মাদ্রাসা উলূমি দীনিয়া মালওয়ালী মসজিদ

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • মাদ্রাসা উলূমি দীনিয়া মালওয়ালী মসজিদ

মাদ্রাসা উলূমি দীনিয়া মালওয়ালী মসজিদ এই পেইজ শুধুমাত্র উলামায়ে কেরামের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হয়ে থাকে।

তাঁর বড় হওয়ার গোপন রহস‌্যমানু‌ষের বড় হওয়ার পেছ‌নে অনেক রহস‌্য থা‌কে, যেভা‌বে পি‌ছি‌য়ে থাকার পেছ‌নেও কো‌নো কারণ থা‌কে।...
31/07/2025

তাঁর বড় হওয়ার গোপন রহস‌্য

মানু‌ষের বড় হওয়ার পেছ‌নে অনেক রহস‌্য থা‌কে, যেভা‌বে পি‌ছি‌য়ে থাকার পেছ‌নেও কো‌নো কারণ থা‌কে। আল্লাহ অকার‌ণে কো‌নো কিছু ক‌রেন না। না তি‌নি কারও প্রতি কো‌নো প্রকার জুলম ক‌রেন।
আমা‌দের মান‌্যবর মাওলানা আবদুল মা‌লেক সাহেব হা‌ফিঃ-এর ক্রম‌প্রকাশ ও উত্ত‌রোত্তর উন্ন‌তির পেছ‌নেও কো‌নো রহস‌্য আছে। হুযুর‌কে কাছ থে‌কে দেখে ও দূর থে‌কে বু‌ঝে আমার কা‌ছে এপেছ‌নে যেকারণগু‌লি ধরা প‌ড়ে‌ছে তা হ‌লো ৫‌টি :

১। গভীর ইলম ও ফিকহ।
তাঁর খাস উসতায মাওলানা আবদুর রশীদ নুমানী (রাহঃ) ব‌লে‌ছেন, আমার ৪২ বছ‌রের শিক্ষকজীবনে আবদুল মা‌লে‌কের মত এরকম মেধাবী ও আদবী ছাত্র আর দে‌খি‌নি।
তাঁর হাদী‌সের মুশ‌রিফ উস্তায শাইখ আবদুল ফাত্তাহ (রাহঃ) ব‌লে‌ছেন, আবদুল মা‌লেক আমার কা‌ছে যা শি‌খে‌ছে, আমি তার কাছ থে‌কে এর চে‌য়ে বে‌শি শি‌খে‌ছি।

২। আদব ও ইহ‌তিরাম : স্বীয় আসা‌তিযা ও যু‌গের আকা‌বির‌দের প্রতি তাযীম তাকরী‌মে তাঁর দৃষ্টান্ত বিরল।

৩। তাকওয়া ও যুহদ : আল্লাহর ভয় ও দু‌নিয়া‌বিমু‌খিতা, গুনাহপ‌রিহার, নি‌র্লোভ মানুষ তার মত কমই আছেন!

৪। বিনয় ও তাওয়াযু : বড় মানু‌ষের সাম‌নে তাওয়াযুও আমরা যথাযথ প্রকাশ কর‌তে পা‌রিনা। কিন্তু তি‌নি ছোট থে‌কে মানুষের সাম‌নে বিন‌য়ের ডানা বি‌ছি‌য়ে দেন।

৫। বিররুল ওয়া‌লিদাইন তথা মা-বাবার সা‌থে সদাচরণ এবং তাঁ‌দের মাকবুল দুআ। বাবা তাঁর গত হ‌য়ে‌ছেন দুআ কর‌তে কর‌তে। মুহতারামা আম্মাজান এখ‌নো জী‌বিত আছেন, যি‌নি সবসময় দুআ কর‌ছেন।
মা-বাবার প্রতি এমন সদাচা‌রি সন্তান তাঁর মত খুব কমই আছে। এখ‌নো শত ব‌্যস্ততার ম‌ধ্যেও মা‌য়ের খোঁজখবর নি‌বেন। বাসায় থাক‌লে সরাস‌রি তার সাম‌নে অনুুগত শিশুর মত পেশ হ‌বেন। দূ‌রে থাক‌লে ফোন ক‌রে সংবাদ নি‌বেন নিয়‌মিত।
আর তাঁর মা- তি‌নি তো যু‌গের রা‌বেয়া বসরী এবং শ্রেষ্ঠ রমনী‌দের একজন। তি‌নি মুস্তাজাকাতুদ দাওয়াহ হিসা‌বে আপন মহ‌লে প‌রি‌চিত। সন্তান‌দের ওপর তাঁর দুআর সুফলই সব‌চে বে‌শি কার্যকর ম‌নে ক‌রি।
এই পাঁচ‌টি গুণ এমন, যার সাথে দু‌নিয়া আখেরা‌তে সফলতা, ইজ্জত সম্মান সবই জ‌ড়িত, যা ক‌ুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমা‌ণিত। হযরতুল উসতায আল্লাহর তাওফী‌কে তার সবগু‌লোই লা‌ভে সক্ষম হ‌য়ে‌ছেন।

যা-ুলকা ফাযলুল্লা‌হি ইউতি‌হি মাইঁয়াশা-

09/07/2025

মাওলানা আবদুল মা‌লেক সাহেব হা‌ফিঃ
ইলমি দুনিয়ায় আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক

বাংলাদেশের হাতেগোনা যে কজন আলেম বিশ্ব পরিমণ্ডলে পরিচিত, তাদের একজন মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক হা‌ফিঃ। জ্ঞান ও গবেষণায় তিনি সমকালীন আলেমদের মধ্যে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আলেম-উলামার কাছে তিনি আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক। ফিকাহ ও ইলমে হাদিসে তার পাণ্ডিত্যের কথা দেশ-বিদেশে স্বীকৃত। তার যেকোনো মত ও গবেষণাকে সবাই সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করে থাকেন। লিখেছেন জহির উদ্দিন বাবর

জ্ঞান, গবেষণা ও পাণ্ডিত্যে দেশের আলেম সমাজের কাছে ব্যাপক পরিচিত নাম মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক। তার ইলমি (জ্ঞানের) গভীরতার কথা সবাই একবাক্যে স্বীকার করেন। ইসলামি জ্ঞানের এক সমৃদ্ধ ভাণ্ডার মনে করা হয় তাকে। এজন্য যেকোনো বিরোধপূর্ণ সমস্যার সমাধানে সবার দৃষ্টি থাকে তার ওপর। বর্তমান সময়ে মাসয়ালা-মাসায়েল ও ফতোয়ার ক্ষেত্রে কোথাও কোনো বিতর্ক দেখা দিলে সবাই তার শরণাপন্ন হন। বিশেষ করে ফিকাহ (ইসলামি আইন) ও হাদিসশাস্ত্রে তার গবেষণার ব্যাপ্তি শুধু দেশে নয়, উপমহাদেশসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বীকৃত। মুসলিম বিশ্বের শীর্ষ আলেমদের কাছে ইলমি ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশে ইলমিবিষয়ক সভা-সেমিনারে প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন মাওলানা আব্দুল মালেক। গতানুগতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে তিনি নিজেকে পুরোপুরি সঁপে দিয়েছেন জ্ঞান ও গবেষণার জগতে। ইলমের জন্য তিনি নিজের পুরো জীবনই ওয়াকফ করে দিয়েছেন। ইলমকে কেন্দ্র করেই তার পুরো ধ্যান-জ্ঞান। নিভৃতচারী এই মনীষী ইতিমধ্যে দেশের আলেম-উলামা ও দ্বীনদার শ্রেণির কাছে আলোর মিনার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন।

মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক ১৯৬৯ সালের ২৯ আগস্ট কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সরসপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। বাবা মাওলানা শামসুল হক (রাহঃ) ছিলেন ওই অঞ্চলের খ্যাতিমান আলেম। তার ভাইয়েরা সবাই যোগ্য এবং তাদের নানামুখী খেদমত রয়েছে। পরিবারে কোরআন মাজিদ ও প্রাথমিক শিক্ষালাভের পর তিনি চাঁদপুরের শাহরাস্তির খেড়িহর কওমি মাদ্রাসায় মিশকাত জামাত পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৮৮ সালে মাওলানা আব্দুল মালেক পাকিস্তানের বিখ্যাত জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ায় দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ওই মাদ্রাসার উচ্চতর হাদিস বিভাগে ভর্তি হয়ে তিন বছর বিখ্যাত আলেম মাওলানা আব্দুর রশীদ নোমানী (রাহঃ)-এর তত্ত্বাবধানে হাদিস অধ্যয়ন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি দারুল উলুম করাচিতে ভর্তি হয়ে মুসলিম বিশ্বের খ্যাতিমান স্কলার মুফতি তাকি উসমানির তত্ত্বাবধানে দুই বছর উচ্চতর ফিকাহ ও ফতোয়া বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে আরব বিশ্বের সুপরিচিত আলেম শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর তত্ত্বাবধানে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত কাটান। প্রায় আড়াই বছর হাদিসশাস্ত্রসহ অন্যান্য গবেষণামূলক কাজের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।

দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে তিনি এবং তার বড় ভাই মাওলানা আবুল হাসান আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন আলেম ঢাকায় উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসচিব ও উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগের প্রধান। মূলত তাকে কেন্দ্র করেই পরিচিতি পেয়েছে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানটি। রাজধানীর পল্লবী ও কেরানীগঞ্জের হজরতপুরে প্রতিষ্ঠানটির দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান ঘিরেই মাওলানা আব্দুল মালেকের ইলমি গবেষণা পরিচালিত হয়। ইতিমধ্যে তার হাতেগড়া ছাত্ররাও সুযোগ্য হিসেবে গড়ে উঠেছেন, যারা দ্বীনের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

মারকাযুদ দাওয়ার বাইরে মাওলানা আব্দুল মালেক জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া ঢাকার শায়খুল হাদিস ও শান্তিনগরের আজরুন কারিম জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। কওমি মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালে বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন গঠিত হলে তিনি এর সদস্য মনোনীত হন। ২০১৯ সালে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদ দেখা উপকমিটির প্রধান মনোনীত হন। এ ছাড়া আলেমদের সম্মিলিত বিভিন্ন কাজে তিনি যুক্ত আছেন।

মাওলানা আব্দুল মালেক ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় মুফতি বোর্ড গঠিত হয়। তিনি ১৬ সদস্য বিশিষ্ট এই বোর্ডের সদস্য সচিব মনোনীত হন।

মাওলানা আব্দুল মালেক ২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব নিযুক্ত হন।

২০০৫ সালে মাওলানা আব্দুল মালেকের তত্ত্বাবধানে মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার মুখপত্র হিসেবে মাসিক আলকাউসার প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকায় হাদিসশাস্ত্রের নব-উদ্ভাবিত বিভ্রান্তির নিরসনমূলক রচনাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখা প্রকাশিত হয়ে আসছে। পত্রিকার প্রতিটি সংখ্যাতেই তার একাধিক গবেষণামূলক মূল্যবান লেখা থাকে, যার জন্য পাঠক অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন। তার এসব লেখার সংকলনও এ দেশের দ্বীনদার মুসলমানদের সঠিক দ্বীনের ওপর চলার সহায়িকা হিসেবে কাজ করছে।

মাওলানা আব্দুল মালেকের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে তালিবুল ইলমের পথ ও পাথেয়; উম্মাহর ঐক্য : পথ ও পন্থা; প্রচলিত ভুল; হাদিস ও সুন্নায় নামাজের পদ্ধতি; তারাবির রাকাতসংখ্যা ও ঈদের নামাজ; ইমান সবার আগে; তাছাউফ ও তত্ত্ববিশ্লেষণ; প্রচলিত জাল হাদিস; তাবলিগ জামাত : বর্তমান পরিস্থিতি ও উত্তরণের উপায়, দুই খণ্ডের প্রবন্ধ সমগ্র। আরবি গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে আল-মাদখাল ইলা উলুমিল হাদিসিশ শরিফ; আল-ওয়াজিজ ফি শাইয়ি মিন মুসত্বলাহিল হাদিসিশ শরিফ; মুহাদিরাত ফি উলুমিল হাদিস; ইনায়াতুর রহমান ফি আদাদি আয় আল-কোরআন; তাওতিদ আল উখওয়াত আল ইমানিয়াত ইত্যাদি। তার লিখিত কিতাব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশ্ববিদ্যালয় মানের প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যভুক্ত। এ ছাড়া তার সম্পাদনা ও তত্ত্বাবধানে বেশ কিছু বই ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রকাশের পথে রয়েছে আরও অনেক বই।

মাওলানা আব্দুল মালেকের ব্যক্তিত্বের উচ্চতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় সমকালীন কিছু আলেমের উক্তি দ্বারা। মদিনা মুনাওয়ারার বিখ্যাত মুহাদ্দিস শায়খ আওয়ামা মাওলানা আব্দুল মালেককে ‘মুহাক্কিক আলেম’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রশীদ নোমানী (রাহঃ) তাকে ফিকাহ পড়ার জন্য যখন মুফতি তাকি উসমানির হাতে তুলে দেন তখন এক পত্রে লেখেন ‘এই তালিবে ইলম কী পরিমাণ যোগ্যতাসম্পন্ন, কত গভীর ইলমের অধিকারী, তাকে পড়ালেই তা বুঝতে পারবেন।’ আরব বিশ্বের সমাদৃত মুহাদ্দিস শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ (রাহঃ) তার সম্পর্কে বলেন, ‘তিনি দাবি করেন, আমার কাছ থেকে তিনি উপকৃত হয়েছেন। অথচ আমি দেখি তার থেকে আমিই অনেক উপকৃত হয়েছি। সে তার অনেক উস্তাদের থেকেও এগিয়ে যাবে। সেই উস্তাদদের মধ্যে আমি হব প্রথমজন।’

দারুল উলুম দেওবন্দের মাওলানা সাঈদ আহমদ পালনপুরী (রাহঃ) তার কিতাব ‘আল-মাদখাল’ সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, ‘আল্লাহর বিশেষ তওফিকপ্রাপ্ত ও ইলমব্যস্ত এই উস্তাদ ও শায়খের কিতাব আমাকে বিমোহিত ও বিস্মিত করে দিয়েছে।’ দেশের সমকালীন আলেমদের প্রায় সবাই তার গুণমুগ্ধ। তার ইলমি অবস্থানের স্বীকৃতি দিয়েছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রাহঃ), আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (রাহঃ)-এর মতো সমকালীন শীর্ষ আলেমরা। তাকে বাংলাদেশের গর্ব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তারা।

ইলমি পরিবারের সন্তান মাওলানা আব্দুল মালেক ছোটবেলা থেকেই প্রখর মেধার অধিকারী। পড়াশোনায় গভীর মনোযোগ তখন থেকেই। তিনি কিতাব পড়ায় নিমগ্ন হলে নাওয়া-খাওয়া ভুলে যেতেন ছাত্রজীবনে। পড়াশোনার বাইরে তার আর কোনো কাজ ছিল না। এখনো সেই অভ্যাসটি ধরে রেখেছেন সযতনে। দিন-রাতের বেশিরভাগ সময় পড়াশোনাতেই ব্যস্ত থাকেন। হাজার হাজার কিতাবের মধ্যে তার বসবাস। প্রাচীন ও আধুনিক হাজারো কিতাব তার নখদর্পণে। ইলমের সাগরে ডুবে থাকতেই তিনি পছন্দ করেন। বেশিরভাগ সময় কাটে কেরানীগঞ্জের ছায়ানিবিড় নিভৃত গ্রাম হজরতপুরে মারকাযুদ দাওয়াহর ক্যাম্পাসে। সময়ের মূল্যায়নের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত সচেতন। ঘড়ির কাঁটা ধরে চলেন তিনি। ছাত্রদেরও তিনি সেই শিক্ষাই দেন। সারা দেশের নির্বাচিত ছাত্ররা তার কাছে পড়াশোনার সুযোগ পান। তাদের তিনি সেভাবেই গড়ে তোলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, সজ্জন, অমায়িক ও সাদাসিধে প্রকৃতির। দ্বীন ও নীতি-আদর্শের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেন না। নিয়মের খেলাপ কিছু পছন্দ করেন না।

আপাদমস্তক একজন ইলমি মানুষের প্রতিকৃতি মাওলানা আব্দুল মালেক। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উচ্চতর গবেষণায় বাংলাদেশে তিনি এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছেন। পরবর্তী সময়ে তাকে অনুসরণ করে অনেকেই নতুন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সময়ের বাস্তবতায় যোগ্য আলেম তৈরির মিশনে তিনি সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন। শুধু ইসলামি অঙ্গনই নয়, তিনি বাংলাদেশের জন্য বড় সম্পদ। ইলমি দুনিয়ায় অনেকে তাকে দিয়ে বাংলাদেশকে চিনে। তার খেদমতের ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে দেশের এই সুনাম উত্তরোত্তর বাড়তেই থাকবে।

03/07/2025

দ্বীনে ফেরা তরুণ-তরুণীদের জন্য ধ্বংসাত্মক বিষয় হলো তার নিজের ঘরে বেদ্বীনী পরিবেশ। অনেককেই দেখেছি ঘরে দ্বীনী পরিবেশ না থাকার কারণে আস্তে আস্তে দ্বীন থেকেই দূরে সরে গিয়েছে। বাইরে দ্বীনের ওপর চললেও নিজের ঘরে পরিবেশ না থাকায় পর্দার বিধান মানতে পারছে না, অন্যান্য বিধানও ঠিকমতো আদায় করতে পারছে না। এই সমস্যাটা ব্যাপক। তাই পরিপূর্ণ দ্বীনের ওপর অটল থাকা ব্যক্তির পরিমাণও কম।

এ জন্য জরুরি হলো, ঘরে দ্বীনী পরিবেশ কায়েমের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। তা'লিম চালু করা। পরিবারের বেদ্বীনী পরিবেশ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা। ফ্যামিলি প্রোগ্রামে অনেকেই পর্দার বালাই রাখেন না। নিজের কাজিনদের সাথে পর্দা করেন না। এগুলোও দ্বীন থেকে দূরে সরার কারণ।

ঘরে তা'লিম কীভাবে চালু করবোঃ

ঘরে দ্বীনী পরিবেশ কায়েমের জন্য তা'লিম চালু করা সবচেয়ে কার্যকরী পন্থা। অসংখ্য কারগুজারি রয়েছে এ ব্যাপারে। তা'লিম চালু করার জন্য জরুরি হলো, কোনো আলেমের সাথে পরামর্শ করা। তাঁর কাছে ঘরের পরিবেশ ও সবার মনের অবস্থা বিস্তারিত আকারে বলা। এতে তিনি পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে পরামর্শ দিতে পারবেন ইনশা আল্লাহ।

কিতাব নির্বাচনঃ

ফাযায়েলে আমাল কিতাবের তা'লিমের কথা আমি জোর দিয়েই বলব। কারণ চোখের সামনে অসংখ্য পরিরবার দেখেছি এই কিতাবের তা'লিমের দ্বারা দ্বীনের পথে ফিরে এসেছেন। কট্টর দ্বীন-বিরোধী পরিবারও পাক্কা ধার্মিক পরিবার হয়ে উঠেছেন। অসংখ্য ব্যক্তির হেদায়াতের মাধ্যম এই মাকবুল গ্রন্থটি।

এই কিতাব ছাড়াও একাকী কিছু কিতাব পড়তে পারেন, রিয়াযুস সালিহীনও হতে পারে এ ক্ষেত্রে উত্তম বাছাই। অন্য বই পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আলেমদের সাথে পরামর্শ করে অন্য বিষয়ের কোনো বইও পড়তে পারেন।

তা'লিমের সময়ঃ

প্রথম দিকে অল্প সময় তা'লিম করতে পারেন। ৫/১০ মিনিটের তা'লিম প্রথম দিকে যথেষ্ট। তবে এটা চালু রাখতে হবে। কষ্ট হলেও নিয়মিত এই কাজ চালু রাখা চাই। এ জন্য এমন সময় নির্ধারণ করতে হবে, যখন ঘরের সবাইকে মোটামুটি একসাথে পাওয়া যাবে। এশার পর হতে পারে উত্তম সময়। প্রথম দিকে কাউকে জোরাজুরি করার দরকার নেই, আপনি নিজেই মাঝের রুমে বসে কিতাব খুলে একটু জোরে পড়া শুরু করে দিলেন। ঘরের সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। আপনার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের কানে কথাগুলো যাবে। এরপর দুয়েকজন করে বসা শুরু করবেন, বা পাশে দাঁড়িয়ে বলবেন, হাদীসটা আবার পড় তো! ভালো লেগেছে কথাটা। এভাবেই দেখবেন একদিন ভরপুর তা'লিমের মজমা কায়েম হবে ইনশা আল্লাহ।

ঘরে তা'লিম করার ফজিলতঃ

১। যে ঘরে নিয়মিত তা'লিম হয়, সে ঘরে-পরিবারের সদস্যদের মধ্যে জোড়-মিল পয়দা হয়;

২। বেশুমার নেকি কামাই হয়;
৩। খারাপ দিক হ্রাস পায়;
৪। অশুভ সবকিছু দূরে থাকে;
৫। বরকত নাজিল হয়;
৬। প্রশান্তি নেমে আসে;
৭। রহমত ঢেকে রাখে;
৮। ফেরেশতাগণ পাহারা দেয়;
৯। আল্লাহপাক ফেরেশতাদের মজলিশে তাঁদের স্মরণ করেন;

১০। গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়;
১১। গুনাহকে নেকি দিয়ে বদলে দেয়া হয়;
১২। ঘরের যাবতীয় সমস্যার সমাধানের ‍মুল আ’মাল;

১৩। ঘর বিপদ-আপদ, ভূমিকম্প এবং মুসিবাত থেকে হেফাজতে থাকে;

১৪। যাবতীয় জরুরত পুরা হবার কারণ;
১৫। ঘরওয়ালাদের আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ)-এর মুহাব্বাত হাসিল হয়;

১৬। তা’লিমের হালকা আসমানওয়ালাদের কাছে এমন পরিচিত, যেমন জমিনওয়ালাদের কাছে আকাশের তারা;

১৭। তা'লিমের হালকার উপর ইস্তিকামাত ঘর থেকে জাদু, বদনজর, হিংসা দূর হয়ে যাওয়ার কারণ;

১৮। আল্লাহর ও তাঁর রাসুল (সাঃ)-এর সন্তুষ্টি লাভের উপায়।

আপনি অন্তত ৬মাস এই কাজ চালু রাখেন, এরপর ফলাফল আপনি নিজেই দেখবেন ইনশা‌ আল্লাহ।

25/06/2025

প্রিয়দের একজন যাকে দেখলে আল্লাহর কথা‌ স্মরণ হয় ।

এটা একান্তই বান্দার ব্যাক্তিগত অভিমত । সবার জন্য প্রযোজ্য নয় ।

আলমী শুরার মুরুব্বি, হজরত মাওলানা রবিউল হক সাহেব হাফিঃ।

রমনা পার্কে ঈদের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্য কাকরাইল মসজিদ থেকে রওয়ানা হয়ে ছিলেন ।
১৭/৬/২০২৪

24/06/2025

তাবলীগের আকাবির মুরুব্বী; হযরত মাওলানা জুবায়েরুল হাসান (রাহঃ) এর দোয়া ।

আল্লাহওয়ালারা বলতেন উনি জামানার কুতুব ছিলেন।

17/06/2025

টঙ্গী আলমী শুরার পুরানো সাথীদের জোড়ে মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা সাহেব হাফিঃহ’র শেষ রাতের বয়ানের সারসংক্ষেপ । ২/১২/২০২৪ ঈসায়ী।

আল্লাহ ﷻ এর হামদ ও সালাতের পরে।

১। দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনত। জান, মাল ও সময় ইত্যাদি আল্লাহ ﷻ ই দিয়েছেন। এই দায়িত্বকে বুঝা ও পুরা করা।

২। দুটি বিষয়-নেয়ামত ও হুকুম।

যাকের-হুকুমের জন্যে যিকিরকারী হও। অর্থাৎ আল্লাহ ﷻ এর হুকুমের সাথে এর সম্পর্ক। যাকেরের বিপরীত হলো গাফলত।

শাকের-নেয়ামতের জন্যে শুকরিয়াকারী হও। অর্থাৎ আল্লাহ ﷻ এর নেয়ামতের সাথে এর সম্পর্ক।
এদুটি বিষয়ই সর্বদা আমাদের উপর আসে।

রাসূল ﷺ একটি দুআ শিখিয়েছেন-

উমর (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলতেন- ❝নিজেকে নেয়ামত থেকে এমনভাবে বাঁচাও, যেভাবে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকো।❞

কারণ যখন মানুষ নেয়ামতে অভ্যস্ত হয়ে যায়, তখন আল্লাহ ﷻ এর যিকির ছুটে যায়। অর্থাৎ গাফলত পয়দা হয়।

৩। উলামায়ে কেরাম বলেন, ❝যাকের কে ? যে আল্লাহ ﷻ এর হুকুমকে স্মরণ করে তাঁর আনুগত্য প্রকাশ করে। এর সীমার বাহিরে সে যায় না। সে ই আল্লাহ ﷻ এর যিকিরকারী অর্থাৎ যাকের। শুধুই তাসবীহ পড়ার মধ্যেই যিকির সীমাবদ্ধ নয়।❞

৪। আমরা আল্লাহ ﷻ এর হুকুম পালন তথা ইবাদাত করি ইখলাসের সহিত।

৫। এতায়াতের জন্যই নবীদের পাঠানো হয়েছে। যাতে তাঁরা আল্লাহ ﷻ এর হুকুক মানুষের কাছে পৌঁছে দেন।

৬। রাসূল ﷺ এর মুয়াজ (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) কে আল্লাহ ﷻ এর হুকুক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তারপর বলেন আল্লাহ ﷻ এর হক্ব হলো তাঁর ইবাদাতে কাউকে শরীক না করা।

৭। জীবন কিভাবে পরিচালিত হবে ? এই প্রশ্নের উত্তরই এতায়াত। ঈমান, ইসলাম ও এতায়াত পরস্পর পরিপূরক।

৮। আল্লাহ ﷻ কে না দেখে বিশ্বাস করা ঈমান। এবং তাঁর কথার উপর নিজের জীবনের প্রতিটি কাজ করাই এতায়াত।

৯। ঈমানের রুকনগুলোকে পরিপূর্ণ হক্ব জানা। এটা আল্লাহ ﷻ এর এতায়াত। আল্লাহ, নবী-রাসূল, আসমানী কিতাব, ফেরেশতা, মৃত্যু, হাশরের ময়দান, জান্নাত ও জাহান্নামকে হক্ব জানা ও বিশ্বাস করা।

আল্লাহ ﷻ ওয়াদা করেছেন তাঁর ইবাদাতের বিনিময়ে আমাদের জান্নাত দিবেন। আর আল্লাহ ﷻ এর বন্দেগী না করলে জাহান্নামের ওয়াদা করেছেন।

আল্লাহ ﷻ এর সাক্ষাৎ করা ছাড়া কেউ বেঁচে যাবে না। অবশ্যই প্রত্যেককে আল্লাহ ﷻ এর সামনে উপস্থিত হতে হবে।

১০। হে মানুষ শুনে নাও, আল্লাহ ﷻ এর ওয়াদা সত্য। আল্লাহ আমাদের উপর শর্ত দিয়েছেন, সেটা পুরা করার দায়িত্ব আমাদের। আর আল্লাহ ﷻ এর ওয়াদা অর্থাৎ পুরষ্কার আমাদের জন্যে, তা পুরা করার দায়িত্ব আল্লাহর।

উদাহরণ-বাজারের কেনা-বেচা। পয়সার বিনিময়ে পন্য দেয়া।

আমাদের উপর আল্লাহ ﷻ এর পক্ষ থেকে শর্ত- তাঁর উপর ঈমান, এতায়াত, ইনসাফ করা, তাক্বওয়া অবলম্বন করা।

আর আল্লাহ ﷻ এর ওয়াদা- আমাদের ঈমান ও আমলের বিনিময়ে জান্নাত দিবেন।

১১। আল্লাহ ﷻ বলেন, ‘তাঁর চেয়েও সত্য কথা বলনেওয়ালা আর কে আছেন’ ?

১২। এই দুনিয়ার সমস্ত কিছু আল্লাহ ﷻ আমাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ যখন দুনিয়াতে আসে তখন সে আরাম ও কষ্ট নিজেই অনুভব করে। এর জন্যে নবী রাসূল পাঠানো হয়নি। নবী-রাসূলদের আখেরাতের আরাম ও কষ্টের ব্যাপারে মানুষকে জানানো। এজন্যই তাদেরকে পাঠানো হয়েছে।

১৩। আখেরাত দুনিয়ার চেয়ে উত্তম। এজন্যই আল্লাহ ﷻ আমাদেরকে দুনিয়ায় পাঠালেও আখেরাতের জন্যই বানিয়েছেন।

দুই রকমের মানুষ-
এক. নেয়ামতওয়ালা মানুষ- যারা আখেরাতে আরামে থাকবে। যারা আল্লাহ ﷻ এর হুকুম দুনিয়াতে পুরা করেছে।
দুই. কষ্ট মুসিবতওয়ালা মানুষ- যারা আখেরাতে কষ্টে থাকবে। যারা আল্লাহর নিষেধকৃত জিনিস থেকে বিরত রাখেনি।

ঈমানদার ও মুত্তাকীদের সাথে আল্লাহ ﷻ এর আখেরাতের মুআমেলাহ আলাদা হবে।

১৪। ঈমান ও তাক্বওয়ার তাকাযা-

ঈমানের তাকাযা- আল্লাহ ﷻ এর হুকুম পালন করা, এতায়াত করা। আল্লাহ ﷻ এর হুকুমের সীমারেখায় জীবন যাপন করে।

তাক্বওয়ার তাকাযা- নফসকে গুনাহ থেকে দূরে রাখা। আল্লাহ ﷻ এর নিষেধকৃত কাজ থেকে দূরে থাকা।

দুই জিনিস শিখানোর জন্যই নবীরা আসছেন। আল্লাহ ﷻ এর হুকুম পালন করা এবং তাঁর নিষেধকৃত বস্তু থেকে দূরে থাকা। কুফর ও কুফরি আমল থেকে বাঁচানোই নবীদের দাওয়াত। এটার উপরই আল্লাহ ﷻ এর ওয়াদা।

১৫। আল্লাহ ﷻ এর কুদরত ও খাজানা অফুরন্ত। যে পরিপূর্ণভাবে তাঁর অনুসরণ করে, আল্লাহ ﷻ তাঁর খাজানা (ভান্ডার) থেকে তাদের কুদরতের ফায়সালা করেন। যারা আল্লাহ ﷻ কে ভয় করবে, আল্লাহ ﷻ এর কুদরত তাদের সঙ্গী হয়ে যাবে। যারা আমলকে সুন্দরভাবে করে, আল্লাহ ﷻ তাদের মুহব্বত করেন। নবীদের দাওয়াত- ঈমান, ইবাদাত ও এতায়াত।

১৬। যে আল্লাহ ﷻ কে ভয় করে, নিজেকে নাফরমানী থেকে বাঁচায় এবং নিজের করা আমলের ব্যাপারে খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয় অর্থাৎ নিজের আমলের দোষত্রুটি খুঁজে বের করে।

এর প্রথম শর্ত- নিয়ত ঠিক করা। ঈমানও ইখলাস একই বিষয়।

১৭। আল্লাহ ও বান্দার হক্বের ব্যাপারে এতেদাল-

আল্লাহর ব্যাপারে-ইখলাস। আমলের সৌন্দর্য। যে ব্যক্তি মুখলিস, সে হেদায়েতের চেরাগ বা নূর। তার দ্বারা বহু ফেতনা দূর হয়। ফেতনার সাথে দুনিয়ার স্বার্থ যুক্ত হওয়া আগ্রাজ জন্ম দেয়। ইখলাস আল্লাহ ﷻ ছাড়া কেউ জানেন না। ইখলাস থাকলে অল্প আমলই যথেষ্ট।

ঘটনা-হযরত আবু হুরায়রা (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) একবার নিজ শাগরেদদের জিজ্ঞেস করেন, এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়েও জান্নাতে যাওয়া ব্যক্তি কে ?

লোকেরা উত্তর দিলো আমরা জানিনা।

তখন আবু হুরায়রা (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আনসারদের একটি কবিলা বনু আব্দুল আশহালের যুবক উসাইরিম [রদ্বিয়াল্লাহু আনহু]। যিনি নিজে নিজেই ঈমান আনার পরে উহুদের ময়দানে শহীদ হয়ে যান। অথচ তখন এক ওয়াক্ত নামাজও তার উপর ফরজ হয়নি।

বান্দার ব্যাপারে- ইনসাফ, ইহসান।

১৮। উমর (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলতেন, ‘আমাকে আল্লাহ ﷻ তাক্বওয়া দিয়েছেন’। তাক্বওয়ার কারণে পেরেশানি দূর হয়ে যায়। আমাদের উপরে থাকবে হেদায়েত কিন্তু ভিতরে থাকবে তাক্বওয়া।

১৯। ইলম ও যিকিরের তাকাযা-

ইলমের তাকাযা- আল্লাহ ﷻ এর হুকুম জানা। জিজ্ঞেস করাও দ্বীন। প্রথমে ফাযায়েলের ইলম জানা। যে ফাযায়েলের ইলম জেনেছি সেটার দাওয়াত দেয়া।

যিকিরের তাকাযা- আল্লাহ ﷻ এর হুকুমকে জেনে নবী ﷺ এর তরিকায় আমল করা। যে আমল জেনেছি তার উপর নবীর সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করা।

২০। যে কাজই করিনা কেন, সেটার ইলম আলেমদের জিজ্ঞেস করো। দুনিয়ার সব কাজ মানুষ কিছু পাওয়ার আশাতেই করে। সেজন্যই প্রথমেই ফাযায়েলের ইলম হাসিল করা।

২১। মোবাইল ইনফেরাদি সময় আপদ হিসেবে ধরা দেয়। কারণ তখন শয়তান মানুষকে প্রভাবিত করে।

২২। হযরত আবু হুরায়রা (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু) ইবনে উমার (রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) কে জানাযার নামাজের ফজিলত শুনালে তিনি আফসোস করেন। কারণ ইতোপূর্বে ইবনে উমার (রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) শুধুই জানাযার নামাজ পড়তেন কিন্তু দাফন কাজে শরীক হতেন না। পরে দাফনের ফজিলত শুনে আফসোস করেন।

২৩। আমাদের মেহনত শুধুই আল্লাহর রাস্তায় ঘুরাফেরা করা নয়। বরং এই মেহনতের দ্বারা দ্বীন, ঈমান, তাক্বওয়া ইত্যাদিকে শিখা। পূর্ণাঙ্গ দ্বীনকে জেনে আমল করা। উলামায়ে কেরামদের জিজ্ঞেস করে করে চলা। শুধুই খুরুজ এই মেহনতের উদ্দেশ্য না। সামগ্রিকভাবে ইসলামকে ধারণ করা।

Address

Ramna
Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মাদ্রাসা উলূমি দীনিয়া মালওয়ালী মসজিদ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মাদ্রাসা উলূমি দীনিয়া মালওয়ালী মসজিদ:

Share