22/07/2025
তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে আদায় করবেন – ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা 🌙
📌 সংরক্ষণ করে রাখুন, যখনই দরকার হবে ফিরে আসুন ইনশাআল্লাহ 📖
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো রাতের নামাজ (তাহাজ্জুদ)।”
(সহিহ মুসলিম)
তাহাজ্জুদ মানুষকে আল্লাহর আরও কাছাকাছি নিয়ে যায় এবং অন্তরে প্রশান্তি এনে দেয়।
এই নামাজে রয়েছে এমন এক শক্তি, যা দুঃখকে শান্তিতে এবং ব্যথাকে আশায় রূপান্তর করে।
🌟 তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার ধাপসমূহ:
1️⃣ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে জাগুন
🕓 যদি মাগরিব ৬:০০ PM এবং ফজর ৫:০০ AM হয়, তাহলে রাতের শেষ তৃতীয়াংশ হবে রাত ১:২০ থেকে ফজর পর্যন্ত।
📿 ঘুম থেকে উঠে সুন্দরভাবে ওজু করে নিন।
2️⃣ নিয়ত করুন (নিয়্যা করুন)
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ত করুন।
3️⃣ তাকবির দিয়ে নামাজ শুরু করুন
“Allahu Akbar” বলে নামাজ শুরু করুন। অন্যান্য নফল নামাজের মতো দুই রাকাত আদায় করুন।
4️⃣ সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পাঠ করুন
➤ সূরা ফাতিহার পর আপনি সূরা ইখলাস ও সূরা কাফিরুন পাঠ করতে পারেন – এগুলো গভীর অর্থবোধক ও বিশেষভাবে সুপারিশকৃত।
5️⃣ সেজদায় অথবা নামাজ শেষে খালেস অন্তরে দোয়া করুন
আল্লাহর কাছে যা কিছু আপনার মনে আছে – কষ্ট, আশা, ভয়, ভালোবাসা – সব খুলে বলুন।
এই সময়টি হলো দোয়া কবুলের সবচেয়ে বরকতময় সময়।
6️⃣ সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করুন
7️⃣ তাহাজ্জুদের পর বিতর নামাজ আদায় করুন
তাহাজ্জুদের শেষে ১, ৩ বা ৫ রাকাত বিতর নামাজ পড়া উত্তম ও সুন্নত।
💎 কেন রাতের শেষ অংশে নামাজ পড়বেন?
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“প্রতি রাতে যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে, তখন আমাদের রব (আল্লাহ) নিচের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন:
➤ কে আছে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব?
➤ কে কিছু চাইবে, আমি তাকে দেব?
➤ কে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব?”
(সহিহ বোখারী ১১৪৫, সহিহ মুসলিম ৭৫৮)
🕊️ এই সময় আল্লাহ বান্দার সবচেয়ে কাছে থাকেন — এটি দোয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সময়।
🤍 যদি আপনি নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়তে না-ও পারেন...
ইচ্ছা থাকলেই আল্লাহ আপনাকে পুরস্কৃত করবেন।
রাসূল ﷺ বলেছেন:
📝 “কর্মের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।” (সহিহ বোখারী)
📝 “যে কোনো ভালো কাজ করার নিয়ত করে কিন্তু করতে না পারে, তার জন্য পূর্ণ সওয়াব লেখা হয়।” (সহিহ বোখারী)