Trending Issues BD

Trending Issues BD Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Trending Issues BD, Media/News Company, Dhaka.

The aim of this page Trending Issues BD is to share all the latest and trending issues happening in Bangladesh so that the citizens of BD can become aware of those incidents.

04/08/2025
04/08/2025
03/08/2025
30/07/2025
24/07/2025

মাইলস্টোন কলেজের কেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষক শাম্মী (সায়ানের মা) ম্যাডামের স্ট্যাটাস

প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম।
আমি ও ইউসুফ স্যার হয়তো কোনো বড় ভুল বা অন্যায় করে ফেলেছি, যার জন্য আল্লাহ আমাদের এত বড় শাস্তি দিয়েছেন। আপনারা সবাই আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমার ছেলেটিকেও (সায়ান) দয়া করে ক্ষমা করবেন। আমাদের ফুলের মতো নিষ্পাপ সন্তানটি আমাদের চোখের সামনে দিয়ে চলে গেল, অথচ আমরা কিছুই করতে পারলাম না।
কত সুন্দর, কত মেধাবী, কত বুদ্ধিদীপ্ত ছিল আমার ছেলেটি! আজ পত্রিকার শিরোনামে আমার ছেলের নাম, ফেসবুক খুললেও তার ছবি, তার খবর! আমরা কল্পনাও করতে পারিনি আমাদের সন্তান এভাবে খবরের শিরোনাম হবে। ওর বাবা সবসময় বলত, "সীমা, আমার মনে হয় আমাদের ছেলে একদিন কিছু আবিষ্কার করবে।" এমন প্রখর মেধাবী ছিল সে—একটু পড়লেই সবকিছু শিখে ফেলত। ছিল ভদ্র, নম্র, বিনয়ী। ক্লাস টু-তে পড়ার সময় থেকেই ৩০ টি রোজা রাখতো,পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো।

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আজ বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্ররা প্রাণ হারাচ্ছে। ইউসুফ স্যারের ইচ্ছে ছিল, আমাদের ছেলে যেন আমেরিকায় পড়াশোনা করতে পারে। আমরা ছেলেকে নিয়ে বিদেশে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম শুধু নিরাপত্তার কারণে—আর সেই ভয়ই আজ বাস্তব হয়ে দাঁড়ালো।
আমার ছেলেটি দগ্ধ শরীরে চারদিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিল, কিন্তু তখনও সে কাঁধের ব্যাগটা নিতে ভুল করেনি! আহারে পড়াশোনা! আহারে শিক্ষা! কী দরকার ছিল এমন শিক্ষার, যা আমার সন্তানের জীবনটাই কেড়ে নিল!
ঘটনার দিন একটি নাম্বার থেকে আমার ফোন আসে। জানতে পারি, যে ছেলে আমার ছেলেকে বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিল, সে ইউসুফ স্যারেরই ছাত্র। পরে ফোনে ছেলেটির কাছে শুনি, আমার সোনা পাখি ঠিকমতো নিশ্বাস নিতে পারছিল না,এই অবস্থার মধ্যেও সে ছাত্রটিকে তার মায়ের ফোন নম্বর দিয়ে দেয়। আমি ফেসবুকে দেখি, সেই ছেলেটি—অমিত—আমার ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছে। ভাই ও বোনেরা, আমি আপনাদের সবার কাছে চিরঋণী।
বাংলাদেশ মেডিকেলে যখন ওর দগ্ধ শরীর দেখে ওর চাচ্চু কাঁদছিলেন, তখনও আমার ছেলে তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিল, "চিন্তা কোরো না চাচ্চু , সব ঠিক হয়ে যাবে।" ওর বাবাকে দেখে ও সাহস পেয়েছিল।ওর বাবা বলেছিল, "বাবা, আমি আসছি। আর ভয় নেই।" মাথা নেড়ে সে সাড়া দিয়েছিল।
আমার ছেলেটি ছোটবেলা থেকেই খুব ভীতু ছিল। অথচ সেই ছেলেই আজ পাখির মতো ছটফট করেছে পুরো শরীর ঝলসে গিয়ে। কিন্তু আমাদের বুঝতে দেয়নি, যাতে আমরা দুশ্চিন্তায় না পড়ি। আইসিইউতে থাকা অবস্থায়ও ও আমাকে দেখতে চেয়েছিল। আমি যখন ওকে দেখতে যাই, দেখি তার পুরো শরীর ঝলসে গেছে। আমি আমার ছেলেকে চিনতেই পারছিলাম না।
আমি তাকে বলেছিলাম, "মা, বাবা, সোনা পাখি, শুধু পড়তে থাকো —
লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্জোয়ালিমীন।"
আমার সোনা মাথা নেড়ে সায় দিয়েছিল। এটাই ছিল আমার সঙ্গে ওর শেষ কথা।
এই সময়টা বড় কঠিন। আমি জানি না কিভাবে ওকে ছাড়া এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দেব। দিন যেন শেষই হয় না। আমি কখন যাব আমার সোনা পাখির কাছে, সেটাই ভাবি।
আমার আর সহ্য হচ্ছে না মা পাখি, আমাকে তুমি তোমার কাছে নিয়ে যাও।
সোনা, আমাকে ক্ষমা করে দিস।
আমি এক ব্যর্থ মা—তোর জন্য কিছুই করতে পারলাম না।

১১ টা বছর ধরে কেবল একটি সন্তানের জন্য পৃথিবীর কোথায় যাননি হাসান!!  শুধু একটি সন্তানের জন্য স্ত্রী রাবেয়াকে নিয়ে দুনিয়ার ...
22/07/2025

১১ টা বছর ধরে কেবল একটি সন্তানের জন্য পৃথিবীর কোথায় যাননি হাসান!! শুধু একটি সন্তানের জন্য স্ত্রী রাবেয়াকে নিয়ে দুনিয়ার সবচেয়ে উন্নত হাসপাতালগুলোতে দৌড়েছেন। শত চেষ্টার পর অবশেষে টেস্টটিউবের মাধ্যমে রাবেয়ার গর্ভে আসে সন্তান। সেই আনন্দে আত্মহারা হাসান।

সন্তানের সুস্থ ডেলিভারির জন্যে স্ত্রীকে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, পৃথিবীর সব খ্যাতিমান ডাক্তারদের তত্বাবধানে রাখেন রাবেয়াকে। শুধুমাত্র একটি সন্তানের জন্য কতো চেষ্টা তাদের! কতো রকমের চেষ্টা!

হঠাৎ একদিন রাবেয়ার গর্ভের শিশুর হার্টবিট বেড়ে যায় এবং জরুরি সিজারের প্রয়োজন হয়। রাত ১১টার দিকে আকষ্মিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় রাবেয়ার, প্রায় অজ্ঞান হয়ে যান। ডাক্তাররা সিজারের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন, কারণ শিশুর হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে পড়েছে।

হাসান কাতারে কর্মরত, টেলিফোনে জানতে পারেন অবস্থার গুরুতরতা—সে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন, রাবেয়ার জীবনের নিরাপত্তায় গভীর উদ্বেগ কাজ করে। এমন সময় হাসান শুনছেন, অজ্ঞানপ্রায় গর্ভবতী রাবেয়া চিৎকার করে বলছেন, “প্লিজ, বাঁচাও আমার বাচ্চাটিকে…”।

অবশেষে ১১ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে তাদের। হাসান-রাবেয়া দেখতে পান এক নবজাত কন্যার মুখ। নাম রাখেন— রোজাবেল।

কিন্তু ভাগ্যের লিখন ক'জনই বা পাল্টাতে পারে? পৃথিবীর সকল হাসপাতাল জয় করে জন্ম নেওয়া রোজাবেল হার মানল মাইলস্টোন কলেজের কাছে। তখন সে মেহরিন ম্যামের ক্লাস করছিল মনোযোগ দিয়ে। হঠাৎ বিকট শব্দে থমকে গেলো পৃথিবী। বিমান এসে আছড়ে পড়লো স্কুলের উপর।

না, রোজাবেল নেই। হাসান-রাবেয়ার একমাত্র সন্তান পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন হাসান—কোলের ভিতর রোজাবেলের পোড়া দেহ।

ভয়াবহ একুশে জুলাই ২০২৫সময়--১:১২ মিনিটআমার ছেলে মাসনুন রহমান সিনানউত্তরা মাইলস্টোন কলেজের দিয়াবাড়ি শাখার চতুর্থ শ্রেণী...
22/07/2025

ভয়াবহ একুশে জুলাই ২০২৫
সময়--১:১২ মিনিট

আমার ছেলে মাসনুন রহমান সিনান
উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের দিয়াবাড়ি শাখার চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র।
প্রতিদিনের নিয়ম অনুযায়ী ছুটি হয় দুপুর ১ টায়।।
আজকে আমার পরীক্ষার ডিউটি ছিল চার নং ভবনের 804 নম্বর রুমে। বেলা একটায় পরীক্ষা ডিউটি শেষ করে ছেলের ভবনের সামনে যাব হঠাৎ মনে হল রেস্ট নেই ও নিজেই চলে আসবে আমার টিচার্স রুমেপ্রতিদিনের মতো।
আমি টিচার্স রুমে রেস্ট নিচ্ছি তখন দুপুর ১ টা ১১ মিনিটে আমার ছেলের ফর্ম মাস্টার বাবুল স্যার আমাকে ফোন দিয়ে বললেন -ম্যাডাম আজকের সিনানের ছুটি হবে ১ টা 40 মিনিটে ।আমি বললাম ক্লাস শেষ হলে৭ নং ভবনের দোতালায় পাঠিয়ে দিবেন টিচার্স রুমে। আমি ওকে স্যার বলেই ফোনটা কেটে দিলাম। সাথে সাথে বোম ব্রাস্ট হওয়ার মত একটা সাউন্ড হইল --আমি মাঠের পাশে টিচার্স রুম থেকে দেখতে পেলাম আমার ছেলের ভবনের সামনে আগুন।
আমার টিচার্স রুমে আমার সামনে আমার একজন সিনিয়র সহকর্মী জনাব এজাজ মাসুদ স্যার বসা ছিলেন। আমি এক চিৎকারে বললাম স্যার আমার ছেলের ভবনে তো আগুন লাগছে।
উনার ছেলে ওই ভবনেই পড়ে কোন কারণে সে আজকে আসে নাই।
আমি চিৎকার করে দৌড়াচ্ছি স্যার আমাকে বলছেন দোয়া করেন আল্লাহকে ডাকেন। ৪০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই।
দৌড়াতে দৌড়াতে আমার হাজব্যান্ড কে ফোন দিয়ে বলেছি আমার ছেলের ভবনে আগুন লাগছে।
যেখানে আগুন লাগছে সেখানে গিয়ে দেখি তিনটা গলিত লাশ। শুধু আইডি কার্ড টা পড়ে আছে।
একটা বাচ্চার গায়ে কাপড় নাই পুরো শরীর ঝলসে গেছে।
সামনে গিয়ে দেখি যে ভবনে আমার ছেলে ক্লাস করে যেই রুমে আমার ছেলে ক্লাস করে সেই রুমের চারদিকে ধোঁয়া।
ছেলের ক্লাসরুমে আগুন আমি বাইরে থেকে কি বুঝবো তাই ক্লাসে ঢুকতে চাইলাম। সেনাবাহিনীর দুইজন আর আমার কলেজের বিএনসিসি ছাত্ররা আমাকে ঢুকতে দিলো না ---
আমি বারবার ঢুকতে চাইলাম জোর করে ঢুকতে চাইলাম আমাকে বাধা দিল দুজন আমাকে জোর করে এক পাশে নিয়ে গেল। আমি ডানপাশে ঘুরেই দেখি আমার ছেলের ফোন মাস্টার বাবুল স্যার।
জিজ্ঞেস করলাম স্যার আপনি এখানে আমার ছেলে কই???
শুধু হাতটা ধরে বলল ওরা উপরে দুই তালায়।
বিশ্বাস করলাম না তারপর আমার একজন ছাত্র এসে বলল ম্যাডাম কিছু হয় নাই এই পাশে আসেন। ক্যান্টিনের পাশে উপরে ৭ থেকে আটজন মেয়ে বাচ্চাকে দেখা যাচ্ছিল। আমি আল্লাহর কাছে কি দোয়া পড়ছিলাম আমার কিছুই মনে নাই।
আমার বিভাগের আমার একজন সহকর্মী মুকুল স্যার এর ভাগ্নিও ঐ ভবনে আটকা পড়ছেন। সে পাশ থেকে ওপার দৌড়াচ্ছেন আর চিৎকার করতেছেন।
আমাকে দুইজন সেনাবাহিনী বসায় দিয়ে ধরে রাখলেন একপাশ থেকে। যেন আমি সামনে না যাই।
তারপর দোতলার সামনে গাছ ছিল আম গাছ কেটে ফেলা হলো।
গ্রিলের তালা ভাঙ্গা হলো একপাশ ভেঙে ফেলা হলো।
আমি শুধু দেখতে পাচ্ছি কিছু ছাত্রী গ্রিলের নিচ দিয়ে দিয়ে বের হয়ে আসছে।
৮ থেকে ১০ জন ছাত্রী এবং একজন ম্যাডাম বের হওয়ার পর হঠাৎ আমার ছেলের চেহারা ভেসে উঠলো।
ওই মুহূর্তটা একজন মায়ের জন্য কি মুহূর্ত সেটা বলে বোঝানো যাবে না লিখেও শেষ করা যাবে না।
মুকুল স্যার যদি পারতো তাকে দোতলা থেকেই টেনে বের করত।আমার ছেলেকে দেখার সাথে সাথে সে দৌড়ে গিয়ে জড়ায় ধরছে বাবা রে তুই তাড়াতাড়ি আয়।
আমার মানিককে আমার সন্তানকে আমি জড়াইয়া ধরলাম।

যারা আমার ছেলের ক্লাসে আটকে ছিল তারা কেউ বেঁচে ফিরে নাই। সবাই পুরে কয়লা হয়ে গেছে।

একজন মা বলতেছিল বাবারে তুই আজকে আমার হাতের শেষ খাওয়াটা খাইয়া গেলি বাবা --আমি তো তোরে শেষ দেখা দেখতে পারলাম না।

মূলত বিমান ক্রাশ হয়ে ক্লাসরুমের ভিতরে ঢুকে গেছে।
বিমান ক্রাশ হওয়ার সাথে সাথেই ১৫ মিনিটের মধ্যেই যা ধ্বংস হওয়ার যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।
যাতে শরীর পুড়ে গেছে তাদেরকে বাঁচানো খুবই অসম্ভব খুব খারাপভাবে শরীর পুড়ে গেছে।
এত কাছ থেকে কখনো দেখিনি। এত ভয়ঙ্কর!!

আমি রাত আটটা দশ মিনিটে সেই দুর্ঘটনাস্থলে আবার যাই।আমার ফরমের দুইটা মেয়ে অসুস্থ তাদেরকে দেখার জন্য।
সেই ভবনের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম।
রাত ৮ টা ১৫ মিনিটের সময় বিজিবির একজন সদস্য নাম মাসুদ , তিনি ফোনে কাউকে বলছিলেন আরও একটি লাশ পাওয়া গেছে কিন্তু কয়েকটি পুড়ে যাওয়া খন্ড বিখন্ড অংশ।
হে রাব্বুল আলামিন, রাহমানুর রাহিম তুমি উত্তম পরিকল্পনাকারী --শিশুদের এমন মৃত্যু তুমি দিয়েছো বাবা মা তাদের গলে যাওয়া লাশের শেষ চিহ্নটুকু দেখতে পাবেনা।

তাসলিমা আকতার
প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ
মাইলস্টোন কলেজ
২১/০৭/২০২৫, সোমবার

21/07/2025

Plane Crash In Bangladesh at Milestone School and College

12/05/2025
12/05/2025
11/05/2025
09/05/2025

Address

Dhaka

Opening Hours

Monday 09:00 - 21:00
Tuesday 09:00 - 21:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 21:00
Friday 09:00 - 21:00
Saturday 09:00 - 21:00
Sunday 09:00 - 21:00

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Trending Issues BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Trending Issues BD:

Share