Rini Akter

Rini Akter Rini Akter একটি বিনোদন মূলক page. সবাই Follow দিয়ে সাথে থাকুন । Rini Akter page টি একটি বিনোদন মূলক page. সবাই page টি Follow দিয়ে সাথে থাকবেন।

আমার বয়স তখন মাত্র ১৩ বছর পেরিয়েছে। সেই বয়সেই আমার বাবা–মা সমঝোতা করে আমার বিয়ে দিয়ে দেন। অল্প বয়সে সংসার কেমন হয়, ভালো-...
06/11/2025

আমার বয়স তখন মাত্র ১৩ বছর পেরিয়েছে। সেই বয়সেই আমার বাবা–মা সমঝোতা করে আমার বিয়ে দিয়ে দেন। অল্প বয়সে সংসার কেমন হয়, ভালো-মন্দ কী — কিছুই বুঝতাম না। কাজ জানতাম না বলে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শেষ পর্যন্ত আমার মা–বাবা আমাকে নিয়ে গেলেন বাড়িতে, বললেন—“মেয়ে বুঝলে ৫ বছর পর আবার পাঠিয়ে দেব।”আমি ফিরে এসে স্কুলে ভর্তি হই। তখন স্বামীর সঙ্গে পুরো দুই বছর কোনো যোগাযোগ ছিল না। দুই বছর পর তিনি আমাকে আবার নিয়ে যান তাঁর ঘরে। তারপর আমাদের জীবন ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়। আমাদের ঘরে আসে এক ছোট্ট আশীর্বাদ — একটা ছেলে সন্তান। সুখ–দুঃখ, হাসি–কান্না সব মিলিয়েই সংসারটা ছিল ভালোই — আলহামদুলিল্লাহ ❤️

একসময় কিছু টাকা জমিয়ে স্বামীকে বললাম,আমাকে একটা অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনে দাও।” তিনি নিজের টাকাও যোগ করে আমাকে একটা সুন্দর ফোন কিনে দিলেন। আমি তখন পৃথিবীর সবচেয়ে খুশি মানুষ মনে করেছিলাম নিজেকে 🥰 কিছুদিন পর আমার ভাই আমাকে ফেসবুক খুলে দেয়। ফোনের ব্যবহার তখনও ভালোভাবে জানতাম না। একদিন ভাইকে দেখি “আড্ডা গ্রুপে” কথা বলছে। কৌতূহলবশত আমিও শিখে নিই — কীভাবে চ্যাট করতে হয়, কীভাবে কথা বলতে হয়, মেসেজ পাঠাতে হয়। এরপর থেকে প্রায় দিনরাতই গ্রুপে কথা বলতাম, হাসতাম, আড্ডা দিতাম। সেখানেই একদিন এক ছেলের সঙ্গে পরিচয় হয়। প্রথমে হালকা কথাবার্তা, তারপর ধীরে ধীরে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলা,
ইনবক্সে মেসেজ, ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলাপ...
আমার স্বামী তখন ঢাকায় থাকতো, এখনো থাকে।

দেখতে দেখতেই সেই ছেলেটার সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়ে যায় ৩ বছরের। আমি তার প্রতি একরকম আ-সক্ত হয়ে পড়েছিলাম, এর মধ্যে আমার একটি মেয়েও জন্ম নেয়। কিন্তু আমি তখনও আমার স্বামীকে রেখে ছেলেটার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম, যদিও আমরা কখনো একে অপরকে সামনাসামনি দেখিনি — শুধু ফোনেই কথা হতো। এখন সেই সম্পর্কের বয়স প্রায় ৭ বছর। অনেকবার চেষ্টা করেছি ওই সম্পর্ক থেকে বের হতে —ঝগড়া করেছি, দূরে সরে গেছি, কিন্তু পারিনি।
সে সবসময় আমার অভিমান ভেঙে আমাকে ফিরিয়ে আনতো। এখন আমার ছেলের বয়স ৯ বছর, মেয়ের বয়স সাড়ে তিন। আমি এখন বুঝতে পেরেছি —
যে সম্পর্কে ভবিষ্যৎ নেই, সেটা শুধু পাপ আর কষ্টের।
তাই আমি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি — এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসবো। এখন আমি নামাজ পড়া শুরু করেছি,আল্লাহর কাছে কাঁদছি যেন তিনি আমাকে এই ফিতনা থেকে রক্ষা করেন 🤲😭

আমি আমার স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে ভালোভাবে থাকতে চাই। জীবনের এই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আমি নতুন করে শুরু করতে চাই। প্রিয় আপুরা ও ভাইয়েরা, তোমরা দোয়া করো যেন আমি স্থির থাকতে পারি, আল্লাহ যেন আমাকে এই প-রকীয়া ও পাপের পথ থেকে মুক্তি দেন 🕊️

পাঠিয়েছেন
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক আপু
Follow : 𝙈𝙆 𝘾𝙞𝙩𝙮 𝙊𝙛 𝙍𝙚𝙖𝙡 𝙎𝙩𝙤𝙧𝙮 & Mk Iconic
( জীবনের যেকোনো সমস্যা, সুখ-দুঃখের গল্প শেয়ার করতে চাইলে যোগাযোগ করুন সরাসরি আমাদের পেজে )

সেদিন রাতের পর আমার ভেতরটা কেমন যেন অদ্ভুত হয়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল, আমি নিজেই নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।হ্যারির কো...
05/11/2025

সেদিন রাতের পর আমার ভেতরটা কেমন যেন অদ্ভুত হয়ে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল, আমি নিজেই নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।
হ্যারির কোনো খবর নেই। একসময় যে মানুষটা সকাল-বিকেল মেসেজ দিত, সে এখন একদম নিঃশব্দ।
প্রতিদিন সকালে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতাম— হয়তো আজ ও মেসেজ দেবে। কিন্তু স্ক্রিনটা সারাদিন নিঃশব্দই থেকে যেত।

একদিন দুপুরে হঠাৎ তানিয়া এসে বলল,
— “তোকে কিছু দেখাতে চাই।”
আমি অবাক হয়ে বললাম, “কি?”
ও মোবাইলটা সামনে ধরল। দেখলাম একটা অচেনা ফেসবুক গ্রুপের স্ক্রিনশট। সেখানে আমার নাম, আমার ছবি, আর নিচে অজানা ভাষায় হাসাহাসি, ইমোজি।

মুহূর্তেই শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল। বুকের ভেতর কাঁপতে লাগল। গলা শুকিয়ে গেল। বললাম,
— “তানিয়া, এটা কিভাবে সম্ভব?”
ও দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
— “আমি ঠিক জানি না, তবে মনে হচ্ছে কেউ তোকে ব্যবহার করেছে। হয়তো সেই হ্যারিই।”

আমি কিছু বলতে পারছিলাম না। চোখে পানি চলে এলো। মনে হচ্ছিল, দুনিয়ার সামনে নগ্ন হয়ে গেছি আমি।
তানিয়া বলল,
— “তোকে এখনই থানায় যেতে হবে, বুঝলি? দেরি করিস না।”

আমি ফিসফিস করে বললাম, “মানুষ জানলে আমি বাঁচব না তানিয়া…”
ও বলল, “মানুষের মুখে বাঁচবি না, কিন্তু সত্যের পাশে দাঁড়ালে নিজের কাছে বাঁচবি।”

রাতভর আমি ঘুমাতে পারিনি। চোখ বুঁজলেই হ্যারির মুখ ভেসে উঠত— সেই হাসি, সেই কথাগুলো, সেই প্রতিশ্রুতি। ভাবতাম, সত্যিই কি ভালোবাসা এত নোংরা হতে পারে?

ভোরবেলায় ফোনে একটা নোটিফিকেশন এল—
“See what people are saying about you.”
লিংকটা খুলে দেখলাম, কিছু অচেনা সাইটে আমারই ছবি, যেগুলো একসময় বিশ্বাসের ভরসায় পাঠিয়েছিলাম।

এক মুহূর্তে পৃথিবীটা যেন থেমে গেল। বুকের মধ্যে একটা শব্দ বাজল— “শেষ!”
আমি ফোনটা ছুড়ে ফেলে দিলাম। কান্না থামাতে পারিনি।

পরদিন সকালে মা ঘুম থেকে ডেকে তুললেন,
— “কি হয়েছে মা? চোখ ফুলে গেছে কেন?”
আমি আর লুকাতে পারলাম না। সব খুলে বললাম— হ্যারির সাথে পরিচয়, কথা, ছবি, টাকা, তারপর নিখোঁজ হওয়া— একটাও বাদ না দিয়ে।

মা কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে রইলেন। তারপর ধীরে বললেন,
— “আমি ভাবতাম তুই শক্ত মেয়ে… কিন্তু ভালোবাসা মানুষকে অনেক সময় দুর্বল করে দেয়। এখন সময় নিজের সম্মান বাঁচানোর।”

বিকেলে মা আমাকে নিয়ে থানায় গেলেন। সাইবার ক্রাইম অফিসার মনোযোগ দিয়ে সব শুনলেন। তারপর বললেন,
— “আপনি ভয় পাবেন না। এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই হয়। আমরা চেষ্টা করব যাতে ছবিগুলো সরানো যায়। তবে আমাদের কিছু তথ্য লাগবে— চ্যাট, ট্রানজেকশন, নাম্বার।”

আমি মাথা নেড়ে রাজি হলাম। ভিতরটা তখনও কাঁপছিল। মনে হচ্ছিল, যেন সবার চোখ আমার দিকে স্থির হয়ে আছে।

বাড়ি ফিরে সন্ধ্যায় বারান্দায় বসে থাকলাম একা। আকাশে লালচে সূর্য ডুবছে। মনে হচ্ছিল, আমার ভেতরেও যেন একটা সূর্য ডুবে যাচ্ছে।
চুপচাপ নিজেকে বললাম,
“হ্যারি, তুমি যদি জানতেই আমি তোমায় কতটা ভালোবেসেছিলাম… হয়তো এমন করতে না।”

তানিয়া পরে এসে বলল,
— “তোকে একটা কথা বলি, বিদেশি না দেশি— প্রতারণা যেকোনো মুখেই হতে পারে। কিন্তু শিক্ষা না নিলে আবারও এমন ফাঁদে পড়বি।”
আমি মৃদু হেসে বললাম,
— “এখন বুঝেছি তানিয়া, ভালোবাসা মানে শুধু মিষ্টি কথা না— দায়িত্ব, শ্রদ্ধা আর সীমা।”

দিন কেটে যেতে লাগল। আমি ধীরে ধীরে নিজেকে সামলাতে শুরু করলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করলাম, তবে মন ছিল না। রাতে ফোন হাতে নিয়ে কখনো কখনো তাকিয়ে থাকতাম— হ্যারি অনলাইনে আছে কিনা।
না, আর নেই।

এক সন্ধ্যায় হঠাৎ মেসেঞ্জারে নোটিফিকেশন এল—
“Someone wants to send you a message.”
নামটা দেখে বুক ধক করে উঠল— Harry J.

হাত কাঁপছিল, তবু খুললাম।
মেসেজে লেখা,
“I’m sorry for everything. I didn’t mean to hurt you. I was trapped too.”

আমি দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে রইলাম স্ক্রিনের দিকে। সত্যি দুঃখ প্রকাশ করছে, নাকি আবার নতুন ফাঁদ?
ধীরে ধীরে একটা মেসেজ টাইপ করলাম—
“Sorry doesn’t heal everything. তুমি আমার বিশ্বাস, শান্তি আর আত্মসম্মান কেড়ে নিয়েছো।”

তারপর সেন্ড না করেই মুছে ফেললাম মেসেজটা।
শুধু নিঃশব্দে বললাম,
“তুমি আমার জীবনের একটা অধ্যায় ছিলে, কিন্তু আমি এখন নতুন অধ্যায় শুরু করব।”

সেদিন রাতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখের দিকে তাকালাম। আগের মতো আর ভেঙে পড়া চেহারা নয়— চোখে এখন দৃঢ়তা।
নিজেকে বললাম,
“আমি বেঁচে আছি। আমি শিখেছি। আমি আর বোকা নই।”

সেই দিন থেকেই নতুন করে পথ চলা শুরু করলাম।
ফেসবুক বন্ধ করে দিলাম, নিজের পড়াশোনা আর কাজের দিকে মন দিলাম।
ছোট একটা অনলাইন হস্তশিল্পের ব্যবসা শুরু করলাম। ধীরে ধীরে মানুষজনের কথাও শুনে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম।

রাতে মাঝে মাঝে চাঁদের দিকে তাকিয়ে হাসি।
মনে মনে বলি—
“ধন্যবাদ, হ্যারি। তুমি আমায় ভেঙে দিয়ে আসলে গড়ে দিয়েছো।”

চলবে…

তৃতীয় পর্ব এখানেই শেষ। চতুর্থ পর্ব পেতে পেইজটি ফলো করতে পারেন। ধন্যবাদ

বয়স ৩০,ডিভোর্সি। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, কিন্তু সে নে*শায় আ*সক্ত হয়ে শেষ হয়ে গেছে। সেজন্য ১০ বছর অপেক্ষা,যুদ্ধ করেও পরিব...
04/11/2025

বয়স ৩০,ডিভোর্সি। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, কিন্তু সে নে*শায় আ*সক্ত হয়ে শেষ হয়ে গেছে। সেজন্য ১০ বছর অপেক্ষা,যুদ্ধ করেও পরিবর্তন করতে পারি নি।দুজন ই স্টুডেন্ট ছিলাম, তাই এই দশ বছর বেশি সময় আলাদাই থেকেছি পড়াশোনার জন্য। অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছি।ডিভোর্স এর ছয়মাস পরে, এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আবার একটা সম্বন্ধ আনে।আমার বাবা কিছু টা দ্বায়িত্বহীন,ইনকাম কম,দেশে আসে অনেক বছর পর পর।আর কোন ভাই বোন নাই।ভালোভাবে খোজ না নিয়েই এই ছেলের সাথে আংটিবদল আর কাবিন করে ফেলে গার্ডিয়ান। ৩ মাস পরে আনুষ্ঠানিক বিয়ের কথা ছিলো।
এরপর কথা বলতে বলতে সন্দেহ লাগে, আমি তদন্ত করে খোঁজ নিয়ে অনেক তথ্য জানতে পারি, যা পূর্বের চেয়েও ভয়াবহ। আমি তার চতুর্থ বউ, এবং উনি বিয়ে করেই শুধু টাকার জন্য।ফলাফল এখানেও ২ মাসের মধ্যেই ডিভোর্স। যদিও উনার সাথে আমার থাকা হয়নি,কিন্তু কাবিন হওয়ার কথা সবাই জানে।কাবিন এর পরে উনি উনার বাসায় চলে গেছিলো।এরপর বাইরে দুই একবার দেখা করেছি।আমি কয়েকবার তাকে আসতে বললেও আসে নি,বলে একবারে তুলে এনে একসাথে থাকবো।তখনই আমার খটকা লাগে যে,এটা কেমন,উনার কি কোন সমস্যা আছে কিনা।

পরে এটাও জানতে পারি এলাকায় নাকি জানে উনার শারী*রিক সমস্যা তাই বউ থাকে না।কতটুকু সত্য জানি না।

যাইহোক ২য় ঘটনার পরে পুরোপুরি ভেঙে পরি।গ্রামে মা আর আমি থাকতাম।এরপর ঢাকা চলে আসি,এখানে খালার বাড়ি আছে, ভাড়া থাকতে শুরু করি।একটা স্কুলে জয়েন করেছি এক বছর। কয়েকটা টিউশন করি। বাসা ভাড়া, খাওয়া খরচ চলে কোন রকম।কিন্তু জব টা করে অনেক আনন্দ পাচ্ছি।অতীত ভুলে থাকছি।ভাবছি প্রাইমারি আর নিবন্ধন পরীক্ষা গুলো দিবো।যেহেতু পড়াচ্ছি,চর্চা হচ্ছে।আর হ্যা ঢাকা আসার পরে থেকে আব্বুর কাজ ই থাকে না,তেমন টাকা পয়সা দিতে পারে না।সেজন্য আমার টাকায় চলা হিমসিম খাচ্ছি।তাও ভাবছি জানুয়ারি থেকে টিউশন আরও বাড়াবো।এখানে আসার পরে ও অনেক বার বিয়ে সম্বন্ধ এনেছে,আমি না করেছি।আর ঝামেলায় পড়তে চাই না।

কিন্তু এবার মা খালারা এক পাত্র দেখাচ্ছে,গ্রামের বাড়িতে।

লোকের দুইটা ছেলে আছে,ছোট টা ৮ বছর এর,বড় টা আরও বড়।বউ নাকি অন্যজন এর সাথে চলে গেছে।

সৌদি থাকে, ভালো টাকা পয়সা আছে শুনেছে।বয়স ৫০ হবে।

কিন্তু আমি আর বিয়ে নিয়ে ভাবতেই পারছি না।ভেবেছিলাম আগে নিজে কিছু করি স্থির হই।২-৩ বছর পার হোক পরে দেখা যাবে।বয়স ত হয়েছেই,৩৫ বছর বয়সে ৫০ বছর বয়সী লোক বিয়ে করবো দরকার হলে।না হলে আর বিয়েই করবো না।

না করাতে মা খালারা অনেক রাগ দেখাচ্ছে। বাবার টাকা নাই,এভাবে সারাদিন স্কুল টিউশন করে কতদিন। বিয়ে শাদি করে স্যাটেল হওয়া দরকার। কিন্তু আমি একদম ই ভাবতে পারছি না।তাছাড়া লোকের ২ টা ছেলে আছে। ছেলেরা সৎ মা কতটা আপন করে ঠিক নাই।ছেলেদের জন্য আগের বউ আবার যোগাযোগ করবে কিনা কে জানে।আমার ও এখন ২ টা সন্তান পালার মতো মানসিকতা নাই।সত্যি টাই বললাম। কিন্তু আর্থিক অবস্থা চিন্তা করে উনারা বিয়ে দিতে চাচ্ছে।তাছাড়া প্রথম বিয়ে এলাকায় হয়,অল্পবয়সে প্রেম তাই আমার গ্রামে যেতে ইচ্ছেই করে না।সেখানে ১০-১২ বছর এর ভয়ংকর অতীত ফেলে আসছি।ঢাকা বা এলাকার বাইরে হলে ভেবে দেখতাম

আমি ভাবছি ছেলে সন্তান। উনার আর সন্তান না নিলেও চলবে।হুটহাট লোকের কিছু হয়ে গেলে, ছেলেরা সব পাবে।তখন সৎ মা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে পারে। এমন ঘটনা আমি শুনেছি।

মা জিদ করছে খুব,তুমি একা ঢাকা থাকো,আমি গ্রামে চলে যাবো।বললাম যান,আমি মেয়েদের সাথে মেসে থেকে জব করবো।
(বাসা ভাড়া, থাকা খাওয়া করে আর এক টাকা ও থাকে না হাতে। ছোট বাসাও খুঁজে পাচ্ছি না।মা মেয়ে বলে অনেক এ ভাড়া দেয় না,পুরুষ মানুষ নাই তাই।অনেক হতাশায় আছি।কি করবো বুঝতে পারছি না। মাঝে মাঝে মনে হয় নেশাখোর স্বামী নিয়ে ই পরে থাকা ভালো ছিলো। তার অভিশাপ লাগে নি তো?)

সর্বোপরি পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনাদের কি মনে হয়, এখন আর বিয়ে নিয়ে ভাববো?নাকি স্কুল জব টা চালিয়ে গিয়ে নিজে কিছু করার চেষ্টা করা উচিৎ???

© লিখাটি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আপুর)

এক ভয়ংকর ঘটনা শুনলাম আমার সহকর্মী ডাক্তারের কাছে । একটি আল্ট্রাসনগ্রাম ছবি দেখিয়ে তিনি আমাকে বললেন গতকাল এক মহিলা রুগী...
04/11/2025

এক ভয়ংকর ঘটনা শুনলাম আমার সহকর্মী ডাক্তারের কাছে । একটি আল্ট্রাসনগ্রাম ছবি দেখিয়ে তিনি আমাকে বললেন গতকাল এক মহিলা রুগী এসেছিলেন এক বাচ্চা এবরশন হওয়ার পর ১০ বছর হলো বাচ্চা হয় না । বাচ্চা না হওয়ার কারণে প্রথম সংসার ভেঙ্গে গেছে এবং ২ য় সংসারেরও স্বামী আবার বিয়ে করেছেন । তিনি কারো কাছ থেকে ডা: হোসনে আরা খানম এর নাম শুনে তাঁকে দেখাতে এসেছিলেন । আপু যথারীতি ফিজিক্যাল এক্সামিনেশন করেন এর পর একটি আল্ট্রাসনগ্রাম করে দেখতে পান তার জরায়ুর মাঝে একটি জন্মনিরোধক কপার টি পরানো রয়েছে ।তিনি আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য পিভি করে দেখেন যে কপার টি এর টেল রয়েছে । তিনি রোগীকে বুঝিয়ে হাসপাতাল আসতে বলেন । ডাক্তার যখন রোগীকে জিজ্ঞেস করেন কপার টি কবে পড়েছেন তিনি বলেন আমি কখনও পড়াই নাই । তখন বলেন প্রথম একটি বাচ্চা এবরশন হয়েছিলো সেটা কোথায় হয়েছিলো রোগী বলেন বাড়িতে তবে এর কিছুদিন পর তার প্রথম স্বামী বলেন চলো ভিতরে কোনো ময়লা যেনো না থাকে তাই ওয়াশ করাই । বুঝতে আর বাকি রইলো না ওই সময় তার চালক ধুরন্দর স্বামী কপার টি পরিয়ে নিয়েছেন ওখান থেকে যা তার অজানা ।যথারীতি কপার টি অপসারণ করেন এবং পরবর্তী চিকিৎসা প্রদান করেন । এই ঘটনাটা লিখলাম শুধুমাত্র একজন ভয়ঙ্কর অপরাধীর চিন্তা ভাবনা তুলে ধরার জন্য । আপনার বউকে আপনার পছন্দ না হলে সুন্দর ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন কিন্তু এভাবে অপবাদ দিয়ে সারাজীবন তাঁকে দোষী করে রাখা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

- সংগৃহীত, তবে সত্য ঘটনা।

তানজিনা, বয়স ৩৪।ডিভোর্সের পর নিজের জীবনটাকে শূন্য মনে হতো।সবাই বলত, “মেয়ে একা থাকলে মানুষ মুখ ফেরায়।”একদিন নতুন অফিসে যো...
03/11/2025

তানজিনা, বয়স ৩৪।
ডিভোর্সের পর নিজের জীবনটাকে শূন্য মনে হতো।
সবাই বলত, “মেয়ে একা থাকলে মানুষ মুখ ফেরায়।”

একদিন নতুন অফিসে যোগ দিলেন,
সেখানেই পরিচয় রিদয়, বয়স ৩১—একজন প্রাণবন্ত মানুষ, সবসময় হাসিখুশি।

রিদয় তার ক্লান্ত চোখে কিছু একটার খোঁজ পেত।
একদিন কফির টেবিলে বলল,
“তুমি হাসলে অফিসটা উজ্জ্বল লাগে।”

তানজিনা হেসে বলেছিল,
“আমার হাসি অনেকদিন আগে হারিয়ে গেছে।”

রিদয় উত্তর দিল,
“তাহলে সেটা খুঁজে বের করা আমার কাজ।”

আজ তিন বছর পর তারা একসাথে থাকে,
একই অফিসে, একই জীবনে।
তানজিনা বলে—
“ডিভোর্স আমাকে ভাঙেনি, আমাকে শক্ত করেছে।
আর রিদয় দেখিয়েছে, ভালোবাসা দ্বিতীয়বারও সম্ভব।

‘শুধু শরীরের চাহিদা মেটাতেই গিয়েছিলাম সেদিন সেই অন্ধকার জায়গাটায়।ভেতরে ঢুকতেই দেখি, এক মেয়ে জানালার পাশে বসে নিরবে কাঁ...
03/11/2025

‘শুধু শরীরের চাহিদা মেটাতেই গিয়েছিলাম সেদিন সেই অন্ধকার জায়গাটায়।
ভেতরে ঢুকতেই দেখি, এক মেয়ে জানালার পাশে বসে নিরবে কাঁদছে।

— “কাঁদছো কেন?” আমি জিজ্ঞেস করলাম।
মেয়েটা মাথা নিচু করে বলল,
— “কিছু না… আপনি বসুন, আমি প্রস্তুত হচ্ছি।”

ওর কণ্ঠে এমন ভাঙা সুর ছিল যে, মনটা অদ্ভুতভাবে নরম হয়ে গেল।
আমি আবার বললাম,
— “বলতে পারো, কি হয়েছে তোমার?”

সে নিঃশব্দে হেসে বলল,
— “আপনি জেনে কি করবেন? জানা না থাকাই ভালো।”

— “তবুও জানতে চাই, বলো না।”

একটু চুপ থেকে মেয়েটা বলল,
— “বাড়ির কথা মনে পড়ছে খুব। কেমন যেন নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।”

আমি অবাক হয়ে বললাম,
— “তাহলে চলে যাও না বাড়ি?”

সে হালকা হেসে বলল,
— “চাইলেই কি যাওয়া যায়? আমি তো আর স্বাধীন না।”

আমি হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
— “মানে?”

— “আমার প্রেমিকই আমাকে এখানে বিক্রি করে গেছে। এখন এ জায়গাটাই আমার কারাগার।”

কথাগুলো শুনে আমার বুকটা কেঁপে উঠল।
— “সত্যি?”

— “হ্যাঁ, সত্যি। প্রায় নয় মাস আগে ওকে ভালোবেসে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় এসেছিলাম।
দুইদিন একসাথে থাকার পরই ও আমাকে বিক্রি করে দেয়।”

তারপর কিছুক্ষণ নীরবতা।
আমি বললাম,
— “তুমি চাইলে আমি তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যাব।”

সে অবাক হয়ে তাকাল,
— “আপনি জানেন আমি কে?”

— “জানি, কিন্তু তাতে কী আসে যায়? আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।”

সে হেসে বলল,
— “আপনার মাথা ঠিক আছে? আমি তো এক পতিতা।”

— “তোমার অতীত আমি মুছে ফেলতে পারবো না, কিন্তু তোমার আগামী আমি লিখতে চাই।”

সে নিরব হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পর বলল,
— “আপনি কেন এমন করছেন?”

— “কারণ তোমার চোখে এখনো ভরসা আছে। সেই ভরসাটাই আমার ভালো লেগেছে।”

— “কিন্তু আপনি আমাকে চিনেন না।”

— “চিনবো, সময় নিয়ে। বিয়ের পরই শুরু হবে সেই চেনা।”

— “আপনার পরিবার কি মানবে?”

— “আমার তো পরিবারই নেই, আমি একাই।”

তার চোখে জল এসে গেল।
— “তাহলে কিভাবে আমাকে এখান থেকে বের করবেন?”

— “ওটা আমি দেখব। শুধু বলো, তুমি কি আমার সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করবে?”

দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে মেয়েটা বলল,
— “বিশ্বাস করতে ভয় লাগে… তবুও মনে হয় আপনার কথা সত্য।”

আমি বললাম,
— “তাহলে চল।”

তারপর আমি ওই জায়গার মালিককে টাকা দিয়ে মেয়েটিকে মুক্ত করলাম।
তারপর আমরা সরাসরি কাজির অফিসে গিয়ে বিয়ে করলাম।
সেই মেয়েটির নাম ছিল আয়েশা, আর আমি হাসিব।

---

🔹 ১০ বছর পর...

এক সাক্ষাৎকারে আয়েশা বলল—

“বিয়ের পর আজ দশ বছর কেটে গেছে।
আমার স্বামী কখনোই আমার অতীতের জন্য আমাকে ছোট করে দেখেনি।
আমি অভিমান করলে সে চুপচাপ পাশে বসে থাকে, আমার ভুল হলে কোমলভাবে বুঝিয়ে দেয়।
সে শুধু ভালোবাসে — নিঃশর্তভাবে।

আজ যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী নারী কে —
তাহলে আমি নির্দ্বিধায় বলবো, সেটা আমি।

আমি শিখেছি,
ভালোবাসা বয়সে, পরিচয়ে বা অতীতে মাপা যায় না,
ভালোবাসা শুধু ‘মন’ জানে।
Md Mazharul Haque Himu

মেয়ে প"র"কী"য়া ক'রার কা'রণে নিজের মেয়েকে গ'লা কে'টে খু*ন করলো বাবা,মেয়ে পূর্ণিমা নিজের প'ছন্দে করেছিলেন বিয়ে,বিয়ের...
03/11/2025

মেয়ে প"র"কী"য়া ক'রার কা'রণে নিজের মেয়েকে গ'লা কে'টে খু*ন করলো বাবা,মেয়ে পূর্ণিমা নিজের প'ছন্দে করেছিলেন বিয়ে,বিয়ের পর তাদের ঘর আলো করে দুই স'ন্তান জ'ন্ম নেয় এরপর পূর্ণিমার হ'ঠাৎই চ'লাফেরা এবং স্বা'মীর স'ঙ্গে ব্য'বহার এ'কেবারে পা'ল্টে যায়,শ্বশুরবাড়ির মা'নুষ'রা এসব মেনে নেয় নি,তাই পূর্ণিমা বাবার বাড়ি চলে আসে প্রায় ৬ মাস আগে,বাবার বা'ড়িতে এ'সে উ'দ্ভ'ট চ'লাফেরা এবং অন্য এক ছে'লের সা'থে গ'ড়ে তো'লে প'র"কী"য়া স'ম্পর্ক,কি'ছুদিন আগে পূর্ণিমা ওই ছেলের হা'ত ধ*রে স'ন্তানদের বাবার বা'ড়িতে রে'খে ঢা'কায় পা'লি'য়ে যায়,বাবা মতিলাল মে'য়েকে অনেক বু'জিয়ে আ'বার ও ফি'রি'য়ে আ'নে বা'ড়িতে,বাবা মেয়েকে বলে তার প্র'থম স্বা'মীর সং'সারে ফিরে যেতে, কিন্তু পূর্ণিমা সেটা কো'নভাবেই মে'নে নিচ্ছিল না,পা'ড়া প্র'তি'বে'শী এবং স'মাজের মা'নুষ না'নান কথা বলে এমন কি আ'ত্মীয় স্ব'জ'ন'রা প'র্যন্ত তাদের নিয়ে বা'জে মন্ত'ব্য করে,বাবা হি'সেবে এমনটা মে'নে নিতে পা'রেনি মতিলাল ঘু'মন্ত পূর্ণিমার গ*'লায় ছু"রি দিয়ে আ"ঘা'ত করে বাবা মতিলাল পরে তাকে কে হা'*সপাতালে নিয়ে গেলে ডা'ক্তার তাকে মৃ*ত ঘো'ষণা করে,মেয়ের মৃ*"ত্যু"*-№. র খ'বর পে'য়ে বাবা মতিলাল স্ব'ই'চ্ছা'য় থা'নায় গিয়ে আ"ত্ম"স'ম"র্প"ণ করে,এমনই এক হৃ'দয়বি'দারক ঘ'টনা ঘ'টেছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায়।

ভাইটি গুলশানে ইংলিশ মিডিয়াম এর লেকচারার ছিলো,ডিজাইন ডিরেক্টর ছিলো imran recommendation এর, Brand ambassador ছিলো Ministe...
03/11/2025

ভাইটি গুলশানে ইংলিশ মিডিয়াম এর লেকচারার ছিলো,

ডিজাইন ডিরেক্টর ছিলো imran recommendation এর,

Brand ambassador ছিলো Minister human care division এর,

University of Liberal Arts Bangladesh (ULAB) এর স্টুডেন্ট ছিলো,

তার নাম : সামিউল্লাহ ইমন
বয়স:২৯
তাকে দেখা গেছে ১ সপ্তাহ আগে কলাতলীতে।

প্রেমে মানুষ কে কি থেকে কি বানিয়ে দেয়। যে স্মৃতি ভুলে চলে যায় সে হয়তো সুখী হয়ে যায়, আর যে স্মৃতি ভুলতে পারে না তার অবস্থা এমনই হয়ে যায়।

আসলেই আপনারা কেমন পুরুষ বলেন তো??  বাচ্চা হওয়ার পর ও বউকে কিভাবে নমিনী দেন না? বউ এর নামে কোন সম্পদ রাখেন না?? কেমন পুরু...
03/11/2025

আসলেই আপনারা কেমন পুরুষ বলেন তো?? বাচ্চা হওয়ার পর ও বউকে কিভাবে নমিনী দেন না? বউ এর নামে কোন সম্পদ রাখেন না??
কেমন পুরুষ??

একটা বউ এর সেইফটি কি ২ টা বাচ্চা সহ?
আপনি একজন কে বিয়ে করে এনে কি সেইফটি দিয়ে গেলেন? বোন ও কেমন বোন ভাইয়ের বাচ্চা দের ভায়ের সম্পদ থেকে ব*ঞ্চিত করে নিজে ভো*গ করতে চায় ছি।

বিয়ে হওয়ার পর বাচ্চা হওয়ার সাথে সাথে বউ বাচ্চার নামে সব করবেন কিন্তু control আপনার হাতে রাখবেন।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ মেয়েরাই সংসারে জাস্ট একটা মেশিন। আপনাদের উচিত সংসারের কাজ এত free তে না করে al least 10 k tk হাতে নেওয়া। এত ছাড় দেওয়া উচিত না।

বিয়ে করে এনে ২/৩ টা করে বাচ্চা পালাবেন আর নমিনি দিতে গেলে জ্ব**লে বদ.... জাত কতগুলো।
মহিলাদের বলছি নিজের হক আদায় করে নিবেন জামাই না বুঝলেও।

শ্বাশুড়ির ক ব রে র সামনে দাঁড়িয়ে এক পুত্রবধূর অভিযোগ। "কেমন আছো মা? আমি চাই ওপারে তুমি খুব ভালো থেকো। তুমি নেই আজ পাঁচ ব...
03/11/2025

শ্বাশুড়ির ক ব রে র সামনে দাঁড়িয়ে এক পুত্রবধূর অভিযোগ।

"কেমন আছো মা? আমি চাই ওপারে তুমি খুব ভালো থেকো। তুমি নেই আজ পাঁচ বছর হয়ে গেলো। লোকে বলে মৃ'ত মানুষের নামে কোনো অভিযোগ করতে নেই, বা মনে আনতে নেই। কিন্তু, তোমার প্রতি যে আমার এক আকাশ অভিযোগ জমা! সেগুলো কোথাও প্রকাশ না পেয়ে মনের ভিতরই গুমরে গুমরে ম'র'ছে! আজ কিছুটা প্রকাশ করে মনের সেই ভার হালকা করে নিচ্ছি মা। আর সেই অপরাধের জন্য আমায় ক্ষমা করো।

জানো মা?
তুমি বিনা-দোষে সতেরো বছরী এক কিশোরীর মন ভে'ঙে দিয়েছো। তার সব স্বপ্ন তুমি গুড়িয়ে দিয়েছিলে অবেলায়। সংসার জীবন বানিয়ে দিয়েছো তিক্তময়! জীবিত থাকা কালীন সংসারে এতটুকু শান্তি দেওনি আমায়। সবসময় গরীবের মেয়ে বলেই অবহেলা অ'ব'জ্ঞা করেছো। অথচ এই আমাকেই দেখে শুনেই তোমার ছেলের বউ করে ছিলে। তোমার সব প্রয়োজনে তবুও এই অকর্মা আমাকেই লাগতো। তাও তুমি বিন্দুমাএ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করোনি কখনো।
তুমি এতোটা নিষ্ঠুরতম মা ছিলে যে, গর্ভকালীন সময়টাও একটা মেয়েকে ছাড় দেওনি।
আমার গর্ভকালীন সময়টায় তুমি দিয়েছো আমায় বড় এক পাপের সাজা। তুমি তোমার মনের সকল রাগ উগড়ে নিয়েছিলে আর তোমার ছেলে ছিলো নির্বাক। যা মনে করলে এখনো আমার রুহু কেঁপে উঠে। হয়তো, সেই কালো অতীতের কথা আমি ইহজন্মে ভুলতে পারবো না।
জানো মা?
আমি সব সময় তোমার ভালোবাসা পাওয়ার জন্য ব্যকুল হয়ে থাকতাম। কারণ, তোমার ভালোবাসা পেলেই বুঝি তোমার ছেলের ভালোবাসা পাবো, এটাই মাথায় ঘুরতো শুধু। কিন্তু, হায়! তোমার ভালোবাসা পাওয়া আমার কাছে শিয়ালের আঙুর-ফল হয়েই রয়ে গেলো! তুমি খুব ভাগ্য করে ছেলে পেয়েছিলে মা, অল্প বয়সী মেয়েও তার মনে জায়গা করতে পারেনি পাছে তোমার ভালোবাসা যদি কম পড়ে! তাইতো, আমিও তাকে "আমার স্বামী" না বলে তোমার ছেলে বলেই সম্মোধন করলাম। আমি মনে করি, সে একটা মেরুদণ্ডহীন কাপুরুষ! যে কারো স্বামী হওয়ার যগ্যতা রাখে না,এরা শুধুমাত্র মাতৃভক্ত ছেলে হয়েই থাকে।
চিন্তা করো না, মা। তোমার অনুপস্থিতে সে আমাদের ভালোবেসে তোমায় ভুলে যায়নি, বরং এখনো তোমার কথা মনে করে খুউব কাঁদে। প্রতি কথায় তোমায় মিস করে! তুমি খুশী তো মা?

এবার আমি কেমন আছি, শুনবে না মা? শুনো তবে।
আমি ভালো আছি মা, তুমিহীন আমি ভীষণ ভালো আছি। আমি এ-ও জানি, এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি সমাজের সব থেকে ঘৃণ্যিত পুরবধূ হবো! তবুও বলবো, তোমার মৃ'ত্যু'র পর থেকে আমি ভীষণ ভালো আছি। তোমার মৃত্যুর কয়দিন পরই আমি জবটা ছেড়ে দিয়েছি।
জানো, মা? তোমার মৃত্যুর বছর খানিক পরই আমার একটা ছেলে হয়েছে। সব থেকে অবাক বিষয় কি জানো, আমার ছেলেটা দেখতে অনেকটা তোমার মতো হয়েছে। অনেক প্রার্থনার ফল আমার এই ছেলে। আমি প্রতিদিন সৃষ্টিকর্তার নিকট এই ছেলের জন্য মাথা ঠুকেছি। কারণ কি জানো মা?
আমিও ছেলে মানুষ করবো, তাকে অন্ধভক্ত না বানিয়ে ঠিককে ঠিক, ভুলেকে ভুল বলা শিখাবো। তাকে শুধু ভালো সন্তান নয়, কি করে ভালো স্বামী ও ভালো বন্ধু হতে হয় তাও শিখাবো।
যাতে আমার মৃ'ত্যু'র পর, কারো কাছে আমার নামে কোনো অভিযোগ না থাকে। আমি আমার সন্তানদের আদর্শ মানুষ বানাবো। আমার জন্য আর্শীবাদ করো মা, আমি যেন আমার উদেশ্যে সফল হতে পারি।
সবশেষে এটাই বলবো মা, তুমি খুব ভালো থেকো।
আমার কথা ভেবো না মা, তুমিহীনা আমিও ভালো থাকবো!
এখন আর দ'ম বন্ধ হয়ে শ্বাসকষ্ট হয় না আমার, এখন চাইলেই যখন তখন প্রাণ ভরে শ্বাস নেওয়া যায়, মুক্ত আকাশে পাখির মতো উড়ে বেড়ানো যায়,তিনবেলা বঞ্চনা আর খেতে হয়না আমাকে।তুমিহীণা কা'রা'গা'রে'র এক ক'য়ে'দি পেয়েছি মুক্তির_স্বাদ!"

লেখনীতেঃ সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী
গল্প- মুক্তির_স্বাদ

২০০৫ সালে যখন বেকার ছিলাম চাকরি হচ্ছিল না বলে তোমার বাবার সামনে কখনো যেতে পারিনি। তোমার বিয়ের আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয় থ...
03/11/2025

২০০৫ সালে যখন বেকার ছিলাম চাকরি হচ্ছিল না বলে তোমার বাবার সামনে কখনো যেতে পারিনি। তোমার বিয়ের আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটে গিয়েছিলাম তোমার বাড়িতে, কিন্তু ভরসা রাখতে পারলে না সেদিন! তোমায় বলেছিলাম এ পৃথিবীতে তুমিই শুধু একা জানবে, তুমি ছাড়া আমি কতটা খারাপ থাকব! তবুও তুমি অন্যের হাত ধরেছিলে।😔

এখন তোমার জেলায় এস.পি হয়ে এসেছি, তীব্র ভয় হয় কখনো যদি তুমি সামনে চলে আসো, আর আমি জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেই। মাঝখানে শুধু কেটে গেলো প্রায় ২০ বছর। আমার মেয়েটার নাম কিন্তু তোমার নামেই রেখেছি!💔
~ রাশেদ (এসপি)
পুরুষের জেদ সত্যি ভয়ঙ্কর সুন্দর। গল্পটা ভালো লাগলে শেয়ার দিবেন ধন্যবাদ।। #বাংলাদেশপুলিশ #পুলিশ #বাংলাদেশসেনাবাহিনী #সেনাবাহিনী #গল্প

যে মানুষ নিজের সন্তানের মাকে ঠকাতে পারে, সে যেকোনো মানুষকেই ঠকাতে পারে।কারণ, যদি তুমি এমন এক নারীকে মিথ্যা বলতে পারো, প্...
02/11/2025

যে মানুষ নিজের সন্তানের মাকে ঠকাতে পারে, সে যেকোনো মানুষকেই ঠকাতে পারে।
কারণ, যদি তুমি এমন এক নারীকে মিথ্যা বলতে পারো, প্রতারণা করতে পারো বা ছেড়ে যেতে পারো — যিনি তোমার রক্ত বয়ে বেড়িয়েছেন, যিনি নিজের শরীর, শান্তি আর ঘুম ত্যাগ করেছেন তোমার সন্তানকে এই পৃথিবীতে আনতে — তাহলে তোমার ভেতরে কোনো বিশ্বস্ততা নেই।

এই ধরনের প্রতারণা শুধু সম্পর্ক ভাঙা নয়; এটা একধরনের পবিত্র বন্ধনকে ধ্বংস করা।

যখন কোনো পুরুষ নিজের সন্তানের মাকে ছেড়ে যায়, সেটাই তার আসল চরিত্র প্রকাশ করে।
এটা দেখিয়ে দেয়, সে আসল ভালো জিনিসের মূল্য দিতে জানে না,
সে পবিত্রতাকে সম্মান করতে পারে না,
আর সে তার নিজের পাওয়া সবচেয়ে বড় আশীর্বাদটিকেও রক্ষা করতে জানে না।

যে পুরুষ নিজের সন্তানের মাকে অসম্মান করে, সে কখনোই নিজেকে “ভালো মানুষ” বলতে পারে না।
ভালো মানুষ হওয়ার মর্যাদা আসে দায়িত্ব, ভালোবাসা আর ধারাবাহিকতার মাধ্যমে — অজুহাত বা ফাঁকা কথায় নয়।

সত্যিকারের পুরুষ কখনো নিজের ভিত্তিকে ত্যাগ করে না।
সে নিজের তৈরি ঘরে কষ্ট আনে না।

সে বোঝে, সন্তানের মা তার নিজের রক্তের অংশ,
তাকে আঘাত করা মানে নিজের পরিবারকেই আঘাত করা।

তাই মনে রেখো — যে পুরুষ তাকে ঠকাতে পারে, সে যেকোনো মানুষকেই ঠকাতে পারে।
কারণ এমন প্রতারণা দুর্বলতা থেকে আসে না, এটা আসে চরিত্রহীনতা থেকে।

Address

Dhaka
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rini Akter posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rini Akter:

Share