Run With Tamim

Run With Tamim Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Run With Tamim, Digital creator, Dhaka.

আমি খেলা নিয়ে লিখি, ভিডিও বানাই। হৃদয়ে ধারণ করি রিয়াল মাদ্রিদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট, ডি ভিলিয়ার্স, স্টিভেন স্মিথ, জো রুট, মিচেল স্টার্ক, ডেইল স্টেইন, নেইমার, রোনালদো, ব্রাজিল 🖤

23/07/2025

Man 🥹

স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল, নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে খেলা গোলশূন্য ড্র। সৌদি আরবের কিং সিটি আব্দুল্লাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচ...
22/07/2025

স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল, নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে খেলা গোলশূন্য ড্র। সৌদি আরবের কিং সিটি আব্দুল্লাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের বয়স তখন ১১৪ মিনিট, ডি-বক্স থেকে কয়েক গজ দূরে ফ্রি-কিক পেলো রিয়াল মাদ্রিদ। সেখান থেকে লুকা মদ্রিচ আলতো করে চিপ করলেন, উদ্দেশ্য ছিলো সতীর্থের মাথা খুঁজে পাওয়া।এটলেটিকো মাদ্রিদ ডিফেন্স থেকে বল ক্লিয়ার হলো। হাওয়ায় ভাসতে থাকা বলটা কার্ভাহালের বিপরীত দিকে হওয়ায় আলতো করে ব্যাকহিল করার চেষ্টা করলেন। কার্ভাহালের প্রায় ব্যর্থ প্রচেষ্টায় বল পেয়ে গেলেন এটলেটিকো মাদ্রিদের একজন । কোন কিছু ভ্রুক্ষেপ না করে থ্রু পাস দিলেন ফাঁকায় দাড়িয়ে বলের অপেক্ষা করা আলভারো মোরাতার উদ্দেশ্যে । বল পেয়ে মোরাতা সেন্টাল লাইন থেকে গোলবারের দিকে দিলেন এমন এক ছুট সে ছুটে পিছনে ফেললেন একে একে কার্ভাহাল আর ভালভার্দেকে। রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের ছেলে প্রাণপণে ছুটে চলেছেন মাদ্রিদের বুকে শেল বিঁধিয়ে দিতে। তার সামনে বাধা শুধুই একজন, বেলজিয়ান গোলকিপার থিবো কর্তোয়া। গোলের নেশায় বুঁদ হয়ে ছুটে চলা মোরাতাকে কিছুতেই গতিতে ধরতে পারছিলেন না উরুগুয়াইন মিডফিল্ডার ভালভার্দে। অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে দাড়ালো আর একটু পরে মোরাতা ঢুকে পড়বেন ডি বক্সে। মোরাতার সেসময় গোলকিপারের সাথে ওয়ান টু ওয়ানে ভীষণ বাজে রেকর্ড ছিলো কিন্তু তাই বলে তো মৃত্যুর মুখে দলকে ঠেলে তো বাজি ধরা যায় না। মোরাতার মনে যখন চলছিলো কিভাবে বল জালে জড়াবেন ঠিক তখন ভালভার্দে কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলেন। পিছন থেকে পা বাড়িয়ে ফেলে দিলেন মোরাতাকে, যন্ত্রণায় ছটফট করতে লাগলো স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। যা হওয়ার তাই হলো লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হলো ভালভার্দেকে । কিন্তু তার সেই ট্যাকলের কল্যাণে তার দল সেদিন জিতেছিলো স্প্যানিশ সুপার কাপ। টাইব্রেকারে ২০১৬ চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিলো মাদ্রিদ। আর সেদিন উরুগুয়েইন ছোট্ট পাখি লালকার্ড দেখার পরও হয়েছিলো ম্যাচসেরা । সেদিনের পর থেকে ফেডে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন মাদ্রিদিস্তাদের অন্তরে তার প্যাশনের জন্য, তার ডেডিকেশনের জন্য।

১৯৯৮ সালের ২২ জুলাই উরুগুয়ের রাজধানী মন্টেভিডিওতে জন্মগ্রহণ করেন রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার ফেডে ভালভার্দে। পূর্বপুরুষ কারো ফুটবলের সাথে যোগসূত্র না থাকলেও মাত্র ২ বছর বয়সে ফুটবলের প্রেমে পড়েন ফেডে, নিজের বাসায় বাবা বানিয়ে দেয় ছোট্ট এক গোলপোস্ট । মাত্র ৩ বছর বয়সে ফুটবল ভিত্তিক স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয় , ঐ বছরই প্রথম গোল করে ডায়পার খুলে সেলিব্রেট করেছিলো ভালভার্দে!! ৫ বছর বয়সে নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম শিরোপা জিতেন তিনি। ৬ বছর বয়সে বয়সভিত্তিক দলে নাম লেখান। ডিয়াগো ফোরলানকে আউডল মেনে বড় হয়েছেন। ১৭ বছর বয়সে সুযোগ হয়েছে নিজেরে আইডলের সাথে খেলার। আইডলের পরামর্শে নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলেন। সে বছর জিতেছিলেন উরুগুয়ের লীগ। পরের বছর ফোরলান অন্যক্লাব চলে যাওয়ার পরও তা ডিফেন্ড করলেন আর অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য তার দিকে নজর পড়লো ইউরোপের ক্লাবগুলোর।পরে তাকে ইউরোপের সফল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ সফলভাবে কিনে নিতে সক্ষম হয়। প্রথমে মাদ্রিদ বি,পরে লা করুনায় লেন স্পেল কাটিয়ে আসার পর তিনি এখন মাদ্রিদ দলের অন্যতম ভরসার প্রতীক। কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে কখনো রাইটব্যাক কখনো উইংগার হিসেবেও খেলেছেন। যেখানে মার্টিন ওডেগার্ডের মতো তরুন প্লেয়ার প্লেয়িং টাইমের জন্য দল ছেড়ে, সেখানে ভালভার্দে সময়ের জন্য লড়েছে। দলের সাথে থেকে গেছে। বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করেছে। প্রত্যেক মাদ্রিদ ভক্ত তাকে ভীষণরকম ভালোবাসে কারণ ছেলেটা যে মাদ্রিদের ব্যাজটার জন্য যুদ্ধে যেতে সদা প্রস্তুত।

গতবছর লীগ টাইটেল, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লীগ জিতাতে ভালভার্দের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিলো। চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলের অ্যাসিস্টটাও এসেছিলো তার পা থেকেই।

শেষ করে একটা মজার ঘটনা দিয়ে, ২০০৮ সালে প্যানারোলের একাডেমিতে মায়ের সাথে ট্রায়াল দিতে গিয়েছিলো ছোট্ট ফেদে। সেখানে সবাইকে বলা হয় সেশনের জন্য একত্রিত হতে। কিন্তু কিছুটা লাজুক প্রকৃতির ছেলে ভালভার্দে গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে আর সেখান থেকে নড়তে চায় না। পরে কোন এক নির্বাচকের কথায় সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ট্রায়াল দিয়েছিলেন আর প্যানারোল একাডেমিতে সুযোগ পেয়েছিলেন।

মন্টেভিডিওর লাজুক ছেলে ভালভার্দে জীবনের অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছেন। মাদ্রিদের সাদা জার্সি গায়ে জড়িয়ে যতজন মিডফিল্ডার কিংবদন্তি হয়েছেন, সে পথেই আছেন তিনি। দিয়োগা ফোরলানের দেওয়া পরিশ্রম আর নম্রতার উপদেশ সঠিকভাবে মেনে চলতে পারলে সে আসনে বসতেও পারবেন একদিন।

১৯৯৮ সালের ২২ জুলাই উরুগুয়ের রাজধানী মন্টেভিডিওতে জন্মগ্রহণ করেন ফেডেরিকো ভালভার্দে। শুভ জন্মদিন এল পাজারিতো / এল হ্যালকন 🦅🖤

এইবার ঠিক আছে!
20/07/2025

এইবার ঠিক আছে!

বার্সা রদ্রিগোকে কিনতে চায়, এমন ভাবনার কথা তারা খেলোয়াড়কে জানিয়েছে। বার্সা কি তবে লুইস ফিগোর ট্রান্সফারের বদলা নিতে চায়?...
19/07/2025

বার্সা রদ্রিগোকে কিনতে চায়, এমন ভাবনার কথা তারা খেলোয়াড়কে জানিয়েছে।

বার্সা কি তবে লুইস ফিগোর ট্রান্সফারের বদলা নিতে চায়? আমার মনে হয় না রদ্রিগো কখনো বার্সায় যেতে রাজি হবে।

19/07/2025
দারুন ব্যাখ্যা!
17/07/2025

দারুন ব্যাখ্যা!

“সাদা জার্সিটা ঘামে ভিজবে, রক্তে লাল হবে, কাদায় কর্দমাক্ত হবে কিন্তু কখনোই পরাজয়ের গ্লানি মুছবে না।”আমরা কখনোই হারবো না,...
17/07/2025

“সাদা জার্সিটা ঘামে ভিজবে, রক্তে লাল হবে, কাদায় কর্দমাক্ত হবে কিন্তু কখনোই পরাজয়ের গ্লানি মুছবে না।”

আমরা কখনোই হারবো না, আমরা জিতবোই 🖤

গত বছর ঠিক এই সময় পোস্টে করেছিলাম এটা, এখন অবধি পেইজের সর্বোচ্চ রিচ পাওয়া পোস্ট। সেদিন রাতে হল ছেড়েছিলাম, এক বন্ধুর বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। নেটের অবস্থা ছিলো যখন জঘন্য, আতঙ্ক-আশঙ্কায় জঘন্য রাত কেটেছিলো ভাবতেই অবাক লাগে এখন। সবশেষে, জেতার আনন্দ এসেছিলো - যত কষ্ট হয়েছিলো সেগুলো পরিপূর্ণতা পাওয়ার পর স্বার্থক মনে হয়েছে।

Thank u Lucas 🥹
16/07/2025

Thank u Lucas 🥹

Joao Pedro since joining Chelsea-
13/07/2025

Joao Pedro since joining Chelsea-

নক্ষত্রেরা আলো দেয়, আলোকিত করে। ফুটবলের এমন এক নক্ষত্রের উত্থান ঘটেছিলো ব্রাজিলে । তবে সেটা খুব সীমিত সময়ের জন্য।  ইঞ্জু...
11/07/2025

নক্ষত্রেরা আলো দেয়, আলোকিত করে। ফুটবলের এমন এক নক্ষত্রের উত্থান ঘটেছিলো ব্রাজিলে । তবে সেটা খুব সীমিত সময়ের জন্য। ইঞ্জুরি নামক কালো মেঘ সে নক্ষত্রের আলো থেকে বঞ্চিত করেছে পুরো ফুটবল বিশ্বকে। নক্ষত্র আজ হারিয়ে গেছে, এই পৃথিবীর মানুষ তাকে ভুলতে বসেছে।

তার ছোট্ট ক্যারিয়ার ট্রফিতে পরিপূর্ণ তবুও তার গল্পটা ভীষণ হতাশার। তার প্রতিভা নিয়ে প্রশ্ন করার জায়গা ছিলো না। তবুও তিনি নিজেকে ভালোভাবে মেলে ধরতে পারেন নি।

২০১৪ সালের বিশ্বকাপ, আপনার নিশ্চয় মনে আছে তার কান্নারত চোখ। ডেভিড লুইজের বুকে টেনে দেওয়া শান্তনা। ঐ বিশ্বকাপে তিনি দেখিয়েছিলেন ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কাকে বলে। উরুগুয়েকে বিদায় করেছিলেন, ব্রাজিলকেও তো তারা পরীক্ষাই ফেলেছিলো। জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট, জিতেছেন সেরা গোলের পুরষ্কার। তার করা সেরা গোলটা আজও মানুষকে বিস্মিত করে। উরুগুয়ের সেই পাঁচ খেলোয়াড় যারা তাকে ঘিরে রেখেছিলো তারা নিশ্চিত এখনো ভাবে কিভাবে সে গোল করলো? গোলটার জন্য তিনি পরবর্তীতে জিতেছিলেন পুসকাস।

বিশ্বকাপের ঠিক ২৪ দিন পর সে যোগ দিলো রিয়াল মাদ্রিদে। যেখানে প্রথমের দিকে ভালো করলেও একসময় গিয়ে বাসা বাঁধলো ইঞ্জুরি। জিদানের দলে তার ভূমিকা গেলো হারিয়ে। দলীয় শিরোপা তো জিতলেন, ব্যক্তিগত হলো না কিছুই। ২০১৭ সালে তাকে পাঠানো হলো লোনে, পুরানো কোচের অধীনে। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে যেদিন তার দল হারলো ইংল্যান্ডের কাছে সেদিন বেঞ্চে বসে ছিলেন। ইঞ্জুরির ভয়াল থাবা তাকে পেনাল্টি শুটআউটের দর্শক বানিয়ে রেখেছিলো।

এরপর এভারটনে যোগ দিয়ে মৌসুমের শুরুর দিকে বেশ ভালো করলেন। সবাই ধারণা করলো এই বুঝি ফিরলেন তিনি। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তিনি আবার হারিয়ে গেলেন। পরের বছরই তিনি পাড়ি জমালেন সৌদি আরবে। এরপরের বছর গ্রীসে, এখন ব্রাজিলের সাও পাওলোতে বসান তার জাদুর আসর।

বিশ্বকাপের সেরা গোল, গোল্ডেন বুট জেতা থেকে রিয়াল মাদ্রিদের নম্বর টেন এরপর বায়ার্ন মিউনিখ। তারপর হেরে যাওয়া, পিছিয়ে পড়া। নিয়তির কাছে হেরে হামেস রদ্রিগেজ আজো নিজেকে খুঁজে পায় নি। যদিও চলতি কোপা আমেরিকায় করছেন দারুন তবুও তার প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ কখনোই হয়ে উঠে নি। অথচ তিনি হতে পারতেন এই সময়ের সেরাদের একজন..

শুভ জন্মদিন অভাগা রাজপুত্তুর 🖤

প্যারিসের ঘড়ির কাঁটায় তখন ম্যাচের ৫৮তম মিনিট। নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে একটু আকিঁবুকিঁ করলেন ক্রোয়াট ম্যাজিশিয়ান লুকা মদ্রিচ...
11/07/2025

প্যারিসের ঘড়ির কাঁটায় তখন ম্যাচের ৫৮তম মিনিট। নিজেদের অর্ধে বল পেয়ে একটু আকিঁবুকিঁ করলেন ক্রোয়াট ম্যাজিশিয়ান লুকা মদ্রিচ। এরপর তিনি তিনজন লিভারপুল খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে সোজা বল ছাড়লেন কার্ভাহালের উদ্দেশ্যে, স্প্যানিশ রাইটব্যাক হালকা ডান বামে তাকিয়ে বল দিলেন সেন্টার লাইনের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রাজিলিয়ান ট্যাংক ক্যাসেমিরোর পায়ে। রাইট ফ্লাংকের একদম লাইন ঘেঁষে বলের জন্য অপেক্ষা করা উরুগুয়াইন মিডফিল্ডার ভালভার্দের উপর চোখ পড়লো তার, এক মুহুর্ত চিন্তা না করেই বল বাড়ালেন তার উদ্দেশ্যে। বল পায়ে আসতেই লাগালেন ছুট, ডিবক্সের কাছে গিয়ে এক সেকেন্ড বা তার কম সময় থামলেন তারপর সজোরে বলে কিক করলেন। বল ফাঁকি দিলো একে একে ভার্জিল ভ্যান ডাইক আলেক্সান্ডার আর্নল্ডকে, স্ব-মহিমায় খুঁজে নিলো এক ব্রাজিলিয়ান বিজয়ীকে। যার আলতো পায়ের ছোঁয়ায় বল জড়িয়ে গেলো জালে। লিভারপুল গোলকিপার অ্যালিসন বেকার স্বদেশী তরুনের শট ঠেকানোর যে চেষ্টা করলেন সেটা ব্যর্থতায় পরিণত হলো।

সেদিন সেই তরুনের একমাত্র গোলে রেকর্ড ১৪ তম বারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট পড়েছিলো স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। সিজনের লীগ শিরোপা ঘরে তুলতেও ছেলেটার অবদান ছিলো অনেক বেশী। এক সিজনেই ছেলেটা বনে গেলো দলটার নায়ক! কিন্তু ক'দিন আগেও যে ছেলেটা ছিলো ভিলেন।

ফুটবল খেলার শুরু বাবার হাত ধরে। তার বাবা ৬ বছর বয়সে তাকে ভর্তি করে দেন ব্রাজিলের স্বনামধন্য ক্লাব ফ্লামেংগোর একটা শাখায়। সেখানে নিজেকে প্রস্তুত করে থাকেন, প্রাথমিকভাবে তাকে রেজিস্টার করা হয় একজন লেফটব্যাক হিসেবে । ৯ বছর বয়সে ক্যারিয়ার ফুটসালের দিকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও ছোট্ট ছেলেটা ফুটবলেই ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলো। অপেক্ষা করতে তার আপত্তি ছিলো না। ২০১৭ সালে ১৬ বছর বয়সে অভিষেক হয় প্রফেশনাল খেলোয়াড় হিসেবে, মাত্র ৮ মিনিট খেলার সুযোগ পান ফ্লামেংগোর জার্সি গায়ে। সেবছরেই তাকে কিনে নেয় স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ।

রিয়াল মাদ্রিদ যখন তাকে ৪৬ মিলিয়ন ইউরো বিনিময়ে কিনেছিলো তখন সবাই কটাক্ষ করেছে,সমালোচনা করেছে। অপরীক্ষিত একটা বাচ্চার পিছনে এত টাকা খরচ করা কেনো? প্রথম তিন সিজন নিন্দুকেরা হেসেছে, তাদের জয়জয়কার চলেছিলো। ছেলেটা যে তখন ভীষণরকম ব্যর্থ। হওয়াটা তো স্বাভাবিকই ছিলো, বয়স তো তখনো তার ২০ এর কোটায়!

মিস পাস, দূর্বল ও অতিরিক্ত ড্রিবলিং আর গোলমুখে শিশুসুলভ মিসের কারণে কতবার যে সমালোচিত হয়েছেন, সামাজিক মাধ্যমে ট্রলের শিকার হয়েছেন তার ইয়াত্তা নেই। তার এসব মিসের কারণে স্বয়ং তার সতীর্থ করিম বেঞ্জেমা ফরাসী লেফটব্যাক ফারল্যান্ড মেন্ডিকে বলেছিলো " তাকে বল দিও না, সে আমাদের বিপক্ষে খেলছে।" কি দুদার্ন্তভাবে ফিরে আসলে পরের সিজনে বেঞ্জেমা বলতে বাধ্য হয়েছে- "তাকে বল দাও সে আমাদের নায়ক।"

রিয়াল মাদ্রিদের লিজেন্ডারি কোচ জিনেদিন জিদানের সময় অনেক সুযোগ পেলেও খুব একটা পরিবর্তন আসে নি তার খেলায়। কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তি এসে ডেভিড কপারফিল্ডের জাদুর কাঠির মতো পুরোপুরি বদলে দিয়েছিলো তাকে। যেখানে আগের তিনসিজনের গোল করেছিলেন মোটে ১৫ টা, সেখানে গত সিজনেই গোল করলেন ২২ টি, করালেন প্রায় আরো ২০ টি। ড্রিবলিং,পাসিং, ফিনিশিং দিয়ে মুগ্ধ করালেন ভক্তদের, সমালোচকদের। এরকম পারফর্মেন্সের পর এবারের ব্যালন ডি অরের সেরা পাঁচ কিংবা ছয়ে জায়গা হবে তার। এবার তো ছাড়িয়ে আগের সব রেকর্ডকে, ব্যালন ডি'অরের দৌড়ে আছেন সবার উপরে। যদিও কোপায় ভালো করতে পারেন নি তবুও ভিনি এই সিজনে ছিলো যেকোন ফুটবলারের থেকে সেরা। ছেলেটা এখন এতোটাই ভালো যে নিন্দুকেরাও এখন প্রশংসা করে তার! ছেলেটা প্রমাণ করে ছেড়েছে, এভাবেও ফিরে আসা যায়।

রিও ডি জেনেরিওর সাও গোসালোর ছেলে ভিনিসিয়াস জুনিয়র ব্যর্থতার সমুদ্রে ডুবতে ডুবতে সফলতার ছোট্ট এক দ্বীপে এসে পৌঁছাতে পেরেছেন। তাকে আবার পাড়ি দিতে হবে সেই উত্তাল সমুদ্র, সফলতা নামক তীরের সন্ধান পেতে গেলে লড়াই করতে হবে পাহাড়সম উঁচু ঢেউয়ের সাথে। শক্তি, সার্মথ্য, প্রতিভা সবই আছে তার। কাজে লাগাতে পারলেই হতে পারবেন বিশ্বসেরাদের একজন।

২৫ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা ভিনিসিয়াস জুনিয়র 🖤

[ তিন বছরের আগের লেখা, আংশিক সংযোজিত]

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Run With Tamim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Run With Tamim:

Share