30/04/2023
আমি মায়া।
আমার বয়স ২৩,আমি বিবাহিত।আমার একটা মেয়ে বাচ্চা আছে,বর্তমানে তার বয়স তিন বছর।আমার স্বামী একজন ব্যবসায়ী,তার আর আমার বয়স এর পার্থক্য প্রায় ১৩ থেকে ১৪ বছর।
তো বয়স এর পার্থক্য বেশি হওয়ায় প্রথম থেকেই আমাদের মধ্যে কোনো সুসম্পর্ক ছিল নাহ,যদিও আমি অনেক বার চেষ্টা করেছি আমার স্বামী'কে নিজের মতো করে নেয়ার।
সে লেখাপড়া জানেন নাহ কিছুই শুধু নিজের নাম লিখতে পারে,আর আমি বিয়ের সময় ইন্টার ফাইনালে পড়ছিলাম।
আমার বাবা নিজের পছন্দ মতো আমাকে বিয়ে দেন,কিন্তু আসলে কি দেখে পছন্দ হয়েছিলো তাকে,আমি সেটা জানি নাহ আজ অব্দি। বিয়ের সময় আমি অনেকটা ছোট ছিলাম,বয়স ছিলো কম,তাই বিয়ে জিনিস টা ততটা বুঝার আগে আমাকে আমার বাবা বিয়ে দিয়ে দেয়।বাবার মান-সম্মান নিয়ে বুঝানো হয়েছিলো আমাকে,তাই কখনো ডিভোর্সের দিকে আগাইনি।কিন্তু দিন দিন এমন বাজে অবস্থা হয়েছে তাও সম্পর্কটা ঠিক হওয়ার আশায় ছিলাম,কিন্তু আমার স্বামীর মধ্যে একটুও পরিবর্তন নেই।
সে অনেক রাত বাইরে থাকে,কার্ড খেলে,জুয়া খেলে,জুয়ায় টাকা পয়সা হেরে বাসায় এসে অশান্তি করে।
এভাবে আমার মেয়েটা দুনিয়া তে আসে,তখন আমি খুব একাকি অনুভব করতাম,স্বামীও সময় দিতো নাহ।
হটাৎ একদিন অনলাইনে একটা ছেলের সাথে আমার আলাপ হয়,কথা বার্তা চলে এভাবে কিছুদিন চলে,কিন্তু আমার তাকে এত ভালো লাগে যে তাকে বলা হয়ে ওঠেনি আমার বিয়ে বা বাচ্চার ব্যাপারে তারপর একমাস পরে আমি বুঝতে পারি যে তাকে সব নাহ বললে তাকে ঠকানো হচ্ছে।
পরে আমি তাকে সব খুলে বলি,ছেলেটা তখন অনার্স এর ছাত্র,বাবার সাথে টুকটাক নিজেদের ব্যাবসা দেখা শুনা করতো।
সে সব শুনে বলে আমি তোমাকে ভালোবাসি,মানে ভালোবাসি আর কিছু জানিনা,আমিও আবেগপ্রবণ হয়ে তাকে নিয়ে নতুন করে সপ্ন দেখা শুরু করি,সে আমার মেয়ের অনেক খেয়াল রাখে,তখন ওর বয়স মাত্র ৪ মাস।
তারপর থেকে এভাবেই চলে আসছে আমাদের মধ্যে সম্পর্ক এমন যেনো সে আমি,আমি সে।
আমি তাকে খুব ভালোবাসি আর সে আমাকে,কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমার মেয়েটা বড়ো হয়ে গেছে।আর সে তার বাবার একমাত্র ছেলে।তাই আমি চাইনা আমার জন্যে তার কিছু সমস্যা হোক।তাই সবকিছু অনেকবার শুধরে নিতে চেয়েছি কিন্তু দিনশেষে পারিনি।আবার মিলে গেছি,বর্তমানে আমার স্বামী ও আমার পরিবার সব জেনে গেছে ।
আমি তাকে ছাড়তেও পারছিনা কারণ আমরা দুইজনেই দুজন এর জন্যে খুব পাগল,আর সংসার থেকে যেতে পারি না মেয়েটার কথা ভেবে।আর হ্যাঁ প্রায় আড়াই বছর এ আমরা কোনোদিন দেখা করিনি,এটা হয়তো পরকীয়া কিন্তু কোনো নিচু মানসিকতা আমাদের নেই।
সংগৃহীত।
বর্তমানে সামাজিকতা রক্ষার কথা ভাবার আগে সন্তানের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া অত্যান্ত জরুরি।
তাতে পরকীয়া নামক শব্দটা থেকে কিছুটাও হলে মুক্তি পাওয়া যাবে।☺️