12/10/2024
সাংবাদিকদের যত রঙ—
শেখ তিতুমীর আকাশের ইবি: নিউজ কারো বিরুদ্ধে গেলে হলুদ, পক্ষে গেলে সাদা। কোনো একটি পক্ষের বিরুদ্ধে গেলে ‘আরে ওই ছেলেটা তো অমুকের চামচা।
আবার একই পক্ষের পক্ষে গেলে ‘বাহ! ছেলেটা তো দারুণ নিউজ করে!’ পজিটিভ নিউজ করলে তেলবাজ, নেগেটিভ নিউজ করলে ‘সাংবাদিকরা শুধু নেগেটিভ নিউজ করে।’ এই ঘটনা প্রতিদিনের। অনেকে তো সাংবাদিকতা শেখাতেও চলে আসে। আবার ওরাই বিপদে পড়লে সাংবাদিকদের কাছেই আগে আসে। বিপদ উদ্ধার হলেই আবার ‘মুই কি হনু রে!’এর বাইরেও আছে নিজেকে বুদ্ধিজীবী মনে করা কিছু কমেন্টযোদ্ধা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নিয়ে অনেক মাদকসেবীও তৎপর। নেগেটিভ নিউজ হলে নাকি তাদের চাকরি আটকে যায়। আপনারা মাদক নেবেন, মারামারি করবেন, ইভটিজিং করবেন, বিভিন্ন অপকর্ম করবেন তা দেখেও চুপ করে থাকতে হবে। অপকর্ম করলে সমস্যা নাই, প্রকাশ করলেই যত সমস্যা। আপনি, আপনারা ভালো হলেই তো হয়ে যায়। কোন সংবাদের রঙ কি সেটা বিচার বিশ্লেষণ করার আগে নিজের দিকে একবার তাকান।
সাংবাদিকতা পেশায় সবাই সৎ সেটা আমি বলছি না। তবে যার দিকে আঙ্গুল তুলবেন তার আগে ব্যাকগ্রাউন্ডটা জেনে নেবেন। একজন সাংবাদিক ডকুমেন্ট ছাড়া একটা সংবাদে হুদাই কারো নাম বা বিরুদ্ধে লিখে না।
অতিরিক্ত বুদ্ধিজীবী না হয়ে সীমিত বুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করলেই এটা বোঝা যায়। সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ দায়ের করা ব্যক্তিরাও দেখি বুলিং করে।
তবে নিজের বেলায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কেন? বলি কি, বাঁশ ঝাঁড়েই সুন্দর।
আসলে সাংবাদিকদের ভাগ্যটাই এমন। আমি একজন গণমাধ্যম কর্মী নিজেকে সাংবাদিক দাবী করি না যদিও কারণ সাংবাদিক হতে চেষ্ঠা টুকু তো অবশ্যই করি।
সারা দিন গাঁধার মতন কাজ করে যখন পারসোনাল অফিসে বসে নিজের মিডিয়া প্রতিষ্ঠানে সময় দেই এগুলো কিন্তু এদেশের মানুষের জন্যই, আরে ভাই আমরা যদি পযেটিভ সব তুলে ধরি তাহলে এদেশের কোন উন্নয়ন পাবে না।
আমরা যদি নেগেটিভ টা না তুলে ধরি তাহলে দেশের বিষয় সরকারের বিষয় জানবেন কোথার থেকে।
#ফেক্ট এতো দিন আওয়ামী লীগ কইতো তোমরা বিএনপির লোক নাকি, আজ বিএনপি কয় তোমরা আওয়ামী লীগের লোক, যে দল ক্ষমতা দক্ষল করে বসে আছে তারা আবার বলে ভূয়া সাংবাদিক। আসলো যাব কুঠিরে ভাইছাপ।