Nazmul Hasan Ovi

Nazmul Hasan Ovi This is My Personal Page. Nazmul Hasan Ovi is my Personal Vlog Page

আপনি কোনো পুরুষকে বদলাতে পারবেন না। কারণ তারা জেদী, একরোখা এবং নিজের বিশ্বাসে অটল।কিন্তু আপনি তাকে ভালোবাসলে, সে নিজ থেক...
15/07/2025

আপনি কোনো পুরুষকে বদলাতে পারবেন না। কারণ তারা জেদী, একরোখা এবং নিজের বিশ্বাসে অটল।

কিন্তু আপনি তাকে ভালোবাসলে, সে নিজ থেকেই বদলে যাবে। তার আচরণ, কথার টোন অটোম্যাটিক পরিবর্তন হবে।

নারী শক্তিশালী কেউ না, সে শক্ত হতে গেলে ভেঙে যাবে। প্যাচাতে গেলে কেটে যাবে। সে মূলত কোমল, পানির মতো তরল। এতটাই কোমল যে, তার পরশে পৃথিবীর সবচে শক্ত পুরুষও গলে যেতে বাধ্য।

কখনো সংসারে অমিল দেখা দিলে একবার নিজেকে যাচাই করুন। দেখুন, আপনার আচরণ নারীসুলভ আছে কি না। আপনি কারো শখের নারী হওয়ার আগে ভাবুন, কারো শখের হওয়ার মতো করে তাকে ভালোবাসতে পারছেন কি না। তালাক হয়ে যাবে; সবাই উপস্থিত, সালিশ চলছে। তখনও কোনো স্ত্রী ‘নারী’ হয়ে উঠলে, কোমল স্বরে একবার পুরুষকে চাইলে, স্বামীর পাহাড়সম রাগ নিমিষেই বরফশীতল পানি হয়ে যায়। এটাই দাম্পত্যের রসায়ন। স্বামী-স্ত্রী ছাড়া পৃথিবীর কেউ এর মূল কারণ বোঝে না।

সেজন্য বলি, সমস্যা হলেই মায়ের কাছে ফোন নয়। আপনার পুরুষকে বুঝুন। সে বাহিরে থাকে, টাকা ইনকাম করে। বহুরকম লোকজনের সাথে তার উঠাবসা, লেনদেন। কোনো কারণে তার মেজাজ বিক্ষি'প্ত হতে পারে। নারীর কাজ যত কঠিনই হোক, সে সমাজ ফেস করে না। ফলে নিজেকে সংযত ও নিয়ন্ত্রিত রাখা তার পক্ষে সম্ভব। তাই, আপনার পুরুষ বাইরে থেকে এলে তার যত্ন নিন। চেহারা ফ্যাকাশে দেখলে তখনই কী হয়েছে জিজ্ঞেস না করে তাকে পানি দিন। বলুন একটু গোসল করে আসেন খাবার দিই। পরে ঠান্ডা মাথায় জিজ্ঞেস করুন কী হলো।

পুরুষ কখনো জেতে কখনো ঠকে। তার জেতাটা যেমন ইনজয় করেন, ঠকাটাও মেনে নিন। সে কোথাও লস করেছে মানেই তাকে বকাঝকা করবেন, এমন নয়। হেরে যাওয়ার অনুভব তারও আছে। বরং সাপোর্ট দিন। সহজ করুন। সময় বুঝে পরামর্শ দিন। এই যে ম্যানেজ করার ব্যাপার, এটা নারীদের আছে। আম্মাজান খাদিজার কথা ভাবুন। কীভাবে নবুওয়াতের প্রথম আগমন তিনি সামাল দিয়েছেন। নবিজির কথাটা মনে করুন, খাদিজা! আমি বোধহয় মা"রা যাব, কে আমাকে বিশ্বাস করবে? খাদিজা শান্ত গলায় নবিজির বুকের বোঝা নামিয়ে দিলেন। তাঁর প্রশংসা করলেন। ব্যক্তিগত আমল উল্লেখ করলেন। কেন খাদিজা সর্বশ্রেষ্ঠ, এই এক ঘটনা তার উপযুক্ত প্রমাণ।

ঠিক এজন্যই নারী সুকুন, নারী শান্তি, নারী পুরুষের মোহ। যে নারীর কণ্ঠ পুরুষের চেয়ে উঁচু, চলাফেরা অতি-আধুনিক, পুরুষোচিত, সে নারী ময়ূর থেকে কাক হতে চায়। নিজের মোহনীয় সৌন্দর্য ছেড়ে বিদঘুটে হতে চায়। এমন নারী যত সুন্দরীই হোক, তার সংসার হয় না। হলেও মরচে ধরে যায়। বাচ্চাকাচ্চা বা সামাজিকতার জন্য কোনরকম টিকে থাকে। একে জীবন বলে না, বলে ঘানি টেনে যাওয়া। সুতরাং নারী, আপনি বরং নারীই হোন। কোমল হোন, শান্ত হোন। নরম হোন, সুকুন হোন। দেখবেন পাথরের মতো পুরুষও, আপনার ফোঁটা ফোঁটা ভালোবাসার সামনে নিজেকে বিলিয়ে দিতে বাধ্য হবে।

লেখা-সাদিক ফারহান

লাস্ট কবে খেয়েছেন আর কার সাথে?😋😋😋
26/06/2025

লাস্ট কবে খেয়েছেন আর কার সাথে?😋😋😋

Made by Me😋😋
19/06/2025

Made by Me😋😋

15/06/2025

আপনাকে যদি মৃ'ত একজন ব্যক্তির সাথে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। কার সাথে করবেন,কী কারণে?

ঈদ মোবারক ❤️❤️
07/06/2025

ঈদ মোবারক ❤️❤️

যে স্ত্রী তার স্বামীকে সম্মান করতে জানে না, তার জীবনের অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যায়।👉 স্বামী সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বা...
04/06/2025

যে স্ত্রী তার স্বামীকে সম্মান করতে জানে না, তার জীবনের অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যায়।
👉 স্বামী সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাস্তব কথা নিচে শেয়ার করছি। দয়া করে মন দিয়ে পড়বেন, পুরোটা পড়লে ভালো লাগবে।
স্বামী! তিনি যেমনই হোন, তিনিই আমার জীবনসঙ্গী। আমার জীবনে এই একজন মানুষ ছাড়া আর কারো জন্য বিন্দুমাত্র চিন্তা করার প্রয়োজন আমি মনে করি না।
আমি অন্য কারো ভালোবাসা, হিংসা কিংবা রাগ—কোনোটাই গায়ে মাখি না। কিন্তু আমার স্বামী যদি একটু রেগে যান বা কণ্ঠস্বর একটু উঁচু হয়, আমি কেঁদে ফেলি। ওনার সামান্য মন খারাপ দেখলেও আমার চিন্তা হয়। এই অনুভূতিগুলো আমি আমার পরিবারের আর কারো জন্য অনুভব করি না, আর এতে আমি কোনো ভুলও দেখি না। কবুল বলার পর থেকে তিনিই আমার দুনিয়া।
আমার স্বামীকে কেন্দ্র করেই আমার সবকিছু। এই বিষয়ে আমি কাউকে কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। আমাদের সম্পর্কের ভেতরে আমি অন্য কারো হস্তক্ষেপ একদমই পছন্দ করি না।
আমি কখনো আমার স্বামীর কাছে স্বাধীনতা চাই না। কারণ আজকাল 'স্বাধীনতা' নামের ছুতায় অনেকে পথভ্রষ্ট হয়। আমি চাই, আমার স্বামী আমাকে মনোযোগ দিয়ে দেখুক, আমার সোশ্যাল মিডিয়ার সব পাসওয়ার্ড তার কাছে থাকুক, আমি কোথায় যাচ্ছি, কার সঙ্গে যাচ্ছি—সে যেন জানে। কারণ স্বামী আমার চরিত্রের রক্ষক, সে-ই আমাকে শয়তানের প্ররোচনা থেকে বাঁচাবে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে 'প্রাইভেসি' বলে কিছু থাকার প্রয়োজন আমি দেখি না।
আমার আলাদা করে 'ইনডিপেনডেন্ট নারী' হবার শখ নেই। আমার স্বামী যদি যথেষ্ট সামর্থ্যবান হন, তাহলে আমার আলাদা আয় বা স্বাধীনতা দিয়ে সম্মান বাড়ানোর দরকার নেই। তার সবকিছুর উপর আমার অধিকার, আর সেই কারণেই তার ওপর নির্ভর করতে আমি গর্ববোধ করি, লজ্জা নয়।
তাই আমি স্পষ্ট করেই বলি—এই তথাকথিত নারীবাদী 'আজাইরা' চিন্তাধারাকে আমি মূল্য দিই না। আমার স্বামী আছে, তাই আমাকে কৃত্রিম স্বাধীনতার মুখোশ পরে ঘোরার দরকার নেই।
অনেকে বলবেন, 'লাভ ম্যারেজ' বলেই এসব বলছি। না ভাই, আমি যদি সচেতনভাবে আমার শত্রুকেও স্বামী হিসেবে গ্রহণ করতাম, তাহলেও এই একই কথাগুলো বলতাম। কারণ স্বামীর চেয়ে বড় কিছু এই দুনিয়ায় নেই।
এখন কেউ বলতে পারেন, স্বামীর এত ভক্তি, তাহলে ঝগড়া হয় কেন? আমি বলব—ঝগড়া, অভিমান, রাগ—এসব তো স্বামীর সঙ্গেই করা যায়, রাস্তাঘাটের কারো সঙ্গে তো নয়।
একজন ভালো স্বামী পাওয়া সত্যিই অনেক বড় আশীর্বাদ।
প্রতিটি মেয়ে যদি এমন চিন্তা করত, তাহলে সমাজে পরকীয়া, সংসারে অশান্তি—এসব কিছুই থাকত না। সংসার হতো শান্তিময়, ভালোবাসায় ভরা।
আল্লাহ যেন প্রতিটি নারীর মনে এমন সুস্থ ও সৌন্দর্যময় চিন্তা ঢেলে দেন। আমিন।

একজন আদর্শ বাবা তার ছেলেকে জীবনে চলার সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশঃ১. জুতা সেলাই বা ...
03/06/2025

একজন আদর্শ বাবা তার ছেলেকে জীবনে চলার সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।
ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশঃ
১. জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিওনা, বরং জুতাটা খুলে নিজে একবার মুছে দিও।
২. কখনও কাউকে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া বলে ডেকোনা। মনে রেখো তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদেরকে সম্মান দিয়ে ডেকো।
৩. বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কখনও কাউকে ছোট করে দেখোনা। নইলে তুমি ছোট হয়ে যাবে।
৪. পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করো, কিন্তু কারো ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।
৫. কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেওনা, সে লজ্জা পেতে পারে।
৬. সব সময় পাওয়ার চেয়ে দেয়ার চেষ্টা করো বেশি । মনে রেখো, প্রদানকারির হাত সর্বদা উপরেই থাকে।
৭. এমন কিছু করোনা যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল ওঠে।
৮. ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছো, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা।
৯. তোমার কি আছে তোমার গায়ে লেখা নেই। কিন্তু তোমার ব্যবহারে দেখা যাবে তোমার পরিবার কোথায় আছে।
১০. কখনও মার কথা শুনে বউকে এবং বউয়ের কথা শুনে মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। কাউকে ফেলতে পারবে না।

৫ ধরনের মানুষ আপনার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই এদের ব্যাপারে সাবধান থাকুনঃ””আমরা সবাই চাই জীবনে এগিয়ে যেতে। কিন্তু ক...
02/06/2025

৫ ধরনের মানুষ আপনার জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই এদের ব্যাপারে সাবধান থাকুনঃ”
”আমরা সবাই চাই জীবনে এগিয়ে যেতে। কিন্তু কিছু মানুষ থাক,. যাদের উপস্থিতিই আমাদের গতি কমিয়ে দেয়, মনোবল ভেঙে দেয়, এমনকি আমাদের স্বপ্ন ও ধ্বংস করে দেয়। তাই চিনে রাখুন এদের, কারণ একবার ভুল মানুষের উপর ভরসা করলে, আপনার পুরো জীবনটাই থমকে যেতে পারে।”
-
১) ঠেলাগাড়ি মানুষ (Wheelbarrow People):
এরা সবসময় চায়, আপনি তাদের ঠেলে নিয়ে যান। নিজের সমস্যা সামলাতে জানে না, সব দায়িত্ব আপনার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়।”
-
”উদাহরণ: প্রতিবার প্রজেক্ট শুরু হলে সেই বন্ধু বলে, “তুই কর, আমি শুধু প্রেজেন্টেশনে দাঁড়াব।”
”শিক্ষা: একতরফা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখলে, আপনি একা ক্লান্ত হয়ে পড়বেন।”-
-
২) মশা মানুষ (Mosquito People):
তারা শুধু তখনই আসে, যখন তাদের কিছু দরকার। তারা আপনার সফলতা শুষে নেয়, আর পেছনে গুজব ছড়ায়।”
-
”উদাহরণঃ এরা চাকরির জন্য আপনার রেফারেন্স চায়, আর কাজ হয়ে গেলে পরে আপনার ফোন পর্যন্ত ধরতে চায় না।”
”শিক্ষাঃ যাদের দরকার শেষ হলেই তারা দুরে সরে যায়, তাদের থেকে আপনারও দুরে থাকাই ভালো।”
-
৩) বাঁধাই কাঠামো মানুষ (Scaffolding People):
শুরুর দিকে সাহায্য করেছিল বলে এখন চায় সব সিদ্ধান্তে তাদের অনুমতি নেওয়া হোক।
-
”উদাহরণঃ এক আত্মীয় একবার কোন খরচ দিল, এখন বলে, “আমার মতামত ছাড়া কিছু করবে না।”
”শিক্ষাঃ কৃতজ্ঞ হও, কিন্তু নিজের স্বাধীনতা হারাইও না।”
-
৪) না-বলা মানুষ (Naysayer People):
”সবসময় নেতিবাচক কথা বলে, আর স্বপ্নপূরণের আগেই তোমার মনোবল ভেঙে দেয়।”
-
”উদাহরণঃ “ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চাই”—তারা বলবে, “ওসব কিছু হয় না”, “তুমে পারবে না।”
”শিক্ষাঃ স্বপ্ন দেখতে গেলে সাহস লাগে, আর যারা সাহস নষ্ট করে তাদের থেকে দূরে থাকাই ভালো

৫) গিরগিটি মানুষ (Chameleon People):
”তোমার সফলতা সহ্য করতে পারে না। মুখে প্রশংসা করে, আর পেছনে উপহাস করে।”
-
”উদাহরণঃ তুমি পুরস্কার জিতলে মুখে বলে “ভালো হয়েছে”, পরে ফেসবুকে বানান ভুল ধরে হাসাহাসি করে।”
”শিক্ষাঃ যে তোমার আনন্দে দুঃখ পায়, সে বন্ধুর ছদ্মবেশে শত্রু।”

”জীবনে সবার সঙ্গে চলা যায় না। কিছু সম্পর্ক সময়ের সাথে বিষ হয়ে ওঠে।”
”সম্পর্ক বেছে নাও বুদ্ধি দিয়ে, ভালোবাসো হৃদয় দিয়ে, আর নিজেকে কেবল তাদের সাথেই সংযোগ রাখো যারা তোমার ডানাকে কেটে দেয়না বরং তোমাকে আকাশ দেখাযর ব্যবস্থা করে দেয়।
-
এই ধরনের লোকদের চিনে রাখো। কারণ ওরা আমার জীবনেও ছিল। চলার পথে ওরা তোমার জীবনেও আসবে। তাই আজ তোমাকে বলে দিলাম।

গ্রাজুয়েশন শেষ করে ছেলে একদিন বাবাকে জিজ্ঞেস করল !— বাবা, সফল জীবন কাকে বলে?বাবা সরাসরি কোনো উত্তর দিলেন না। শুধু মৃদু ...
01/06/2025

গ্রাজুয়েশন শেষ করে ছেলে একদিন বাবাকে জিজ্ঞেস করল !
— বাবা, সফল জীবন কাকে বলে?
বাবা সরাসরি কোনো উত্তর দিলেন না। শুধু মৃদু হেসে বললেন,
— চল, আজ ঘুড়ি ওড়াই। তখন তোমাকে তোমার প্রশ্নের উত্তর দেব।
ছেলে বিস্মিত হয়ে বলল,
— এই বয়সে ঘুড়ি ওড়াবেন বাবা? আজব তো!
কিছু না বলে বাবা ছেলের হাত ধরে টেনে বাড়ির পেছনের মাঠে নিয়ে গেলেন। সেখানে কয়েকজন ছোট্ট বাচ্চা রঙিন ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। বাবা তাদের একজনের কাছ থেকে একটা ঘুড়ি চেয়ে নিলেন। তারপর নাটাই হাতে নিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে শুরু করলেন। সুতা আস্তে আস্তে ছাড়তে ছাড়তে ঘুড়িটাকে আকাশের অনেক ওপরে তুলে দিলেন। ছেলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখছিল।
একসময় বাবা বললেন,
— দেখছো খোকা? ঘুড়িটা কত ওপরে উঠেছে, অথচ এখনও সুতো ধরে রাখা আছে। তোমার কি মনে হয় না, এই সুতোর টানটাই ওকে আরও ওপরে যেতে বাধা দিচ্ছে?
ছেলে কিছু না ভেবেই বলল,
— হ্যাঁ, ঠিকই তো! সুতো না থাকলে ঘুড়ি আরও উপরে উঠতে পারত।
মৃদু হাসলেন বাবা। তারপর হালকা টানে সুতা কেটে দিলেন। মুক্ত ঘুড়ি প্রথমে একটু ওপরে উঠল বটে, কিন্তু তারপরই দিশাহীন হয়ে দুলতে দুলতে নেমে এল নিচের দিকে... অবশেষে কোথায় যেন হারিয়ে গেল দৃষ্টিসীমার বাইরে।
বাবা এবার ছেলের পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন,
— দেখলে খোকা? জীবনে যখন আমরা কোনো উচ্চতায় থাকি, তখন মনে হয় — কিছু বন্ধন আমাদের টেনে রাখছে। যেমন পরিবার, মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান, বন্ধুবান্ধব, নীতিবোধ, দায়িত্ব, শৃঙ্খলা — এসব আমাদের পেছন থেকে টেনে ধরছে, আমাদের আর এগোতে দিচ্ছে না। তখন আমরা ভাবি, এই সবকিছু থেকে মুক্ত হলেই বুঝি অনেক ওপরে উঠে যাব।
— কিন্তু বাস্তবতা হলো, ঠিক এই বন্ধনগুলোর জন্যই আমরা টিকে থাকি। এগুলোই আমাদের ভারসাম্য দেয়, পথ দেখায়, পতন থেকে রক্ষা করে। সুতা ছাড়লে যেমন ঘুড়ি পড়ে যায়, তেমনি বন্ধন হারালে আমরাও অচিরেই পতিত হই।
— মনে রেখো খোকা, সফল জীবন মানে কেবল ওপরে ওঠা নয়। সফল জীবন মানে হলো, নিজের শিকড়ের সাথে যুক্ত থেকে, দায়িত্বের বাঁধনকে সম্মান করে, মনের আকাশে টিকে থাকা। যারা বন্ধনকে ভালোবাসে, তারাই সত্যিকারের সাফল্যের শিখরে পৌঁছে।
এটাই জীবনের সত্য।
এটাই সফল জীবন।

- তোমার বাবা কি করেন?- একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির CEO।- ভেরি গুড, বসো।- নেক্সট, তোমার বাবা কি করেন?- ম্যাম, ভার্সিটির...
01/06/2025

- তোমার বাবা কি করেন?
- একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির CEO।
- ভেরি গুড, বসো।

- নেক্সট, তোমার বাবা কি করেন?
- ম্যাম, ভার্সিটির প্রফেসর।
- কোন ডিপার্টমেন্ট? নাম কি?
- ফিন্যান্স। ড. কল্লোল চৌধুরী৷
- তুমি কল্লোল স্যারের মেয়ে? স্যারকে বলো আমার কথা!

- নেক্সট, তোমার বাবা?
- মন্ত্রী।
- তোমার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না তো? কোনো কিছু দরকার হলে আমাকে বলবে!

- তারপর, তোমার বাবা কি করেন?

মেয়েটা মাথা নিচু করে জবাব দেয়, "ম্যাডাম, আমার বাবা একজন কৃষক।"

সেই প্রথম দিনের পরিচয়ের পর থেকে স্যার ম্যাডামদের মাথায় একটা জিনিস সেট হয়ে যায়। কার কার বাবা টাকাওয়ালা কিংবা উচ্চপদস্থ কেউ! এরপর থেকে প্রত্যেক ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, অ্যাসাইনমেন্ট, মিডটার্ম, ভাইভা, এমনকি সেমিস্টার ফাইনালেও তাদেরকে এক্সট্রা প্রায়োরিটি দেওয়া হয়।

আর অজ পাড়াগাঁয়ের ক্ষেত থেকে উঠে আসা মেয়েটা মেধার জোরে এগিয়ে থাকলেও বাবার পরিচয়ে অনেকটাই পিছিয়ে যায়।

আমি যদি কোনদিন কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হতাম, তাহলে ওই চার নম্বর মেয়েটাকে একটা ধমক দিয়ে বলতাম, মাথা নিচু করে বলিস কেন তোর বাবা কৃষক? সবার সামনে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে বল, তোর বাবা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাঠে ফসল ফলিয়ে তার সন্তানকে দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানে পড়াচ্ছে।
I am damn proud of my father.

তোকে ওই ভার্সিটির লেকচারার হবার দরকার নাই, তুই হবি অক্সফোর্ডের লেকচারার।
তোকে ওই ছোট কোম্পানির ছোট জবের জন্য লড়াই করতে হবে না, তুই হবি বড় কোনো কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার — তোর কলমের খোঁচায় ওইরকম পাঁচ-দশটা CEO'র চাকরি হবে। ছোট একটা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানোর জন্য তোর জন্ম হয়নি, তুই হবি এই দেশের প্রধানমন্ত্রী!"

ক্ষেত থেকে উঠে এসে আকাশ ছোঁয়ার উদাহরণ এই দেশে একটা দুইটা না, হাজারটা। কেন আমরা শুধুমাত্র বাবার পরিচয়ের কারণে ওই ছেলেমেয়েগুলোকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করি? আসলে আমাদের পকেটের ব্যসার্ধ বড় করার চেয়ে, মনের ব্যসার্ধ বড় করাটা অনেক বেশি জরুরি। আমাদের মনে রাখা উচিত কাউকে ছোট করে দেখলেই সে ছোট হয়ে যায় না। যে ছোট করে দেখে সে-ই ছোট হয় বরং।

কাউকে মানসিক কষ্ট দিচ্ছেন?খুব যত্ন করে দিন, যাতে কেউ টের না পায়!তবে নিজেকেও একটু তৈরী রাখবেন ভবিষ্যতের জন্য।যে কষ্টগুলো ...
01/06/2025

কাউকে মানসিক কষ্ট দিচ্ছেন?
খুব যত্ন করে দিন, যাতে কেউ টের না পায়!
তবে নিজেকেও একটু তৈরী রাখবেন ভবিষ্যতের জন্য।
যে কষ্টগুলো আপনি দিচ্ছেন, দুনিয়াতেই তার পুরোটা না হলেও মিনিমাম এক তৃতীয়াংশ ভোগ করে যেতে হবে যে!
গোলাকার এই পৃথিবীতে আপনার দেওয়া কষ্টগুলো ঘুরেফিরে কিন্তু আপনার কাছেই ফেরত আসবে একদিন না একদিন। আপনি অনুশোচনা আর আত্মগ্লানিতে ভুগতে ভুগতে একটা সময় শেষ করে দেবেন নিজেকে, হয়তোবা আপনার সো কল্ড ইগোর জন্য ওই মানুষটার কাছে মাফও চাইতে পারবেন না!
সবারই মনে রাখা উচিত, মানুষের দীর্ঘশ্বাস খুব খারাপ জিনিস — সামনে এগোতে গেলে শিকলের মত পা জড়িয়ে টেনে ধরে। কেউ অভিশাপ না দিলেও "রুহের হায়" বলে একটা কথা আছে, ইংরেজিতে যাকে "Revenge of Nature" বলে। মানুষ ভুলে গেলেও প্রকৃতি কিছুই ভুলে না! সময়ের ব্যবধান মাত্র!!
কেউ নিজে দোষ করে উল্টা আপনাকে অপবাদ দিয়েছে, নিজের দুর্বলতা প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে আপনার অর্জনকে ছোট দেখাল, আপনার শ্রম-সফলতার স্বীকৃতি দিল না, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ন্যায্য হিস্যা থেকে আপনাকে বঞ্চিত করেছে, কথার বাণে আপনাকে করেছে ক্ষত-বিক্ষত! করুক না!! জরুরি না যে সবকিছুর উত্তর আপনাকে এখনই দিতে হবে! কিছু উত্তর সময়ের উপর ছেড়ে দেন না! দেখেনই না কি হয়?
সবসময় আমরা বুঝে উঠতে পারি না, ঠিক কোন অপরাধের শাস্তি আমরা পাচ্ছি৷ কাউকে কষ্ট দিয়ে, অপমান করে, কাঁদিয়ে, কথা দিয়ে বেমালুম ভুলে যাই আমরা, কিন্তু প্রকৃতি ভোলে না, প্রকৃতি ক্ষমা করে না!
এই মুহূর্তে আপনি যার সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যায় করে নিজেকে জয়ী ভেবে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন, মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, সে হয়তো প্রতিবাদ করবে না, কিন্তু তার নীরবতা, কষ্ট থেকে আসা দীর্ঘশ্বাস আপনার সাথে বোঝাপড়াটা সঠিক সময়ে করে নিবে। কারণ মহান সৃষ্টিকর্তা কাউকে ঠকান না। তিনি কারোর একার না। তিনি সবার।

পৃথিবীতে কিছু কিছু জিনিসের কোনো বিকল্প হয় না। এই যেমন ধরুন, আপনি বেকার থাকাকালীন আপনার যে বন্ধুটি নিজের পকেটের সীমিত টা...
01/06/2025

পৃথিবীতে কিছু কিছু জিনিসের কোনো বিকল্প হয় না। এই যেমন ধরুন, আপনি বেকার থাকাকালীন আপনার যে বন্ধুটি নিজের পকেটের সীমিত টাকার মধ্যে থেকেও আপনার শূন্য পকেটের অবস্থা বুঝে চায়ের বিলটি দিয়ে দিত।

আপনার যে প্রেমিক কিংবা প্রেমিকাটি আপনার দারিদ্র বা অসহায়ত্ব সম্পর্কে জানার পরও আপনার সাথে থেকে গিয়েছিল, তার কোনো বিকল্প হয় না।

আপনার বিষণ্ণতার খোঁজ জানতে পেরে আপনার দুর্দিনে যে মানুষটি মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে “ভয় পেয়ো না, আমি আছি” বলেছিল, তার কোনো রিপ্লেসমেন্ট কিছুতেই হয় না।

একদিন আপনার অনেক কিছু হবে। অনেক বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন আপনার সামনে পিছে ঘুরঘুর করবে। আপনার কিছু লাগবে কিনা তার জন্য একপায়ে খাড়া হয়ে থাকবে অনেকেই। এরা আসলে আপনার আপন কেউ না, এরা আপনার সুসময়ের ঘ্রাণে কেনা কিছু মাছি কেবল।

তারাই আপনার কাছের মানুষ, যারা কোনো স্বার্থ ছাড়াই কখনো ছাদ হয়ে আপনার মাথার উপরে, কখনোবা মাটি হয়ে আপনার পায়ের নিচে থেকে আপনাকে সাপোর্ট দিয়েছিল। তারা সেইসব দিনগুলোতে আপনাকে বেঁচে থাকার সাহস জুগিয়েছিল যখন আপনার পাশে কেউ ছিল না।

যদি আপনার জীবনে এমন কোনো দিন আসে যেদিন আপনি ডুবতে বসেছেন, সেদিন কিন্তু সবগুলো বসন্তের কোকিল আপনাকে ফেলে পালাবে। তাই আপনার শূন্য পকেটের সময়ের বন্ধুদের হারিয়ে ফেলা মানে আপনার অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়া। কেননা ওই বন্ধুগুলোর কোনো রিপ্লেসমেন্ট হয় না।

Address

Dhaka

Telephone

+8801786545676

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nazmul Hasan Ovi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Nazmul Hasan Ovi:

Share

Category