15/05/2025
আমি কখনো কল্পনাও করিনি, জীবনে এমন একটা জঘন্য পরিস্থিতির সম্মুখীন হবো। ৬ বছরের প্রেমের সম্পর্ককে পূর্ণতা দিয়ে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। আমাদের ভালোবাসার কোনো ঘাটতি ছিল না। বর্তমানে আমাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু মর্মান্তিকভাবে জানতে পারলাম, দ্বিতীয় সন্তানটি আমার নয়।
ঘটনার শুরু: আমি খেয়াল করি, আমাদের দ্বিতীয় সন্তানটির গলায় একটি তিল আছে.. ঠিক সেইম তিল একই জায়গায়, যেটা তার এক কাজিনেরও আছে। প্রথমে বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিলাম, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আচরণ সন্দেহজনক হয়ে ওঠে। চুপি চুপি হাসাহাসি, অস্বাভাবিক চোখাচোখি। গেল ঈদের রাতে সেই কাজিন আমাদের বাড়িতে আসলে তাদের কিছু আচরণ আমার সন্দেহ আরও গাঢ় করে তোলে।
আমি আর চুপ থাকিনি। এর পরের দিনই গোপনে এমনই বাইরে যাওয়ার নাম করে বাচ্চাটাকে নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ডিএনএ টেস্ট করাই টাকা দিয়ে। রিপোর্ট পেতে ৭,৮ লাগে। ৭,৮ দিন পর রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আমার মাথার ওপর যেন আকাশ ভেঙে পড়ে,, ওটা আসলেই আমার সন্তান নয়।
আমি বাড়ি ফিরেই আমার বউয়ের মুখোমুখি হই। প্রথমে অস্বীকার করে, আমি মানসিক ভাবে পাগল হয়ে গেছি বলে দাবি করে। কিন্তু যখন ডিএনএ রিপোর্ট তার হাতে তুলে দিই, তখন সে কান্নায় ভেঙে পড়ে, আমার পায়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে এবং অবশেষে স্বীকার করে-
তার চাচাতো বোনের বিয়েতে গিয়ে, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে নাকি ছাদে তার সেই তার কাজিনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়ে যায়। আমি তখন চাকরিসূত্রে এলাকায় ছিলাম না, ছুটি পাইনি, তাই তাদের বিয়েতে যেতেও পারিনি। আর সেই ভুলের ফলেই আজ আমার কাঁধে এমন সন্তানের দায়িত্ব, যে আমার রক্তের না।
এই ঘটনায় পর- আমি তাকে মা*র*ধ*র বা গা°লা°গা°লি কোনো কিছুই করিনি, শুধু আমার চোখের সামনে থেকে চলে যেতে বলি। বলেছিলাম তোমাকে আমি আর এক মূহুর্তের জন্যও দেখতে চাই না, বলেই ওর বাসায় পাঠিয়ে দিই। বলে দিয়েছি সময় মতো ডির্ভোস লেটার পাঠিয়ে দিবো। আমি ডিভোর্সের আবেদন করেছিও। তাকেও জানিয়ে দিয়েছি যে তিন মাসের মধ্যে ডির্ভোস লেটার পাঠিয়ে দেব।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে- এখন সে এখন প্রতিনিয়ত আ°ত্ম°হ°ত্যা°র হুমকি দিচ্ছে। কিছুদিন আগেও এক পাতা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আ°ত্ম°হ°ত্যা°র চেষ্টা করেছে এবং বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি।
কী এক জঘন্য ঝামেলায় পড়লাম
আমি এখন প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।
এইরকম জঘন্য অভিজ্ঞতা যেন আমার শত্রুর সাথেও না ঘটে।
লেখা- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক 🙂