্থায়ী হত না প্রেম ও সম্প্রীতি। সেই দাম্পত্য গড়ে উঠত না, যাতে থাকে একের অন্যের জন্য শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, স্নেহ, স্বার্থত্যাগ ও উৎসর্গ।

তাইতো প্রয়োজন ছিল ব্যভিচারকে কঠোরভাবে দমন করা। যাতে সমাজের মানুষরা অসভ্য ও উচ্ছৃঙ্খল না হয়ে উঠে, লাগামহীন যৌনাচারে বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধি ও মহামারীর প্রাদুর্ভাব না ঘটে এবং মানুষ পশুর পর্যায়ে নেমে না যায়।

তাই তো ইসলামে রয়েছে ব্যভিচারীর জন্য কঠোর শাস্তি-ব্যবস্থা। আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِائَةَ جَلْدَةٍ وَلا تَأْخُذْكُمْ بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللهِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَائِفَةٌ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ﴾

‘‘ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী---ওদের প্রত্যেককে একশত কশাঘাত কর; যদি তোমরা আল্লাহতে ও পরকালে বিশ্বাসী হও, তাহলে আল্লাহর বিধান কার্যকরীকরণে ওদের প্রতি দয়া যেন তোমাদেরকে অভিভূত না করে। আর মু’মিনদের একটি দল যেন ওদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’’[1]

আর এরপর তাদেরকে এক বছরের জন্য দেশ থেকে বহিষ্কার অথবা কারাদন্ডে দন্ডিত করা হবে।[2]

এ তো হল অবিবাহিত ব্যভিচারী-ব্যভিচারিণীর শাস্তি। বিবাহিতদের শাস্তি হল তাদেরকে কোমর অবধি মাটিতে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা।[3]

তদনুরূপ সমকাম বা সমলিঙ্গী-ব্যভিচারকেও ইসলাম হারাম ঘোষণা করেছে। প্রকৃতিগতভাবে পুরুষ নারীর প্রতি এবং নারী পুরুষের প্রতি আসক্ত এবং উভয়েই একে অপরের মিলন লাভের আকাঙ্ক্ষী। কিন্তু এই প্রকৃতির সীমা উল্লংঘন করে এবং দ্বীনী নিয়ন্ত্রণের বেড়া ডিঙ্গিয়ে যারা নির্লজ্জভাবে পুরুষে-পুরুষে ও নারীতে-নারীতে সমকামে নিজেদের যৌনক্ষুধা নিবারণ করে তাদেরও শাস্তি হত্যা।[4]

কৃত্রিম-মৈথুন বা হস্তমৈথুন অত বড় মহাপাপ না হলেও যা স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুন ক্ষতি ও হানিকর এবং তা হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَالَّذِيْنَ هُمْ لِفُرُوْجِهِمْ حَافِظُوْنَ، إِلاَّ عَلى أَزْوَاجِهِمْ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُوْمِيْنَ، فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاءَ ذلِكَ فَأُولئِكَ هُمُ الْعَادُوْنَ

অর্থাৎ, ‘‘যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে, তবে নিজেদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসীদের ([5]) ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দার্হ হবে না এবং তাছাড়া অন্যান্য পথ অবলম্বন করলে তারা হবে সীমালংঘনকারী।’’[6]

সুতরাং কৃত্রিম মৈথুন এক প্রকার সীমালংঘন; যা মহাপাপ। তাছাড়া আল্লাহর রসূল (ﷺ) যখন সামর্থ্যবান যুবকদেরকে বিবাহ করতে বললেন, তখনই অসামর্থ্যবান যুবককে রোযা রাখার নির্দেশ দিলেন। যাতে যৌন-তাড়নায় যুবকদল কোনরূপ বেয়াড়া না হয়ে যায়। পক্ষান্তরে এতে হয়তো ক্ষণিকের যৌনস্বাদ আছে কিন্তু এর পশ্চাতে আছে মহালাঞ্ছনা, মহাপরিতাপ।

শরীয়ত যেমন সর্বপ্রকার ব্যভিচারকে হারাম ঘোষণা করেছে তেমনি ব্যভিচারের কাছ ঘেঁসতে, অবৈধ যৌনাচারের নিকটবর্তী হতে নিষেধ এবং এর সমস্ত ছিদ্র-পথ বন্ধ করতে আদেশ করেছে। কারণ, যে পথ হারামে নিয়ে যায় সে পথে চলাও হারাম

টাকা আমাদের প্রয়োজন,কিন্তু যদি সেটা  আত্মসম্মান বিক্রি করে পেতে হয়-তাহলে সেটি শুধু অর্থ নয় বরং আত্মার দাসত্ব।
18/05/2025

টাকা আমাদের প্রয়োজন,
কিন্তু যদি সেটা আত্মসম্মান বিক্রি করে পেতে হয়-
তাহলে সেটি শুধু অর্থ নয় বরং আত্মার দাসত্ব।

Address

Dhaka

Telephone

+8801627551549

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Delaoar Hosain-Dada posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Delaoar Hosain-Dada:

Share