27/10/2025
সমস্যাটা হয়েছে মূলত তখন, যখন হিজাব পরাকে ব্যক্তি স্বাধীনতা বা পোশাকের স্বাধীনতা (My Choice) হিসেবে ডিফাইন করা হয়েছে।
এটা একটা ট্র্যাপ। এই ডেফিনিশনটা আবার ইসলামপন্থীদের কিংবা হিজাবী নারীদের করা না। সেকুলাররাই এই ডেফিনিশন হিজাবীদের হাতে তুলে দিয়েছে। ঢাবির খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট সংলগ্নে তারাই দেয়ালে লিখে রেখেছে : My Hijab, My Choice!
অনেকক্ষেত্রে হিজাব-নিকাব যারা পরেন, এর পক্ষে যারা কথা বলেন এবং যারা হিজাবোফোবিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন- তারাও এই ভুলটি করে থাকেন।
যারা হিজাব-নিকাব পরেন তারা এটা তাদের 'ধর্মীয় বিধান' এবং 'ধর্মপালনের অধিকার' থেকেই পরেন। হিজাবে বাঁধাগ্রস্ত যারা হন, তারাও একই কারণেই বাঁধাগ্রস্ত হন।
প্রকৃতপক্ষে হিজাব-নিকাবের বিরোধিতা যারা করে, কিংবা হিজাবীদের ডিহিউম্যানাইজেশন এবং স্ট্রাকচারাল ডিসক্রিমিনেশন যারা করে, তারা আসলে এইজন্য হিজাব নিকাবের বিরোধিতা করেনা যে তারা আপনার ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী না।
তারা মূলত এর বিরোধিতা করে 'ইসলামের সিম্বল' হিসেবে। তারা আসলে ইসলামের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নকে ঠেকাতে চায়।
আপনি যখন সত্যিকার অর্থে ধর্মীয় বিধিবিধান পালনের অংশ হিসেবে হিজাব নিকাব পরবেন, কিংবা বোরকা পরবেন, ঠিক তখনই আপনি এই পোশাকের জন্য বাঁধাগ্রস্ত হবেন। কিন্তু আপনি যদি ধর্মপালনের অংশ হিসেবে তা না পরে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনি হিজাবী হয়েও কোথাও বাঁধাগ্রস্ত হবেন না। শুধু শুধু ব্যক্তি আপনাকে ঠেকানোর দায় আসলে সেভাবে কেউ নেয় নাই।
~আরফাত হোসেন ভুঁইয়া