11/07/2025
#পড়তে_চায়_না_কেউ!
সময়টা জুলাই ২০২৪/ পড়তে চায়'না কেউ।
সবাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে ব্যস্ত,
বাতিল থাকা কোটা কারো আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কোটা পূর্ণ বহালের অনুমতি দেয়,
আর তখনই সেই কোটা বাতিলের দাবি নিয়ে মাঠে নেমে আসে তরুণ তরুণী শিক্ষার্থীরা।
পড়ার সময় নাই, আগে দাবি আদায়।
ধীরে ধীরে সেই আন্দোলনে যোগ দেয় সারা দেশের সকল শিক্ষার্থী। একটা সময় বিভিন্ন এজেন্ডা ও সাধারণ মানুষ যোগ দেয়, অংশ নিতে শুরু করে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো।
দলমত নির্বিশেষে কোটা বাতিল করতে বেশির ভাগ মানুষ মত দেয়।
এরপর ঘটনা ঘটতে থাকে একের পর এক।
এগুলো সবারই এখন জানা।
গণ অভূথ্যান নিয়ে আজ লেখবো না।
আজ লেখবো #মিটফোর্ডের_ঘটনা_নিয়ে।
কি ঘটলো, কবে ঘটলো, কেনো ঘটলো?
মিটফোর্ডে #সোহাগ_হত্যা
জনসম্মুখে একটা মানুষকে মেরে ফেললো কয়েকজন মিলে, দাড়িয়ে দেখছিলো অনেক মানুষ।
কেউ একজন সাহস করে ভিডিও টা করেছিলো বলেই তিন দিন পরে টনক নড়েছে সবার।
৯-ই জুলাই বিকেলে সোহাগ খুন হয়েছে,
খুনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ১০-ই জুলাই রাত থেকে ১১-ই জুলাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যপক হারে বেড়েছে প্রতিক্রিয়া।
সোহাগ খুন হয়েছে বলে সারাদিন নেট দুনিয়া তোলপাড়।
গড়ে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও খুন হচ্ছে,
প্রতিদিন টুকটাক সংবাদ প্রচার হচ্ছে।
আজকে সকল রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠন যেভাবে এটার প্রতিবাদ করছে,
তাতে মনে হচ্ছে মানুষ মানুষকে খুন করতে পারে এটা হটাৎ করে ঘটেছে।(এই কথায় কেউ রাগ করবেন না)
মিটফোর্ডের সোহাগ হত্যা হয়েছে তিন দিন আগে,
ভিডিও ভাইরাল না হলে প্রশাসন কি জানতো না,
নাকি জেনেও চুপ ছিলো,
সংবাদ মাধ্যম কি সোহাগ হত্যার খবর পায়নি,
নাকি প্রচার করা নিষেধ ছিলো।
দল কি ঘটনা শুনেনি, নাকি ভাইরাল না হলে বহিষ্কার হতো না কেউ।
আবার! সোহাগ অমুক ছিলো, তমুকের সাথে চলতো বলে অনেকে প্রচার করছে,
তাতে কি সোহাগ হত্যা জায়েজ হয়ে যাবে?
চাদা না দেয়ায় হত্যা, ব্যবসার সিন্ডিকেট ছিলো সোহাগের নিয়ন্ত্রণে তাই খুন।
প্রশ্ন আর দায় এড়ানোর এমন অনেক কথা সামনে চলে আসছে।
বিশ্বজিত/আবরার/সাদ্দাম/সোহাগ?
না আরও রয়েছে হাজার হাজার।
ভাতের ক্ষুধায় ভাতের আশায় যখন মানুষ খুন হয়েছিল, তখনই বিচার বিভাগ নড়েচড়ে বসা দরকার ছিলো।
অমুকের বাড়ি ঘেরাও করে এই করেছে শুনে সরকার যখন বলতো এগুলো সাধারণ মানুষের ক্ষোভ?
আজকের সোহাগ হত্যা সেদিন থেকেই শুরু হয়েছে,
মানুষের প্রতি মানুষের ক্ষোভ থাকতেই পারে,
তার জন্য আইন রয়েছে, সরকার যখন এই ধরনের কথা বলে, তখন ক্ষোভ প্রকাশের নামে বিভিন্ন ধরনের অঘটন ঘটাতে শুরু করলো কিছু খারাপ মানুষ।
এভাবেই টার্গেট করে বিভিন্ন সময় খারাপ ঘটনা বাড়তে শুরু করলো, কয়েকজন মিলে কিছু করলে বিভিন্ন ট্যাগিং বা দলীয় কোন্দল।
আবার বেশকিছু মানুষ মিলে করলে মব, যা বন্ধ করা এই সরকারের সম্ভব না।
সরকার বা প্রশাসন আওয়ামী লীগের জন্য যতটা শক্ত অবস্থানে আছে, যদি এর সিকি ভাগ মব বন্ধ করার চেষ্টা করতেন, তাহলে সোহাগরা এভাবে খুন হতো না।
আমি মনে করছি
নিজের সন্তানকে অন্যের সাথে বেয়াদবি করার উতসাহ দেয়ার ফসলেই প্রতিদিন এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটছে।
এখনো সময় আছে, প্রত্যেক টা রাজনৈতিক দলের উচিত আরও শক্ত অবস্থান নেয়ার।
সামনে নির্বাচন যেনো সঠিক সুন্দর হয়,
একটা ঘটনা ঘটার পরে রাত ভর মিছিল না করে,
এমন ঘটনা যেনো আর না ঘটে সচেতন হওয়া জরুরি।
কোনো মানুষ যেনো কোনো মানুষের সামনে এমন ঘটনা ঘটাতে না পারে সকল মানুষের সচেতন হওয়া জরুরি।
আসোলে মানুষ হওয়াটা এই মূহুর্তে সবচেয়ে জরুরী।
আবু সাঈদ/ মুগ্ধরা এই চিত্র দেখার জন্য জীবন নেয়নি।
১২-ই জুলাই থেকে আর একজন মানুষ যেনো মানুষের হাতে এভাবে খুন না হয়।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুক।
লেখক:
রুবেল মাহমুদ।