05/05/2025
নাটকের নাম: “কুকি বনাম রাষ্ট্র বনাম ইলিশ”
পাত্রপাত্রী:
আনিকা: কড়া স্বভাবের বিড়ালপ্রেমী, কিন্তু মাছপ্রেমী আরও বেশি
কুকি: এক বুদ্ধিমান ও নির্লজ্জ মেয়ে বিড়াল
বিচারক: পুতুল পরে অভিনয় করা (কল্পিত আদালত)
আইনজীবী: আনিকার বন্ধু, অতি নাটকীয়
---
দৃশ্য ১: (আনিকার রান্নাঘর)
(আনিকা একটি ইলিশ মাছ ভাজতে ভাজতে গাইছে)
আনিকা:
ইলিশ মাছ ভাজা ভাজি,
কুকি থাকবে দূরে আজই!
(পেছনে কুকি ধীরে ধীরে ঢুকে, মাছের গন্ধে বিভোর হয়ে, হঠাৎ মাছ চুরি করে পালায়। আনিকা চিৎকার করে উঠে)
আনিকা:
আল্লাহ! কুকি! তুমি আমার শেষ ইলিশটা খেয়ে ফেললে?
এবার তোমার হবে ফাঁসি! ৩০২ ধারা! খুনের শামিল এটা!
---
দৃশ্য ২: (কল্পিত আদালত)
(একটি ছোট্ট ঘর সাজানো হয়েছে আদালতের মতো করে। বিচারক একটি খেলনা পুতুল, সবাই নাটক করছে যেন আদালতে এসেছে)
বিচারক (গম্ভীর ভঙ্গিতে):
আজকের মামলাঃ “রাষ্ট্র বনাম কুকি”
অভিযোগ: ইলিশ খাওয়ার নামে মাছের হত্যা!
আইনজীবী (উৎসাহী কণ্ঠে):
মাননীয় বিচারক, এই বিড়াল, এই ছোট্ট মুখচোরা প্রানি,
যে কিনা শুধু মিঁউ করে, সে আসলে এক ঠান্ডা মাথার অপরাধী!
একে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হোক!
আনিকা:
ও আমার শেষ ইলিশটা ছিল! প্রেমিক আসতেছিল!
এখন কী খাওয়াবো, কুকি কীভাবে পারলো?
কুকি (ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে এসে কাঁদার ভান করে):
মিঁউ... (অভিনয়ে)
আমি জানতাম না এটা ইলিশ, আমি ভাবছিলাম এটা তেলাপিয়া...
---
দৃশ্য ৩: (রায় ঘোষণা)
বিচারক:
এই আদালত সিদ্ধান্ত নিলো, কুকিকে ফাঁসি নয়,
৭ দিনের মাছ-নিরামিষ খাওয়ার শাস্তি দেওয়া হবে।
আর আনিকা? তোমার উচিত মাছ ঢেকে রাখা!
আনিকা (অবাক হয়ে):
মানে! ও চোর, আর আমি দোষী?
কুকি (মুখে পুড়া মাছের কাঁটা লেগে):
মিঁউ... ন্যায়বিচার!
---
(পর্দা পড়ে, নিচে লেখা উঠে: “মাছ রাখুন নিরাপদে, নাহলে কুকির দোষ নয়!”)