15/09/2025
২০১০ বিশ্বকাপের আগে আমি, মেসি আর আরও কয়েকজন প্লেয়ার একটি পানীয় কোম্পানির বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলাম। তখন মেসি আফ্রিকার জঙ্গলের এক প্রত্যন্ত গ্রামের কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা করল, তাদের সঙ্গে ফুটবল খেলল। কিন্তু শেষে সে খুব সিরিয়াস ভঙ্গিতে আমাকে বলল, ‘দিদিয়ের, তুমি কি দেখছো? আমরা মিলিয়ন ইউরো উপার্জন করছি আর এরা দূষিত পানি খাচ্ছে।’
পরের দিন আমি কোম্পানির পরিচালকের কাছ থেকে শুনলাম যে মেসি তার সেই বিজ্ঞাপনের সব টাকা গ্রামের জন্য কূপ খনন, একটি ভালো হাসপাতাল, স্কুল, খেলার মাঠ ও আরও অনেক কিছু নির্মাণে দান করেছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো—সে জোর দিয়ে বলেছিল যেন তার নাম কোথাও উল্লেখ না করা হয়।
ছয় মাস পর, মেসি একজন ডাক্তার, একজন হিসাবরক্ষক আর একজন প্রকৌশলীকে সেই গ্রামে পাঠিয়েছিল, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে টাকা আসল মালিকদের কাছে পৌঁছেছে এবং প্রকল্পগুলো সত্যিই তৈরি হয়েছে কিনা!
আজও আমার মনে গেঁথে থাকে সেই কথাটা, আফ্রিকা থেকে ফেরার সময় আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এত গোপনীয়তার কারণ কী?’ সে এমন এক উত্তর দিল যা আমি কখনও ভুলতে পারব না: 'কারণ আফ্রিকার বিজ্ঞাপন নয়, সাহায্যের প্রয়োজন। আর সাহায্যের প্রমাণের প্রয়োজন হয় না।’
মেসির সবচেয়ে বড় গোলগুলো গোলপোস্টে নয়, বরং সেইসব মানুষের হৃদয়ে হয়েছে যারা ফুটবল চেনে না! আর যারা ফুটবল চেনে, তারা জানে যে মেসিই ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়।”
____ দ্রিদিয়ের দ্রগবা
©