
06/07/2025
তাকে বলা হয় প্রিন্স অব শ্যাডোজ। কারণ ছায়ার মতোই রহস্যময় ছিল তার জীবন। দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় একের পর এক হামলায় শত্রুকে তিনি নাস্তানাবুদ করে তুলেছিলেন। ধরা পড়ার পর তাই ফিলিস্তিনের ইতিহাসের দীর্ঘতম কারাদণ্ডও জুটেছে তার ভাগ্যে। ইসরায়েলি কারাগারে তিনি ৫,২০০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
আব্দুল্লাহ বারগুথি ছিলেন হামাসের লিজেন্ডারি বম্বমেকার ইয়াহইয়া আয়াশ, তথা আল-মুহান্দিস (দ্য ইঞ্জিনিয়ার)-এর যোগ্য উত্তরসূরী। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার না হলেও ইলেক্ট্রনিক্স এবং মেকানিক্সের উপর তার ছিল ব্যাপক আগ্রহ। আর সেটাই তিনি কাজে লাগিয়েছিলেন নতুন নতুন বিস্ফোরক তৈরির কাজে। ইসরায়েলের অভ্যন্তরে সবচেয়ে বিধ্বংসী কয়েকটা আত্মঘাতী হামলার মাস্টারমাইন্ড এবং বোমাগুলোর নির্মাতাও তিনি।
কুয়েতে বেড়ে ওঠার পর কীভাবে তিনি কোরিয়াতে গেলেন শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে, সেখানে প্রথমে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে, এরপর ব্যবসা করে কীভাবে বিপুল পরিমাণ ধন-সম্পত্তির মালিক হলেন, এরপর ফিলিস্তিনে গিয়ে কীভাবে সেই ধন-সম্পত্তির পুরোটা বিলিয়ে দিলেন কাসসাম ব্রিগেডের গোপন একটা ইউনিট গড়ে তোলার কাজে, কীভাবে একের পর এক অপারেশন চালালেন - সব মিলিয়ে তার পুরো জীবনটাই স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন।
সেই জীবনের টুকরো টুকরো চিত্রই উঠে এসেছে কারাগার থেকে মেয়ের কাছে লেখা চিঠির আদলে তার আত্মজীবনীতে। বইটার বাংলা অনুবাদ শীঘ্রই প্রকাশিত হবে কালান্তর প্রকাশনী থেকে। প্রকাশকের কাছ থেকে অগ্রীম পিডিএফ কপি গিফট পেয়ে দুই দিনেই পড়ে ফেললাম বইটা। বেশ ভালো লেগেছে। আগ্রহীরা তালিকায় রাখতে পারেন।
✍️ Mozammel Hossain